আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে
আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে
অক্ষম প্রচারক “অসুস্থতা সত্ত্বেও এক উজ্জ্বল দৃষ্টিভঙ্গি” (ফেব্রুয়ারি ২২, ২০০০, ইংরেজি) প্রবন্ধে কনস্টানিন মরোজভের জীবন কাহিনী পড়ে আমি আমার চোখের জল আটকে রাখতে পারিনি। আমার স্বামী নেই এবং দুটো বাচ্চাকে আমার মানুষ করতে হচ্ছে। বাচ্চা মানুষ করা এত সহজ কাজ নয় আর মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, সমস্যা যেন কখনোই শেষ হবে না। কিন্তু, কনস্টানিনকে যে অসুবিধাগুলোর মোকাবিলা করতে হয়েছে সেগুলোর সামনে আমার সমস্যাগুলো কিছুই নয়!
আই., রাশিয়া
আমি একজন পূর্ণ-সময়ের সুসমাচার অগ্রগামী। আমার চোখ দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তাই পড়তে আমার খুবই অসুবিধা হয়। আমি একসময় বইয়ের পোকা ছিলাম আর এখন পড়তে পারি না বলে মাঝে মাঝে হতাশ ও বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। কিন্তু কনস্টানিনের কথা মনে পড়লে আমার মনে হয় আমার কোন অভিযোগ করা উচিত না। তিনি পাহাড় সমান বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে উঠে এখন পূর্ণ-সময়ের প্রচারক হিসেবে কাজ করছেন। সত্যি যিহোবা কত শক্তি দেন!
ডব্লু. ডব্লু., ভারত
ষোল বছর বয়সে আমার কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত অবশ হয়ে যায়। কনস্টানিনের মতো আমিও রোজ বিভিন্ন অসুবিধায় পড়ি। কিন্তু ওই প্রবন্ধ দেখিয়েছিল যে, অক্ষম ব্যক্তিরাও সমাজে জায়গা করে নিতে পারে এবং ঈশ্বরকে উপাসনা করতে পারে। যদিও আমি ভাল করে শুনতে ও দেখতে পাই না কিন্তু তারপরও আমি প্রায়ই একা একা রাস্তায় একটা টুল নিয়ে দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে প্রচার করি। কনস্টানিনের উদ্যোগ ও বিশ্বস্ত সেবার জন্য আমি তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ডি. এফ., কোট ডিভোর (g০০ ১১/২২)
প্রচলিত দাসপ্রথা আমি ১৬ বছরের একজন মেয়ে আর আপনাদের এই প্রবন্ধটা পড়ে আমার খুবই ভাল লেগেছে। আমি কয়েকটা ছোট মেয়েকে চিনি, যারা প্রচলিত দাসপ্রথার শিকার। তারা সেই সমস্ত পরিবারের জন্য হাড়ভাঙা খাটুনি খাটে, যারা তাদেরকে খাওয়া-পরা দেয়। কিন্তু তারা লেখাপড়া বা সব রকমের আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত। যিহোবা যে শীঘ্রিই দুর্দশাগ্রস্তদেরকে নির্যাতন থেকে মুক্ত করবেন তা জেনে আমি খুবই শান্তি পেয়েছি।
এ. ও., বারকিনো ফাসো (g০০ ১১/২২)
আত্মহত্যা “আত্মহত্যা—কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে?” (ফেব্রুয়ারি ২২, ২০০০, ইংরেজি) ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো আমাদের জন্য একেবারে উপযুক্ত ছিল। আট মাস আগে আমার মা হঠাৎ করে মারা যান। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না বলে বাবা নিজেকে অপরাধী মনে করেন। তিনি প্রায়ই বলেন যে তিনি আর বেঁচে থাকতে চান না। তাই, এই প্রবন্ধগুলো আমাকে ও আমার বাবাকে অনেক সাহায্য করেছে।
আর. জেড., জার্মানি
আমার দাদু দুবছর আগে আত্মহত্যা করেন। তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দাদু মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। আপনাদের প্রবন্ধগুলো আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে, কেন দাদু আত্মহত্যা করেছেন।
এ. এম., আমেরিকা
জানুয়ারি মাসে আমার দাদা আত্মহত্যা করেছেন। তখন তার বয়স ছিল ৪৮ বছর। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরদিন বাবা আমাদের ডাকবাক্সে এই বিষয়ে সচেতন থাক! পত্রিকাটা পান। আমার বাবা যিহোবার সাক্ষি নন। কিন্তু এই পত্রিকাটা পেয়ে বাবা এতটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন যে তিনি একেবারে নির্বাক হয়ে যান এবং আমাদেরকে তা দেখানোর সময় তার চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি। এই সান্ত্বনাদায়ক প্রবন্ধগুলো পেয়ে আমাদের পরিবার আনন্দাশ্রু ফেলেছে এবং এর জন্য তারা অনেক কৃতজ্ঞ।
বি. জে., আমেরিকা
আমাদের এলাকায় যে স্কুলগুলো আছে, গত বছর সেখানকার ছয় জন ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটা এক বিরাট চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আর তাই ওখানকার স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের নিয়মকানুনের মধ্যে আত্মহত্যার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে। যে এলাকাগুলোতে লোকেরা সাধারণত আমাদের কথা শুনতে চান না সেখানে গিয়ে আমরা লোকেদের এই সংখ্যাটা দিয়েছি। মাঝে মাঝে এমনও দেখা গেছে যে, আমাদের কথা শেষ করার আগেই লোকেরা আমাদের হাত থেকে পত্রিকাটা নিয়ে নিয়েছে!
কে. কে., আমেরিকা
বাবা মারা যাবার পর কিশোরী বয়সে আমি দুবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলাম। কারও কারও কাছে “আত্মহত্যা” শব্দটা মুখে আনাও খুবই লজ্জার। সচেতন থাক! পত্রিকার প্রচ্ছদে এই বিষয়ে ছাপানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি দেখেছি যে, এই প্রবন্ধগুলো খুবই স্পষ্ট, বাস্তবসম্মত এবং খুব সহজেই বোঝা যায়।
এম. জি., ফ্রান্স (g০০ ১১/৮)
বন্ধুদের মধ্যে সমস্যা “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . . আমার বন্ধু আমাকে কেন কষ্ট দিল?” (ফেব্রুয়ারি ২২, ২০০০, ইংরেজি) প্রবন্ধটা আমাকে খুবই সাহায্য করেছে। সাড়ে ছয় বছর ধরে যে আমার খুবই কাছের বান্ধবী, সে আমার সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে। আপনাদের প্রবন্ধে দেওয়া পরামর্শগুলো কাজে লাগিয়ে আমি ও আমার বান্ধবী খুব শান্তভাবে বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছি। এখন আমাদের বন্ধুত্ব আগের চেয়ে আরও বেশি মজবুত হয়েছে।
এম. এল., আমেরিকা (g০০ ১১/৮)