লামু—যে দ্বীপ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার অতীতকে হারিয়ে ফেলেনি
লামু—যে দ্বীপ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার অতীতকে হারিয়ে ফেলেনি
কেনিয়ার সচেতন থাক! সংবাদদাতা কর্তৃক
পনেরোশ শতাব্দী। ছোট্ট কাঠের একটা জাহাজ ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে ভেসে চলেছে। সাগরের হাওয়ায় উড়তে থাকা পাল জাহাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জাহাজের উঁচু মাস্তুল ধরে দাঁড়িয়ে একজন নাবিক যত দূর চোখ যায় দেখছিলেন। আসলে এই জাহাজের সব নাবিকই লামু দ্বীপ খুঁজছিলেন।
সোনা, হাতির দাঁত, মসলা এবং ক্রীতদাস—আফ্রিকাতে এর কোন কিছুরই কমতি ছিল না। এই সম্পদের খোঁজে ও আবিষ্কারের নেশায় সাহসী লোকেরা দূর দূরান্ত থেকে পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে পাড়ি জমিয়েছিলেন। সাহসী নাবিকরা উত্তাল ঢেউ ও ঝড়ো হাওয়াকেও তোয়াক্কা করেননি। কাঠের নৌকার ওপর গাদাগাদি করে বসে তারা দূর-দূরান্তে যাত্রা করতেন।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের মাঝখান বরাবর কিছু ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোকে লামু বলা হয়। এই দ্বীপগুলো যাত্রী ও ছোট ছোট জাহাজের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বন্দর কারণ বন্দরের চারদিক প্রবালপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। লামু বন্দরে এসে নাবিকরা তাদের জাহাজে জল ও খাবার নিয়ে নেয়।
পনেরোশ শতাব্দীর মধ্যে লামু দ্বীপ এক বড় বাণিজ্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। ষোলশ শতাব্দীতে যখন পর্তুগিজ নাবিকেরা এখানে এসেছিলেন তখন তারা দেখেছিলেন যে এখানকার ধনী বণিকেরা ঢিলেঢালা জামা ও মাথায় সিল্কের পাগড়ি পরেন। বউঝিরা সুগন্ধি মেখে, হাতে সোনার চুড়ি ও পায়ে মল পরে সরু পথ দিয়ে হাঁটাচলা করে বেড়ায়। জাহাজঘাটের সব জায়গায় পাল গুটিয়ে রাখা জাহাজগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই জাহাজগুলো মালপত্রে ভরা থাকত, যা বণিকেরা বিদেশে গিয়ে বিক্রি করে আসত। হাত বাঁধা ক্রীতদাসদের দল বেঁধে অপেক্ষা করতে দেখা যেত, যাদের একসঙ্গে বেঁধে গাদাগাদি করে জাহাজে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো।
লামু দ্বীপের স্নানের ঘর, নালা-নর্দমা এবং বাড়িঘর এত উন্নত ছিল যে প্রথম দিকের ইউরোপীয় আবিষ্কারকেরা তা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানকার খনি থেকে কেটে আনা প্রবাল খণ্ড দিয়ে সাগরের ধারের বাড়িগুলো বানানো হয়েছিল আর সেগুলোতে বড় বড় কাঠের বাঁকানো দরজা এবং সামনে বড় উঠোন ছিল। বাড়িগুলোকে এমনভাবে সারি সারি করে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে সরু পথের ওপর দিয়ে সাগরের ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে যেতে পারে ও লোকেরা দুঃসহ গরম থেকে স্বস্তি পেতে পারে।
একটু পয়সাওয়ালা লোকেদের বাড়িগুলো বেশ সুন্দর ও বড় বড় হতো। বাথরুমগুলোতে পরিষ্কার জল আসার ব্যবস্থা ছিল। নালা-নর্দমা এত ভাল ছিল যে ইউরোপের অনেক দেশের চেয়েও তা উন্নত ছিল। পাথর কেটে কেটে বড় বড় নালা তৈরি করা হতো, যেগুলো ঢালু হয়ে সাগরের দিকে চলে যেত আর সেই নালাগুলো দিয়ে ময়লা জল গভীর গর্তে গিয়ে পড়ত। এই গর্তগুলো বিশুদ্ধ জলের থেকে অনেক দূরে খোঁড়া হতো। পাথরের তৈরি বড় গর্তগুলোতে পরিষ্কার জল থাকত, সেখান থেকে বাড়িতে বাড়িতে জল সরবরাহ করা হতো আর সেখানে একটা ছোট মাছ রাখা হতো, যেটা মশার শূককীটগুলোকে খেয়ে জলে পোকামাকড় হতে দিত না।
