সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিবর্তনবাদ কি যুক্তিসংগত?

বিবর্তনবাদ কি যুক্তিসংগত?

বিবর্তনবাদ কি যুক্তিসংগত?

আজকে যারা বিবর্তনে বিশ্বাস করেন তারা বলেন যে বিবর্তনবাদ হল এক ধ্রুব সত্য, যেটাকে কেউ খণ্ডাতে পারবে না। কিন্তু, প্রশ্ন আসে যে মাঝে মাঝেই তারা জোর গলায় যে সমস্ত কথা বলে থাকেন তাতে কতটুকু যুক্তি আছে? নিচের বিষয়গুলোই দেখুন।

মাকড়সার তৈরি রেশম খুবই শক্ত। নিউ সায়েনটিস্ট বলে যে এর “প্রত্যেকটা তন্তুকে দৈর্ঘ বরাবর ৪০ শতাংশ প্রসারিত করা যায় আর ইস্পাত যতটুকু শক্তি শোষণ করতে পারে সেই তুলনায় এগুলো একনাগাড়ে একশ গুণ বেশি শক্তি শুষে নিতে পারে।” এই অসাধারণ রেশম কী করে তৈরি হয়? এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা বলে যে মাকড়সার শরীরের ছোট ছোট নালীর ভিতর থেকে একরকমের আঠালো তরল অর্থাৎ প্রোটিন বের হয় আর এই তরলের প্রোটিন অণুগুলো পুনর্বিন্যস্ত হয়ে শক্ত সুতা হয়।

নিউ সায়েনটিস্ট এই বলে শেষ করে: “বিবর্তনের মাধ্যমে একটা মাকড়সা যে কলাকৌশল গড়ে তুলেছে তা একজন দক্ষ রসায়নবিদের উদ্ভাবিত কলাকৌশলের চেয়ে শত গুণে উন্নত।” কিন্তু, এটা কি বিশ্বাস করা যায় যে একটা মাকড়সা বিবর্তনের মাধ্যমে এমনই এক জটিল উৎপাদন কৌশল গড়ে তুলেছে, যা মানুষ এখনও বুঝতে পারেনি?

ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভারসিটির আইনের অধ্যাপক, ফিলিপ ই. জনসন দ্যা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ একটা প্রবন্ধে বলেন যে বিবর্তনবাদের পক্ষে এখনও যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি কিন্তু তবুও এর সমর্থকরা যারা এতে বিশ্বাস করেন না তাদেরকে ঠাট্টা করেন। ওই প্রবন্ধ বলে: “বিবর্তনবাদের পক্ষে খুব কম প্রমাণই আছে আর তাই এর সমর্থকরা এই বিষয় নিয়ে সরাসরি কোন তর্কে যেতে চান না কারণ এতে হয়তো তাদের নিজেদের বানানো ধারণার ওপরই আঘাত আসবে।”

গাছপালা হল আরেকটা উদাহরণ, যা দেখায় যে বিবর্তনবাদের পক্ষে আসলে কোন যুক্তি নেই। মরক্কোতে যে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন তারা মাটি খুঁড়ে আরকেউপটেরিস এর ১৫০টা জীবাশ্ম পেয়েছেন। লন্ডনের দ্যা ডেইলি টেলিগ্রাফ বলে যে আরকেউপটেরিস হল ‘আজকের বেশির ভাগ গাছপালার পূর্বপুরুষ এবং এ পর্যন্ত যে সমস্ত আদিম সবীজ উদ্ভিদ পাওয়া গেছে তার সঙ্গে এগুলোর অনেক মিল আছে।’ সংবাদপত্রের বিজ্ঞান বিভাগের সম্পাদক বলেন যে এই উদ্ভিদ “পাতা ও শাখাপ্রশাখা উদ্ভাবন করে আজকের পৃথিবীকে আকার দিতে সাহায্য করেছিল।” “উদ্ভাবন করা” মানে হলে “ভেবেচিন্তে কিছু তৈরি করা।” তাহলে, এখন প্রশ্ন আসে যে একটা উদ্ভিদের চিন্তা করার ও কিছু উদ্ভাবন করার শক্তি আছে বলাটা কি যুক্তিসংগত?

জ্ঞানী ব্যক্তি শলোমন আমাদের পরামর্শ দেন যে নিজের সম্বন্ধে চিন্তা করার সময় আমরা যেন ‘পরিণামদর্শিতা রক্ষা করি।’ আর এখন তা করা আরও বেশি জরুরি।—হিতোপদেশ ৫:২.