সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

চিনা ওষুধের দোকান থেকে ঘুরে আসা

চিনা ওষুধের দোকান থেকে ঘুরে আসা

চিনা ওষুধের দোকান থেকে ঘুরে আসা

কৌক কিট বেশ কদিন ধরে অসুস্থ। তাই তিনি ডাক্তারের কাছে যাবেন বলে ঠিক করেন। চিন দেশের লোক হওয়ায় তিনি ঐতিহ্যবাহী চিনা ওষুধই খেতে চান। তাদের এক পারিবারিক বন্ধু এমন একজন ডাক্তারকে চেনেন। কৌক কিটের বাড়ির কাছেই ওই ডাক্তারের একটা নিজস্ব ভেষজ ওষুধপত্রের দোকান আছে। তার বন্ধু তাকে বলেন যে, ওই ডাক্তার বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে একটা ভেষজ চা বানাতে পারেন আর তা খেলেই তার অসুখ সেরে যাবে।

চিন এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই ডাক্তার দেখানো বলতে যা বোঝায় তার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোতে ডাক্তার দেখানোর মধ্যে আকাশপাতাল তফাত আছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে ডাক্তার দেখাতে হলে সাধারণত আগে থেকে সময় ঠিক করতে হয়, ঠিক সময়ে ডাক্তারের চেম্বারে যেতে হয়, সেখানে ডাক্তার রোগীকে ভালভাবে পরীক্ষা করেন এবং রোগীকে একটা প্রেসক্রিপশন দেন। তারপর প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধগুলো কেনার জন্য রোগীকে ওষুধের দোকানে যেতে হয়। কিন্তু, চিনা ডাক্তার দেখানোর জন্য এত কিছু করতে হয় না। আপনি একটা ভেষজ ওষুধের দোকানে যাবেন আর প্রায় সব সময়ই সেখানে একজন ভেষজ চিকিৎসককে দেখতে পাবেন। তিনি আবার চিনা চিকিৎসাপদ্ধতিরও একজন ডাক্তার। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি আপনাকে পরীক্ষা করবেন, আপনার সমস্যাগুলো শুনে রোগনির্ণয় করবেন, কোন্‌ ওষুধ কতটা খেতে হবে এবং কীভাবে তা খেতে হবে সমস্ত কিছু বলে দেবেন! *

ওষুধ হিসেবে লতাপাতা?

পশ্চিমা দেশুগুলোর অধিকাংশ লোকই যেহেতু ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ও ইঞ্জেকশনের সঙ্গেই বেশি পরিচিত, তাই এইধরনের ভেষজ ওষুধপত্র তাদের কাছে অনেকটা নতুনই বলা চলে। সুস্থ হওয়ার জন্য হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ প্রাকৃতিক উপাদানের ওপরই নির্ভর করে এসেছে। যেমন বাইবেল লেখার সময় ইব্রীয় ডাক্তাররা ওষুধ হিসেবে তেল, গন্ধতরু বা তরুসার এবং দ্রাক্ষারস ব্যবহার করতেন। (যিশাইয় ১:৬; যিরমিয় ৪৬:১১; লূক ১০:৩৪) শরীরে ফোঁড়া হলে শুকনো ডুমুর ফল দিয়ে মলম বানিয়ে সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হতো।—২ রাজাবলি ২০:৭.

আসলে, একসময় প্রায় সব দেশের লোকেরাই অসুখবিসুখ সারাতে লতাপাতা ও বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ওষুধ বানিয়ে সেগুলো ব্যবহার করত। এমনকি আজকে রান্না করার সময় যে সমস্ত মসলা ব্যবহার করা হয় তার অনেকগুলোই আগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আর সেই ওষুধগুলো খেয়ে যে সবসময় কাজ হতো, তা বলা যায় না। কিন্তু, প্রায়ই এর সঙ্গে কুসংস্কার ও অজ্ঞতাও জড়িত ছিল। তাসত্ত্বেও, হাজার হাজার বছর ধরে অসুস্থ লোকেদের চিকিৎসার জন্য এই পদ্ধতিগুলো কাজে লাগানো হয়েছে। এমনকি আজকেও বেশির ভাগ সাধারণ ওষুধগুলো গাছগাছড়া থেকেই বানানো হয়।

