বিশ্ব নিরীক্ষা
বিশ্ব নিরীক্ষা
হাই তোলা উপভোগ করুন!
স্প্যানিশ সাপ্তাহিক পত্রিকা সালুড জানায়, মায়ের গর্ভে একটা শিশু জন্ম নেওয়ার ঠিক এগারো সপ্তাহ পর থেকেই হাই তুলতে শুরু করে। স্পষ্টতই, বেশির ভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সেইসঙ্গে কিছু পাখি ও সরীসৃপও অনৈচ্ছিক ক্রিয়া প্রদর্শন করে। আমরা কেন হাই তুলি সেটার সঠিক কারণ যদিও এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি কিন্তু গবেষকরা লক্ষ করেছে যে, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে প্রসারিত করা সাধারণত হাই তোলার সঙ্গেই সম্পর্কযুক্ত। তারা বলে, এই অঙ্গভঙ্গিগুলো “পেশী ও গ্রন্থিগুলোর জন্য আরামদায়ক হওয়া ছাড়াও রক্তচাপ ও হৃৎস্পদনের দ্রুততা বৃদ্ধি করে।” আমাদের চোয়ালকে শক্ত করে তোলার দ্বারা যখন আমরা হাই তোলাকে থামিয়ে দিই তখন আমরা এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত উপকারগুলো থেকে বঞ্চিত হই। তাই, গবেষণা দল সুপারিশ করে যে, সম্ভব হলে আমাদের উচিত হাই তোলার সময় “আমাদের চোয়াল ও মুখমণ্ডলের পেশীগুলোকে স্বাভাবিকভাবে প্রসারিত করা।” আপনি হয়তো জানেন না যে, পুরোপুরিভাবে হাই তোলা আপনার দিনকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে! (g০২ ১১/০৮)
ঘুমন্ত সুইফ্ট পাখিগুলো যেভাবে তাদের জায়গায় থাকে
সুইফ্ট পাখিগুলো ওড়ার সময় কেবল ঘুমায়ই না কিন্তু সেইসঙ্গে বাতাসের ধাক্কায় উড়ে না গিয়ে নিজেদের এলাকায় স্থিরও থাকতে পারে। সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখিবিজ্ঞানী ইউহান বেকমান এবং টুমাস আলেরস্টাম রাতে সুইফ্টদের বিচরণের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য রাডার ব্যবহার করেন। জার্মান বিজ্ঞান পত্রিকা বিল্ট ড্যার ভিসেনশ্যাফ্ট এর রিপোর্ট অনুসারে গবেষকরা উড্ডয়নের এক নির্দিষ্ট নমুনা লক্ষ করেন, যা সুইফ্ট পাখিদের নিজেদের জায়গায় থাকতে সাহায্য করে। পাখিগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে প্রায় ৩,০০০ মিটার পর্যন্ত ওপরে ওঠে এবং এরপর বাতাসের সঙ্গে তির্যকভাবে ওড়ে ও প্রতি কয়েক মিনিট অন্তর দিক পরিবর্তন করে। এই নিয়মিত নমুনা এদের নিজস্ব এলাকায় এদিক-সেদিক উড়ে চলতে সাহায্য করে। কিন্তু, বায়ুর নিম্ন গতিতে সুইফ্ট পাখিগুলোর বেলায় দেখা গিয়েছিল যে, এরা ঘুমের সময়টায় বৃত্তাকারে ভ্রমণ করে থাকে। (g০২ ১১/২২)
ঘরের কাজকর্ম এক ভাল ব্যায়াম
ভ্যাকুয়াম করা, জানালা পরিষ্কার করা এবং বেবি ক্যারিয়ার ঠেলে নিয়ে যাওয়াকে কি স্বাস্থ্যকর ব্যায়ামের পর্যায়ে ফেলা যায়? অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভারসিটি অফ কুইন্সল্যান্ডে পরিচালিত সাম্প্রতিক একটা গবেষণা অনুসারে এর উত্তর হল, হ্যাঁ। দ্যা ক্যানবেরা টাইমস এর একটা রিপোর্ট ব্যাখ্যা করে যে, গবেষকরা পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চা আছে এমন সাত জন মা তাদের নিত্যদিনের তালিকায় কী পরিমাণ অক্সিজেন গ্রহণ করে, তা গ্যাস পরিমাপকের সাহায্যে পরিমাপ করেছে। গবেষকদের কথা অনুসারে, “গবেষণা ইঙ্গিত করে যে, ঘরের কাজকর্মের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন কিছু কাজ এতটা শক্তির সঙ্গে করা হয় যে, তা স্বাস্থ্যের কিছুটা উপকার এনে দিতে পারে।” ওই রিপোর্ট বলে অধ্যাপক ওয়েন্ডি ব্রাউন লক্ষ করেছেন যে, “মহিলাদের ঘরের কাজকর্ম স্বাভাবিক তীব্র ব্যায়াম যেমন দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতারের প্রায় সমান।” “এটা কেবলমাত্র প্রাথমিক গবেষণা,” ব্রাউন বলেছিলেন, “কিন্তু আসল বিষয়টি হল যে, মহিলারা যখন সারাদিন ঘরের কাজকর্ম করতে থাকে, তখন আপনি তাদের নিষ্কর্মা বলতে পারেন না।” (g০২ ১১/০৮)
“যে-রোগটা হোক বলে আমরা চাই না”
“যে-রোগটা হোক বলে আমরা চাই না, সেটা হল অস্টিওপোরোসিস” অস্ট্রেলিয়ার দ্যা সান-হেরাল্ড বলে। “এটাকে ব্যাপকভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তারপরও, ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, ২০২০ সালের মধ্যে হাসপাতালের তিনটা শয্যার মধ্যে একটিতে হাড় ভাঙা মহিলাদের দেখা যাবে।” অস্টিওপোরোসিস অস্ট্রেলিয়া-র দ্বারা করা একটা রিপোর্ট দেখায় যে, এই রোগটা যা হাড়কে ছিদ্র ও ভঙ্গুর করে দেয়, তা “উচ্চ কোলেস্টেরল, এলার্জি বা সাধারণ সর্দিকাশির চেয়েও বেশি প্রভাবশালী। এটা ডায়াবিটিস বা আ্যজমার চেয়েও বেশি ভোগায়। আর মহিলাদের কোমরের হাড় ভেঙে মৃত্যুর হার, মেয়েলি সমস্ত ক্যানসারের চেয়েও বেশি।” অধ্যাপক ফিলিপ স্যামব্রুকের কথা অনুসারে হিসাব দেখায় যে, অস্ট্রেলিয়ায় অর্ধেক নারী এবং এক তৃতীয়াংশ পুরুষ তাদের জীবনকালে অস্টিওপোরোসিসের কারণে হাড় ভাঙার শিকার হবে। “সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা হল” ওই খবরের কাগজ বলে, “জীবনের প্রথম ত্রিশ বছরে ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করার মাধ্যমে হাড়কে যথাসম্ভব শক্ত করে গঠন করা।” ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ অথবা চা, কফি জাতীয় পানীয় গ্রহণ এড়িয়ে চলার মাধ্যমে অস্টিওপোরোসিসের কারণে ঘটা কষ্টভোগের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে কমানো যায়। উপকারী অভ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। (g০২ ১১/২২)
একজন “সাধ্বী” যিনি গিঁটগুলোকে এক করেন
“সম্প্রতি, সাধু জুড থ্যাডিয়াস যিনি ব্যর্থতার রক্ষক; সাধ্বী রিটা, হতাশার পরিত্রাতা; সাধ্বী হেডভিখ, ঋণীদের রক্ষাকর্তা; এবং জরুরি মুহূর্তগুলোর রক্ষক সাধু এক্সপেডিটাস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে,” ভেশা খবরের কাগজ বলে। অতি সম্প্রতি যে-“সাধ্বী” ব্রাজিলের ক্যাথলিকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তিনি হলেন “আওয়ার লেডি, যিনি গিঁটগুলোকে এক করেন।” এই অস্বাভাবিক উপাধিটা এসেছে জার্মানির অগাসবার্গে ঝুলানো একটা চিত্রকর্ম থেকে, যেটা দেখায় যে, কুমারী মরিয়ম একটা ফিতার গিঁট খুলছেন। গণমাধ্যমের ব্যক্তিদের মাধ্যমে এই “আওয়ার লেডি যিনি গিঁটগুলোকে এক করেন” এমন কিছু অনুরক্ত ব্যক্তিদের তার দলে নিয়ে এসেছেন, যারা তাদের স্বাস্থ্য, বৈবাহিক ও অর্থনৈতিক জটিল গিঁটস্বরূপ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য তার কাছে সাহায্য চায়। একই সময়ে এটা মেডেল, রোজারি, মূর্তি ও গাড়ির স্টিকারগুলোর ক্ষেত্রে লাভজনক ব্যাবসা করে। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ক্যাথলিক গির্জার পরিচালক ডারসি নিকোলি ভবিষ্যদ্বাণী করেন “‘এক করার’ প্রতি হুজুগ খারাপ নয় কিন্তু এটা বেশি দিন থাকবে না।” (g০২ ১১/২২)
