বাতাসের গতিতে চলা
বাতাসের গতিতে চলা
কানাডার সচেতন থাক! লেখক কর্তৃক
“আমাকে এখনই কিছু কাপড় ও দড়ি দাও, আমি তোমাদের এমন কিছু দেখাব যা সারা পৃথিবীকে চমকে দেবে!”—জোসেফ-মিশেল মন্টগল্ফিয়ের, ১৭৮২.
হুশ! হঠাৎ করে অগ্নিশিখা তীব্রবেগে রঙিন কোকুনের আকারে মৃদুভাবে আকাশের দিকে উঠে যায়। এক অপূর্ব, রংধনু-রঙের কাপড়ে ভেসে বেড়ানো, মনকে উচ্ছ্বসিত করে তোলে এবং অস্থির জীবনে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে গরম হাওয়া ভরা বেলুন ওড়াতে আগ্রহী একজন ব্যক্তি বলেছিলেন, “এটা একইসঙ্গে প্রশান্তিজনক ও রোমাঞ্চকর।”
১৭৮০-র দশকের প্রথম দিকে জোসেফ-মিশেল এবং জাক্-এটিয়েন মন্টগল্ফিয়েরের এই ক্ষেত্রে সফলতা, বেলুন ওড়ানোর প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। (নিচের বাক্স দেখুন।) কিন্তু, কেবল ১৯৬০ এর দশক থেকে—অগ্নিশিখা-নিরোধক কৌশলের ও সেইসঙ্গে বেলুনের ভিতরে বায়ুর তাপমাত্রাকে গরম ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কম খরচে প্রোপেন পোড়ানোর নিরাপদ পদ্ধতির উদ্ভাবন—এটাই আসলে আনন্দদায়ক খেলা হিসেবে বেলুন ওড়ানোর সূত্রপাত ঘটিয়েছিল।
কাছ থেকে দেখা
অপূর্ব এই বেলুনকে কাছ থেকে দেখলে বোঝা যাবে যে, রঙিন ডোরাকাটা কিছু বস্তুকে একসঙ্গে বাঁধা হয়েছে এবং ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত তা ক্রমশ সরু হয়ে এসেছে। হাওয়া ভরা হলে কিছু বেলুন ১৫ মিটার চওড়া এবং ২৫ মিটারেরও বেশি লম্বা হয়।
কল্পনাপ্রবণ আকাশচারীরা, তাদের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করার জন্য নিজস্ব আকার ও মাপের বেলুন বানান, যা জন্তুজানোয়ার থেকে আরম্ভ করে নানান ধরনের বোতল এমনকি ভাঁড়ের রূপও ধারণ করতে পারে। এগুলোর আকার বা নকশা যা-ই হোক না কেন, এই বেলুনগুলোর নিস্তব্ধ ওড়ার নীতি সবসময় একই থাকে।
পাইলট ও যাত্রীরা উভয়েই একটা হালকা, শক্ত সরু গনডোলা বা ঝুড়িতে ওঠে আর সেটা তার দিয়ে বেলুনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় ও সরাসরি বেলুনের মুখের নিচে বসিয়ে দেওয়া হয়। কিছু কিছু ঝুড়ি আ্যলুমিনিয়ামের তৈরি। গনডোলার ঠিক ওপরের দিকে আরেকবার তাকান। বেলুনের মুখের ঠিক নিচেই আপনি দেখতে পাবেন যে, ধাতব প্ল্যাটফর্মের ওপর একটা জ্বালানির উনান ও রেগুলেটর রয়েছে। জ্বালানির ট্যাংকগুলো ঝুড়ির ভিতরে রাখা হয়।
ওড়ার জন্য তৈরি
কোন বিমান উড়ে যাওয়ার জন্য একটা বড় রানওয়ের দরকার হয়। কিন্তু, গরম হাওয়া ভরা বেলুনের জন্য ছোট মাঠের আকারে একটা খোলা জায়গাই যথেষ্ট। যে-বিষয়টা দেখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল, এমন একটা জায়গা খোঁজা যেখানে ওপরের দিক একেবারে খোলা। এই নিস্তব্ধ বিমানে ওঠার জন্য আপনি কি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন? তা হলে, এই ঝুড়িতে ওঠার আগে কয়েকটা প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রথমে খালি বেলুনটাকে ঝুড়ির পাশে বাতাসের অনুকূলে ভূমিতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর একটা বড় মটরচালিত ফ্যান দিয়ে বেলুনের মুখে হাওয়া ভরা হয়। তারপর বেলুনের ভিতরে গরম হাওয়া দেওয়া হয়, যাতে এটা ঝুড়িটাকে ওপরের দিকে তোলে ও খাড়াভাবে দাঁড় করাতে পারে। এরপর, সমস্ত যন্ত্রপাতি ও জ্বালানির সংযোগ এবং সেইসঙ্গে বায়ু