সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“বাইবেলের বছর”

“বাইবেলের বছর”

“বাইবেলের বছর”

অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে ২০০৩ সাল “বাইবেলের বছর” বলে বর্ণিত হয়েছে। জার্মানির খবরের কাগজ ফ্রাঙ্কফুটের আলগেমেইনে সাইটুং বলে: “প্রথম ও শেষবারের মতো ১৯৯২ সালে এটা উদ্‌যাপন করা হয়েছিল, [গির্জাগুলো] এই ‘জীবন পুস্তক’ সম্বন্ধে লোকেদের সচেতনতাকে বাড়ানোর এবং পবিত্র শাস্ত্রের সাংস্কৃতিক মূল্যের ওপর জোর দেওয়ার লক্ষ্য রেখেছে।”

২০০২ সালের জুন মাসের বিবেলরিপর্ট অনুসারে, ২,২৮৭টি ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করা হয়েছে—অন্তত আংশিকভাবে। হিসাব এও দেখায় যে, এতদিনে প্রায় ৫০০ কোটি বাইবেল বিতরণ করা হয়েছে। এই বিশাল প্রচেষ্টাগুলো স্পষ্টভাবে দেখায় যে, এই বইয়ের প্রতি লোকেদের কত উচ্চ ধারণা রয়েছে।

আজকে, অধিকাংশ লোক হয়তো বিশ্বাস করবে না যে বাইবেল হল ব্যবহারিক। আসলে, অনেকে মনে করে যে বাইবেলের মানগুলো হল সেকেলে এবং অবাস্তব। কিন্তু, বাইবেলের বছরে জার্মানির গির্জাগুলো দুটো বিষয় সম্পাদন করার আশা রাখে—আরও নিখুঁতভাবে বাইবেল অনুযায়ী জীবনযাপন করার জন্য লোকেদের উৎসাহিত করা এবং তাদের মধ্যে বাইবেল সম্বন্ধে উদ্যম জাগিয়ে তোলা, যারা গির্জা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বাইবেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া কোনো সামান্য ব্যাপার নয় কিন্তু এটা নিশ্চিত যে, শাস্ত্রের মুখ্য বিষয়গুলো বোঝার এটা হল এক উত্তম উপায়। তাই একজন ব্যক্তি যিনি বাইবেল থেকে সর্বোত্তম উপকার পেতে চান, তার ২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭ পদের কথাগুলো অবশ্যই মনে রাখা দরকার: “ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্ম্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী, যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্ম্মের জন্য সুসজ্জীভূত হয়।”

জার্মানির কবি ইয়োহান ভল্ফগাং ফন গুয়েটে (১৭৪৯-১৮৩২) এই কথাগুলো বলেছিলেন: “আমি দৃঢ়নিশ্চিত যে, একজন বাইবেলকে যত বেশি বুঝতে পারবে এটি তার কাছে তত বেশি আগ্রহজনক হয়ে উঠবে।” বাস্তবিকই, একমাত্র ঈশ্বরের বাক্যে আমরা যথার্থ ব্যাখ্যা পাই যে, আমরা কোথা থেকে এসেছি, কেন আমরা এখানে রয়েছি ও আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে!—যিশাইয় ৪৬:৯, ১০. (g০৩ ৯/২২)

[৩১ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

From the book Bildersaal deutscher Geschichte