মহাশূন্যে সুসমাচার
যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও মহাশূন্যের বাইরে জীবনযাপনের সম্ভাবনা নিয়ে তর্কবিতর্ক করছে কিন্তু বারলিনার মরগেনপোস্ট খবরের কাগজ বলে যে, ভ্যাটিকান অবজারভেটরির পুরোহিতরা এই উপসংহারের পৌঁছেছেন যে, “পৃথিবীর অধিবাসীরাই নিখিলবিশ্বে ঈশ্বরের একমাত্র সৃষ্টি নয়। ঈশ্বর পৃথিবীর বাইরে বাস করার জন্যও প্রাণীদের সৃষ্টি করেছেন।” অবজারভেটরির পরিচালক জর্জ কয়িন যেমন ব্যাখ্যা করেছেন যে, “নিখিলবিশ্ব শুধুমাত্র আমাদের বসবাসের জন্য অনেক বড়।” পৃথিবীর বাইরের প্রাণীদের কাছে সুসমাচার পৌঁছানোর জন্য কয়েকটা মঠ নতুন নিয়মকে সংকেত লিপিতে পরিণত করে মহাশূন্যে পাঠাচ্ছে। সেই খবরের কাগজ বলে, এরপর ভ্যাটিকান যে-বিষয়টা জানতে চাইবে তা হল, “যিশু খ্রিস্ট অন্যান্য গ্রহতেও দেখা দিয়েছেন কি না।” সেইসঙ্গে কয়িন আরও বলেন অন্যান্য গ্রহের অধিবাসীদেরও, “যিশু খ্রিস্ট পরিত্রাণ করেছেন কি না।” (g০২ ১১/২২)
থার্মোমিটার থেকে বিষ
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকা বলে, “মাত্র একটা থার্মোমিটারের পারদ ১১ একর পরিধির হ্রদকে দূষিত করে ফেলতে পারে এবং ভাঙা থার্মোমিটারগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্জিত জলাশয়গুলোতে বছরে প্রায় ১৭ টন পারদ যুক্ত হয়।” মাছ পারদ শুষে নেয় এবং মানুষরা যারা মাছ খায় তারা এর মাধ্যমে ধাতু গ্রহণ করে, যা স্নায়ুবিক ক্ষতি করতে পারে। বোস্টন সহ বেশ কয়েকটা শহরে পারদের থার্মোমিটারকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে কিছু দোকান পারদ যুক্ত থার্মোমিটারের পরিবর্তে ডিজিটাল থার্মোমিটার ও কম বিপদজনক যন্ত্রগুলো রাখবে। (g০২ ১০/০৮)
দ্রুততম রোলার কোস্টার
“ফুজিকিউ হাইল্যান্ড বিনোদন পার্কে বিশ্বের দ্রুততম রোলার কোস্টার চালু হয়েছে,” জাপানের খবরের কাগজ আসাহি শিমবুন জানায়। “থামা অবস্থা থেকে শুরু করে দুই সেকেন্ডের মধ্যে ঘন্টায় ১৭২ কিলোমিটার বেগে (ঘন্টায় ১০৬ মাইল বেগে) পৌঁছানো দুর্বল হৃদয়ের লোকেদের জন্য নয়। এটা রকেট থেকে অগ্নি বর্ষিত হওয়ার মতো। আরোহীরা সেই অভিকর্ষীয় টান অনুভব করে যেটা সাধারণত যুদ্ধ বিমানের পাইলটরা অনুভব করে থাকে।” যে-কোম্পানি এই রোলার কোস্টার নির্মাণ করেছে সেটার প্রকল্প পরিচালক হিথ রবার্টসন বলেছিলেন: “একটা প্লেন যখন যাত্রা শুরু করে তখন তাতে ২.৫ জিএস বল থাকে [অভিকর্ষের শক্তির চেয়ে ২.৫ গুণ বেশি]। আর এটাতে আছে ৩.৬ জিএস।” রোলার কোস্টার “ছোট বিমানের মতো চাকার” ওপর চলে এবং তিনটি বায়ু কমপ্রেসর থেকে শক্তি পায় যা ৫০,০০০ অশ্বশক্তি উৎপন্ন করে, যেটাকে “একটা ছোট রকেটের সঙ্গে তুলনা করা যায়।” (g০২ ০৯/২২)
ভারতে তামাক সংক্রান্ত হৃদরোগ
