সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বর কি আমার প্রার্থনা শুনবেন?

ঈশ্বর কি আমার প্রার্থনা শুনবেন?

যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . .

ঈশ্বর কি আমার প্রার্থনা শুনবেন?

“আমি সবকিছুর জন্য প্রার্থনা করি কারণ যিহোবা আমার বন্ধু আর আমি জানি যে আমার যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে তিনি আমাকে সাহায্য করবেন।”—আন্দ্রেয়া।

কিশোরী আন্দ্রেয়া নিশ্চিত যে, ঈশ্বর তাঁর প্রার্থনা শোনেন। কিন্তু, তাই বলে সব যুবক-যুবতীই এমনটা মনে করে না। কেউ কেউ মনে করে ঈশ্বর অনেক দূরে, তাই তাঁর নিকটবর্তী হওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তারা এও ভাবতে পারে যে, ঈশ্বর তাদের জন্য চিন্তা করেন কি না, যে তারা তাঁর কাছে প্রার্থনা করবে।

প্রার্থনার আসল উদ্দেশ্য কী? সহজ করে বলতে গেলে এটা হল, ঈশ্বরের সঙ্গে প্রকৃত বন্ধুত্ব করা। গীতরচক প্রার্থনা করেছিলেন: “যাহারা তোমার নাম জানে, তাহারা তোমাতে বিশ্বাস রাখিবে।” (গীতসংহিতা ৯:১০) তোমার সম্বন্ধে কী বলা যায়? তুমি কি ঈশ্বরকে এতটা ভালভাবে জান যে, প্রার্থনায় তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পার? এই প্রবন্ধটা পুরো পড়ার আগে, “ঈশ্বরকে তুমি কতটা ভালভাবে জান?” বাক্সে যে প্রশ্নগুলো আছে, সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা কর। এর মধ্যে কয়টার উত্তর তুমি জান?

এই প্রবন্ধের বাকি অংশ না পড়েই কি তুমি সেখান থেকে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছ? যদি পার, তাহলে অনেকের চেয়ে তুমি ভালভাবে ঈশ্বরকে জান। আবার তোমার উত্তরগুলো হয়তো প্রকাশ করতে পারে যে, তাঁর সম্বন্ধে আরও ভালভাবে জানার জন্য তোমার আরেকটু জ্ঞান নেওয়া দরকার। (যোহন ১৭:৩) সেই কথা মাথায় রেখে, “প্রার্থনা-শ্রবণকারী” সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে সেই সম্বন্ধে শুধু কয়েকটা বিষয় চিন্তা কর।—গীতসংহিতা ৬৫:২.

ঈশ্বরকে তুমি কতটা ভালভাবে জান? উত্তরগুলো ১৩ পৃষ্ঠায়

১. ঈশ্বরের নাম কী ও এর মানে কী?

২. ঈশ্বরের সম্বন্ধে বাইবেলে কোন্‌ প্রধান চারটে গুণের কথা বলা হয়েছে?

৩. মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের প্রেমের সবচেয়ে বড় প্রকাশ কী?

৪. ঈশ্বরের সঙ্গে আমরা কীভাবে বন্ধুত্ব করতে পারি?

৫. প্রার্থনা করার সময় আমাদের কেমন মনোভাব রাখা উপযুক্ত?

ঈশ্বর একজন বাস্তব ব্যক্তি

প্রথমত, বাইবেল আমাদেরকে বুঝতে সাহায্য করে যে ঈশ্বর নৈর্ব্যক্তিক কোন শক্তি নন। তিনি একজন ব্যক্তি এবং তাঁর নাম যিহোবা। (যাত্রাপুস্তক ৩:১৫) ইব্রীয় ভাষায় তাঁর নামের মানে হল, “তিনি অস্তিত্বে আনেন।” তাঁর উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করার জন্য যা কিছুই করতে হোক না কেন, তিনি সমস্তই করতে পারেন। এক নৈর্ব্যক্তিক শক্তি কখনোই তা করতে পারে না! তাই তুমি যখন প্রার্থনা কর, তখন নিশ্চিত থাকতে পার যে, তুমি দুর্বোধ্য কোন শক্তি বা বাতাসের সঙ্গে কথা বলছ না। তুমি এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছ, যিনি তোমার প্রার্থনা শুনতে ও এর উত্তরও দিতে পারেন।—ইফিষীয় ৩:২০.