চিনা চিকিৎসার তত্ত্ব ও ব্যবহার

ভেষজ চিকিৎসাপদ্ধতি চিনাদের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রচলিত লোককাহিনী অনুযায়ী ইয়েলো সম্রাট হোয়াং ডি, নি জিং অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের দরকার হয় না এমন সমস্ত রোগের চিকিৎসা বিধি প্রবর্তন করেছেন। * চিনে এখনও অনেক ডাক্তাররা এই বিধি মেনে চিকিৎসা করেন। এই বিধি কবে লেখা হয়েছিল তা নিয়ে তর্কবিতর্কের শেষ নেই। তবে, এখানে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো পাশ্চাত্যের চিকিৎসা শাস্ত্রের বইগুলোতেও আছে। এখানে শুধু রোগনির্ণয়, রোগের উপসর্গ, কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ সম্বন্ধেই আলোচনা করে না কিন্তু সেইসঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের গঠন ও সেগুলোর কাজ সম্বন্ধেও বলে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বেশির ভাগ শিল্পকলায় যেমন ইন-ইয়াং মতবাদের প্রভাব রয়েছে তেমনই চিনা চিকিৎসা তত্ত্ব ও ব্যবহারেও এই মতবাদের প্রভাব রয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইন মানে ঠাণ্ডা এবং ইয়াং মানে গরম—এছাড়া এই শব্দ দুটো আরও অনেক বিপরীত ধর্মকে বোঝায়। * এছাড়াও আকুপাংচার করার সময় যেমন শরীরের নির্দিষ্ট জায়গার বিন্দুগুলো লাগে তেমনই এই তত্ত্বে রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য সেগুলো বিবেচনায় আনা হয়। রোগীর শরীরে ইন-ইয়াংয়ের অসমতা দেখা দিলে তা প্রতিরোধ করার জন্য তাকে ঠাণ্ড বা গরম বলে বিবেচিত লতাপাতা ও খাবার খেতে বলা হয়ে থাকে।

যেমন রোগীর যদি জ্বর হয়, তাহলে সেটাকে গরম বলে ধরা হয় আর এই কারণে যে লতাপাতাগুলোর ঠাণ্ডা করার ক্ষমতা আছে বলে মনে করা হয়, সেগুলো দিয়ে ওষুধ বানিয়ে রোগীকে খেতে দেওয়া হয়। ইন-ইয়াং পদ্ধতির কথা হয়তো এখন আর নির্দিষ্ট করে বলা হয় না তবে একজন রোগীর চিকিৎসা কীভাবে করা হবে, তা নির্ধারণ করার সময় এই নীতিগুলো আজও কাজে লাগানো হয়। চিনা চিকিৎসাপদ্ধতির ডাক্তার কীভাবে রোগ নির্ণয় করেন? আর ভেষজ ওষুধের দোকানই বা কেমন? তা দেখার জন্য কেন আমরা কৌক কিটের পিছু নিচ্ছি না, যিনি তার বন্ধুর বলা দোকানে যাচ্ছেন?

এক অদ্ভুত ভেষজ ওষুধের দোকানে

অবাক কাণ্ড! ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করার জন্য আজ কৌক কিটকে অপেক্ষা করতে হবে। মনে হচ্ছে সর্দিকাশি, জ্বর খুব বেশি হচ্ছে আর তাই তার আগে আরও দুজন রোগী আছে। এই ফাঁকে চলুন আমরা দোকানটা একটু ঘুরে দেখি।

