আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে
আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে
নির্যাতিত নারীরা “নির্যাতিত নারীদের জন্য সাহায্য” (জানুয়ারি - মার্চ, ২০০২) ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলোর জন্য আমি যে কতটা কৃতজ্ঞ তা প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার জানা নেই। আমি ঘরোয়া যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত একজন ব্যক্তি এবং আমার প্রতি যা ঘটছিল তা এমনকি অভিযোগ করার সুযোগ পেয়েও আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমার ব্যথা, যন্ত্রণা ও গভীর দুঃখগুলো যা আমার পক্ষে কোনভাবেই দূর করা সম্ভব নয় তা কেউ কখনও বুঝবে না। এই প্রবন্ধগুলো আমার অনুভূতিকে একেবারে যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করেছে।
এন.এল., ইতালি (g০২ ৬/২২)
মলাটটা খুলে প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখে জল এসে যায়। আমি এই ভেবে তাড়াতাড়ি পত্রিকাটা উল্টে রাখি যে, এটা আমার অতীতের এক অংশ সম্বন্ধে আলোচনা করে যেটা সম্বন্ধে আমি ভান করতে চাই যে, তা কখনও ঘটেনি। সেই পত্রিকাটা আবার পড়ে দেখার শক্তি চেয়ে আমি প্রার্থনা করেছিলাম। আমি তা করেছিলাম বলে সত্যিই খুব কৃতজ্ঞ! এই ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো আমাকে এটা বুঝতে সাহায্য করেছে যে, আমি একাই কষ্ট পাচ্ছি না। “একজন সাথিকে মারধর করা ঈশ্বরের চোখে গুরুতর পাপ” শুধু এই কথাগুলো পড়াই যেন ক্ষত স্থানে তেল লাগানোর মতো। এইধরনের সান্ত্বনাদায়ক প্রবন্ধগুলোর জন্য ধন্যবাদ, যেগুলো বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিগুলো নিয়ে আলোচনা করে।
ডি.জে.এম., যুক্তরাষ্ট্র (g০২ ৬/২২)
এই প্রবন্ধগুলোতে যে-নারীদের সম্বন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, আমারও একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি মনে মনে চিন্তা করতাম যে, মদ এবং আমার স্বামী যে-পরিবেশে বড় হয়েছেন সেগুলোই এর কারণ। যদিও সেই কারণগুলো ব্যাখ্যা করে যে, কেন সেরকম ঘটে কিন্তু আমি এটা বুঝতে পেরে সান্ত্বনা পেয়েছি যে, ঘরোয়া যুদ্ধের জন্য কোন অজুহাত নেই। আমি মনপ্রাণ দিয়ে চাই যে, আমার স্বামী বাইবেল পড়ুক ও যিহোবার প্রেম সম্বন্ধে জানুক।
এস. ই., জাপান (g০২ ৬/২২)
এই ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো আমাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে কারণ আমি একজন নির্যাতিত স্ত্রী। আমি অনুভব করেছিলাম যেন আমি-ই রোক্সানা। এটা জানা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে যে, এমন আরও অনেকে আছে যারা জানে যে, একজন নির্যাতিত স্ত্রীর কেমন লাগে। এই প্রবন্ধগুলো থেকে আমি শিখেছি যে আমার স্বামীর মনোভাবের জন্য আমি দায়ী নই। এগুলো আমাকে এও বুঝতে সাহায্য করেছে যে, এমনকি যদিও আমার স্বামী আমাকে অযোগ্য ও নিষ্কর্মা মনে করে কিন্তু ঈশ্বরের চোখে আমি মূল্যবান। এইধরনের সাহায্যকারী বিষয়বস্তু প্রকাশ করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। এটা ধনের চেয়ে হাজার গুণ উত্তম!
বি. এল., ফিলিপাইন (g০২ ৬/২২)
আপনারা সেই সমস্ত ব্যথা ও নৈরাশ্যকে লিখে প্রকাশ করতে পেরেছেন, যা আমি প্রকাশ করতে পারছিলাম না। এই ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে, এই সমস্যার জন্য যেধরনের মানসিক ও আবেগগত যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়, তা যিহোবা বোঝেন। দয়া করে আপনারা এইধরনের প্রবন্ধ সবসময় লিখবেন কারণ এই সমস্যা সম্বন্ধে অন্যদের জানার ও বোঝার প্রয়োজন আছে। আমি নিশ্চিত যে, অনেকে একই প্রকারের সান্ত্বনা পাবে যেমন আমি এই প্রবন্ধগুলো থেকে পেয়েছি।
কে. ই., অস্ট্রেলিয়া (g০২ ৬/২২)
আমার বাবা অল্পতেই রেগে উঠতেন আর তাই আমিও প্রায়ই আমার স্বামীর ওপর রেগে যাই। মাঝে মধ্যে—না, অনেকবার—আমি তাকে সত্যি সত্যি আঘাত করেছি। আমার স্বামী আমার চেয়ে শক্তিশালী তাই আমি ভাবতাম যে, আসলে সে আঘাত পাচ্ছে না। এই প্রবন্ধে যা উল্লেখ করা হয়েছে—একজন সাথিকে মারধর করা ঈশ্বরের চোখে গুরুতর পাপ—তা পড়ে আমি প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছিলাম। আমার স্বামী যিহোবার একজন নম্র দাস। আমি অন্তর থেকে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই। এই শাসনের জন্য আমি যিহোবার কাছে কৃতজ্ঞ।
টি. ই., জাপান (g০২ ৬/২২)
এই পত্রিকা পড়ে আমার চোখে জল চলে এসেছিল। আমি যেন নিজের অভিজ্ঞতা পড়ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি, আমার স্বামী বাইবেল সম্বন্ধে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে শুরু করেছেন। তিনি কিংডম হলে কয়েকটা সভাতে যোগ দিয়েছেন এবং এখন তিনি বাইবেল অধ্যয়ন করছেন। আমি ১১ পৃষ্ঠায় দেওয়া লুরডেসের মতো মন্তব্য করতে পারি: “কখনও কখনও মনে হয় আমি স্বপ্ন দেখছি না তো!”
আই. আর., যুক্তরাষ্ট্র (g০২ ৬/২২)