সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে

আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে

আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে

জাদুবিদ্যা আমার বয়স ১৩ বছর। আমার স্কুলের একটা মেয়ে জাদুবিদ্যায় বিশ্বাস করে। একদিন সে আমাকে জিজ্ঞেস করে যে এই বিষয়ে আমি কী মনে করি। আমি তাকে বলি যে আমি একজন যিহোবার সাক্ষি তাই, কোন দৈব শক্তিতে আমি বিশ্বাস করি না। এটা শুনে সে কিছুটা রেগে যায় ও এরপর আমাকে বার বার এই বিষয়ে প্রশ্ন করে ও তর্ক করে। আমি সাহায্যের জন্য যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছি আর তার উত্তরও পেয়েছি। কারণ “বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি: জাদুবিদ্যার পেছনে কার হাত রয়েছে?” (ইংরেজি) নামে প্রবন্ধ ছাপানো হয়েছে। (নভেম্বর ৮, ১৯৯৯) আমি তাকে ওই পত্রিকাটা দিয়েছি এবং তার পর থেকে সে আমাকে ওই ব্যাপারে আর কোন প্রশ্ন করেনি।

কে. ই., আমেরিকা

বিংশ শতাব্দী “বিংশ শতাব্দী—বড় বড় পরিবর্তনের যুগ” (জানুয়ারি থেকে মার্চ, ২০০০) ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো সম্বন্ধে আমি কিছু বলতে চাই। বিংশ শতাব্দীতে আমরা যে কঠিন সময়ের মধ্যে ছিলাম সেই বিষয়ে আপনারা স্পষ্টভাবে যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, তা পড়ে আমার খুবই ভাল লেগেছে। আমি এও বুঝতে পেরেছি যে হিংসাত্মক মনোভাব কীভাবে মানবজাতিকে একটু একটু করে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আপনাদের চমৎকার কাজের জন্য আমি আপনাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি।

ডব্লু. জি., পুয়ের্টো রিকো

রক্ত ছাড়া চিকিৎসা “রক্ত ছাড়া চিকিৎসা ও অপারেশনের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে” (এপ্রিল থেকে জুন, ২০০০) ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো একেবারে আধুনিক গবেষণার ফল। আমি নার্সিং স্কুলে পড়ি আর আমার এক সহকর্মী ও টিচারকে এই পত্রিকা দিয়েছি। আগে বেশ কয়েকবার তারা যিহোবার সাক্ষিদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। কিন্তু, এই প্রবন্ধগুলো পেয়ে এবং যিহোবার সাক্ষিদের সম্বন্ধে সঠিক তথ্য জানতে পেরে তারা অনেক খুশি হয়েছে।

আর. পি., সুইজারল্যান্ড

আমার দুই ছেলেমেয়ে ১৯৯৮ সালে এক্সিডেন্ট করেছিল। আমার ছেলের পায়ের হাড় ভেঙে গুড়িয়ে যায়। রক্ত নেওয়ার ব্যাপারে সে বার বার না বলেছিল! কিন্তু, হাসপাতালে রক্ত ছাড়া চিকিৎসা করার মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ছিল না। তাকে আরেকটা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু সেই হাসপাতালের ডাক্তাররা তার হিমাটোক্রিট ৩৫-এ না আসা পর্যন্ত অপারেশন করতে চাননি। (তার হিমাটোক্রিট ৮.১-এ নেমে গিয়েছিল।) তারা এমন মনোভাব দেখিয়েছিলেন যে তারা অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চান না, যেন সে মরে কি না তা দেখার অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু, তারা যখন রক্ত ছাড়া বিভিন্ন পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে যেমন যেমন পা উঁচুতে তুলে, ইরিথ্রোপোয়েটিন হরমোন দিয়ে ও অন্যান্য কাজ করে চিকিৎসা করতে শুরু করেন তখন তার হিমাটোক্রিট ৩৫.৮-এ উঠে গিয়েছিল! অপারেশন সফল হয়েছিল ঠিকই কিন্তু চিকিৎসা করতে দেরি হওয়ায় তার পায়ের এমন অনেক ক্ষতি হয়েছিল, যা আর কখনও ভাল হবে না। আমি মনে করি যে সমস্ত ডাক্তার, সার্জন ও এনেস্‌থিশিওলজিস্টদের এই প্রবন্ধগুলো পড়া দরকার।

এল. এল., আমেরিকা

অনেক ডাক্তারই এখন যিহোবার সাক্ষিদের চিকিৎসা করতে চান শুনে আমার খুবই ভাল লাগছে। এই পত্রিকাটা আমি শীঘ্রিই আমার ডাক্তারকে দেব। আমি জানি যে তিনি এটা পছন্দ করবেন।

ইউ. এম., আমেরিকা

ঠিক আমার অপারেশনের সময়ই প্রবন্ধটা বের হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে আমার শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায় আর সেই সময় এই পত্রিকার সাহায্যেই আমি হাসপাতালের কর্মীদের ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে বোঝাতে পেরেছি যে আমি কেন রক্ত নেব না। যিহোবার সাহায্যে আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছি।

কে. বি., আমেরিকা

যুবক-যুবতীদের প্রবন্ধ আমার বয়স ১২ বছর। আপনাদের পত্রিকাগুলো পড়তে আমার খুবই ভাল লাগে। আপনাদের পত্রিকা পড়তে শুরু করার আগে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মিশতে আমার বেশ কষ্ট হতো কারণ তারা সবাই আমার থেকে বয়সে বড় ছিল। কিন্তু, “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . .” প্রবন্ধগুলো পড়ার পর তাদের সঙ্গে মেশা আমার জন্য বেশ সহজ হয়েছে। আপনাদের পত্রিকাগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। সেগুলো অনেক সাহায্য করে।

এন. আই., রাশিয়া