ঘুরতে ঘুরতে প্রথম যে জিনিসগুলো আমাদের চোখে পড়ে তা হল, স্তূপ করে রাখা শুকনো পণ্য। দোকানে ঢোকার মুখেই শুকনো মাশরুম, শামুক, ঝিনুক, ডুমুর, বাদাম ও আরও অন্যান্য জিনিস বড় বড় পাত্রে রাখা আছে। এখানে অনেক খাওয়ার জিনিসও পাওয়া যায়। কিন্তু, সেগুলোর কিছু কিছুকে আবার ওষুধ হিসেবেও খেতে বলা হতে পারে।

এরপর আমরা লক্ষ্য করি যে, এই ছোট্ট দোকানটার দুপাশেই কাঁচ লাগানো তাক রয়েছে। এই তাকগুলোতে কিছু দুর্লভ প্রজাতি বা কিছু বিশেষ ধরনের ভেষজ গাছপালা, নানা ধরনের খনিজ লবণ ও বিভিন্ন ধরনের জন্তুর শুকনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রাখা আছে। এগুলো খুবই দামি। কাছে গিয়ে আমরা দেখতে পাই যে সেখানে হরিণের শিং, মুক্তো ও শুকিয়ে রাখা টিকটিকি, ঘোড়ামাছ এবং আরও অন্যান্য অদ্ভুত সব জিনিস, যেগুলোর নাম আমরা জানি না। কিছুদিন আগেও এখানে গণ্ডারের শিং, ভল্লুকের পিত্তথলি ও আরও অন্যান্য জন্তুর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়া যেত কিন্তু এখন এগুলো রাখা নিষেধ।

দোকানের আরেক কোণায় আমরা বিভিন্ন লতাপাতা মেশানো ওষুধের প্যাকেট ও সেইসঙ্গে বোতলে ভরা অনেক ধরনের ভেষজ ওষুধ দেখতে পাই। এই ওষুধগুলো সাধারণ অসুখবিসুখ যেমন ঠাণ্ডা, পেটের গোলমাল ইত্যাদি অন্যান্য সমস্যার জন্য দেওয়া হয়। দোকানের কর্মচারীকে গিয়ে শুধু আপনার অসুবিধার কথা বলুন। দেখবেন যে তিনি আপনাকে হয় বোতলের ওষুধ বা বিভিন্ন লতাপাতা মেশানো ওষুধের প্যাকেট দেবেন ও সেইসঙ্গে ঘরে গিয়ে কীভাবে সেগুলো তৈরি করতে হবে তা-ও বলে দেবেন।

দোকানের কর্মচারীর পিছনে দেওয়ালে একদিকে কয়েকটা তাকে আমরা বড় বড় কাঁচের বয়াম দেখতে পাই, যেগুলোতে শুকানো শেকড়, পাতা এবং গাছের ডাল রয়েছে। খরিদ্দাররা এই ভেষজ উদ্ভিদগুলো চেনেন এবং নিজে নিজে সুস্থ হওয়ার বা রান্না করে খাওয়ার জন্য তারা এগুলো কিনে নেন। দোকানের আরেক পাশে মেঝে থেকে একেবারে ছাদ পর্যন্ত আলমারি রয়েছে যেটাতে অনেকগুলো ড্রয়ার রয়েছে। এটাকে বলা হয় বেইজিগুয়া অথবা “একশ বাচ্চার আলমারি” কারণ এটাতে একশ বা তারও বেশি ড্রয়ার থাকতে পারে। এই ড্রয়ারগুলোতে সাধারণত সেই লতাপাতাগুলো থাকে, যেগুলো প্রায়ই রোগীদের দিতে হয়। যে ওষুধগুলো বেশি লাগে সেগুলোকে হাতের নাগালের ড্রয়ারগুলোর মধ্যে রাখা হয়, যাতে সহজেই পাওয়া যায়। এই ড্রয়ারগুলোতে কোন নামের লেবেল লাগানো নেই। অভিজ্ঞ কর্মচারীরা একেবারে ঠিক ঠিক জানেন যে কোথায় কোন্‌ ওষুধ রাখা আছে।