“[ভারতের] সিনিয়র হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলে যে, রক্ত সরবরাহকারী ধমনী সংক্রান্ত রোগ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে,” মুম্বাই নিউজলাইন মন্তব্য করে। “জাসলক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের পরিচালক ডা. আশ্বিন মেহতার কথা অনুসারে, ভারতের লোকেদের বংশগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।” বিশেষ উদ্বেগের বিষয়টা হল যে, বেশির ভাগ যুবক-যুবতী “অতিরিক্ত ধূমপান করার ফলে হৃদরোগের সমস্যায়” ভুগছে। বোম্বে হাসপাতালের অভিজ্ঞ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পি. এল. তিওয়ারি মনে করেন যে, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে খুব শীঘ্রই পৃথিবীর মধ্যে ভারতে হৃদরোগীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়ে যাবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে ৩৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৭০ শতাংশের বেশি পুরুষ ধূমপায়ী, দ্যা টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলে এবং এখানে “আয় কমে গেলেও ধূমপানের হার বেড়ে গেছে।” গড়ে প্রত্যেক ধূমপায়ী “বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পিছনে মোট যত খরচ করে, সেটার দ্বিগুণেরও বেশি পরিমাণ অর্থ সিগারেটের পিছনে ব্যয় করে।” হিসেব করে দেখা গেছে যে, এই গরিব দেশে অপুষ্টিতে ভোগা ১০৫ লক্ষ লোক পর্যাপ্ত খাদ্য পেতে পারত, যদি তামাকের পিছনে ব্যয় করা অর্থ খাবারের পিছনে ব্যয় করত। (g০২ ০৯/২২)
উঁচু বিল্ডিংগুলোর চাহিদা এখনও রয়েছে
“টুইন টাওয়ারের ধ্বংস, স্থপতি ও প্রকৌশলীদের মধ্যে এক নতুন ধরনের ও আতঙ্কজনক সতর্কতা ঢুকিয়ে দিয়েছে,” ইউ.এস.নিউজ আ্যন্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট বলে। “কিছুদিনের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করলেও, গগনচুম্বী অট্টালিকাগুলোর চাহিদা শেষ হবে না।” একটা কারণ হল যে, কিছু কিছু এলাকায় জমি দুষ্প্রাপ্য এবং অনেক দামি। এ ছাড়া, শহরগুলো গর্ব করার অধিকার চায়। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-তে স্থাপত্যবিদ্যা ও পরিকল্পনা স্কুলের ডিন উইলিয়াম মিচেল বলেন, অত্যধিক-উঁচু বিল্ডিংগুলো “মানচিত্রের মধ্যে একটা জায়গাকে তুলে ধরে, আধুনিকতা ও এইরকম অন্যান্য বিষয়গুলোকে বজায় রাখে।” কিন্তু, স্থপতিরা কীভাবে তাদের বিল্ডিংগুলোকে আরও নিরাপদ করে তুলতে পারে, সেই বিষয়ে তর্ক করছে। বিল্ডিংগুলোকে বিস্ফোরণ-প্রতিরোধক দেওয়াল ও জানালা লাগিয়ে আক্রমণ প্রতিরোধ করার মতো শক্তিশালী করা যায় কিন্তু এগুলো অত্যন্ত ভারী ও খুবই ব্যয়বহুল হবে। চিনের নির্মাণকৌশলের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১৫ তলায় খোলা, খালি “আশ্রয় তলা” থাকা বাঞ্ছনীয়। অন্যান্য জায়গার নির্মাণকৌশলের নিয়ম অনুযায়ী, ওপরে যাওয়ার জন্য একটা লিফট্ দরকার যা কেবল অগ্নিপ্রতিরোধক কর্মীদের জন্য ও সেইসঙ্গে এমন একটা সিঁড়ি দরকার যেখানে বায়ুর চাপ অত্যন্ত বেশি, যাতে ধোঁয়া বের করে দেওয়া যেতে পারে। শাংহাই ওয়ার্ল্ড ফিন্যানশিয়াল সেন্টার যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং হবে, তা ইতিমধ্যেই তাদের নকশায় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করছে। (g০২ ০৯/২২)