উনিশ শতাব্দীর মধ্যে, লামু দ্বীপ থেকে জাহাজ বোঝাই করে হাতির দাঁত, তেল, বীজ, পশুর চামড়া, কচ্ছপের খোল, জলহস্তীর দাঁত এবং ক্রীতদাস পাঠানো হতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লামু দ্বীপের জৌলুস কমে যেতে থাকে। মহামারী, বিদেশী হামলা ও ক্রীতদাস ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লামুর আর্থিক চাকচিক্য কমে যেতে শুরু করে।
অতীতে পাড়ি জমানো
লামু বন্দরে পা রাখার মানে যেন অতীতে পাড়ি জমানো। ভারত মহাসাগরের নীল জলের ওপর দিয়ে সমুদ্রের হাওয়া বয়ে যায়। নীল-সবুজ রংয়ের ঢেউগুলো সাদা বালির তীরে এসে আছড়ে পড়ে। পুরনো দিনের কাঠের তৈরি জাহাজগুলো যখন উপকূলের পাশ দিয়ে ভেসে চলে তখন সেগুলোর সাদা তিন কোণা পালগুলোকে প্রজাপতির পাখার মতো দেখায়। মাছ, ফল, নারকেল, গরু, মুরগি এবং যাত্রী বোঝাই করে সেগুলো লামু বন্দরের দিকে এগিয়ে চলে।
জাহাজঘাটের তালগাছগুলোর পাতা গরম হাওয়ায় দুলে যারা জাহাজ থেকে মাল নামায় তাদের ছায়া দেয়। বাজারে লোকেরা ভীড়ভাট্টার মধ্যে হই হট্টগোল করে বেচাকেনা করে। এই বণিকরা সোনা, হাতির দাঁত বা ক্রীতদাস চায় না কিন্তু তারা কলা, নারকেল, মাছ, ঝুড়ি এই সমস্ত জিনিস খোঁজে।
বড় আম গাছের ছায়ায় বসে লোকেরা সিসাল গাছের আঁশ দিয়ে দড়ি বানায় ও নৌকার পালগুলোকে মেরামত করে, যা তাদের কাঠের তৈরি নৌকাগুলোকে জলে ভাসিয়ে নিয়ে চলে। রাস্তাগুলো খুবই সরু কিন্তু সেগুলোর নানা দিক দিয়ে লোকেরা চলাচল করতে পারে। লম্বা, সাদা কাপড় পরা বণিকেরা তাদের দোকান থেকে জিনিস কেনার জন্য খরিদ্দারদের চিৎকার করে ডাকে। শস্য, সূতা বোঝাই করা গাড়িগুলোকে গাধাগুলো লোকেদের ভীড়ের মধ্যে দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। লামু দ্বীপের লোকেরা হেঁটে হেঁটে পুরো দ্বীপটাতে যাওয়া আসা করে, কারণ সেখানে মোটরগাড়ি নেই। এছাড়া এই দ্বীপে আসার জন্য নৌকা ছাড়া আর কোন গতি নেই।
দুপুর বেলা সূর্য যখন একেবারে মাথার ওপর থাকে তখন মনে হয় সময় যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। দুঃসহ গরমে খুব কম লোকেরাই বাইরে ঘোরাফেরা করে আর গাধাগুলোও চোখ টিপে বন্ধ
করে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে। মনে হয় যেন গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে।সূর্য পশ্চিম কোণে হেলতে শুরু করলেই গরম কমতে থাকে আর দ্বীপটা যেন তার জীবন ফিরে পায়। বণিকেরা তাদের ব্যাবসা চালু করার জন্য দোকানের বাঁকানো দরজাগুলোকে আবার খুলে দেয় আর অনেক রাত পর্যন্ত বাতি জ্বালিয়ে বেচাকেনা করে। বউঝিরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্নান করিয়ে নারকেল তেল মাখায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের শরীর চক্চকে হয়ে ওঠে। তারপর তারা নারকেল পাতার মাদুরে বসে খাবার তৈরি করতে শুরু করে। বউঝিরা খোলা জায়গায় বসেই রান্না করে। নানা রকমের মশলা দিয়ে তারা মাছ রাঁধে আর নারকেলের দুধ দিয়ে ভাত রান্না করে। এখানকার লোকেরা খুবই হাসিখুশি, তারা অতিথিদের আদর-যত্ন করে এবং সহজ-সরল।
