সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অশ্লীল বিষয়গুলো যে-ক্ষতি করে

অশ্লীল বিষয়গুলো যে-ক্ষতি করে

অশ্লীল বিষয়গুলো যে-ক্ষতি করে

সব ধরনের যৌন বিষয়ক তথ্য টেলিভিশন, সিনেমা, মিউজিক ভিডিও এবং ইন্টারনেটগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই পাওয়া যায়। অনেকে আমাদের যেমন বিশ্বাস করাতে চায়, অশ্লীল বিষয় সংক্রান্ত, মনে এঁকে রাখা যৌন ছবিগুলোর অদম্য অবাঞ্ছিত প্রবেশে কি আসলে কোনোই ক্ষতি নেই? *

প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর অশ্লীল বিষয়গুলোর বিভিন্ন প্রভাব

এর সমর্থকরা যাই বলুক না কেন, যৌনতা এবং যৌন আচরণ সম্বন্ধে লোকেদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর অশ্লীল বিষয়গুলো এক গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ফ্যামিলি রিসার্চ আ্যন্ড এডুকেশন এর গবেষকরা এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, “অশ্লীল বিষয়গুলোর সংস্পর্শে আসা, দর্শকদের মধ্যে যৌন বিষয়ে নীতিভ্রষ্ট প্রবণতাগুলো গড়ে তোলার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়।” গবেষণা অনুসারে, “ধর্ষণ রূপকথা (এমন এক বিশ্বাস যে, নারীরাই ধর্ষণের কারণ ও তা উপভোগ করে এবং ধর্ষণকারীরা স্বাভাবিক) সেই পুরুষদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যারা নিয়মিত অশ্লীল বিষয়গুলো দেখে থাকে।”

কিছু গবেষক বলে যে, অনবরত অশ্লীল বিষয়গুলো দেখা স্বাভাবিক বৈবাহিক অন্তরঙ্গতা উপভোগ করার ক্ষমতা ও তাতে রত হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। যৌনাসক্ত রোগীদের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ড. ভিক্টর ক্লাইন লক্ষ করেছেন যে, অশ্লীল চিত্রগুলো দেখার বিষয়টা মনের মধ্যে বার বার উদয় হয়। যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তা হলে অশ্লীল চিত্রগুলো যা হঠাৎ করে দেখা শুরু হয়েছে, তা শেষ পর্যন্ত যৌন সম্বন্ধীয় আরও জঘন্য, বিপথগামী হওয়ার মতো বিষয়বস্তু দেখার দিকে পরিচালিত করতে পারে। তিনি দাবি করেন যে, এটা নীতিভ্রষ্ট যৌনক্রিয়াগুলো করার দিকে নিয়ে যেতে পারে। মানব স্বভাব নিয়ে গবেষণাকারী বিজ্ঞানীরাও এর সঙ্গে একমত। ড. ক্লাইন রিপোর্ট করেন যে, “এভাবে যেকোনো ধরনের নীতিভ্রষ্ট যৌন আচরণে লিপ্ত হওয়া যেতে পারে . . . আর তা এমনকি নিজেকে দোষী মনে করার প্রগাঢ় অনুভূতির দ্বারাও নির্মূল করা যাবে না।” শেষ পর্যন্ত সেই দর্শক হয়তো অশ্লীল চিত্রে দেখা অনৈতিক কল্পনাগুলোকে বাস্তবে করার চেষ্টাও করতে পারে আর প্রায়ই তা ধ্বংসাত্মক ফল নিয়ে আসে।

উপসংহারে ক্লাইন বলেন যে, এই সমস্যাটা হয়তো ধীরে ধীরে এবং গোপনভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি বলেন: “ক্যানসারের মতো, এটা বাড়তে এবং ছড়াতেই থাকে। এটার বৃদ্ধি কদাচিৎ ব্যাহত হয় আর এটার চিকিৎসা ও সুস্থ করাও খুবই কঠিন। পুরুষ আসক্ত ব্যক্তির এটাকে অস্বীকার করা এবং সমস্যার মুখোমুখি হতে প্রত্যাখ্যান করা হল প্রায়ই স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া এবং এটা প্রায় সবসময়ই বৈবাহিক বা দাম্পত্য কলহ, কখনও কখনও বিবাহবিচ্ছেদ ও মাঝেমধ্যে অন্যান্য অন্তরঙ্গ সম্পর্কগুলো ভেঙে যাওয়ার দিকে পরিচালিত করতে পারে।”

অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে যে-ক্ষতি হয়

পরিসংখ্যান দেখায় যে, অশ্লীল বিষয়গুলোর প্রাথমিক দর্শকদের মধ্যে রয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ছেলেরা। বস্তুত, অনেকের কাছে যৌন সম্বন্ধীয় শিক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক উৎস হল অশ্লীল বিষয়বস্তু। এর অত্যন্ত বিপদজনক পরিণতিগুলো রয়েছে। একটা রিপোর্ট বলে, “কিশোরী বয়সে গর্ভবতী হয়ে পড়ার এবং এইডসের মতো যৌনসংক্রামক রোগগুলোর বিষয়ে অশ্লীল বিষয়গুলোতে কখনোই বর্ণনা দেওয়া হয় না, বরং এক ভুল ধারণা দেয় যে, অশ্লীল বিষয়গুলোতে বর্ণিত আচরণগুলোর কোনো খারাপ পরিণতি নেই।”

এ ছাড়া কিছু গবেষক বলে যে, অশ্লীল চিত্র দেখা একজন বাচ্চার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকেও ব্যাহত করতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর মিডিয়া এডুকেশন এর সভাপতি ড. জুডিথ রাইসম্যান উপসংহারে বলেন: “অশ্লীল চিত্রের দৃশ্য ও শব্দগুলোর প্রতি মস্তিষ্কের সহজাত সাড়া প্রদানে স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য কীভাবে প্রভাবিত হয় সেই সম্বন্ধে পর্যবেক্ষণগুলো ইঙ্গিত করে যে, অশ্লীল চিত্র দেখা শারীরিকভাবে এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, যা সবদিক জেনেবুঝে কিছু গ্রহণ করার স্বাভাবিক প্রণালীকে বাতিল করে দেয়—এবং তা শিশুদের [গড়নযোগ্য] ‘নমনীয়’ মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর কারণ এটা তাদের বাস্তবতা বোঝার ক্ষমতাকে বিপন্ন করে দেয় আর এভাবে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে, তাদের মঙ্গল ও সুখ অনুধাবনে ক্ষতি করে।”

সম্পর্কগুলোর ওপর বিভিন্ন প্রভাব

অশ্লীল বিষয়গুলো বিভিন্ন মনোভাব গড়ে তোলে ও আচরণে প্রভাব ফেলে। এর বার্তাগুলো মূলত প্রলোভনমূলক কারণ সেগুলো হল কল্পনা আর তাই বাস্তবতার চেয়ে আরও বেশি রোমাঞ্চকরভাবে উপস্থাপন করা হয়। (“কোন বার্তাকে আপনি গ্রহণ করবেন?” শিরোনামের বাক্সটি দেখুন।) “যে-ব্যক্তিরা অশ্লীল বিষয়গুলো দেখে থাকে, তারা অবাস্তব প্রত্যাশাগুলো গড়ে তোলে, যা সম্পর্কগুলো নষ্ট করার দিকে পরিচালিত করে,” একটা রিপোর্ট বলে।

অশ্লীল বিষয়গুলো নির্ভরতা ও সততাকে ধ্বংস করে দিতে পারে, যে-গুণগুলো বিবাহে অপরিহার্য। এটা যেহেতু মূলত গোপনে দেখা হয়, তাই অশ্লীল বিষয়গুলোর ব্যবহার প্রায়ই প্রতারণা ও মিথ্যা বলার দিকে পরিচালিত করে। সঙ্গীরা অনুভব করে যে, তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তারা বুঝতে পারে না যে, কেন তাদের বিবাহ সঙ্গী আগের মতো কাম্যভাবে তাদের দেখে না।

আধ্যাত্মিক ক্ষতি

অশ্লীল বিষয়গুলোর ব্যবহার গুরুতর আধ্যাত্মিক ক্ষতি করে। ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে এমন একজন ব্যক্তির জন্য এটা প্রকৃতই এক প্রতিবন্ধক হতে পারে। * বাইবেল যৌনকামনাকে লোভ ও প্রতিমাপূজার সঙ্গে তুলনা করেছে। (কলসীয় ৩:৫) যে-ব্যক্তি কোনো কিছুর প্রতি লোভ করেন, তিনি সেটা পেতে এতটাই আকুল হয়ে পড়েন যে, এটা তার জীবনে সর্বপ্রধান বিষয় হয়ে ওঠে আর তা বাকি সমস্তকিছুকে ঢেকে ফেলে। বস্তুতপক্ষে, যারা অশ্লীল বিষয়বস্তুর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে তারা নিজেদের যৌন আকাঙ্ক্ষাকে ঈশ্বরের ঊর্ধ্বে রাখে। এভাবে তারা এটাকে তাদের উপাস্য বস্তু করে তোলে। যিহোবা ঈশ্বরের আজ্ঞা বলে: “আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।”—যাত্রাপুস্তক ২০:৩.