ওই যে দেখুন দোকানের কর্মচারী ওই মহিলাকে ভেষজ ওষুধগুলো কত নিখুঁতভাবে মেপে দিচ্ছেন। তিনি এশিয়ায় ব্যবহৃত একটা খুবই সাধারণ কিন্তু নিখুঁত দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করছেন। এইরকম দাঁড়িপাল্লায় একটা মাত্রাঙ্কিত দণ্ডের একপ্রান্তে একটা গোলাকার ট্রে তিনটে দড়ি দিয়ে যুক্ত থাকে ও অন্য প্রান্তে একটা গতিশীল বাটখারা থাকে। তিনি জানেন যে, কিছু কিছু ভেষজ ওষুধ যদি বেশি মাত্রায় খাওয়া হয়, তাহলে তা মারাত্মক হতে পারে আর এইজন্য তিনি খুব সূক্ষ্ণভাবে মেপে দেন। তবে সবকিছুই মেপে দিতে হয় না। আমরা দেখতে পাই যে তিনি একেকটা ড্রয়ার থেকে অল্প অল্প করে বিভিন্ন লতাপাতা নিয়ে সেগুলো একটা কাগজের ওপর রাখছেন। হ্যাঁ আপনার কথাই ঠিক, এই প্রেসক্রিপশনে এক ধরনের পতঙ্গের খোলসও রয়েছে। সেগুলো মুড়িয়ে দেওয়ার সময় তিনি ওই মহিলাকে বলে দিচ্ছেন যে এই পানীয়টা কীভাবে তৈরি করতে হবে।

ভেষজ ওষুধ বিভিন্নভাবে তৈরি করে খাওয়া যায়। কিছু কিছু ওষুধ গুঁড়ো থাকে। রোগী সেগুলো গরম জলে গুলে ওই পানীয়টা খেয়ে নেয়। কিছু কিছু নরম আঠালো থাকে। মধু বা আ্যলকোহল জাতীয় পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে সেগুলোকে খাওয়া যায়। তবে, এই মহিলাকে একেবারে সাধারণ পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। তাকে প্রায় এক ঘন্টা একটা সিরামিকের হাড়িতে তা ফুটিয়ে এক ঘন্টা পর পর সেখান থেকে অল্প অল্প করে খেতে হবে। তার যদি আরও ওষুধের দরকার হয়, তাহলে এই দোকানে এসে নিয়ে গেলেই চলবে।

শেষ পর্যন্ত কৌক কিটের পালা আসে। না, ডাক্তার তার রক্তচাপও পরীক্ষা করেন না বা তার হৃদস্পন্দনও শোনেন না। কিন্তু, তিনি কৌক কিটকে তার রোগের উপসর্গগুলো জিজ্ঞেস করেন। তার ঘুম কেমন হয়? তার হজম, খিদে, পেটের অবস্থা কেমন? শরীরে জ্বর আছে কি না এবং চামড়ার রং কীরকম তা তিনি দেখেন। ডাক্তার খুব ভাল করে তার চোখ ও জিভের বিভিন্ন জায়গার রং কেমন তা দেখেন। এরপর তিনি কৌক কিটের দুই কব্জির বিভিন্ন জায়গায় নানাভাবে চাপ দিয়ে তার নাড়ি পরীক্ষা করেন। মনে করা হয় যে, এভাবে নাড়ি পরীক্ষা করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অবস্থা কেমন তা বোঝা যায়। আর কী আশ্চর্য, ডাক্তার তার নিঃশ্বাসে অন্যরকম কোন গন্ধ আছে কি না তাও বোঝার চেষ্টা করেন! আসলে তার কী হয়েছে? কোন সন্দেহ নেই যে, কৌক কিটের ভাইরাস জ্বর হয়েছে। তার পূর্ণ বিশ্রাম ও অনেক তরল পানীয় খাওয়া দরকার। তিনি প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম লিখে দেন, যা তাকে ফুটিয়ে খেতে হবে। ভেষজ চা খেতে তেতো লাগবে কিন্তু এটা খেলে তার শরীর ভাল হবে। কৌক কিটকে কোন্‌ খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে, তা বলার পর ডাক্তার তাকে আমলকি জাতীয় ফলের আচারের নাম লিখে দেন। তেতো ওষুধ খাওয়ার পর এটা খেলে কৌক কিটের মুখে রুচি বাড়বে।

