সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অশ্লীল বিষয়গুলো বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গিগুলো

অশ্লীল বিষয়গুলো বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গিগুলো

অশ্লীল বিষয়গুলো বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গিগুলো

এটা সেই বাসনাকে জাগিয়ে তোলে, যা থাকা উচিত নয়, এটা সেই কামেচ্ছাকে উদ্দীপিত করে, যা কখনও পূরণ হবে না।”—টনি পারসনস্‌, সংবাদপত্রের বিভাগীয় লেখক।

জন কখনোই ‘ইন্টারনেট সেক্স’ এর প্রতি আসক্ত হতে চাননি। * যারা হঠাৎ করে অশ্লীল ও সেক্স চ্যাট রুমগুলো দেখে ফেলে এমন অনেকের মতো, তিনিও একদিন যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছিলেন, তখন এই ধরনের চ্যাট রুমগুলোর একটা সাইট পেয়ে যান। শীঘ্রই, তিনি ইন্টারনেট সেক্সের প্রতি পুরোপুরি মগ্ন হয়ে পড়েন। “আমি অপেক্ষায় থাকতাম যে আমার স্ত্রী কখন কাজে চলে যাবে,” তিনি মনে করে বলেন, “তাড়াতাড়ি করে বিছানা ছেড়ে আমি কমপিউটারের সামনে কয়েক ঘন্টা কাটাতাম।” সুদীর্ঘ সময়গুলোতে তিনি এমনকি খাওয়াদাওয়ার কথাও ভুলে যেতেন। “আমার খিদে [লাগার] কোনো অনুভূতিই হতো না,” তিনি বলেন। তিনি তার স্ত্রীর কাছে তার গোপন কাজগুলোর বিষয়ে মিথ্যা বলতে শুরু করেন। এটা কাজের প্রতি তার মনোযোগকে ব্যাহত করে এবং দিনের পর দিন তিনি অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। তার বিবাহে চরম সমস্যা দেখা দেয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি যখন তার ইন্টারনেট সেক্স সঙ্গীদের একজনের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার ব্যবস্থা করেন, তখন তার স্ত্রী ব্যাপারটা জেনে ফেলেন। বর্তমানে জনের এই আসক্তির জন্য তার চিকিৎসা করা হচ্ছে।

অশ্লীলতাবিরুদ্ধ আন্দোলনকারীরা অশ্লীল বিষয়গুলোর বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে এই ধরনের অভিজ্ঞতাগুলোর উল্লেখ করে। তারা দাবি করে যে, এটা সম্পর্ককে নষ্ট করে, নারীদের মর্যাদাহানি করে, শিশুদের প্রতি যৌন নিপীড়ন করে এবং যৌনতার প্রতি এক বিকৃত ও ক্ষতিকর দৃষ্টিভঙ্গি উৎপন্ন করে। অন্যদিকে, এর সমর্থকরা অশ্লীল বিষয়গুলোকে অবাধ অভিব্যক্তি হিসেবে সমর্থন করে এবং অশ্লীলতাবিরুদ্ধ আন্দোলনকারীদের অতিবিনয়ী হিসেবে দেখে থাকে। “লোকেদের তাদের যৌনলালসা বা কামনা সম্বন্ধে কখনও লজ্জিত হওয়া উচিত নয়,” একজন সমর্থক লেখেন। “অশ্লীল বিষয়গুলোকে যৌনতা সম্বন্ধে সাবলীল আলোচনার পথ খুলে দেওয়ার ও উদ্দীপিত করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।” এমনকি অল্প কিছু ব্যক্তি এও বলে যে, ব্যাপক হারে অশ্লীল বিষয়গুলোর বৃদ্ধি এক খোলামেলা, সুস্থ সমাজের লক্ষণ। “যে-সমাজে দায়িত্বশীল প্রাপ্তবয়স্করা যৌনবিষয় নিয়ে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করতে পারে, সেই সমাজ খুব সম্ভবত সমকামিতা এবং নারীদের সমতাকে সহজেই মেনে নেবে,” লেখক ব্রায়েন মেকনার বলেন।

সমাজের এই বিভিন্ন রকমের দৃষ্টিভঙ্গি কি অশ্লীল বিষয়গুলোকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে? কেন এটা এতটা ছড়িয়ে পড়েছে? অশ্লীল বিষয়গুলোর পিছনে ছোটা কি সত্যিই বিপদজনক? পরের প্রবন্ধগুলো এই প্রশ্নগুলো বিবেচনা করবে। (g০৩ ৭/২২)

[পাদটীকা]

^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।