সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কীভাবে আমি আমার রুমমেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি?

কীভাবে আমি আমার রুমমেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি?

যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . .

কীভাবে আমি আমার রুমমেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি?

“আমি সবসময় রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চাইতাম। কিন্তু, থালাবাটি বাইরেই পড়ে আছে নাকি হাড়ি কড়াই চুলোর ওপরই রয়েছে, তা নিয়ে আমার রুমমেটরা একেবারেই মাথা ঘামাত না। এটা তাদের কাছে কোন ব্যাপারই ছিল না।”—লিন। *

রুমমেট। “হয় তারা সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুতে নতুবা ঘোর শত্রুতে পরিণত হতে পারে,” লেখক কিভেন স্কোলেরি বলেন। তুমি হয়তো এতটা জোরালোভাবে তা মনে না-ও করতে পার কিন্তু এই কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কারও সঙ্গে থাকা আসলেই একটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। * রুমমেট সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এতই সাধারণ যে, ইউ.এস.নিউজ আ্যন্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অনুসারে, অনেক স্কুল রুমমেটদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করার “ব্যাপক প্রচেষ্টা” চালাচ্ছে, যার মধ্যে “দ্বন্দ্ব মধ্যস্থতা কার্যক্রম” ও বিভিন্ন সেমিনারও রয়েছে।

একটা রুমে থাকা এমনকি খ্রীষ্টান যুবক-যুবতীদের জন্যও কঠিন হতে পারে, যারা পূর্ণ-সময় সুসমাচার প্রচারের উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়েছে। সুখবরটা হল যে, বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগিয়ে এবং “সূক্ষ্ম বুদ্ধি [“ব্যবহারিক প্রজ্ঞা,” NW]” খাটিয়ে প্রায়ই দ্বন্দ্বগুলো মিটমাট করা যেতে পারে।—হিতোদেশ ২:৭.

একে অপরকে জান

ঘর ছেড়ে চলে আসার রোমাঞ্চকর অনুভূতি কিছুটা কমে এলে, তুমি হয়তো দেখবে যে তুমি সবকিছু সেইমতো চাইছ, যেমনটা আগে ঘরে হতো। (গণনাপুস্তক ১১:৪, ৫) কিন্তু, অতীতের বিষয় নিয়ে ভাবতে থাকা, মানিয়ে নেওয়া তোমার জন্য কেবল কঠিনই করে তুলবে। উপদেশক ৭:১০ পদ এই পরামর্শ দেয়: “তুমি বলিও না, বর্ত্তমান কাল অপেক্ষা পূর্ব্বকাল কেন ভাল ছিল? কেননা এ বিষয়ে তোমার জিজ্ঞাসা করা প্রজ্ঞা হইতে উৎপন্ন হয় না।” হ্যাঁ, তোমার পরিস্থিতিকে যথাসম্ভব উপভোগ্য করে তোলার চেষ্টা করাই হল সবচেয়ে উত্তম।

সবচেয়ে প্রথমে তোমার রুমমেটকে জানার চেষ্টা কর। এটা ঠিক যে, রুমমেটদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আসলে সে হয়তো এমন কেউ না-ও হতে পারে, যার প্রতি তুমি বিশেষভাবে আকর্ষিত হবে। তবুও, তোমাকে যদি তার সঙ্গে থাকতেই হয়, তা হলে যথাসম্ভব বন্ধুত্বপূর্ণ এক সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করাই কি যুক্তিযুক্ত নয়?

ফিলিপীয় ২:৪ পদ আমাদের “আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও” লক্ষ্য রাখতে বলে। জেরা করা হচ্ছে এমনভাবে কথাবার্তা না বলে, তুমি কি তোমার রুমমেটকে তার পরিবার সম্বন্ধে, সে কোন্‌ বিষয়ে আগ্রহী, তার লক্ষ্যগুলো কী ও সে কী পছন্দ করে, তা জিজ্ঞেস করতে পার? তোমার সম্বন্ধেও তাকে জানাও। একে অন্যের সম্বন্ধে তোমরা যত বেশি জানবে, ততই তোমরা একে অন্যকে আরও ভাল করে বুঝতে পারবে।