তাই, ডায়না নামের এক যুবতী বলে: “আমি জানি যে আমি যেখানেই থাকি না কেন, যিহোবা আমার কথা শুনবেন।” এইরকম আস্থা নিয়ে কথা বলার জন্য, তোমার কাছে ঈশ্বরকে অবশ্যই বাস্তব হতে হবে! বাইবেল বলে, “যে ব্যক্তি ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহার ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে ঈশ্বর আছেন।”—ইব্রীয় ১১:৬.

প্রজ্ঞা ও শক্তির উৎস

ঈশ্বর সত্যি সত্যি আমাদের সাহায্য করতে পারেন কারণ তাঁর প্রচণ্ড শক্তি আছে। তাঁর শক্তি যে সীমাহীন, তা এই বিশাল ও জটিল মহাবিশ্ব দেখেই বোঝা যায়। মহাবিশ্বে কোটি কোটি অগণিত তারা আছে কিন্তু বাইবেল বলে যে, প্রতিটা তারার নাম যিহোবা জানেন! এর চেয়েও বড় কথা হল, সব তারা মিলিয়ে যত শক্তি আছে তিনি সেই পুরো শক্তির উৎস। (যিশাইয় ৪০:২৫, ২৬) এটা কি আশ্চর্যের বিষয় নয়? আর এই তথ্যগুলো যত চমৎকারই হোক না কেন, বাইবেল বলে যে “এগুলো তাঁর শক্তির আভাসমাত্র”!—ইয়োব ২৬:১৪, টুডেজ ইংলিশ ভারসন।

এছাড়া, যিহোবার অসীম প্রজ্ঞার কথাও ভেবে দেখ। বাইবেল বলে যে, তাঁর চিন্তা “অতি গভীর।” (গীতসংহিতা ৯২:৫) মানবজাতিকে তিনি সৃষ্টি করেছেন আর আমরা নিজেদেরকে যতটা না জানি, তার চেয়ে আরও ভালভাবে তিনি আমাদেরকে জানেন। (গীতসংহিতা ১০০:৩) যেহেতু তিনি “অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল পর্য্যন্ত” আছেন, তাই তাঁর সীমাহীন অভিজ্ঞতা আছে। (গীতসংহিতা ৯০:১, ২) কোন কিছুই তাঁর বোধের অগম্য নয়।—যিশাইয় ৪০:১৩, ১৪.

এই সমস্ত শক্তি ও প্রজ্ঞাকে যিহোবা কীভাবে কাজে লাগান? ২ বংশাবলি ১৬:৯ পদ বলে: “সদাপ্রভুর প্রতি যাহাদের অন্তঃকরণ একাগ্র, তাহাদের পক্ষে আপনাকে বলবান দেখাইবার জন্য তাঁহার চক্ষু পৃথিবীর সর্ব্বত্র ভ্রমণ করে।” তাই এমন কোন সমস্যাই নেই, যা ঈশ্বর সমাধান করতে বা সমাধান করার জন্য তোমাকে সাহায্য করতে পারবেন না। ক্যালা নামের এক যুবতী আগের কথা মনে করে বলে: “কিছুদিন আগে আমার পরিবার কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছিল আর আমি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম এবং আমার মনে হয়েছে যেন তিনি আমাকে ওই পরিস্থিতি, সমস্যা ও অনুভূতিগুলোকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। তা না হলে এগুলো সহ্য করা যেত না।” তুমি যখন ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বল, তখন প্রজ্ঞার উৎসে প্রবেশ কর। এর চেয়ে ভাল সাহায্য আর কী-ই-বা হতে পারে!

ন্যায়বিচারক ও প্রেমময় ঈশ্বর

কিন্তু কীভাবে তুমি জান যে, ঈশ্বর তোমাকে সাহায্য করতে চান? কারণ যিহোবা তাঁর প্রচণ্ড শক্তি, অগাধ প্রজ্ঞা বা তাঁর অটল ন্যায়বিচারের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করেননি। এর বদলে, যিহোবা মূলত তাঁর প্রধান গুণ প্রেমের জন্য সুপরিচিত। ১ যোহন ৪:৮ পদ বলে, “ঈশ্বর প্রেম।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) আর তাঁর মহৎ প্রেমের জন্য আমরা তাঁর কাছে প্রার্থনা করার প্রেরণা পাই। আমরা যাতে অনন্ত জীবন পেতে পারি সেই জন্য তাঁর পুত্রকে মুক্তির মূল্য হিসেবে বলি দেওয়ার জন্য পাঠানোই তাঁর প্রেমের সবচেয়ে বড় প্রকাশ।—যোহন ৩:১৬; ১ যোহন ৪:৯, ১০.

