সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

ছাত্রছাত্রীরা চাপের মধ্যে

মুম্বাইয়ের এশিয়ান এইজ খবরের কাগজ বলে, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা ভারতের অনেক ছেলেমেয়েদের ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করে। পরীক্ষার আগে গাদা গাদা বই মুখস্ত করা এবং ভাল নম্বর পাওয়ার চাপ অনেকের জন্য খুবই অসহনীয় হয়ে ওঠে। আর এর ফলে দেখা যায়, অন্যান্য সময়ের চেয়ে পরীক্ষার সময় দ্বিগুণ সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা মনোরোগ চিকিৎসকদের কাছে যায়। কিছু বাবামারা চান যেন তাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় ভাল নম্বর পায় আর এইজন্য তারা সবরকমের বিনোদন বন্ধ করে দেন। মনোরোগ চিকিৎসক ভি. কে. মান্দ্রা বলেন, “বাবামারা ছেলেমেয়েদের অনেক চাপ দেন। আর অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা তো আছেই।” তিনি আরও বলেন, অনেক বাবামারা “বোঝেন না যে ছেলেমেয়েদেরকে বিনোদনের জন্য সময় দিলে তাদের মন সতেজ হবে এবং তারা আরও মন দিয়ে পড়তে পারবে।” ড. হারিস শেঠি বলেন যে, পরীক্ষার চাপ এখন “এমনকি প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদেরও জর্জরিত করেছে।” (g০০ ১১/২২)

বন্য শূকররা শহরে

জার্মানির সাপ্তাহিক পত্রিকা ডি ভোকে বলে, বন্য শূকররা সাধারণত জঙ্গলেই থাকে কিন্তু এখন এরা দেখতে পেয়েছে যে শহরে শুধু পর্যাপ্ত খাবারই নয় সেইসঙ্গে শিকারিদের হাত থেকে রেহাইও পাওয়া যায়। বন্য শূকরী বার্লিন শহরে বাচ্চা পর্যন্ত দিয়েছে। ক্ষুধার্ত পশুগুলো শুধু যেখানে বেশি গাছপালা আছে সেখানে এবং পার্কগুলোতেই ঘোরাফেরা করছে না কিন্তু এগুলো এখন বাড়ির বাগানে ঢুকে ফুলগাছগুলো খেয়ে ফেলছে। শূকরগুলোর ওজন ৩৫০ কিলো পর্যন্ত হতে পারে। এগুলোকে দেখে শহরের অনেক লোকেরা ভয় পেয়েছে আর কেউ কেউ আশ্রয়ের জন্য গাছে চড়েছে বা টেলিফোন বুথগুলোতে ঢুকে পড়েছে। এই শূকরগুলোর জন্য রাস্তায় অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটেছে। কাজ থেকে ঘরে ফেরার পথে অনেক লোকেরা এই লোমশ অনধিকার প্রবেশকারীদের সামনে পড়েছে। একজন লোক বলেছিলেন: “আমার গাড়ির এবং বাড়ির সদর দরজার মাঝখানে ২০টা বন্য শূকরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি কীভাবে বাড়িতে ঢুকব, বলতে পারেন?” (g০০ ১১/২২)