মাঝেমধ্যে একসঙ্গে কাজ করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা কর। লি বলে: “মাঝেমধ্যে আমার রুমমেট ও আমি একসঙ্গে বাইরে খেতে বা আর্ট গ্যালারিতে ঘুরতে যাই।” খ্রীষ্টান রুমমেটদের জন্য আধ্যাত্মিক কাজগুলো একসঙ্গে করা যেমন, মণ্ডলীর সভাগুলোর জন্য তৈরি হওয়া বা সুসমাচারের কাজ করা বন্ধুত্বের বন্ধনকে মজবুত করার জন্য এমনকি আরও বেশি কার্যকারী উপায়।

ডেভিড বলে: “আমার রুমমেট যখন বাইবেল-ভিত্তিক জনসাধারণের ভাষণ দিয়েছিল, তখন আমি তাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য তার মণ্ডলীতে গিয়েছিলাম।” যদিও ডেভিড ও তার রুমমেটের খেলাধুলা ও গানবাজনার ক্ষেত্রে রুচি আলাদা ছিল কিন্তু আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর জন্য ভালবাসা তাদের মধ্যে এক বন্ধন গড়ে তুলেছিল। “আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক কথা হয়,” ডেভিড বলে। “সত্যি বলতে কী, আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে পারি।”

একটা ব্যাপারে সাবধান থেক: রুমমেটের সঙ্গে এত বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ো না যে তুমি অন্যান্য গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ব্যর্থ হও। তোমার রুমমেট যদি মনে করে যে, সে কোথাও গেলেই তোমাকে তার সঙ্গে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে হবে, তা হলে সে হয়তো কিছুটা দায়বদ্ধ বলে মনে করতে পারে। বাইবেলের পরামর্শ হল, তোমার বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে “প্রশস্ত হও।”—২ করিন্থীয় ৬:১৩.

সুবর্ণ নিয়ম মেনে চলা

অবশ্য তোমরা একে অন্যকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার সঙ্গে সঙ্গে এও বুঝতে পারবে যে, তোমাদের অভ্যাস, রুচি এবং দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যুবক মার্ক সাবধান করে, “ভুলভ্রান্তি হওয়ার আশা তুমি নিশ্চয়ই করতে পার।” অনমনীয় বা আত্মকেন্দ্রিক হওয়া, চাপ ও মানসিক অশান্তির সৃষ্টি করে। এ ছাড়া, তোমাকে খুশি করতে তোমার রুমমেট বড় বড় পরিবর্তন করবে, তা আশা করার কারণেও চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

ফেরনানডো একজন রুমমেট হওয়ায় এই বিষয়টা শিখতে পেরেছে: “তোমাকে নিঃস্বার্থ হতে হবে, আত্মকেন্দ্রিক নয়।” তার এই মন্তব্য বিখ্যাত সুবর্ণ নিয়মের সঙ্গে মিলে যায়, যেটা বলে: “অতএব সর্ব্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও।” (মথি ৭:১২) উদাহরণ হিসেবে, ফেরনানডো শীঘ্রই লক্ষ করেছিল যে, তার ও তার রুমমেটের মধ্যে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ে ঝগড়া বেঁধে যেত; সে রুমের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকা পছন্দ করত কিন্তু তার রুমমেট ঘরে ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় ঘুমাতে চাইত। এর সমাধান কী? ফেরনানডো বলে: “আমি আমার জন্য একটা কম্বল নিয়ে আসি।” হ্যাঁ মার্ক যেমন বলে, “নমনীয় হও। তোমার সমস্ত অভ্যাসই ছেড়ে দিতে হবে এমন নয় কিন্তু হয়তো একটা বা দুটো তোমাকে বদলাতে হতে পারে।”