লামু দ্বীপ তার আগের জৌলুস হারালেও আফ্রিকার প্রাচীন সংস্কৃতি এখনও এখানে টিকে রয়েছে। গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড তাপে জীবন এখনও সেভাবেই চলে যেমন কয়েক শতক আগে চলত। এখানে এসে একজন অতীত ও বর্তমান দুটোকেই একসঙ্গে চোখের সামনে দেখতে পাবেন। সত্যিই, লামু এক অদ্ভুত দ্বীপ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার অতীতকে হারিয়ে ফেলেনি।
[১৬, ১৭ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]
আমরাও লামু গিয়েছিলাম
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, আমরাও কজন মিলে লামু দ্বীপে গিয়েছিলাম। তবে আমরা সেখানে জিনিস বেচাকেনা করতে যাইনি। আমরা আমাদের খ্রীষ্টান ভাইবোনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমাদের ছোট প্লেন কেনিয়ার এবড়োখেবড়ো উপকূলের ওপর দিয়ে উত্তর দিকে উড়ে চলেছিল। অনেক নিচে ছোট ছোট ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছিল। নীল সমুদ্র ও গাঢ় সবুজ গাছগাছালিতে ভরা উপকূলের মাঝখানে বালির চড় যেন রুপোর ফিতের মতো চক্চক্ করছিল। আর তখনই আমাদের নজর দ্বীপপুঞ্জের ওপর গিয়ে পড়ে, যেটা নীলসাগরের জলে যেন একটা রত্নের মতো জ্বলজ্বল করছিল। ঠিক যেমন ঈগল পাখি আকাশে এক চক্কর ঘুরে নিয়ে তারপর নিচের দিকে নামে আমাদের প্লেনও আকাশে এক চক্কর কেটে নিচের দিকে নেমেছিল। এখানে একটা বিমানবন্দর আছে আর আমাদের প্লেন সেখানেই নেমেছিল। প্লেন থেকে নেমে আমরা সাগরের ধারে গিয়েছিলাম আর কাঠের নৌকায় চড়ে লামু দ্বীপের দিকে পাড়ি দিয়েছিলাম।
সেদিন সুন্দর রোদ উঠেছিল তাই চারদিক বেশ উজ্জ্বল ছিল আর সমুদ্রের সতেজ হাওয়া বইছিল। নৌকা যখন দ্বীপের কাছাকাছি আসে, আমরা দেখতে পাই যে ঘাটে প্রচুর লোকের ভিড়। পুরুষেরা নৌকা থেকে ভারী মালপত্র নামাচ্ছিল আর আমরা দেখেছিলাম যে কীভাবে বউঝিরা তাদের সব জিনিসপাতি মাথায় নিয়ে সোজা হয়ে চলছিল। তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছিল যে তারা যেন বেশ আরামেই চলেছে। আমরাও আমাদের মালপত্র নিয়ে নৌকা থেকে নেমে ভিড় ঠেলে একটা তাল গাছের ছায়ায় গিয়ে দাঁড়াই। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানকার ভাইবোনেরা আমাদেরকে দেখতে পেয়ে খুব আদরযত্ন করে আমাদেরকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান।
পরের দিন আমরা খুব সকাল সকাল তৈরি হয়ে নিই কারণ আমাদের মিটিংয়ে যেতে হবে। এখানকার মিটিং অন্য একটা দ্বীপে হয় তাই আমরাও ভাইবোনদের সঙ্গে সমুদ্রের তীরে এসে পৌঁছাই। অনেক ঘন্টার পথ তবে আমরা তৈরি হয়েই বেরিয়েছি। আমরা সঙ্গে করে খাবার জল নিয়ে নিয়েছিলাম, বড় টুপি পরেছিলাম ও ভাল জুতো পরে নিয়েছিলাম যাতে হাঁটতে কষ্ট না হয়। আমাদের নৌকা এগিয়ে চলেছিল আর আমাদের ঠিক পিছনেই সূর্য উঠছিল।