নতুন প্রজাতিগুলোকে আপনার নামে নাম দেওয়া

সায়েন্স পত্রিকা একবার জিজ্ঞেস করেছিল, “আপনি কি আপনার প্রিয় কোন বন্ধু, যার কোন কিছুরই অভাব নেই, এমন কাউকে কোন অসাধারণ বা বিশেষ কোন উপহার দেওয়ার কথা ভাবছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই, সমাধান হাতের কাছেই। বিভিন্ন জীব নিয়ে গবেষণা করে এমন কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কিছু টাকা দিয়ে আপনি অপরিচিত কোন অর্কিড, মশা অথবা সামুদ্রিক প্রাণীকে আপনার প্রিয় বন্ধুর নামে নাম দিতে পারেন ও বৈজ্ঞানিক সাহিত্যাদিতে তা সবসময়ের জন্য রেকর্ড করে রাখতে পারেন।” অথবা আপনি আপনার নামেও সেটার নাম দিতে পারেন। কিছুদিন আগে করা একটা গবেষণা বলে, আজকে যে সমস্ত প্রজাতি অস্তিত্বে আছে তার মাত্র দশ ভাগের এক ভাগ অথবা তার চেয়ে কম প্রজাতির বিষয়ে বৈজ্ঞানিক বইপত্রে বর্ণনা করা আছে। জাদুঘরের ড্রয়ারগুলোতে হাজার হাজার প্রজাতি জমা হয়ে আছে যেগুলোর কোন নাম নেই, পড়ে থাকা এই প্রজাতিগুলোর নাম দিতে হবে ও বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় উঠাতে হবে। লোকেরা এখন ওয়েব সাইট খুলেও নাম না জানা প্রজাতিগুলোর ছবি দেখতে পারে, যেগুলো বইপত্রে ছাপানোর জন্য একেবারে তৈরি। তারপর, ২,৮০০ মার্কিন ডলার বা তারও বেশি দান দিয়ে তারা নিজেদের পছন্দ মতো একটা ল্যাটিন নাম দিতে পারেন। এভাবে বাইয়োপ্যাট সংগঠন আশা করে যে তারা নতুন প্রজাতির শ্রেণীবিন্যাস ও সংরক্ষণের জন্য তহবিল গঠন করতে পারবে। (g০০ ১১/৮)

কিশোর বিবাহ

কিছুদিন আগে করা জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুসারে, ভারতে শতকরা ৩৬ জন বিবাহিত কিশোরীদের বয়স ১৩ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। মুম্বাইয়ের এশিয়ান এইজ খবরের কাগজ বলে যে ওই সমীক্ষা থেকে আরও জানা যায়, ১৭ থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রায় ৬৪ শতাংশ মেয়েরা হয় ইতিমধ্যে মা হয়ে গেছে বা গর্ভবতী। ওই রিপোর্ট জানায়, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী মায়েদের চেয়ে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মায়েরা প্রসব সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দ্বিগুণ মারা যায়। এছাড়াও, গত কয়েক বছরে ১৫ থেকে ২৪ বছরের প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক যুবক-যুবতী যৌন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য যৌন বিষয়গুলো সম্বন্ধে অজ্ঞতা এবং যৌনতা সম্বন্ধে বন্ধুবান্ধব, টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকার ভুল তথ্যগুলোই দায়ী বলে মনে করেন। (g০০ ১১/২২)

এক রোগের বদলে আরেক রোগ

দি ইকোনমিস্ট পত্রিকা বলে, “ত্রিশ বছর আগে পাঁচ জন মিশরীয়দের মধ্যে তিন জন বিলহারজিয়া রোগে আক্রান্ত হতো। এই রোগের কারণ একধরনের পরজীবি জীবাণু, যা হুগলী শামুকরা বহন করে আর এই রোগ হলে মানুষ দিনে দিনে দুর্বল হতে থাকে।” আধুনিক ওষুধপত্র ব্যবহার করে বিলহারজিয়া রোগ দমন করার জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে আর এর ফলে এই রোগ দ্রুতগতিতে কমে গিয়েছে। কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে যে প্রাথমিক অভিযানের একটা পদ্ধতির কারণে “লক্ষ লক্ষ লোকেরা হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যা খুবই মারাত্মক আর বিলহারজিয়ার বদলে হয়তো এটাই মিশরের প্রধান রোগ হয়ে দাঁড়াবে।” ওই পত্রিকা বলে, এর কারণ হল বিলহারজিয়া দমনের জন্য ইঞ্জেকশন দিতে যে সুঁই ব্যবহার করা হতো সেগুলো “বার বার ব্যবহার করা হয় এবং বেশির ভাগ সময়েই তা ঠিক মতো জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। . . . ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা রক্তে হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস (এইচসিভি) চিহ্নিতও করতে পারেননি।” বিভিন্ন সমীক্ষা দেখায় যে মিশরে “সবচেয়ে বেশি লোক হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।” প্রায় ১ কোটি দশ লক্ষ মিশরীয়রা অর্থাৎ প্রায় ৬ জনের মধ্যে ১ জন মিশরীয় ওই ভাইরাস বহন করে বলে কথিত আছে। আর এর ফলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে লিভারের দীর্ঘস্থায়ী রোগ হয় এবং শতকরা ৫ ভাগ ক্ষেত্রে রোগী মারা যায়। এই অভিযানকে “ডাক্তারদের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লোকেদের একক ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার নজিরবিহীন ঘটনা” বলে উল্লেখ করে, ওই প্রবন্ধ আরও বলে: “সান্ত্বনা একটাই, ব্যাপক অভিযান করা না হলে আরও অনেক অনেক লোক বিলহারজিয়া রোগে ভুগে মারা যেত।” (g০০ ১১/২২)