অশ্লীল বিষয়বস্তু প্রেমময় সম্পর্কগুলোকে নষ্ট করে। প্রেরিত পিতর যিনি নিজে একজন বিবাহিত ব্যক্তি ছিলেন, তিনি খ্রিস্টান স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের সমাদর করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যে-স্বামী তা করতে ব্যর্থ হন, তিনি দেখবেন যে, ঈশ্বরের কাছে করা তার প্রার্থনাগুলো রুদ্ধ হচ্ছে। (১ পিতর ৩:৭) গোপনে নারীদের অশোভন ছবিগুলো দেখা কি একজনের নিজের স্ত্রীর প্রতি সমাদর দেখানো হবে? স্ত্রী যদি তা জানতে পারেন, তা হলে তিনি কেমন বোধ করবেন? আর ঈশ্বর যিনি ‘সমস্ত কর্ম্ম বিচারে আনিবেন’ এবং যিনি “আত্মা সকল তৌল” করেন, তিনিই বা কী মনে করবেন? (উপদেশক ১২:১৪; হিতোপদেশ ১৬:২) যে-ব্যক্তি অশ্লীল বিষয়গুলো দেখে থাকে, তার প্রার্থনাগুলো ঈশ্বর শুনবেন এমনটা আশা করার কোনো কারণ কি রয়েছে?

পরিণতিগুলোকে উপেক্ষা করে স্বার্থপর আকাঙ্ক্ষাকে চরিতার্থ করা অশ্লীল বিষয়গুলো দেখার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই, অশ্লীল চিত্র দেখা প্রেমের প্রকাশ নয়। এটা সতীত্ব এবং ঈশ্বরের সামনে এক শুদ্ধ নৈতিক মান বজায় রাখার জন্য একজন খ্রিস্টানের লড়াইকে দুর্বল করে দেয়। “ঈশ্বরের ইচ্ছা এই,” প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন, “যেন তোমরা ব্যভিচার হইতে দূরে থাক, তোমাদের প্রত্যেক জন যেন, . . . কামাভিলাষে নয়, কিন্তু পবিত্রতায় ও সমাদরে নিজ নিজ পাত্র লাভ করিতে জানে। কেহ যেন সীমা অতিক্রম করিয়া এই ব্যাপারে আপন ভ্রাতাকে না ঠকায়।”—১ থিষলনীকীয় ৪:৩-৭.

অশ্লীল বিষয়গুলো বিশেষ করে নারী ও বাচ্চাদের শোষণ করে। এটা তাদেরকে ছোট করে এবং তাদের মর্যাদা ও অধিকারগুলো কেড়ে নেয়। যারা অশ্লীল চিত্রগুলো দেখে থাকে, তারা শোষণ করার এই কাজে অংশ নেয় ও সেটা সমর্থন করে। “একজন ব্যক্তি নিজেকে যত ভাল . . . বলেই মনে করুন না কেন,” গবেষক স্টিভেন হিল এবং গবেষিকা নিনা সিলভার উল্লেখ করেন, “তার নীরবে অশ্লীলতাকে সমর্থন করা তাকে এমনকি সেই ব্যক্তি, যার জন্য তার চিন্তা রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন, তার প্রতি ভাল পরিস্থিতিগুলোতে [অসংবেদনশীল], খারাপ পরিস্থিতিগুলোতে নারীবিদ্বেষী করে তোলে।”

অশ্লীল বিষয়গুলোর অভ্যাস থেকে মুক্ত হওয়া

আপনি যদি বর্তমানে অশ্লীল বিষয়গুলোর আসক্তির সঙ্গে লড়াই করে থাকেন, তা হলে কী? এই আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য কি কিছু করা যায়? বাইবেল আশা জোগায়! খ্রিস্টকে জানার আগে, প্রাথমিক খ্রিস্টানদের কেউ কেউ ব্যভিচারী, পারদারিক এবং লোভী ছিল। “কিন্তু তোমরা . . . আপনাদিগকে ধৌত করিয়াছ,” পৌল বলেছিলেন। সেটা কীভাবে সম্ভব হয়েছিল? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন: “আমাদের ঈশ্বরের আত্মায় . . . পবিত্রীকৃত হইয়াছ।”—১ করিন্থীয় ৬:৯-১১.

ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার শক্তিকে কখনও উপেক্ষা করবেন না। “ঈশ্বর বিশ্বাস্য,” বাইবেল বলে, “তিনি তোমাদের প্রতি তোমাদের শক্তির অতিরিক্ত পরীক্ষা [“প্রলোভন,” NW] ঘটিতে দিবেন না।” বাস্তবিকই, তিনি রক্ষার পথ করে দেবেন। (১ করিন্থীয় ১০:১৩) ঐকান্তিক প্রার্থনা—আপনার সমস্যাটা ঈশ্বরের সামনে বার বার তুলে ধরা—ফল নিয়ে আসবে। ঈশ্বরের বাক্য উৎসাহ দেয়: “তুমি সদাপ্রভুতে আপনার ভার অর্পণ কর; তিনিই তোমাকে ধরিয়া রাখিবেন।”—গীতসংহিতা ৫৫:২২.

অবশ্য, আপনাকে আপনার প্রার্থনাগুলোর সঙ্গে মিল রেখে কাজ করতে হবে। অশ্লীল বিষয়গুলোকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য আপনার সুচিন্তিত ও আন্তরিক সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। একজন নির্ভরযোগ্য বন্ধু বা পরিবারের সদস্য অমূল্য সাহায্য প্রদান করতে পারেন, আপনার সংকল্পে স্থির থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন ও উৎসাহ জোগাতে পারেন। (“সাহায্য পাওয়া” শিরোনামের বাক্সটি দেখুন।) এই ধরনের কাজ নিশ্চিতভাবে ঈশ্বরকে খুশি করবে, তা মনে রাখা আপনাকে আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে সাহায্য করতে পারে। (হিতোপদেশ ২৭:১১) এ ছাড়া, অশ্লীল চিত্র দেখা ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে তা জানাও এই বিষয়টা ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক অতিরিক্ত প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। (আদিপুস্তক ৬:৫, ৬) এটা এক সহজ লড়াই নয় কিন্তু এটা এমন এক লড়াই, যেটাতে জয়ী হওয়া যায়। অশ্লীল বিষয়গুলোর অভ্যাস থেকে মুক্ত হওয়া যায়!

অশ্লীল চিত্রগুলো দেখার বিপদগুলো হচ্ছে বাস্তব। এটা ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক। যারা এগুলো তৈরি করে তাদের ও যারা তা দেখে তাদের উভয়কেই এটা কলুষিত করে। এটা নারী ও পুরুষদের জন্য অপমানজনক, বাচ্চাদের জন্য বিপদজনক এবং এটা এমন এক অভ্যাস, যেটাকে প্রত্যাখ্যান করা উচিত। (g০৩ ৭/২২)

[পাদটীকাগুলো]

^ ইন্টারনেটে অশ্লীল বিষয়গুলোর বিপদগুলো সম্বন্ধে এক বিস্তারিত আলোচনার জন্য দয়া করে ২০০০ সালের ৮ই জুন সচেতন থাক! (ইংরেজি) পত্রিকার ৩-১০ পৃষ্ঠায় “ইন্টারনেটে অশ্লীল বিষয়গুলো—এটা কী ক্ষতি করতে পারে?” শিরোনামের ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো দেখুন।

^ পর্নোগ্রাফি (অশ্লীল বিষয়গুলো) সম্বন্ধে বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি আলোচনা করার জন্য দয়া করে ২০০২ সালের অক্টোবর - ডিসেম্বর সচেতন থাক! পত্রিকার ১৯-২১ পৃষ্ঠা দেখুন।

[১০ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

সাহায্য পাওয়া

অশ্লীল বিষয়গুলোর অভ্যাস থেকে মুক্ত হওয়ার লড়াইকে কখনও হালকাভাবে দেখা উচিত নয়; এটা এক অত্যন্ত কঠিন এক লড়াই হতে পারে। ড. ভিক্টর ক্লাইন যিনি অসংখ্য যৌনাসক্ত রোগীর চিকিৎসা করেছেন, তিনি বলেন: “নানা প্রতিজ্ঞা করে কিছুই হয় না। সদিচ্ছা বলতে কোনো কথা নেই। আসলে [একজন যৌনাসক্ত ব্যক্তি] নিজে নিজে এটা করতে পারে না।” ক্লাইনের কথানুসারে সফল চিকিৎসার এক পূর্ব শর্ত হল, ব্যক্তি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তা হলে তার সঙ্গীকেও জড়িত করা। “যদি দুজনের চিকিৎসা করা হয়, তা হলে আরও দ্রুত কাজ হয়,” তিনি দাবি করেন। “দুজনেই আহত। দুজনেরই সাহায্যের দরকার।”

