সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

চিকিৎসাপদ্ধতির প্রতিবন্ধকতা

চিকিৎসাপদ্ধতির প্রতিবন্ধকতা

চিকিৎসাপদ্ধতির প্রতিবন্ধকতা

“এমন কোনো ডায়াবিটিস নেই যা গুরুতর নয়। এগুলো সবই খুব বিপদজনক।”—আ্যন ডেলি, আ্যমেরিকান ডায়াবিটিস এসোসিয়েশন।

“আপনার রক্তের পরীক্ষাগুলোতে বেশ অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। আপনার জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার প্রয়োজন।” ডাক্তারের এই কথাগুলো শুনে ডেবোরার মাথায় যেন বাজ পড়েছিল। “সেদিন সারারাত ধরে আমি ভেবেছি যে, নিশ্চয়ই ল্যাবরেটরির ভুল হয়েছে,” তিনি বলেন। “আমি নিজেকে বুঝিয়েছি যে আমার অসুখ হতে পারে না।”

অনেক লোকের মতো ডেবোরা ভেবেছিলেন যে, তিনি বেশ সুস্থসবল আর তাই তিনি ক্রমাগত জ্বালাতনকর উপসর্গগুলোকে উপেক্ষা করেছিলেন। তিনি যে-আ্যলার্জির ওষুধ খাচ্ছিলেন, সেটাকে তার সবসময় পিপাসা পাওয়ার কারণ বলে মনে করেছিলেন। বার বার প্রশ্রাব লাগার কারণ হিসেবে তিনি অতিরিক্ত জল খাওয়াকে শনাক্ত করেছিলেন। আর ক্লান্ত হওয়া—কোন কর্মজীবি মা-ই ক্লান্ত হন না?

কিন্তু এরপর রক্তের একটা পরীক্ষা নিশ্চিত করেছিল যে, ডায়াবিটিসই ছিল মূল কারণ। রোগনির্ণয়ের রিপোর্টটা মেনে নেওয়া ডেবোরার জন্য খুবই কঠিন ছিল। “আমি কাউকে আমার অসুখ সম্বন্ধে বলিনি,” তিনি বলেন। “রাতে পরিবারের সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ত, তখন আমি অন্ধকারের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকতাম ও কাঁদতাম।” ডায়াবিটিস হয়েছে তা শুনে কেউ কেউ ডেবোরার মতো প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, যেগুলোর মধ্যে হতাশায় ভোগা এবং রেগে যাওয়াও অন্তর্ভুক্ত। “আমি বেশ কয়েক দিন ধরে কেঁদেছি এবং বাস্তবকে মেনে নিতে চাইনি,” ক্যারেন বলেন।

অন্যায্য এক আকস্মিক দুর্দশা বলে মনে হয় এমন বিষয়ের প্রতি এগুলো স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। যাইহোক, যাদের ডায়াবিটিস রয়েছে তারা সহযোগিতার মাধ্যমে তা মানিয়ে নিতে পারে। “আমার নার্স আমাকে এই অবস্থা মেনে নিতে সাহায্য করেছিলেন,” ক্যারেন বলেন। “তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে কাঁদাটা স্বাভাবিক। এভাবে আবেগ প্রকাশ করা আমাকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছিল।”

যেকারণে গুরুতর

ডায়াবিটিসকে “জীবন যন্ত্রের এক বিশৃঙ্খলা” বলা হয়েছে আর তা উপযুক্ত কারণেই। শরীর যখন গ্লুকোজ শোষণ করে তা কাজে লাগাতে পারে না, তখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রক্রিয়ার কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কখনও কখনও জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিণতিগুলো দেখা দিতে পারে। “লোকেরা সরাসরি ডায়াবিটিসের কারণে মারা যায় না,” ড. হার্ভে কাটসেফ বলেন, “তারা এর ফলে সৃষ্ট জটিলতাগুলোর কারণে মারা যায়। আমরা জটিলতাগুলো প্রতিরোধ করায় যথেষ্ট দক্ষ কিন্তু একবার সেগুলো দেখা দিলে তা মোকাবিলা করায় দক্ষ নই।” *

যারা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত তাদের কি কোনো আশা রয়েছে? হ্যাঁ—যদি তারা রোগের গুরুতরতাকে বোঝে ও চিকিৎসাপদ্ধতিকে মেনে নেয়। *

খাদ্যতালিকা ও ব্যায়াম

যদিও টাইপ ১ ডায়াবিটিসকে প্রতিরোধ করা যায় না, তবুও বিজ্ঞানীরা বংশগত ঝুঁকির কারণগুলো নিয়ে গবেষণা এবং রোগপ্রতিরোধ তন্ত্রের আক্রমণ দমন করার উপায়গুলো খোঁজার চেষ্টা করছে। (৮ পৃষ্ঠার “গ্লুকোজের ভূমিকা” বাক্সটা দেখুন।) “টাইপ ২ ডায়াবিটিসের অবস্থা কিছুটা আশাপ্রদ,” ডায়াবিটিস—আপনার আবেগ ও সেইসঙ্গে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া (ইংরেজি) বইটা বলে। “যাদের বংশগত কারণে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের অনেকে শুধু সুষম খাবার খেয়ে ও নিয়মিত ব্যায়াম করে এবং এর ফলে শারীরিকভাবে সুস্থ থেকে ও তাদের ওজনকে স্বাভাবিক সীমার মধ্যে রেখে এই রোগের যেকোনো লক্ষণকে এড়াতে পারে।” *