শিশুরা অবিচারের শিকার

রাষ্ট্র সংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বিশ্বের শিশুদের অবস্থা ২০০০ (ইংরেজি)-এ বলে, “রোজ . . . পাঁচ বছরেরও কম বয়সের ৩০,৫০০ জন ছেলেমেয়ে, প্রতিরোধ করা যায় এমন রোগে মারা যায়।” ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবরের কাগজ বলে, “গত দশ বছরে যুদ্ধে প্রায় ২০ লক্ষ শিশু মারা গেছে ও ৬০ লক্ষ শিশু আহত বা বিকলাঙ্গ হয়েছে এবং এখনও আরও লক্ষ লক্ষ শিশু মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে।” ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি শিশুরা শরণার্থী এবং দশ লক্ষেরও বেশি শিশু তাদের বাবামাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বা অনাথ হয়েছে। এছাড়াও ওই রিপোর্টে আরও বলা হয় যে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন গবেষণা করে দেখেছে যে ৫ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ কোটি শিশুকে জোর করে কাজ করানো হয়। তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ শিশু খুবই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করে। সারা পৃথিবীতে প্রায় দশ লক্ষ মেয়ে শিশুদের জোর করে পতিতা বানানো হচ্ছে এবং প্রতি মাসে ২,৫০,০০০ শিশু এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আর প্রায় ১৩ কোটি শিশু যাদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই মেয়েরা, পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হয়। (g০০ ১১/৮)

চিনের বন্য জীবজন্তুরা সুস্বাদু খাদ্য

ডাউন টু আর্থ পত্রিকা বলে, চিনের “জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস বদলে যাওয়ায়” সেখানকার বন্য জীবজন্তুদের জীবন এখন হুমকির সম্মুখীন। অন্যান্য খাবারের চেয়ে কিছু কিছু বন্যজন্তু খুবই স্বাস্থ্যসম্মত, এই ধারণা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আর এর ফলে অদ্ভুত রকমের সুস্বাদু খাবারের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ওই খাবারের তালিকায় সবচেয়ে আগে রয়েছে সাপ আর বিষাক্ত সাপের দাম বিষহীন সাপের দামের দ্বিগুণ। এছাড়াও বন্য শূকর, সিভেট ক্যাট, ব্যাং, অজগর, প্যাঙ্গোলিন, তিব্বতীয় হরিণ এবং বিরল প্রজাতির পাখিরও যথেষ্ট কদর রয়েছে আর চিনের রেস্টুরেন্টগুলোর খাদ্য তালিকায় এই প্রাণীগুলোর নাম দেখা যায়। এই তালিকার বেশির ভাগ প্রাণী বিপদাপন্ন প্রজাতির তালিকায় রয়েছে, যেগুলোকে রক্ষা করার জন্য সরকারের নজর দেওয়া দরকার। তারপরও, কিছু কিছু রেস্টুরেন্টের মালিকরা খরিদ্দারদের লিখে জানিয়ে দেন যে, এখানে যে সমস্ত বন্য জীবজন্তুর মাংস পরিবেশন করা হয় সেগুলো সত্যি সত্যিই বুনো, সেগুলোকে ঘরে পোষা হয়নি বা কৃত্রিমভাবে বংশ বৃদ্ধি করা হয়নি। ভোজনবিলাসী লোকেদের হাত থেকে বন্য জীবজন্তুদের বাঁচানোর জন্য চিনা সরকার “বন্য জীবজন্তু খাব না” স্লোগান ব্যবহার করে একটা অভিযান শুরু করেছে। (g০০ ১১/৮)