চলাচলের নির্গমন পথ ও অপসারণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে শেষবারের মতো পরীক্ষা করে নেওয়া হয়, এটা দেখার জন্য যে সেগুলো ঝুড়ির মধ্যে ঝোলানো আছে কি না। এখন পাইলট যাত্রীদেরকে নিয়ে ওপরে ওঠার জন্য তৈরি। কিছু কিছু বেলুন আরোহীরা রেডিও সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিয়ে নেন এবং ভূমির ক্রুদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন, যারা বেলুনটাকে তুলে নিতে ও যাত্রীরা যেখানে এসে নামবে সেখানে যাওয়ার জন্য একটা গাড়িতে করে তাদের পিছনে পিছনে যান।
বাতাসের গতিতে চলা
বেশির ভাগ বেলুন আরোহীরা প্রায় ১০০ মিটার উঁচুতে উঠতে চান, যাতে তারা শান্তভাবে গ্রামের ওপর দিয়ে ভেসে বেড়াতে
ও নিচে কী হচ্ছে না হচ্ছে, তা দেখতে পারেন। এই উচ্চতায় এমনকি নিচের লোকেদের হাসাহাসি, কথাবার্তা এবং চিৎকার চেঁচামেচি পর্যন্ত শোনা যায়। নিচ থেকে দেখা এই দৃশ্য খুবই চমৎকার আর এটা মৃদু বাতাসে ডেনডিলয়ন বীজের ভেসে বেড়ানোর কথা মনে করিয়ে দেয়। কেউ কেউ নিয়মিত প্রায় ৬০০ মিটার বা তারও বেশি উঁচুতে উঠে যান। কিন্তু, পর্যাপ্ত অক্সিজেন না নিয়ে ৩,০০০ মিটারের বেশি ওপরে ওঠা নিরাপদ নয়।—“অনেক উঁচুতে ওড়া” বাক্সটা দেখুন।একবার ওপরে উঠে গেলে আপনি নামবেন কী করে? মহাকর্ষের শক্তিতে। আর আপনি বায়ু নির্গমনের কর্ড খুলে কিছু গরম হাওয়া বের করে দিয়ে আপনার অবতরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু, আনুভূমিকভাবে চলা হল আরেকটা বিষয়। পাইলট পুরোপুরি আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। একজন অভিজ্ঞ বেলুন আরোহী বুঝিয়ে বলেন যে, “প্রত্যেকটা ওড়ার কায়দা ভিন্ন, কারণ হাওয়া দিক ও গতি নিয়ন্ত্রণ করে।” আর বিভিন্ন স্তরের বায়ুপ্রবাহ গতি ও দিককে পালটে দিতে পারে। ভূপৃষ্ঠের ওপরে একদিকে ১০০ মিটার গতিতে এবং ঠিক তার বিপরীতে ২০০ মিটার গতিতে বায়ুপ্রবাহ কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।
বেলুন যেহেতু বাতাসের গতিতে চলে, তাই আপনার মনে হবে যেন পৃথিবী নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে আর আপনি নিশ্চলভাবে ভাসছেন। স্মিথসোনিয়ান পত্রিকা বলে, “বেলুন আরোহীরা বাতাসের গতির সঙ্গে এতটাই তাল মিলিয়ে চলে [যে] আকাশে উঠে তারা একটা মানচিত্র মেলে ধরলে সেটা উড়ে যাবে না।”
ওড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করা
বাতাসের গতি যখন একেবারে কম থাকে, তখনই হচ্ছে ওড়ার উপযুক্ত সময়। এটা সাধারণত সূর্যোদয়ের কিছু পরে ও সূর্যাস্তের কিছু আগেই হয়ে থাকে। সকালের দিকটাই সবচেয়ে ভাল সময় কারণ সেই সময় বায়ুমণ্ডল সাধারণত ঠাণ্ডা থাকে এবং বেলুনের ওপরে ওঠার শক্তি খুবই প্রবল থাকে। সন্ধ্যার দিকে ওপরে উঠলে আলো কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বারবার অভ্যাস করার পরই বেলুনে ওড়ার অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। আকাঙ্ক্ষিত দিকে যাচ্ছে এমন বায়ুস্তর খুঁজে পাওয়া এবং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা খুবই জরুরি। অভিজ্ঞ বেলুন আরোহীরা একটা বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন, যেটাকে সিঁড়ি বেয়ে চলা বলে। তারা একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় উঠে ঝুড়িটাকে স্থির করেন। এরপর
