সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ব্যথা থেকে আ্যনেসথেসিয়া

ব্যথা থেকে আ্যনেসথেসিয়া

ব্যথা থেকে আ্যনেসথেসিয়া

আঠারোশ চল্লিশ দশকের আগে রোগীরা দুশ্চিন্তা নিয়ে নয় কিন্তু প্রচণ্ড ভয়ে ভয়ে অপারেশন রুমে ঢুকত! কিন্তু কেন? কারণ রোগী যাতে ব্যথা অনুভব করতে না পারে সেই জন্য তাকে অনুভূতিহীন করার কোন উপায় তখন ছিল না। ডেনিস ফ্র্যাডিন “আমরা ব্যথাকে জয় করেছি” (ইংরেজি) বইয়ে বলেন: “ডাক্তাররা দুবোতল মদ নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকতেন। এক বোতল রোগীর জন্য আর অন্য বোতল তার নিজের জন্য, যাতে ব্যথায় কাতর রোগী যখন চিৎকার করে উঠবে তখন তা তিনি সইতে পারেন।”

রোগীকে মাতাল অথবা “নেশাচ্ছন্ন” করা!

অপারেশনের সময় ব্যথা লাঘব করার জন্য ডাক্তার, ডেনটিস্ট আর এমনকি রোগীরাও যথাসাধ্য চেষ্টা করতেন। চিন ও ভারতের ডাক্তাররা গাঁজা ও হাশিস ব্যবহার করতেন। পৃথিবীর অনেক দেশে আফিম এবং মদও ব্যবহার করা হতো। প্রাচীন গ্রিক ডাক্তার ডায়োক্রোডিস নিদ্রাকর্ষক উদ্ভিদ ও মদ মিশিয়ে বানানো ওষুধকে অনুভূতিনাশক শক্তির উৎস বলে উল্লেখ করেছিলেন আর তিনিই সবচেয়ে প্রথমে “আ্যনেসথেসিয়া” বা অনুভূতিবিলোপ শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন বলে মনে করা হয়। এর পরে কিছু ডাক্তাররা এমনকি সম্মোহনবিদ্যা কাজে লাগিয়েও পরীক্ষা করে দেখেছেন।

কিন্তু তারপরেও ব্যথা থেকেই যেত, পুরোপুরি উপশম হতো না। তাই, ডাক্তার ও ডেনটিস্টরা চেষ্টা করতেন যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করে ফেলা যায় আর তারা কত তাড়াতাড়ি অপারেশন করতে পারেন তার ওপর ভিত্তি করে তাদের পদমর্যাদা দেওয়া হতো। কিন্তু তাড়াতাড়ি করে করলেও অনেক ব্যথা লাগত। আর তাই, লোকেরা অপারেশন করার বা দাঁত ওঠানোর সময়কার ব্যথার কথা ভেবে টিউমার অপারেশন করার বা নষ্ট দাঁত উঠিয়ে ফেলার কথা চিন্তাও করত না বরং সবরকমের অসুখের কষ্টই সহ্য করত।

সুইট ভিট্রিওল ও লাফিং গ্যাস

১২৭৫ সালে স্প্যানিশ ডাক্তার রেমন্ড লুলেস রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় একরকমের তরল পদার্থ তৈরি করেন, যা উদ্বায়ী ও সহজে দাহ্য আর এটাকেই তিনি সুইট ভিট্রিওল নাম দিয়েছিলেন। প্যারাসেলসাস নামে সুপরিচিত সুইজারল্যান্ডের একজন ডাক্তার ষোড়শ শতকে কয়েকটা মুরগির নাকের কাছে সুইট ভিট্রিওল রাখেন এবং মুরগিগুলো যখন নিঃশ্বাসের মাধ্যমে তা গ্রহণ করে তখন তিনি লক্ষ্য করেন যে, সেগুলো শুধু ঘুমিয়েই পড়ছে না সেইসঙ্গে কোন ব্যথাও পায় না। লুলেসের মতো তিনিও মানুষের ওপর তা প্রয়োগ করে পরীক্ষা করেননি। ১৭৩০ সালে জার্মান রসায়নবিদ ফ্রবিনিয়াস এই তরল পদার্থকে ইথার নাম দেন, গ্রিক ভাষায় যেটার মানে হল “স্বর্গীয়” আর এই ইথার নামটা এখনও রয়ে গেছে। কিন্তু, প্রায় ১১২ বছরের বেশি সময় পরে পুরোপুরিভাবে বোঝা যায় যে ইথারের চেতনানাশক ক্ষমতা আছে।

