সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

এল নিনো কী?

এল নিনো কী?

এল নিনো কী?

পেরুর লিমা শহরের কাছে আপুরিমাক্‌ নদী সারা বছর প্রায় শুকনোই থাকে। কিন্তু, হঠাৎই এই শুকনো নদীতে বন্যা হয়েছিল আর আশেপাশের সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কারমেন দুঃখ করে বলেছিলেন: “শুধু আমার একারই এমন হয়নি। আরও অনেকেই তাদের সবকিছু হারিয়েছেন।” এছাড়াও পেরুর উত্তর উপকূলে এত বেশি বৃষ্টি হয়েছিল যে তা ৫,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে থাকা সেচুরা মরুভূমিকে জলে ভরে দিয়েছিল আর কিছু দিনের জন্য তা পেরুর দ্বিতীয় বড় হ্রদ হয়ে উঠেছিল। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর অন্যান্য জায়গাতেও আরও দুর্ঘটনা ঘটেছিল যেমন প্রবল বন্যা, প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় ও খরা। আর এই কারণে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, মহামারী হয়েছিল, বনে আগুন লেগেছিল আর শস্য, সম্পত্তি ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু এই সমস্ত কিছুর পেছনে কারণ কী ছিল? অনেকে এর জন্য এল নিনোকে দায়ী করে, যেটা ১৯৯৭ সালের শেষ দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের ক্রান্তীয় বা বিষুবীয় অঞ্চলে তৈরি হয়েছিল আর আট মাস ধরে ছিল।

কিন্তু এল নিনো আসলে কী? এটা কীভাবে তৈরি হয়? এর প্রভাব কেন এত দূরে দূরে ছড়িয়ে পড়ে? এর বিষয়ে কি আগে থেকে জানা যেতে পারে যাতে আগে থেকে সাবধান হওয়া যায় এবং জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমানো যায়?

সমুদ্রের জল গরম হলে এটা তৈরি

নিউজউইক পত্রিকা বলে, “আসলে সেই উষ্ণ জলস্রোতকে এল নিনো বলে, যা পেরুর উপকূলে প্রতি দুই বছর বা সাত বছর পর পর দেখা যায়।” একশ বছরেরও বেশি আগে নাবিকেরা জানতে পেরেছিল যে পেরু উপকূলে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আর যেহেতু এই উষ্ণ জলস্রোত বড়দিনের কাছাকাছি সময়ে দেখা যায় তাই একে এল নিনো নাম দেওয়া হয়েছে। স্প্যানিশ ভাষার এই নামের মানে হল, শিশু যীশু।

পেরুর উপকূলে জল গরম হয়ে যাওয়ার মানে হল মেঘ সৃষ্টি হওয়া আর প্রচুর বৃষ্টি হওয়া। এই বৃষ্টি যখন হয় তখন মরুভূমির চারিদিক সবুজ গাছগাছালিতে ভরে যায় আর পশুপাখিরাও সংখ্যায় বাড়তে থাকে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি হলে এখানে বন্যাও হয়। এছাড়াও, সমুদ্রের উপরিভাগের গরম জল নিচের শীতল জলকে ওপরে আসতে বাধা দেয়। সামুদ্রিক প্রাণী ও পাখিদের খাবার সাধারণত নিচের এই শীতল জলে থাকে। ফলে, অনেক সামুদ্রিক প্রাণী এবং এমনকি পাখিরা খাবারের খোঁজে অন্য জায়গায় চলে যায়। এরপর ধীরে ধীরে এল নিনোর প্রভাব পেরু উপকূল ছাড়িয়ে আরও দূরে দূরে ছড়িয়ে পড়ে। *

