সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সৃষ্টিকর্তা আছেন কি না, তা জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সৃষ্টিকর্তা আছেন কি না, তা জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সৃষ্টিকর্তা আছেন কি না, তা জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ? কারণ আপনি যদি নিশ্চিত হয়ে থাকেন যে, একজন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর রয়েছেন, তা হলে আপনি এই বিষয়টাও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে, বাইবেল তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত কি না। আর আপনি যদি বাইবেল যা বলে, সেটার উপর বিশ্বাস করেন, তা হলে বিভিন্ন উপকার লাভ করতে পারবেন। যেমন:

আরও আনন্দপূর্ণ জীবন

বাইবেল বলে: “তিনি [ঈশ্বর] . . . আপনাদের জন্য আকাশ থেকে বৃষ্টি এবং বিভিন্ন ঋতুতে প্রচুর শস্য জুগিয়েছেন আর খাদ্য দিয়ে আপনাদের পরিতৃপ্ত করেছেন এবং আপনাদের হৃদয় আনন্দে পূর্ণ করেছেন।”—প্রেরিত ১৪:১৭.

এর অর্থ: প্রকৃতির বিষয়গুলো দেখে আপনি নিশ্চয়ই আনন্দ পান। এসবই সৃষ্টিকর্তার কাছে থেকে এক উপহার। আপনি যখন জানতে পারবেন যে, তিনি আপনার জন্য কতটা চিন্তা করেন, তখন এই উপহারগুলোর প্রতি আপনি আরও বেশি কৃতজ্ঞ হয়ে উঠবেন।

রোজকার জীবনে কাজে লাগে এমন পরামর্শ

বাইবেল বলে: “তুমি ধার্ম্মিকতা ও বিচার বুঝিবে, ন্যায় ও সমস্ত উত্তম পথ বুঝিবে।”—হিতোপদেশ ২:৯.

এর অর্থ: সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ঈশ্বর জানেন, সুখী হওয়ার জন্য আপনার কী প্রয়োজন। তাই, বাইবেল পড়ার মাধ্যমে রোজকার জীবনে কাজে লাগানো যায় এমন বিষয়গুলো আপনি শিখতে পারবেন।

আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর

বাইবেল বলে: “ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রাপ্ত হইবে।”—হিতোপদেশ ২:৫.

এর অর্থ: সৃষ্টিকর্তা আছেন, তা জানা আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে সাহায্য করবে, যেমন: জীবনের উদ্দেশ্য কী? কেন এত দুঃখকষ্ট রয়েছে? আমরা মারা গেলে আমাদের কী হয়? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি বাইবেল থেকে পাবেন।

ভবিষ্যতের এক আশা

বাইবেল বলে: “সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের পক্ষে যে সকল সঙ্কল্প করিতেছি, তাহা আমিই জানি; সে সকল মঙ্গলের সঙ্কল্প, অমঙ্গলের নয়, তোমাদিগকে শেষ ফল ও আশাসিদ্ধি দিবার সঙ্কল্প!”—যিরমিয় ২৯:১১.

এর অর্থ: ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, তিনি ভবিষ্যতে মন্দতা, দুঃখকষ্ট ও এমনকী মৃত্যু দূর করে দেবেন। ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস করলে এটা সাহসের সাথে প্রতিদিনের সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে আপনাকে সাহায্য করবে।