এর মধ্যে ইংরেজ বিজ্ঞানী জোসেফ প্রিস্টলি ১৭৭২ সালে নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস আবিষ্কার করেন। প্রথম প্রথম লোকেরা মনে করত, এই গ্যাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে নেওয়াও মারাত্মক। কিন্তু, এই গ্যাস আসলেই মারাত্মক কি না তা যাচাই করে দেখার জন্য ১৭৯৯ সালে ব্রিটিশ রসায়নবিদ ও উদ্ভাবক হামফ্রে ডেভি নিজেই তা নিয়ে দেখবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে নাইট্রাস অক্সাইড গ্রহণ করার পর তার হাসি পেতে থাকে আর এইজন্যই তিনি এটাকে লাফিং গ্যাস নাম দেন। নাইট্রাস অক্সাইডের চেতনানাশক ধর্মগুলো সম্বন্ধে ডেভি লেখেন কিন্তু কেউই তার কথা বিশ্বাস করেননি।

বিভিন্ন পার্টিতে ইথার ও লাফিং গ্যাসের ব্যবহার

লাফিং গ্যাস নিয়ে কিছু সময় ধরে ডেভির হাস্যকর আচরণ করার কথা সবার মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। শীঘ্রিই অনেকে শুধু মজা করার জন্য এটাকে নিতে শুরু করে। এমনকি চিত্তবিনোদনকারী দলগুলো বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অনুষ্ঠান করার সময় শ্রোতাদের মাঝ থেকে কিছু ব্যক্তিদের মঞ্চে আসার আমন্ত্রণ জানাতেন ও পালা করে তাদেরকে নাইট্রাস অক্সাইড দিতেন। গ্যাস গ্রহণ করার পর তাদের লজ্জা ও সংকোচের অনুভূতি দূর হয়ে যেত এবং শীঘ্রিই তারা মজার মজার কাণ্ড করতে শুরু করত আর তা দেখে শ্রোতারা হাসিতে ফেটে পড়ত।

ওই সময়ই বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে আনন্দ দেওয়ার জন্য ইথারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। একবার ক্রফোর্ড ডব্লু. লং নামে আমেরিকার একজন ডাক্তার খেয়াল করেন, তার কয়েকজন বন্ধু ইথার গ্রহণ করে টালমাটাল অবস্থায় একজন আরেকজনকে আঘাত করছে অথচ তারা ব্যথা পাচ্ছে না। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এটাকে অপারেশনে ব্যবহার করার বিষয়ে চিন্তা করেন। আর তিনি তা ব্যবহার করার একটা সুযোগও পেয়ে যান। জেমস ভেনেবেল নামে এক ছাত্র ওই “ইথার পার্টিতে” অংশ নিয়েছিলেন। তার ছোট ছোট দুটো টিউমার হয়েছিল যেগুলোকে তিনি কাটতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু, অপারেশনের সময় যে ব্যথা সহ্য করতে হয় তার ভয়ে ভেনেবেল অপারেশনের তারিখ শুধু পিছাতেই থাকেন। তাই, লং তাকে ইথার গ্রহণ করে অপারেশন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ভেনেবেল তাতে রাজি হন এবং ১৮৪২ সালের ৩০শে মার্চ ইথার প্রয়োগ করে তার অপারেশন করা হয় আর অপারেশনের সময় তিনি কোন ব্যথা অনুভব করেননি। কিন্তু, লং তার এই আবিষ্কারের বিষয়ে চুপচাপ থাকেন, ১৮৪৯ সালের আগে পর্যন্ত তিনি এই বিষয়ে ঘোষণা করেননি।

ডেনটিস্টরাও আ্যনেসথেসিয়া আবিষ্কার করেন

হোরেস ওয়েলস নামে আমেরিকার একজন ডেনটিস্ট ১৮৪৪ সালের ডিসেম্বর মাসে একটা ভ্রাম্যমান বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখতে যান। সেখানে গার্ডনার কলটন নামে একজন ভদ্রলোক নাইট্রাস অক্সাইড দেখান। ওয়েলস মঞ্চে গিয়ে ওই গ্যাস নেন কিন্তু তার অনুভূতি পুরোপুরি যায় না আর তাই তিনি দেখতে পান যে, অন্য একজন অংশগ্রহণকারী তার পা জোরে জোর বেঞ্চের ওপর আঘাত করায় পা কেটে রক্ত পড়ছে কিন্তু সে কোন ব্যথা পাচ্ছে না। ওই রাতে ওয়েলস দাঁতের অস্ত্রোপচার করার সময় নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন তবে এর আগে তিনি নিজের ওপর তা পরীক্ষা করান। তিনি কলটনের কাছ থেকে এই গ্যাস নিয়ে আসেন এবং জন রিগস্‌ নামে তারই এক সহকর্মীকে দিয়ে তার একটা আক্কেলদাঁত তোলান। কোন ব্যথা ছাড়াই দাঁত তোলা সম্ভব হয়।