ঈশ্বর প্রেম, তাই তিনি তোমাকে কখনও অবহেলা করবেন বা তোমার সঙ্গে অন্যায় ব্যবহার করবেন, এমনটা ভেবে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪ পদ বলে, “তাঁহার সমস্ত পথ ন্যায্য।” তোমার প্রতি ঈশ্বরের প্রেম আছে বলেই তিনি তোমার কথা মন দিয়ে শোনেন। এই কারণেই আমরা আস্থা নিয়ে আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা ও অনুভূতিগুলো তাঁকে জানাতে পারি।—ফিলিপীয় ৪:৬, ৭.

ঈশ্বরের সঙ্গে বন্ধুত্ব

আসলে যিহোবা আমাদেরকে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি আমাদের কাছে অপরিচিত থাকতে চান না। বরং, মানুষকে সৃষ্টি করার পর থেকেই যিহোবা তাঁর লোকেদেরকে তাঁর বন্ধু হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছেন। যারা যিহোবার বন্ধুত্ব উপভোগ করেছিলেন ও তাঁর মনের মতো লোক ছিলেন তাদের মধ্যে অনেক নারী, পুরুষ, যুবক ও বৃদ্ধ লোকেরা ছিলেন। যেমন অব্রাহাম, রাজা দায়ূদ, যীশুর মা মরিয়ম এবং আরও অন্যান্য ব্যক্তিরা ছিলেন।—যিশাইয় ৪১:৮; লূক ১:২৬-৩৮; প্রেরিত ১৩:২২.

তুমিও যিহোবার একজন বন্ধু হতে পার। অবশ্য এইরকম বন্ধুত্ব বলতে বোঝায় না যে, ঈশ্বরকে তুমি এমন এক আত্মিক ব্যক্তি হিসেবে দেখবে যিনি মানুষের রূপ ধরতে পারেন এবং শুধু তোমার কোন ইচ্ছা বা সমস্যার সময়ই তাঁর সঙ্গে তুমি কথা বলবে। শুধু আমাদের চাহিদাগুলোর জন্যই আমাদের প্রার্থনা করা উচিত নয়। আমরা যদি ঈশ্বরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাই, তাহলে আমাদের শুধু নিজেদের ইচ্ছা নয় কিন্তু তাঁর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং অবশ্যই ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে হবে। (মথি ৭:২১) তাই, যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে ঈশ্বরের কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ, প্রার্থনায় সেই বিষয়গুলোর কথা বলতে শিখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “অতএব তোমরা এই মত প্রার্থনা করিও; হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক, তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।” (মথি ৬:৯, ১০) এছাড়াও, প্রার্থনায় ঈশ্বরের প্রশংসা করতে ও তাঁকে ধন্যবাদ দিতে হবে!—গীতসংহিতা ৫৬:১২; ১৫০:৬.

তাসত্ত্বেও আমাদের কখনও এমন মনে করা উচিত নয়, আমাদের দরকার ও উদ্বিগ্নতাগুলো এত সামান্য যে, এগুলোর জন্য প্রার্থনা করার দরকার নেই। স্টিভ বলে, “যদিও আমি তাঁর কাছে মনের কথা খুলে বলতে চাই কিন্তু মাঝে মাঝে আমার মনে হয় যে এইসব জাগতিক বিষয়ের জন্য ঈশ্বরকে বিরক্ত করা উচিত নয়।” তোমার মনে যদি এমন চিন্তা আসে, তাহলে তুমি সেই কথা মনে করার চেষ্টা কর, যা যীশু তাঁর শিষ্যদের শিখিয়েছিলেন: “পাঁচটী চড়াই পাখী কি দুই পয়সায় বিক্রয় হয় না? আর তাহাদের মধ্যে একটীও ঈশ্বরের দৃষ্টিগোচরে গুপ্ত নয়। . . . ভয় করিও না, তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ।” (লূক ১২:৬, ৭) এই কথা শুনে কি তুমি আশ্বাস পাও না?