ব্যায়াম করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জার্নাল অফ দি আ্যমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন মহিলাদের নিয়ে এক বিরাট গবেষণার ওপর রিপোর্ট করেছিল। গবেষণা করে দেখা গিয়েছিল যে, “অল্প সময়ের জন্য শারীরিক কর্মতৎপরতা [দেহকোষগুলোর দ্বারা] ইনসুলিন মধ্যস্থতাকারী গ্লুকোজের শোষণকে ২৪ ঘন্টার চেয়েও বেশি সময়ের জন্য বৃদ্ধি করে।” তাই, রিপোর্ট এই উপসংহারে পৌঁছায় যে, “হাঁটা ও সক্রিয় কর্মতৎপরতা দুটোই মহিলাদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি অনেকখানি কমাতে সাহায্য করে।” গবেষণাকারীরা সপ্তাহের প্রতিদিন না হলেও বেশির ভাগ দিনই অন্তত ৩০ মিনিট পরিমিত শারীরিক কর্মতৎপরতার পরামর্শ দেন। হাঁটার মতো সাধারণ বিষয়ও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, যেটা আ্যমেরিকান ডায়াবিটিস এসোসিয়েশন কমপ্লিট গাইড টু ডায়াবিটিস বলে, “হয়তো সবচেয়ে ভাল, নিরাপদ ও কম ব্যয়ের ব্যায়াম।”

কিন্তু, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত লোকেদের ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থেকে ব্যায়াম করা উচিত। এর একটা কারণ হল, ডায়াবিটিস নালীতন্ত্র ও স্নায়ুগুলোর ক্ষতি করতে পারে আর এভাবে রক্ত সংবহন ও স্পর্শানুভূতিকে প্রভাবিত করে। তাই, পায়ে এক সাধারণ আঁচড় অলক্ষিত থেকে যেতে পারে, পরে সংক্রামিত হয়ে একটা ঘায়ে পরিণত হতে পারে—এক গুরুতর অবস্থা যা সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না করালে পা কেটে ফেলতে হতে পারে। *

তা সত্ত্বেও, নিয়মিত ব্যায়াম ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এডিএ কমপ্লিট গাইড বলে, “গবেষকরা নিয়মিত ব্যায়াম করার উপকারগুলো নিয়ে যত বেশি গবেষণা করে, ততই তারা এর প্রমাণ দেখতে পায়।”

ইনসুলিন চিকিৎসাপ্রণালী

ডায়াবিটিস রয়েছে এমন অনেকের সুষম খাদ্যতালিকা ও ব্যায়ামের কার্যক্রম ছাড়াও প্রতিদিন গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করতে ও কয়েক বার ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হবে। সুষম খাদ্যতালিকা ও ব্যায়ামের উত্তম তালিকার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতি হওয়ার ফলে, যাদের টাইপ ২ ডায়াবিটিস রয়েছে তাদের কিছু জন অন্তত কিছু সময়ের জন্য ইনসুলিন চিকিৎসাপ্রণালী বন্ধ করতে পেরেছিলেন। * ক্যারেন যার টাইপ ১ ডায়াবিটিস রয়েছে, তিনি দেখতে পেয়েছিলেন যে ব্যায়াম তার নেওয়া ইনসুলিন ইনজেকশনের কার্যকারিতাকে বাড়ায়। ফলে, তিনি তার প্রতিদিনের ইনসুলিন চাহিদার শতকরা ২০ ভাগ কমাতে পেরেছিলেন।

তবে, ইনসুলিন নেওয়ার দরকার হলে, ডায়াবিটিস রোগীর নিরুৎসাহ হওয়ার কোনো কারণ নেই। “ইনসুলিন নেওয়া আপনার ব্যর্থতাকে প্রকাশ করে না,” মেরি আ্যন বলেন, যিনি একজন নিবন্ধিত নার্স ও অনেক ডায়াবিটিস আক্রান্ত রোগীর যত্ন নেন। “আপনার যে ধরনের ডায়াবিটিসই থাকুক না কেন, আপনি যদি সতর্কতার সঙ্গে আপনার রক্তশর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করেন, তা হলে আপনি অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলো কমাতে পারবেন।” বাস্তবিকপক্ষে, সম্প্রতি করা এক গবেষণা প্রকাশ করেছিল যে, টাইপ ১ আক্রান্ত রোগীরা যারা কঠোরভাবে তাদের রক্তশর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করেছিল, তারা “ডায়াবিটিসের কারণে উদ্ভূত চোখ, কিডনি ও স্নায়ুর রোগগুলোকে অনেকখানি কমাতে পেরেছিল।” উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চোখের রোগের (Retinopathy) ঝুঁকি শতকরা ৭৬ ভাগ কমে গিয়েছিল! টাইপ ২ আক্রান্ত যে-রোগীরা কঠোরভাবে তাদের রক্তশর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে তারাও একই উপকারগুলো উপভোগ করে।