অল্প জ্বালানি জ্বলে ওঠার পর গরম হাওয়া বেলুনের ঠিক ডগায় ধাক্কা মারে এবং নিস্তব্ধ বেলুনটাকে ওপরের দিকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।সঠিক মাত্রায় বিস্ফোরণের সমতাল বজায় রাখা এবং অনবরত মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি, যাতে পাইলট বেলুনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে না ফেলেন। এমনকি মনোযোগ সামান্য ব্যাহত হলেও অপ্রত্যাশিতভাবে বস্তুটা নিচের দিকে পড়ে যেতে পারে। একজন সতর্ক পাইলট মনে রাখেন যে, বেলুনের শীর্ষ থেকে তাপের উৎস সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ মিটার নিচে থাকে, তাই বিস্ফোরণের তাপের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে এর প্রায় ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড লেগে যায়।
অবতরণ খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে, বিশেষ করে যদি অনেক উঁচু থেকে নামা হয় ও তা সীমান্ত এলাকায় হয়! একজন বিশেষজ্ঞ বেলুন আরোহী বলেন যে, এই অবস্থায় “চিড়িয়াখানায় একটা সিংহের খাঁচায় আস্তে আস্তে নামার চেয়ে সঠিক জায়গায় খুব তাড়াতাড়ি, ঝাঁকুনি দিয়ে নামা অনেক ভাল।” কিন্তু, বাতাসের অবস্থা যখন সবচেয়ে ভাল থাকে, তখন ধীরে ধীরে নামাই উপযুক্ত।
যতই লোকেরা প্রতিযোগিতা, র্যালি এবং উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করবে আর শুধুমাত্র আনন্দময় অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই ওড়ার চেষ্টা করবে, এই বিনোদনমূলক গরম হাওয়া ভরা বেলুন ওড়ানো এর ঔজ্জ্বল্য নিয়ে চলতেই থাকবে। (g০২ ৩/৮)
[১৪, ১৫ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]
বেলুন ওড়ানোর আদি ইতিহাস
ফ্রান্সের আ্যননে শহরের এক ধনী কাগজ উৎপাদনকারীর দুই ছেলে জোসেফ-মিশেল এবং জাক্-এটিয়েন মন্টগল্ফিয়েরকে, ইতিহাসে সবচেয়ে প্রথম গরম হাওয়া ভরা বেলুন তৈরি এবং ওড়ানোর সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১৭৮০-র দশকে তারা সবচেয়ে প্রথম কাগজের বেলুন দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন, যেটা খড় ও উল পোড়ানোর ফলে যে-ধোঁয়া নির্গত হয়েছিল তা বেলুনটাকে খাড়া করেছিল বলে তারা মনে করেছিলেন। শীঘ্রিই তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে, গরম হাওয়ার জন্যই ওই বেলুনটা খাড়া হয়েছিল।
পরে কাপড় দিয়ে বেলুন তৈরি করার সময় তারা লক্ষ্য করেছিলেন যে, ধাপে ধাপে যত বড় বেলুন তারা বানাতে শুরু করেন তত বেশি উঁচুতে সেগুলোকে তারা ওড়াতে পারতেন আর সেগুলোতে অতিরিক্ত ভারও দেওয়া যেত। ১৭৮৩ সালের জুন মাসে তারা আ্যননের খোলা ময়দানে সেই সময় পর্যন্ত তৈরি সবচেয়ে বড় বেলুন ওড়ায়। এটা প্রায় দশ মিনিট আকাশে ভেসে বেড়িয়েছিল।
এতে সফল হওয়ার পর তারা ভেবেছিলেন যে, মানুষবাহী বেলুন ওড়ানোর সময় এসে গেছে। প্রথমে অবশ্য, ১৭৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটা মোরগ, হাঁস ও ভেড়া সমেত বেলুন ওড়ানো দেখতে হাজার হাজার দর্শক ভার্সাইলে একত্র হয়। কোনরকম অসুবিধা ছাড়াই তিনটে প্রাণী বেঁচে থাকে। এর কিছুদিন পরেই ১৭৮৩ সালের ২১শে নভেম্বর প্রথম মানুষবাহী বেলুন ওড়ানো হয়। দুইজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে বেলুনে চড়ার সম্মতি দিতে ষোড়শ লুইকে বাধ্য করা হয়। সাটো ডে ল্যা ময়েতে তাদের ওড়ার অভিযান শুরু হয় আর তারা প্যারিসের আকাশে প্রায় আট কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ভেসে বেড়িয়েছিলেন। প্রায় ২৫ মিনিট পর তাদের বেলুনে যখন আগুন ধরে যায়, তখন তারা দ্রুত নেমে আসেন।
