বিমানে নিরাপদে ভ্রমণ করুন!
বিমানে নিরাপদে ভ্রমণ করুন!
ইউএসএ টুডে পত্রিকা বলে, “প্রতি সপ্তায় অন্তত একবার জরুরি অবস্থার কারণে যাত্রীদেরকে প্লেন থেকে নামিয়ে দিতে হয়।” যদিও বেশির ভাগ সময়ই ছোটখাটো কারণে বা মিথ্যে বিপদসংকেতের জন্য তা হয়ে থাকে কিন্তু নিচে দেওয়া পরামর্শগুলো মেনে চললে প্লেন থেকে নিরাপদে নেমে যাওয়া সহজ হবে:
• উপযুক্ত পোশাক পরুন। এমন পোশাক পরুন যা পরে আরাম পাওয়া যায়, নড়াচড়া করতে সুবিধা হয় এবং আপনার শরীরের বেশির ভাগ অংশই ঢাকা থাকে। ঢিলেঢালা লম্বা প্যান্ট এবং লম্বা হাতা জামা পরলে ভাল হয়। প্রাকৃতিক তন্তু থেকে তৈরি কাপড় যেমন সুতি, উল, জিন্স ও চামড়ার তৈরি পোশাক পরুন। সিনথেটিক কাপড় যেমন রেয়ন, পলিয়েস্টার ও নাইলনের (বিশেষ করে মোজা বা অন্তর্বাস) কাপড় গরমে খুব তাড়াতাড়ি গলে যেতে পারে এবং এর ফলে শরীর ও পা পুড়ে যেতে পারে।
• মনকে তৈরি করুন। জরুরি মুহূর্তে আপনি কী করবেন তা আগেই চিন্তা করুন। সিটে বসে আশেপাশে তাকিয়ে দেখে রাখুন যে, জরুরি মুহূর্তে বেরিয়ে যাওয়ার পথ কোথায়। জরুরি মুহূর্তে কী করতে হবে সেই বিষয়ে কেবিন ক্রুরা যা বলেন তা মন দিয়ে শুনুন। জরুরি অবস্থায় কীভাবে প্লেন থেকে নামতে হবে সেই সম্বন্ধে সেফটি কার্ডে যা লেখা আছে তা ভাল মতো পড়ুন।
• ভয় পাবেন না। জরুরি মুহূর্তে শান্ত থাকুন এবং কেবিন ক্রুরা যে নির্দেশনা দেন তা মেনে চলুন। যদি প্লেন থেকে নামতেই হয়, তাহলে আপনার জিনিসপত্র রেখে বিপদজনক মুহূর্তে বেরুনোর সবচেয়ে কাছের পথের দিকে এগিয়ে যান।
• প্লেন থেকে সাবধানে নামুন। স্লাইডের ওপর না বসে প্রথমে আপনার পা দুটো স্লাইডের ওপর রাখুন। দুহাত ভাঁজ করে বুকের ওপর রাখুন। আপনার পা ও পায়ের পাতা একসঙ্গে করুন এবং হিল জুতো পরা থাকলে তা খুলে ফেলুন। নিচে নেমে প্লেন থেকে দূরে সরে যান এবং জরুরি যানবাহনের জন্য চোখকান খোলা রাখুন।
এই নির্দেশনাগুলো মেনে চললে কি কোন উপকার পাওয়া যাবে? হ্যাঁ পাওয়া যাবে! কারণ ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিসট্রেশন ইন্টারকম বলে, “সব বিমান দুর্ঘটনাই মারাত্মক নয়।” এটা আরও বলে: “বিমান দুর্ঘটনার ফলে যত লোক মারা যায় তাদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৫০ জনই বেঁচে যেতে পারে।”