বায়ু ও জলের কারণে

পেরুর উপকূলে মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? এটা বুঝতে হলে আমাদের আগে একটা বড় চক্রকে বুঝতে হবে আর এই চক্রকে ওয়াকার সার্কুলেশন বলে। এটা প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম ও পূর্বের মধ্যেকার বায়ুমণ্ডলে দেখতে পাওয়া যায়। * যখন পশ্চিম দিকের অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার কাছের সাগরের উপরিভাগের জল সূর্যের তাপে গরম হয় তখন এই গরম ও আর্দ্র বায়ু ওপরে উঠতে থাকে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠে নিম্নচাপের সৃষ্টি করে। এই আর্দ্র বায়ু ওপরে উঠে ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং এর আর্দ্রতাও কমে যায়, ফলে ওই অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টি হয়। আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় এই বায়ু হালকা ও শুষ্ক হয়ে যায় আর বায়ুমণ্ডলের ওপরের বায়ুকে পূর্ব দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। এই শুষ্ক বায়ু যতই পূর্ব দিকে যেতে থাকে ততই ঠাণ্ডা ও ঘন হতে থাকে আর পেরু ও ইকুয়েডরের কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে একেবারে নিচে চলে আসে। এর ফলে সেখানকার সাগরের উপরিভাগে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়। আর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিচে আয়ন বায়ু পশ্চিমে ইন্দোনেশিয়ার দিকে বয়ে যায়। এইভাবে এই চক্র সম্পূর্ণ হয়।

ক্রান্তীয় রেখার কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রাকে আয়ন বায়ু কীভাবে প্রভাবিত করে? নিউজউইক পত্রিকা বলে, “এই বায়ু সাধারণত ছোট্ট পুকুরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু হাওয়ার মতো। এই হাওয়া উষ্ণ জলকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যায়, যার ফলে সমুদ্রতল ২ ফুট উঁচু হয়ে যায় আর ইকুয়েডরের মতো জায়গায় জলের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যায়।” পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের নিচ থেকে জৈবিক-খাবারে ভরা শীতল জল ওপরে উঠে আসে আর তা সামুদ্রিক প্রাণীদের খাবার জোগায়। তাই, যে বছরগুলোতে এল নিনো থাকে না সেই সময়ে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের জলের চেয়ে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা কম থাকে অর্থাৎ পূর্ব দিকের জল ঠাণ্ডা থাকে।

বায়ুমণ্ডলে কোন্‌ তারতম্য হলে এল নিনো ঘটে? ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকা বলে, “কখনও কখনও আয়ন বায়ু কমে যায় বা একেবারে উধাও হয়ে যায় কিন্তু তা কেন হয় বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেননি।” এই বায়ুর গতি যখন কমে যেতে থাকে তখন ইন্দোনেশিয়ার কাছে যে উষ্ণ জল জমা হয়েছিল তা আবার পূর্ব দিকে চলে যায়, ফলে পেরু ও পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য জায়গার সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। হাওয়ার এই জায়গা বদলের কারণে বায়ুমণ্ডলে তারতম্য হয়। একটা বই বলে, “পূর্ব ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরের জল যখন গরম হতে থাকে তখন তা ওয়াকার সার্কুলেশন চক্রকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে পশ্চিম অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার বদলে পূর্ব ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টি হয়। আর পুরো নিরক্ষীয় অঞ্চলের আবহাওয়াই খুব বেশি প্রভাবিত হয়।