প্রায় এই সময়ে প্যারিসের আ্যকাডেমি অফ সায়েন্সেস এই উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল। সেই সময়ের একজন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক জ্যাক শার্ল, দুজন দক্ষ কারিগর চার্লস এবং এম. এন. রবার্টের সহযোগিতায় সবচেয়ে প্রথম হাইড্রোজেন ভরা বেলুন বানিয়েছিলেন আর ১৭৮৩ সালের ২৭শে আগস্ট তা পরীক্ষা করেছিলেন। এটা প্রায় ২৪ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ৪৫ মিনিট ভেসে বেড়িয়েছিল এবং শ্যারলিয়ার নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। এইধরনের বেলুন ঠিক তার আদি কাঠামোয় আজও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
[১৭ পৃষ্ঠার বাক্স]
অনেক উঁচুতে ওড়া
হেনরি কাক্সওয়েল নামে একজন ইংরেজ সবচাইতে উঁচুতে আরোহী পাইলট হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ১৮৬২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটিশ আবহাওয়া দফতরের জেমস গ্লাইশিরকে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের জন্য আকাশের অনেক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে নিয়োগ করা হয়। তারা অক্সিজেনের সাহায্যে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার কোন সরঞ্জাম ছাড়াই নয় কিলোমিটারেরও বেশি উঁচুতে আরোহণ করেন!
৮,০০০ মিটার উঁচুতে উঠে এবং ঠাণ্ডা ও কম অক্সিজেনপূর্ণ বায়ুতে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় কাক্সওয়েল নিচে নেমে আসার জন্য তৈরি হন। কিন্তু, বেলুন ক্রমাগত ঘোরার ফলে অবতরণ ভালভের রজ্জুটা পেঁচিয়ে যায় এবং জট পাকিয়ে যাওয়া রেখা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য কাক্সওয়েলকে বেয়ে যন্ত্রপাতির মধ্যে নামতে হয়েছিল। ইতিমধ্যে গ্লাইশির অচেতন হয়ে পড়েন এবং কাক্সওয়েলকে তার দাঁত দিয়ে রজ্জু টানতে হয় কারণ প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তার হাত অবশ হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তারা নিচে নেমে আসতে শুরু করেছিলেন।
দুজনেই শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বেলুনের অবতরণকে যথেষ্ট ধীরগতি করেন। তারা প্রায় ১০,০০০ মিটার উঁচুতে উঠেছিলেন, যা প্রায় একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে রেকর্ড হিসেবে ছিল। খোলা ঝুড়ির বেলুনে আরোহণ, বিমানচালনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঘটনা কারণ তারা অক্সিজেনের সরবরাহ ছাড়া, সবচেয়ে কম সুরক্ষামূলক কাপড় নিয়ে এবং বায়ুমণ্ডল সম্বন্ধে তেমন কোন জ্ঞান না নিয়েই এটা করেছিলেন।
[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
হাওয়া ভরার সময় একটা বেলুনের ভিতরের দিক
[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
ওপরে ওড়ানোর জন্য বেলুনে গরম হাওয়া ভরা হচ্ছে
[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
সাধারণত দেখা যায় না এমন আকারের বেলুন