ধূমপায়ীরা থাকুক বা না থাকুক, দূষণ থাকবেই

মুম্বাইয়ের টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একটা রিপোর্ট বলে যে, ভারতে শিশু ধূমপায়ীরা খুব অল্প বয়সেই এই বদভ্যাসটা রপ্ত করে। যে বাচ্চারা রাস্তাঘাটে বড় হয় ও যাদের বাবামা কেউ নেই, তারা গড়ে ৮ বছর বয়সে এবং বাবামার শাসনে বড় হয়ে ওঠা স্কুল পড়ুয়া বাচ্চারা ১১ বছর বয়সে ধূমপান করতে শুরু করে। কিন্তু, মুম্বাইয়ে করা আরেকটা সমীক্ষা থেকে জানা যায়, যে ছেলেমেয়েরা বাবামার শাসনে বড় হয়েছে ও যারা কখনও ধূমপান করেনি তারাও নিঃশ্বাসের মাধ্যমে এতটা বিষাক্ত দ্রব্য গ্রহণ করেছে যে, তার পরিমাণ দিনে দুপ্যাকেট সিগারেট খেলে যে বিষাক্ত দ্রব্য গ্রহণ করা হয় তার সমান! এশিয়ান এইজ খবরের কাগজে বলা হয়েছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দূষিত পাঁচটা শহরের মধ্যে মুম্বাই ও দিল্লি হল দুটো। মুম্বাইয়ের রাস্তায় রোজ প্রায় ৯,০০,০০০ যানবাহন চলাচল করে এবং আরও ৩০,০০০ যানবাহন রোজ শহরের বাইরে যায় ও আসে। রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, এর ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যতখানি অনুমোদন করে, বায়ু দূষণের হার তার চেয়েও ৬০০ থেকে ৮০০ শতাংশ বেশি। (g০০ ১১/৮)

পাখিদের জন্য মারাত্মক

কানাডার টরেন্টোর দ্যা গ্লোব আ্যন্ড মেইল বলে, ‘উত্তর আমেরিকার বড় বড় অফিস ও যোগাযোগ মাধ্যমের অট্টালিকাগুলো হল অজ্ঞাত খুনি। বড় বড় অট্টালিকাগুলোতে এবং বাড়িঘরগুলোর জানালায় জোরে ধাক্কা লেগে এই মহাদেশে বছরে দশ কোটি পাখি মারা যায়।’ অফিসগুলোতে রাতের বেলায়ও বাতি জ্বালিয়ে রাখায় যাযাবর পাখিগুলো উড়তে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, এই সমস্যা সব জায়গায় রয়েছে। পাখি বিজ্ঞানী ডেভিড উইলার্ড বলেন, “এই মহাদেশে এমন কোন জায়গা আছে বলে আমি জানি না যেখানে এই সমস্যাটা নেই।” টরেন্টোর ফাটাল লাইট আ্যওয়ারনেস প্রোগ্রাম এর মতো দলগুলো অফিস কর্মীদের রাতের বেলা অফিসের বাতি নিভিয়ে রাখতে অনুরোধ করেছেন।

এছাড়াও, জার্মানির খবরের কাগজ ফ্র্যাংকফারটার আ্যলজেমেইন জিটাং বলে, “আকাশছোঁয়া বাতিগুলো” অর্থাৎ লোকদেরকে ডিসকো ক্লাব বা অন্যান্য আমোদপ্রমোদের জায়গাগুলোর প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য যে স্পটলাইটগুলো ব্যবহার করা হয় তার জন্য নিশাচর জীবজন্তুরা তাদের জায়গা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। এই বাতিগুলো নিশাচর পাখি ও বাদুড়দের উড়ে বেড়ানোয় বাধা দেয়। কোন কিছু বুঝতে না পেরে পাখিরা অন্যদিকে উড়ে চলে যেতে থাকে, করুণ সুরে ডাকতে থাকে এবং এমনকি উড়াই বন্ধ করে দেয়। মাঝে মাঝে পাখিরা মাটিতে পড়ে যায় এবং মাটিতে পড়েই কয়েক ঘন্টা এদিক-ওদিক ঘুরতে ঘুরতে একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং যেগুলো বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে সেগুলো এক সময় মারা যায়। ফ্রাংকফোর্টের পাখি রক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আকাশছোঁয়া বাতিগুলোর’ ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানিয়েছে। (g০০ ১১/৮)