ওয়েলস তার আবিষ্কারের বিষয়টা প্রথমে তার বন্ধুদের সামনে করে তা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তা দেখাতে গিয়ে তিনি খুবই ঘাবড়ে যান এবং যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাস প্রয়োগ না করে অস্ত্রোপচার করতে শুরু করেন। তাই, রোগীর দাঁত তোলার সময় সে ব্যথায় চিৎকার করতে থাকে। ওয়েলসের বন্ধুরা তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে থাকে। কিন্তু এর আগে তারা যদি ওই রোগীকে ভাল করে জিজ্ঞেস করে নিত, তাহলে ভাল হতো কারণ পরে সে ওয়েলসের কাছে স্বীকার করেছিল যে সে আসলে খুব বেশি ব্যথা পায়নি।

১৮৪৬ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর উইলিয়াম মরটন নামে আমেরিকার আরেকজন ডেনটিস্ট কোন ব্যথা না দিয়ে একজন রোগীর দাঁত তোলেন আর এটা করতে গিয়ে তিনি রোগীর ওপর ইথার প্রয়োগ করেন। ১৮৪২ সালে লংও এই একই যৌগ ব্যবহার করেছিলেন। মরটন বিশিষ্ট রসায়নবিদ চার্লস টমাস জ্যাকসনের সাহায্যে তার ইথার প্রস্তুত করেছিলেন। কিন্তু তিনি লংয়ের মতো বিষয়টা চেপে রাখেন না। তিনি অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর ওপর ইথারের চেতনানাশক গুণগুলোর প্রভাব সবাইকে দেখানোর ব্যবস্থা করেন। ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে ১৮৪৬ সালের ১৬ই অক্টোবর মরটন ওই রোগীকে অচেতন করেন। তারপর ড. ওয়ারেন রোগীর চোয়ালের নিচে একটা টিউমার অপারেশন করেন। এই অপারেশন সফল হয়। আর সঙ্গে সঙ্গে এই খবরটা আমেরিকা ও ইউরোপের সব জায়গায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

অন্যান্য আবিষ্কারগুলো

এই চমকপ্রদ আবিষ্কারের ফলে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলতে থাকে। ১৮৩১ সালে ক্লোরোফর্ম আবিষ্কার করা হয় আর ১৮৪৭ সালে তা ব্যবহার করে সাফল্য পাওয়া যায়। কিছু কিছু জায়গায় অনুভূতিনাশক হিসেবে ক্লোরোফর্মকেই ব্যবহার করতে দেখা যায়। শীঘ্রিই সন্তান প্রসবের সময় মহিলাদেরকেও ক্লোরোফর্ম দেওয়া শুরু হয় আর ১৮৫৩ সালের এপ্রিল মাসে ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়াকেও ক্লোরোফর্ম দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, সম্পূর্ণ শরীরকে অনুভূতিহীন করার অর্থাৎ (general) আ্যনেসেথিয়ার ইতিহাস কিছুটা লুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আ্যনেসথেসিয়া (কিন্তু রাসায়নিক উপাদানগুলো নয়) আবিষ্কারের জন্য লং, ওয়েলস, মরটন নাকি মরটনের সাহায্যকারী বিশিষ্ট রসায়নবিদ জ্যাকসনকে বেশি কৃতিত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তবে কোন ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয় না কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনেকে এর জন্য চারজনের অবদানের কথাই স্বীকার করেন।

এর মধ্যে স্থানীয় (local) আ্যনেসথেসিয়ার ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে আর এটাকে প্রায়ই আঞ্চলিক আ্যনেসথেসিয়াও বলা হয়। রোগীর শরীরের কোন কোন অংশকে অনুভূতিহীন করার জন্য চেতনানাশক বস্তু প্রয়োগ করা হয়। শুধু যে অংশে চেতনানাশক পদার্থ প্রয়োগ করা হয় সেই অংশ অনুভূতিহীন হয় কিন্তু রোগী সম্পূর্ণ সজ্ঞান থাকে। ডেন্টিস্টরা আজকাল দাঁত ও মাঢ়ির অস্ত্রোপচারের সময় এবং ডাক্তাররা ছোটখাটো অপারেশন ও সামান্য ক্ষত সারাবার জন্য শুধু নির্দিষ্ট অংশে চেতনানাশক পদার্থ ব্যবহার করেন। মহিলারা যখন বাচ্চা প্রসব করেন সেই সময় সাধারণত স্থানীয় চেতনানাশক বস্তু ব্যবহার করা হয়।

