সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ভূমিকম্প, বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী এবং আপনি

ভূমিকম্প, বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী এবং আপনি

ভূমিকম্প, বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী এবং আপনি

যীশু তাঁর মৃত্যুর আগে বিভিন্ন ঘটনা ও পরিস্থিতি সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যা প্রমাণ দেবে যে এই জগৎ ‘যুগান্তে’ প্রবেশ করেছে। তিনি বলেছিলেন যে, সেই সময় মহামারী, খাদ্যের অভাব এবং বড় বড় যুদ্ধের দ্বারা চিহ্নিত হবে। এ ছাড়া তিনি ‘মহৎ মহৎ ভূমিকম্পের’ কথাও উল্লেখ করেছিলেন, যা “স্থানে স্থানে” হবে। (মথি ২৪:৩, ৭; লূক ২১:১০, ১১) যীশু কি আমাদের সময়ের কথা বলছিলেন?

অনেকে বলবে না। তারা বলেন যে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ভূমিকম্পের সংখ্যা তেমন হারে বৃদ্ধি পায়নি। বস্তুতপক্ষে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ভূমিকম্প তথ্য কেন্দ্র রিপোর্ট দেয় যে, বিংশ শতাব্দী জুড়ে ৭.০ মাত্রার এবং এর চেয়ে তীব্র ভূমিকম্প “অনবরত হয়েই চলেছে।” *

কিন্তু লক্ষ্য করুন যে, যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতার জন্য ভূমিকম্পের সংখ্যা বা মাত্রা বাড়ার দরকার নেই। যীশু কেবলমাত্র বলেছিলেন, বিভিন্ন জায়গায় মহৎ মহৎ ভূমিকম্প হবে। এ ছাড়া, তিনি বলেছিলেন যে, এই ঘটনাগুলো ‘যাতনার আরম্ভকে’ চিহ্নিত করবে। (মথি ২৪:৮) কটা ভূমিকম্প হয়েছে বা রিক্টার স্কেলে সেটার মাত্রা কত, তা দিয়ে যাতনা নির্ণয় করা হয় না কিন্তু লোকেদের ওপর তা যে-প্রভাব ফেলে, সেটাই হল নির্ণয়ের বিষয়।

সত্যিই, ভূমিকম্প আমাদের দিনে প্রচুর দুর্দশা নিয়ে এসেছে। সত্যি বলতে কী, বিংশ শতাব্দী জুড়ে ভূমিকম্পে লক্ষ লক্ষ লোক মারা গেছে বা এই দুর্দশার কারণে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এত এত লোক যে মারা গেছে, তার মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যাকে রোধ করা যেত। বিবিসি নিউজ জানায়, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্রুত শহুরে পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টায় কম খরচে ও তাড়াতাড়ি গৃহ নির্মাণ করা হয় আর নির্মাণের নিয়মনীতিগুলো প্রায়ই দ্বিতীয় স্থানে থাকে।’ সাম্প্রতিক কালের দুটো দুঃখজনক ঘটনা সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে শহুরে দুর্যোগের ওপর বিশেষজ্ঞ বেন উইসনার বলেন: “ভূমিকম্প লোকেদের হত্যা করেনি। মানুষের ভুল, উদাসীনতা, কলুষতা ও লোভের সম্মিলিত কারণেই এমনটা হয়েছে।”

হ্যাঁ, কখনও কখনও ভূমিকম্পের পিছনে সবচেয়ে মারাত্মক কারণ হল, মানুষের স্বার্থপরতা ও অবহেলা। আগ্রহের বিষয় হল, এই বিধিব্যবস্থার ‘শেষ কাল’ সম্বন্ধে বাইবেলের আরেকটা ভবিষ্যদ্বাণীতেও এই বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলা হয়েছে। বাইবেল বলে সেই সময় লোকেরা “আত্মকেন্দ্রিক, অর্থপ্রিয়” এবং “উদাসীন” হবে। (২ তীমথিয় ৩:১-৫, দি এমপ্লিফাইড বাইবেল) এই বিধিব্যবস্থার শেষ সম্বন্ধে যীশুর কথাগুলো ছাড়াও এই ভবিষ্যদ্বাণী স্পষ্ট প্রমাণ দেয় যে, আমরা সেই সময়ের নিকটবর্তী যখন ঈশ্বর বর্তমানের সমস্ত ব্যথা ও দুঃখকষ্টের কারণ থেকে দুর্দশাগ্রস্ত মানবজাতির জন্য স্বস্তি নিয়ে আসবেন, যার মধ্যে মহৎ মহৎ ভূমিকম্পও রয়েছে।—গীতসংহিতা ৩৭:১১.

বাইবেল-ভিত্তিক এই আশা সম্বন্ধে আপনি কি আরও কিছু জানতে চান? তা হলে আপনার এলাকার যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন বা ৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া যেকোন উপযুক্ত ঠিকানায় লিখুন।(g০২ ৩/২২)

[পাদটীকা]

^ কেউ কেউ বলেন যে, ভূমিকম্পের বৃদ্ধি সম্বন্ধে এত তথ্য বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে সাধারণ কারণটা হল প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতি, যা আগের চেয়ে আরও বেশি করে ভূমিকম্পের ঘটনাগুলো খুঁজে বের করতে পারে।