আরেকটা ক্ষেত্রে তুমি সুবর্ণ নিয়ম কাজে লাগাতে পার: তোমার রুমমেটের রুচিগুলোকে সহ্য করতে শেখ। ধর, সে যে-গানবাজনা পছন্দ করে, তা তুমি পছন্দ কর না, তা হলে? খুব সম্ভবত সে-ও ঠিক তোমার পছন্দের ব্যাপারে একইরকম মনে করে। তাই, গানবাজনার ক্ষেত্রে তোমার রুমমেটের রুচি যদি নৈতিক দিক দিয়ে বিকৃত না হয়, তা হলে তুমি হয়তো সহ্য করার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পার। ফেরনানডো বলে: “গানবাজনার ক্ষেত্রে আমার রুমমেটের রুচি যদি ভিন্ন হতো, তা হলে আমি পছন্দ করতাম। সেটা আমি মানিয়ে নিতাম।” অন্যদিকে, একজন ব্যক্তি হেডফোনে তার পছন্দসই গান শুনতে পারে, যাতে তার রুমমেট যে হয়তো অধ্যয়ন করছে, সে বিরক্ত না হয়।

সুবর্ণ নিয়মকে কাজে লাগালে বস্তুগত জিনিসগুলোর ব্যাপারে অপ্রয়োজনীয় ঝগড়াঝাঁটিও এড়ানো যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, ফ্রিজে অন্যের যা কিছু রয়েছে সেগুলো ইচ্ছেখুশি মতো নেওয়ার অভ্যাস যদি তোমার থাকে কিন্তু সেগুলো আবার ফেরত দেওয়ার অভ্যাস না থাকে, তা হলে মনোমালিন্য বাড়তেই পারে। একই সময়ে তোমার কিনে আনা জিনিস তোমার রুমমেট নেওয়ার সময় তুমি যদি রাগ কর বা সৌজন্যহীন দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাও, তা হলে তা তোমাদের সম্পর্ককে ভাল করবে না। বাইবেল আমাদের ‘দানশীল হইতে, সহভাগীকরণে তৎপর হইতে’ উৎসাহ দেয়। (১ তীমথিয় ৬:১৮) তুমি যদি মনে কর যে, তোমার কাছ থেকে অন্যায়ভাবে সুযোগ নেওয়া হচ্ছে, তা হলে চুপ করে থেক না। বরং, শান্তভাবে ও দয়ার সঙ্গে তোমার অভিযোগ খুলে বল।

একে অন্যের ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের প্রতি সম্মান দেখাও। অন্যের জিনিস না বলে নেওয়া অহংকারের পরিচয় দেয়। (হিতোপদেশ ১১:২) এ ছাড়া, তোমার রুমমেটের যে ব্যক্তিগত সময়ের দরকার, সেই বিষয়টাও খেয়াল রাখ। সাধারণ সৌজন্যবোধ, যেমন তার রুমে ঢোকার আগে দরজায় কড়া নাড়। তুমি সম্মান দেখালে, প্রতিদানে তোমার রুমমেটও সম্ভবত একইরকম ব্যবহার করবে। “আমরা দুজনেই ঘরে বসে অধ্যয়ন করি,” ডেভিড বলে। “আমরা দুজনেই এই বিষয়টাকে পুরোপুরি সম্মান করি এবং একে অন্যের জন্য নীরব থাকি। কিন্তু মাঝেমধ্যে আমার রুমমেট যদি অন্য কিছু করতে চায়, তা হলে অধ্যয়ন করার জন্য আমি লাইব্রেরিতে চলে যাই।”

এ ছাড়া, সুবর্ণ নিয়ম কাজে লাগানোর মধ্যে দায়িত্বপূর্ণ হওয়াও অন্তর্ভুক্ত, যেমন সময়মতো ঘরের ভাড়া পরিশোধ করা বা ঘরের ছোট ছোট কাজগুলো একসঙ্গে করা।