ব্যক্তি যদি অবিবাহিত হন, তা হলে প্রায়ই এক নির্ভরযোগ্য বন্ধু বা পরিবারের কোনো সদস্য শক্তির এক স্তম্ভ হতে পারেন। যারই চিকিৎসা করা হোক না কেন, ক্লাইনের একটি অপরিবর্তনীয় নিয়ম রয়েছে: সমস্যা সম্বন্ধে এবং চিকিৎসার পরেও আবার অভ্যাসটাতে রত হয়ে থাকলে, সেই ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলুন। “গোপনীয়তা ‘আপনাকে হত্যা করে,’” তিনি বলেন। “তা লজ্জা ও অপরাধবোধ জাগিয়ে তোলে।”

[৯ পৃষ্ঠার তালিকা]

কোন বার্তাকে আপনি গ্রহণ করবেন?

অশ্লীল বিষয়গুলোর বার্তা বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি

◼ যেকারও সঙ্গে, যেকোনো সময়ে এবং ◼ “সকলের মধ্যে বিবাহ আদরণীয় ও সেই শয্যা

যেকোনো পরিস্থিতিতে যৌনসংসর্গ করা বিমল [হউক]; কেননাবেশ্যাগামীদের বিচার

কোনোভাবেই ভুল নয় ও এর কোনো ঈশ্বর করিবেন।”ইব্রীয় ১৩:৪.

নেতিবাচক পরিণতি নেই।

 

“যে ব্যভিচার করে, সে নিজ দেহের বিরুদ্ধে

পাপ করে।”১ করিন্থীয় ৬:১৮; এ ছাড়া,

রোমীয় ১:২৬, ২৭ পদও দেখুন।

◼ বিবাহ যৌনকামনা মেটানোর ক্ষেত্রে এক ◼ “তুমি আপন যৌবনের ভার্য্যায় আমোদ কর

প্রতিবন্ধক। . . . তাহার প্রেমে তুমি সতত মোহিত

থাক।”হিতোপদেশ ৫:১৮, ১৯; এ ছাড়া,

আদিপুস্তক ১:২৮; ২:২৪;

১ করিন্থীয় ৭:৩ পদও দেখুন।

 

◼ নারীদের কেবল একটাই উদ্দেশ্য ◼ “আমি [যিহোবা ঈশ্বর] তাহার জন্য

রয়েছে—পুরুষদের যৌন চাহিদাগুলো তাহার অনুরূপ [“পরিপূরক,” NW] সহকারিণীনির্ম্মাণ

পূরণ করা। করি।”আদিপুস্তক ২:১৮;

এ ছাড়া, ইফিষীয় ৫:২৮ পদও দেখুন।

◼ পুরুষ ও নারীরা তাদের ◼ “অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন

যৌনবাসনার দাস। আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর,

যথা, বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ,

কুঅভিলাষ, এবং লোভ, এ ত

প্রতিমাপূজা।”কলসীয় ৩:৫.

“তোমাদের প্রত্যেক জন যেন . . . পবিত্রতায়

ও সমাদরে নিজ নিজ পাত্র লাভ করিতে জানে।”

১ থিষলনীকীয় ৪:৪, ৫.

 

“প্রাচীনাদিগকে মাতার ন্যায়,

যুবতীদিগকে সম্পূর্ণ শুদ্ধ ভাবে ভগিনীর ন্যায়”

দেখুন।১ তীমথিয় ৫:১, ২;

এ ছাড়া, ১ করিন্থীয় ৯:২৭ পদও দেখুন।

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

কিছু গবেষক বলে যে, অশ্লীল চিত্র দেখা একজন বাচ্চার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকেও ব্যাহত করতে পারে

[৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

অশ্লীল বিষয়গুলো বিবাহের মধ্যে নির্ভরতা ও সততাকে ধ্বংস করে দিতে পারে

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঐকান্তিক প্রার্থনা ফল নিয়ে আসবে