ভাইয়েরা নৌকার লোকেদের কাছে প্রচার করেছিলেন এবং ঘাটে পৌঁছতে পৌঁছতে আমরা অনেকের সঙ্গে বাইবেল থেকে আলোচনা করেছিলাম আর অনেকগুলো পত্রিকা তাদেরকে দিয়েছিলাম। নৌকা থেকে নেমে আমরা যে পথ ধরেছিলাম সেটা ছিল একটা কাঁচা রাস্তা আর ধীরে ধীরে গরম বেড়েই চলেছিল। আমরা যখন ফাঁকা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটছিলাম সেই সময় ভাইরা বলেছিলেন যে আমরা যেন চোখ কান খোলা রেখে চলি কারণ এই জঙ্গলে বন্য জন্তু আছে। আর মাঝে মাঝে জংলি হাতিও সামনে চলে আসে। ভাইরা হাসি গল্প করতে করতে সেই রাস্তা দিয়ে চলেছিল আর কিছুক্ষণ পরে আমরা মিটিংয়ের জায়গায় এসে পৌঁছাই।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা সেই ছোট্ট গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছিলাম যেখানে মিটিং হবে। আমরা সেখানে আরও অনেক ভাইবোনদের দেখেছিলাম। তারা অনেক দূর দূর থেকে হেঁটে এসেছিলেন। ভাইরা অনেক দূরে দূরে থাকায় একদিনেই এখানে একসঙ্গে চারটে মিটিং হয়।
পাথরের তৈরি একটা ছোট্ট স্কুল ঘরে মিটিং হয় আর ঘরের জানালা-দরজাগুলো খুব একটা ভাল ছিল না। আমরা প্রায় ১৫ জন কাঠের সরু সরু বেঞ্চের ওপর বসি আর মিটিং থেকে আমরা অনেক উৎসাহ পাই ও অনেক কিছু শিখি। ভাইবোনেরা এত মন দিয়ে শুনছিলেন যে টিনের চালের গরমের দিকে তাদের কোন খেয়ালই ছিল না। ভাইবোনেরা একসঙ্গে মেলামেশা করতে পেরে খুব খুশি হয়েছিলেন। চার ঘন্টা পর মিটিং শেষ হলে আমরা সবাই সবাইকে বিদায় জানিয়ে নিজের নিজের ঘরে ফিরে এসেছিলাম। আমরা যখন লামু দ্বীপে পৌঁছাই তখন সন্ধ্যে হয়ে এসেছিল আর সূর্য ডুবতে শুরু করেছিল।
ওইদিন রাতে এক ভাই আমাদের তার ঘরে খেতে ডাকেন। রাতের ঠাণ্ডা হাওয়ায় তাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতে আমাদের খুব ভাল লেগেছিল। পরের দিন আমরা ভাইবোনদের সঙ্গে প্রচারে গিয়েছিলাম। সেখানকার সরু, আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে হেঁটে হেঁটে আমরা প্রচারে গিয়েছিলাম আর বাইবেলের সত্য জানতে চায় এমন লোকেদের খুঁজেছিলাম। সত্যিই লামু দ্বীপের এই অল্প কয়েকজন ভাইবোনদের উদ্যোগ ও সাহস দেখে আমরা অনেক উৎসাহ পেয়েছিলাম।
এবারে আমাদের ফিরে আসার পালা। ভাইরা আমাদেরকে ঘাটে এগিয়ে দিতে এসেছিলেন আর আমরা ব্যথা ভরা মনে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। তারা আমাদেরকে বলেছিলেন যে আমাদের পেয়ে তারা খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু তারা জানতেন না যে তাদের কাছে এসে আমরাও কত উৎসাহ পেয়েছিলাম! শহরে পৌঁছে আমরা আমাদের ছোট্ট প্লেনে উঠেছিলাম। ওপরে উঠে আমরা সুন্দর লামু দ্বীপকে শেষবারের মতো দেখেছিলাম। আমাদের মনে আজও লামু দ্বীপের কথা বারে বারে আসে। লামু দ্বীপে আমাদের ভাইদের অটল বিশ্বাস, মিটিংয়ে আসার জন্য তাদের উৎসাহ এবং সত্যের জন্য তাদের ভালবাসা আমাদের মনকে নাড়া দিয়েছিল। এটা যেন ঠিক এইরকম ছিল যেমন অনেক বছর আগে গীতরচক গীতসংহিতা ৯৭:১ পদে লিখেছিলেন: “সদাপ্রভু রাজত্ব করেন; পৃথিবী উল্লাসিত হউক, দ্বীপসমূহ আনন্দ করুক।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) সত্যিই এত দূরের লামু দ্বীপের লোকেদেরও উল্লাসিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে যাতে তারাও ঈশ্বরের রাজ্যে যে পরমদেশ আসবে সেখানে থাকতে পারেন।—উপহার।
[১৭ পৃষ্ঠার মানচিত্রগুলো/চিত্র]
(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)
আফ্রিকা
কেনিয়া
লামু
[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
© Alice Garrard
[১৮ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
© Alice Garrard