তাই এটা খুব সহজেই বোঝা যায় যে, যিহোবার সম্বন্ধে তুমি যত বেশি জানবে, তাঁর কাছে প্রার্থনা করার জন্য তুমি তত বেশি প্রেরণা পাবে এবং তোমার আস্থা বাড়বে যে যিহোবা তোমাকে সাহায্য করতে পারেন এবং করবেন। অতএব, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার সময় তোমার মনোভাব কেমন হওয়া উচিত? তোমাকে সম্মান দেখাতে হবে, নম্র ও নিঃস্বার্থ হতে হবে। জগতের কোন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির কাছে তুমি যদি অহংকারী মনোভাব নিয়ে বা অসম্মান দেখিয়ে কিছু চাও, তাহলে তিনি কি তোমার কথা শুনবেন বলে মনে হয়? তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, তোমার প্রার্থনার উত্তর দেওয়ার আগে তিনি চান যেন তুমি তাঁকে ও তাঁর মানগুলোকে সম্মান কর।—হিতোপদেশ ১৫:২৯.

ঈশ্বর ভয়শীল হাজার হাজার যুবক-যুবতীরা শিখতে পেরেছে যে তাদের মনের কথা কীভাবে ঈশ্বরের কাছে খুলে বলা যায়। (গীতসংহিতা ৬২:৮) ব্রেট বলে, “যিহোবা যখন আমার প্রার্থনার উত্তর দেন তখন আমি আরও বেশি করে উৎসাহ পাই যে, তিনি এখনও আমার বন্ধু আছেন।” তোমার কথা কী বলা যায়? ঈশ্বরের সঙ্গে তুমিও কীভাবে একইরকম বন্ধুত্ব উপভোগ করতে পার? দুজন খ্রীষ্টান যুবতী এই ব্যাপারে যা বলেছে, তা নিচে দেওয়া হয়েছে:

রেচেল: “যিহোবার সঙ্গে আরও কাছের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আমি মনে করি যে, তাঁর বাক্য আরও গভীরভাবে অধ্যয়ন করা দরকার আর আমি এভাবে অধ্যয়নের আকাঙ্ক্ষা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।”—১ পিতর ২:২.

জেনি: “আমি মনে করি যে, তুমি যত বেশি যিহোবার সেবা করবে তাঁর সঙ্গে তত কাছের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে।”—যাকোব ৪:৮.

তুমি কি কখনও ভেবে দেখেছ যে, প্রার্থনা কত উপকার করতে পারে? একজন খ্রীষ্টান কিশোরী বলে: “ঈশ্বর যদি আমার সঙ্গে কথা বলেন বা আমাকে কোন বার্তা পাঠান, তাহলেই আমি বুঝতে পারব যে তিনি দূরে নন।” যেহেতু প্রার্থনা করার সময় আমরা ঈশ্বরের উত্তর শুনতে পাই না, তাহলে প্রার্থনা কীভাবে আমাদেরকে সত্যিই সাহায্য করতে পারে? ভবিষ্যতে একটা প্রবন্ধে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। (g০১ ৬/২২)

[১৩ পৃষ্ঠার বাক্স]

১১ পৃষ্ঠার প্রশ্নগুলোর উত্তর

১.যিহোবা। এর মানে, “তিনি অস্তিত্বে আনেন।”

২.প্রেম, প্রজ্ঞা, ন্যায়বিচার ও শক্তি।

৩.তিনি তাঁর একজাত পুত্র যীশুকে আমাদের জন্য মৃত্যুবরণ করতে পাঠিয়েছিলেন।

৪.শুধু আমাদের নিজেদের চাহিদাগুলোর কথা চিন্তা না করে বরং ঈশ্বরের ইচ্ছা জেনে ও তা পালন করে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারি।

৫.আমাদের নম্র ও নিঃস্বার্থ হতে হবে এবং সম্মান দেখাতে হবে।

[১২ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

বাইবেল অধ্যয়ন করা এবং তাঁর সৃষ্টি থেকে শেখা ঈশ্বরকে আরও ভালভাবে জানতে সাহায্য করবে