তাই, কৌক কিট ভেষজ ওষুধের প্যাকেট নিয়ে চলে যান। ডাক্তারের ভিজিট ও ওষুধের দাম বাবদ তার মাত্র ২০ মার্কিন ডলারেরও কম খরচ হয়। যদিও ওই ভেষজ ওষুধগুলো তাকে অলৌকিকভাবে সুস্থ করে দেবে না কিন্তু কৌক কিট কিছুদিনের মধ্যেই ভাল হয়ে যাবেন। কিন্তু অনেকের মতো তিনি যেন এমনটা না ভাবেন যে, আরেকটু বেশি খেলে হয়তো তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যাবেন। এরকম প্রায়ই শোনা যায় যে, কিছু কিছু ভেষজ ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে লোকেদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

কিছু দেশে ভেষজ অথবা ঐতিহ্যবাহী চিনা চিকিৎসাপদ্ধতির ডাক্তারদের জন্য কোন বিধি নেই বা তারা তা মেনেও চলেন না। এর ফলে কিছু জায়গাতে ভেষজ চিকিৎসায় হাতুড়ে ডাক্তারদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে এবং এমনকি বিপদজনক ভেষজ ওষুধপত্রও বিক্রি করা হচ্ছে। তাই, কেউ যদি ঐতিহ্যবাহী চিনা চিকিৎসা করাতে চান, তাহলে এশিয়ার রোগীরা সাধারণত তাদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা যে ডাক্তারের নাম বলেন তাদের কাছেই যান।

তবে এটা ঠিক যে ভেষজ বলেন আর পশ্চিমাই বলেন, কোন ওষুধই সবধরনের অসুস্থতা দূর করতে পারবে না। তারপরও, চিনা ওষুধের দোকান ও ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি এশিয়ার জনজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে।

(g০০ ১১/৮)

[পাদটীকাগুলো]

^ সচেতন থাক! নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করার বিষয়ে সুপারিশ করছে না। খ্রীষ্টানরা যে চিকিৎসা পদ্ধতিই গ্রহণ করুক না কেন, তাদের নিশ্চিত হওয়া দরকার যে তা যেন বাইবেলের নীতির বিরুদ্ধ না হয়।

^ ইয়েলো সম্রাট হলেন একজন বিখ্যাত শাসক, যিনি সা.কা.পূ. ২৬৯৭ থেকে ২৫৯৫ সাল পর্যন্ত জো রাজবংশের আগে শাসন করেছেন বলে কথিত আছে। কিন্তু অনেক পণ্ডিত ব্যক্তিরা মনে করেন, জো রাজবংশের পুরোপুরি অবসান না হওয়া পর্যন্ত নি জিং লেখা হয়নি। জো রাজবংশ প্রায় সা.কা.পূ. ১১০০ থেকে সা.কা.পূ. ২৫০ সাল পর্যন্ত শাসন করেছে।

^ চিনা অক্ষর “ইন” মানে “ছায়া” অথবা “আড়াল” যা অন্ধকার, ঠাণ্ডা এবং নারীসুলভ স্বভাবকে বোঝায়। অন্যদিকে “ইয়াং” মানে উজ্জ্বল, গরম এবং পুরুষালী স্বভাবকে বোঝায়।

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

ভেষজ ওষুধের দোকানে শুকানো ঘোড়ামাছ সহ অদ্ভুত সব জিনিস পাওয়া যায়

[২৪ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

শুকনো শেকড়, পাতা এবং ডালপালা খুব সাবধানে মাপা হয়