জলের মধ্যে যেন এক বিরাট পাথর

এল নিনোর প্রভাব ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা ছেড়ে অনেক দূরে দূরে ছড়িয়ে পড়ে। কীভাবে? এটা বায়ুমণ্ডলের পরিচলন পদ্ধতিকে ব্যবহার করে। কোন এক জায়গায় বায়ুমণ্ডলে একটু তারতম্যের প্রভাব অনেক দূরে দূরে ছড়িয়ে পড়ে আর এর তুলনা একটা বিরাট পাথরের সঙ্গে করা যেতে পারে। যেমন জল যদি একটা পাথরে গিয়ে আঘাত করে, তাহলে পুরো জলে ছোট ছোট ঢেউ তৈরি হয়। ক্রান্তীয় মহাসাগরের গরম জল থেকে ঘন মেঘ সৃষ্টি হয়। এই মেঘ বায়ুমণ্ডলে এক বিরাট পাথরের মতো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এর প্রভাব হাজার হাজার মাইল দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠে এল নিনো আরও শক্তিশালী হয়ে যায় আর তখন এটা খুব জোরে পূর্ব দিকে বয়ে চলা হাওয়াকে সরিয়ে দিয়ে এর জায়গা নেয়। এই বায়ু ঝড়ের দিক বদল করে। এই শক্তিশালী বায়ু দিক পালটানোয় আবহাওয়া খুব খারাপ হয়ে যেতে পারে আবার খুব শান্তও হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এর জন্য আমেরিকার উত্তর ভাগে শীতকালে খুব কম ঠাণ্ডা পড়ে যখন কিনা দক্ষিণ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টি হয় আর খুব বেশি ঠাণ্ডা পড়ে।

আগে থেকে কি জানা যায়?

কোন ঝড়ের প্রকোপ কতখানি হবে তা শুধু অল্প কয়েকদিন আগেই জানা যায়। এল নিনোর বিষয়েও কি তা আগে থেকে জানা যায়? না। কারণ এল নিলো সম্বন্ধে জানতে হলে কয়েক মাস ধরে এক বিরাট অঞ্চলের আবহাওয়ায় কী পরিবর্তন হচ্ছে সে বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। তবুও আবহাওয়া গবেষকরা এল নিনো কখন আসতে পারে, তা আগে থেকে জানার ব্যাপারে অনেকখানি সফল হয়েছেন।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৯৭-৯৮ সালের এল নিনোর বিষয়ে প্রায় ছয় মাস আগে ১৯৯৭ সালের মে মাসেই জানতে পারা গিয়েছিল। ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭০টা বড় বড় নোঙর ভাসিয়ে রাখা হয়েছিল আর এতে এমন যন্ত্র লাগানো আছে, যা সমুদ্রের ওপরের হাওয়া ও সমুদ্রের ১৬০০ ফুট নিচ পর্যন্ত তাপমাত্রা মাপতে পারে। যখন এই সমস্ত তথ্য কমপিউটারে জলবায়ু অধ্যয়ন করার প্রোগ্রামে ভরে দেওয়া হয় তখন তার থেকে আবহাওয়া সম্বন্ধে আগে থেকে জানতে পারা যায়।

এল নিনোর বিষয়ে প্রথম থেকে সাবধান করা হলে লোকেরা আগে থেকেই তৈরি হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৮৩ সালে পেরুতে এল নিনোর বিষয়ে আগে থেকে সাবধান করায় পেরুর কৃষকরা পশুপাখি পুষতে শুরু করে আর এমন ফসল লাগায় যা আর্দ্র জলবায়ুতে ভাল হয়। আর জেলেরাও মাছ ধরা বাদ দিয়ে চিংড়ি চাষ করতে শুরু করেছিল, যা গরম জলের সঙ্গে ওপরে উঠে আসে। হ্যাঁ, এল নিনোর বিষয়ে ঠিকভাবে বলা হলে ও আগে থেকে তৈরি হলে মানুষ ও সম্পদের ক্ষতি অনেকটা লাঘব করা যায়।

আমাদের পৃথিবীর জলবায়ুকে যে পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখেছেন। তাদের এই পরীক্ষানিরীক্ষা ৩,০০০ বছর আগে প্রাচীন ইস্রায়েলের রাজা শলোমনের লেখা এই কথাগুলোকে সত্যি বলে দেখায়, যা তিনি ঈশ্বরের শক্তিতে লিখেছিলেন: “বায়ু দক্ষিণ দিকে যায় ও ঘুরিয়া ঘুরিয়া উত্তর দিকে যায়; নিরন্তর ঘুরিয়া ঘুরিয়া আপন পথে যায়, এবং বায়ু আপন চক্রপথে ফিরিয়া আসে।” (উপদেশক ১:৬) আজকে মানুষ বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্র স্রোতের ওপর গবেষণা করে আবহাওয়া সম্বন্ধে অনেক কিছু জেনেছে। তাই, আসুন আমরা তাদের সতর্কবাণীতে কান দিই এবং এল নিনোর মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করি।