ঝগড়া মিটমাট করা

বাইবেলের সময়ে পৌল ও বার্ণবা নামে দুজন সম্মানিত খ্রীষ্টানের মধ্যে ‘বিতণ্ডা হইয়াছিল।’ (প্রেরিত ১৫:৩৯) তোমাদের দুজনের মধ্যেও যদি এমন কিছু হয়, তা হলে কী বলা যায়? সম্ভবত ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব বা কিছু বিরক্তিকর ব্যক্তিগত অভ্যাস থাকতে পারে, যা তোমাদের ধৈর্যের সীমা ভেঙে ফেলতে পারে। একটা বিষয় নিয়ে মতভেদ বা উত্তপ্ত আলোচনা হওয়ার অর্থ কি এই যে, তোমাদের দুজনকে আলাদা হয়ে যেতে হবে? কখনোই না। এটা স্পষ্ট যে, পৌল ও বার্ণবা তাদের মতভেদ মিটমাট করতে পেরেছিলেন। সেখান থেকে চলে যাওয়ার চরম পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তুমিও হয়তো একই বিষয় করতে পার। এখানে বাইবেলের কিছু নীতি দেওয়া হল, যা সাহায্য করতে পারে।

“প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।”—ফিলিপীয় ২:৩.

“সর্ব্বপ্রকার কটুকাটব্য, রোষ, ক্রোধ, কলহ, নিন্দা এবং সর্ব্বপ্রকার হিংসেচ্ছা তোমাদের হইতে দূরীকৃত হউক। তোমরা পরস্পর মধুরস্বভাব ও করুণচিত্ত হও, পরস্পর ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন।”—ইফিষীয় ৪:৩১, ৩২.

“অতএব তুমি যখন যজ্ঞবেদির নিকটে আপন নৈবেদ্য উৎসর্গ করিতেছ, তখন সেই স্থানে যদি মনে পড়ে যে, তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভ্রাতার কোন কথা আছে, তবে সেই স্থানে বেদির সম্মুখে তোমার নৈবেদ্য রাখ, আর চলিয়া যাও, প্রথমে তোমার ভ্রাতার সহিত সম্মিলিত হও, পরে আসিয়া তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ করিও।”—মথি ৫:২৩, ২৪; ইফিষীয় ৪:২৬.

উপকারগুলো

অনেক খ্রীষ্টান যুবক (আর ততটা যুবকও নয়) রুমমেটদের সঙ্গে থেকে জ্ঞানী রাজা শলোমনের এই কথাগুলোর সত্যতা দেখেছে: “এক জন অপেক্ষা দুই জন ভাল।” (উপদেশক ৪:৯) সত্যি বলতে কী, অনেকে অন্যের সঙ্গে একই রুমে থাকার অভিজ্ঞতাকে উপকারজনক বলে মনে করে। মার্ক বলে, “আমি শিখেছি যে, লোকেদের সঙ্গে কীভাবে আচারব্যবহার করতে হয় এবং মানিয়ে চলা যায়।” এর সঙ্গে রেনে বলে: “তুমি তোমার নিজের সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পার। একই সময়ে রুমমেটরা এমন সঙ্গীসাথিদের চাপ হতে পারে, যা ভাল আচরণ করতে উৎসাহ দেয়।” লিন স্বীকার করে: “আমি যখন প্রথম আমার রুমমেটের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলাম, তখন খুব আত্মকেন্দ্রিক ছিলাম। কিন্তু এখন আমি অতটা কঠোর না হতে শিখেছি। আমি এখন বুঝতে পারি যে, কেউ শুধু আমার মতো কাজ না করলেই তার মানে নয় যে, সে ভুল।”

সত্যিই, রুমমেটের সঙ্গে মানিয়ে চলার জন্য প্রচেষ্টা ও ত্যাগস্বীকারের প্রয়োজন। কিন্তু, তুমি যদি বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা কর, তা হলে দেখবে যে তুমি কেবল একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতেই পারবে না; এমনকি তুমি দেখবে যে, কোন রুমমেটের সঙ্গে থাকা তোমার জন্য অনেক বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।(g০২ ৬/২২)

[পাদটীকাগুলো]

^ কিছু নাম পালটে দেওয়া হয়েছে।

^ ২০০২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সংখ্যার “আমার রুমমেটের সঙ্গে থাকা এত কঠিন কেন?” প্রবন্ধটা দেখ।

[২৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

তোমার নয়, এমন জিনিসগুলো নেওয়ার অভ্যাস চাপ সৃষ্টি করতে পারে

[২৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

একে অন্যের প্রতি বিবেচনা দেখাও