তারা তাদের কথা রেখেছিল!
তারা তাদের কথা রেখেছিল!
আ্যন্টোনিও হাইস্কুল পাশ করে বেরিয়ে আসার আগে তার সহপাঠীদের কাছে প্রচার করতে চেয়েছিল। তাই সে নাৎসী নির্যাতনের মধ্যেও যিহোবার সাক্ষিরা দৃঢ় (ইংরেজি) ভিডিওটা দেখানোর জন্য ইতিহাসের শিক্ষিকার কাছে অনুমতি চেয়েছিল। শিক্ষিকা যদিও কোন ধর্মই মানতেন না, তবুও তিনি পরের দিন ভিডিওটা দেখাতে রাজি হয়েছিলেন।
আ্যন্টোনিও বলে, ‘প্রথমে শিক্ষিকা কিছুটা তাচ্ছিল্যভরে ভিডিও দেখছিলেন; কিন্তু যখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে বিখ্যাত ইতিহাসবেত্তারা কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যিহোবার সাক্ষিদের ইতিহাস সম্বন্ধে বর্ণনা করছেন, তখন তিনি মন দিয়েছিলেন। শেষে তিনি ওই ভিডিও দেখানোর জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।’
পরের দিন ক্লাসে শিক্ষিকা বাইবেলফোরসার, যিহোবার সাক্ষিরা তখন জার্মানিতে যে নামে পরিচিত ছিলেন তাদের কাজের কথা বর্ণনা করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন যে এই বিষয়ে আ্যন্টোনিও বললেই ভাল হয়। আ্যন্টোনিও, সাক্ষিরা সমাজে কী ধরনের কাজ করে থাকেন এবং তাদের কিছু বিশ্বাসের কথাও বলেছিল। সবশেষে সে এই কথা বলেছিল: “আমরা যে মূল্যবান খবর নিয়ে লোকেদের কাছে যাই, তা যদি তারা না শোনেন, তারা যদি আমাদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেন অথবা আমাদের বইপত্রিকা না পড়েন, তাহলে তা থেকে কোন উপকারই তারা পাবেন না।”
আ্যন্টোনিওর ক্লাসের সবাই এই কথার সঙ্গে একমত হয়েছিল এবং ওই শিক্ষিকা পুরো ক্লাসকে একটা সংকল্প নিতে বলেছিলেন। যিহোবার সাক্ষিরা যখন তাদের ঘরে আসবে তখন অন্তত প্রথম বার তারা তাদের কথা শুনবে এবং তাদের বইপত্রিকা নেবে। ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা কিছু সময়ের জন্য ওই ভিডিও নিয়ে কথাবার্তা বলেছিল। পরের কিছুদিন ধরে আ্যন্টোনিও যখন তার সহপাঠীদের ওয়াচটাওয়ার প্রকাশনা নিয়ে ক্লাসে আসতে দেখেছিল, তখন আ্যন্টোনিওর খুশির কথা একবার ভেবে দেখুন আর সকলেই তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলেছিল: “দেখেছ, আমি আমার কথা রেখেছি!”