[পাদটীকাগুলো]

^ এল নিনোর উলটো হল, লা নিনা (এই স্প্যানিশ শব্দের মানে হল “ছোট্ট মেয়ে”) দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের জলের তাপমাত্রা কখনও কখনও খুব কমে যায়, যাকে লা নিনা বলে। এল নিনোর মতো লা নিনার প্রভাবও অনেক দূর দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

^ ওয়াকার চক্রের নাম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী, স্যার গিলবার্ট ওয়াকারের নাম থেকে এসেছে কারণ ১৯২০ এর দশকে তিনি এই বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন।

[২৭ পৃষ্ঠার বাক্স]

এল নিনোর ধ্বংসাত্মক প্রভাব

১৫২৫: পেরুতে সবচেয়ে প্রথমে এল নিনো হয়েছিল।

১৭৮৯-৯৩: এল নিনোর কারণে ভারতে ৬,০০,০০০ এরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিল আর দক্ষিণ আফ্রিকায় দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।

১৯৮২-৮৩: মূলত গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে এল নিনোর জন্য ২,০০০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারায় ও ১৩শ কোটি ডলারের বিষয়সম্পত্তি নষ্ট হয়।

১৯৯০-৯৫: পরপর তিন বার এল নিনো হয় আর এটাই হল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা।

১৯৯৭-৯৮: এল নিনোর কারণে ঘটতে পারে এমন বন্যা ও খরার কথা আগে থেকে জানা গিয়েছিল, তবুও প্রায় ২১০০ জন লোক মারা গিয়েছিল ও ৩৩শ কোটি ডলারের বিষয়সম্পত্তি নষ্ট হয়েছিল।

[২৪, ২৫ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রামস্‌/মানচিত্রগুলো]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

স্বাভাবিক

ওয়াকার সার্কুলেশন

শক্তিশালী আয়ন বায়ু

সমুদ্রের গরম জল

সমুদ্রের শীতল জল

এল নিনো

পূর্ব দিকে বয়ে চলা বায়ু তার দিক বদলায়

দুর্বল আয়ন বায়ু

গরম জল পূর্ব দিকে যায়

স্বাভাবিকের চেয়ে গরম ও শুষ্ক

স্বাভাবিকের চেয়ে ঠাণ্ডা ও আর্দ্র

[২৬ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রামস্‌/চিত্রগুলো]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

এল নিনো

ওপরে দেওয়া মানচিত্রে লাল রঙ জলের তাপমাত্রাকে বোঝায় যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি

স্বাভাবিক

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে গরম জল জমা হতে থাকে যার ফলে পূর্ব দিকে জৈবিক-খাবারে ভরা শীতল জল ওপরে আসে

এল নিনো

দুর্বল আয়ন বায়ু গরম জলকে পূর্ব দিকে সরিয়ে দেয় আর ঠাণ্ডা জলকে ওপরে আসতে দেয় না

[২৪, ২৫ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

পেরু

জলে ভরা সেচুরা মরুভূমি

মেক্সিকো

হারিকেন লিন্ডা

ক্যালিফোর্নিয়া

ভূমিধ্বস

[সৌজন্যে]

২৪-৫ পৃষ্ঠায় বাঁ দিক থেকে ডান দিকে: Fotografía por Beatrice Velarde; Image produced by Laboratory for Atmospheres, NASA Goddard Space Flight Center; FEMA photo by Dave Gatley