সময় গড়িয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে চেতনানাশক বিদ্যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বিশেষ শাখা হয়ে উঠেছে। আধুনিক আ্যনেসথেসিওলজিস্টরা রোগীকে অপারেশনের জন্য তৈরি করেন। তারা উন্নত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অক্সিজেনের সঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান মেশানো জটিল চেতনানাশক পদার্থ রোগীর শরীরে প্রয়োগ করেন। আসলে, অনেক রোগী বুঝতেই পারে না যে তাকে চেতনাহীন করার জন্য ডাক্তার চেতনানাশক গ্যাস ব্যবহার করেছেন কারণ সাধারণত ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শিরায় প্রাথমিক আ্যনেসথেসিয়া দেওয়ার পরই সেই গ্যাস ব্যবহার করা হয়। আ্যনেসথেসিওলজিস্টরা অপারেশনের পর রোগীর ব্যথা উপশমের বিষয়টাও দেখে থাকেন।

তাই ভবিষ্যতে আপনার যদি কখনও অপারেশন করতে হয়, তাহলে তা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। কল্পনা করুন, দুশো বছর আগে অপারেশন থিয়েটারে একটা সাধারণ খাটের ওপর আপনি শুয়ে আছেন। দরজা খুলে যায় এবং সার্জেন দুবোতল মদ নিয়ে আপনার দিকে এগিয়ে আসছেন। সেই তুলনায় আধুনিক আ্যনেসথেসিওলজিস্টের উন্নত যন্ত্রপাতিগুলোকে আপনার অধিক সহনীয় বলে মনে হবে, ঠিক কি না?

(g০০ ১১/২২)

[২০ পৃষ্ঠার বাক্স]

আকুপাংচার প্রাচ্যে আবিষ্কৃত ব্যথা উপশমের এক উপায়

আকুপাংচার হল প্রাচীন চিনে আবিষ্কৃত একটা চিকিৎসাপদ্ধতি, যা ব্যথা উপশম করে বলে কথিত আছে। চিকিৎসকরা শরীরের নির্দিষ্ট বিন্দুগুলোতে সুঁই ফুটিয়ে থাকেন আর প্রায়ই দেখা যায় যেখানে চিকিৎসা দরকার তার থেকে কিছু দূরে সুঁই ফুটানো হয়। সুঁইগুলো শরীরে ঢোকানোর পর, সেগুলোকে ঘোরানো হয় বা এর সঙ্গে খুব কম ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক প্রবাহের সংযোগ দেওয়া হয়। এই সম্বন্ধে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা বলে, “চিনে সাধারণত অপারেশন করার সময় শরীরের কোন অংশকে অনুভূতিহীন করার জন্য আকুপাংচার পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। পশ্চিমা দেশের পর্যবেক্ষকরা দেখেছিলেন যে, চিনে রোগীদেরকে পুরোপুরি সজ্ঞান অবস্থায় শুধু দেহের নির্দিষ্ট অংশে আকুপাংচার পদ্ধতি প্রয়োগ করে অনুভূতিহীন করে জটিল (ও খুবই বেদনাদায়ক) অপারেশনগুলো করা হয়েছে।”

দক্ষ এবং খুব ভালভাবে প্রশিক্ষিত চিকিৎককে দিয়েই শুধু আকুপাংচার করানো উচিত। এনসাইক্লোপিডিয়া আ্যমেরিকানা অনুসারে, “মাঝে মাঝে দেখা গেছে যে, আকুপাংচার করার জন্য হার্ট বা ফুসফুসে যখন সুঁই ফুটানো হয়েছিল তখন গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটেছে আর জীবাণুমুক্ত সুঁই ব্যবহার না করায় হেপাটাইটিস, ইনফেকশন ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।” অবশ্য, যেভাবেই অনুভূতিহীন করা হোক না কেন, সম্পূর্ণ চেতনাহীন করা এবং অপারেশনের মধ্যে ঝুঁকি থেকেই যায়।

[২১ পৃষ্ঠার চিত্র]

আ্যনেসথেসিওলজি চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক বিশেষ শাখা হয়ে উঠেছে

[সৌজন্যে]

Courtesy of Departments of Anesthesia and Bloodless Medicine and Surgery, Bridgeport Hospital - CT

[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

পৃষ্ঠা ২ ও ১৯: Reproduced from Medicine and the Artist (Ars Medica) by permission of the Philadelphia Museum of Art/Carl Zigrosser/ Dover Publications, Inc.