ইনসুলিন চিকিৎসাপ্রণালী সহজ ও কম যন্ত্রণাদায়ক করার জন্য সিরিঞ্জ ও ইনসুলিন পেনগুলোর—সর্বাধিক ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো—অতিসূক্ষ্ম সুঁই রয়েছে, যাতে একেবার কম ব্যথা লাগে। “প্রথম ইনজেকশনটা নেওয়ার সময় সবচেয়ে খারাপ লাগে,” মেরি আ্যন বলেন। “এটার পর, বেশির ভাগ রোগী বলে যে তাদের বলতে গেলে কোনো অনুভূতি হয় না।” ইনজেকশনের অন্যান্য পদ্ধতিগুলোর অন্তর্ভুক্ত স্বয়ংক্রিয় ইনজেকটর, যেগুলো কোনো ব্যথা ছাড়াই সুঁইকে চামড়ার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়, জেট ইনজেকটর যেগুলো আক্ষরিকভাবে এক ঝঁটকায় ইনসুলিনকে চামড়ায় ঢুকিয়ে দেয় আর ইনফিউজার যেগুলো একটা ক্যাথিটার ব্যবহার করে সেখানেই দুতিন দিন থাকে যেখানে ইনজেকশন দেওয়া হয়। প্রায় একটা পকেট পেজারের সমান ইনসুলিন পাম্প সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আগে থেকে প্রোগ্রাম করা এই যন্ত্র একটা ক্যাথিটারের মাধ্যমে শরীরের প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রায় ইনসুলিন প্রয়োগ করে, ইনসুলিনের প্রতিকারক প্রয়োগকে আরও সঠিক এবং সুবিধাজনক করে তোলে।

শিখে চলুন

সমস্তকিছু বিবেচনা করার পরও বলা হয় যে, ডায়াবিটিসের জন্য এমন কোনো চিকিৎসাপ্রণালী নেই যা সমস্ত ক্ষেত্রে কার্যকর। চিকিৎসাপ্রণালী বিবেচনা করার সময়, প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। “আপনি এমনকি এক চিকিৎসক দলের তত্ত্বাবধানে থাকলেও,” মেরি আ্যন বলেন, “সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক আপনিই।” ডায়াবিটিস কেয়ার পত্রিকা বলে: “সুশৃঙ্খল স্ব-নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা ছাড়া ডায়াবিটিসের চিকিৎসাপ্রণালী নিম্নমানের ও নীতিবিরুদ্ধ বলে গণিত হতে পারে।”

ডায়াবিটিস রয়েছে এমন লোকেরা তাদের রোগ সম্বন্ধে যত বেশি জানবে, তাদের স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তারা তত বেশি সুসজ্জীভূত হবে এবং আরও দীর্ঘদিন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করবে। কিন্তু কার্যকর শিক্ষার জন্য ধৈর্যের দরকার। ডায়াবিটিস—আপনার আবেগ ও সেইসঙ্গে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া বইটি ব্যাখ্যা করে: “আপনি যদি সমস্তকিছু একবারে শিখে ফেলতে চান, তা হলে আপনি সম্ভবত বিভ্রান্তই হবেন এবং তথ্যকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারবেন না। এ ছাড়া, যে-উপকারী তথ্যগুলো আপনার শেখা দরকার সেগুলোর বেশির ভাগই বই বা পুস্তিকাগুলোতে পাওয়া যায় না। কর্মতালিকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আপনার রক্তশর্করা যেভাবে পরিবর্তিত হয় . . . এটা সেই বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শত চেষ্টার মধ্যে দিয়েই একমাত্র শিক্ষা লাভ করা যেতে পারে।”

উদাহরণস্বরূপ, সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল করে আপনি শেখেন যে, চাপের প্রতি আপনার শরীর কীরকম প্রতিক্রিয়া দেখায়, যা আপনার রক্তশর্করার পরিমাণ হঠাৎ করে বাড়িয়ে দিতে পারে। কেন বলেন, “আমি ৫০ বছর ধরে ডায়াবিটিস নিয়ে বেঁচে আছি আর আমি জানি যে আমার শরীর আমাকে কী বলছে!” তার শরীরের কথা “শোনা” উপকারজনক প্রমাণিত হয়েছে কারণ কেন এখনও পূর্ণ-সময় কাজ করতে সমর্থ—যদিও তার বয়স এখন ৭০ বছরেরও বেশি!

পারিবারিক সহযোগিতার গুরুত্ব

ডায়াবিটিস চিকিৎসায় যে বিষয়টা উপেক্ষা করা উচিত নয় তা হল পরিবারের সহযোগিতা। বস্তুত, একটা তথ্যগ্রন্থ বলে যে, ছোট ও প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে “একত্রে পারিবারিক জীবন কীরকম সেটাই সম্ভবত সবচেয়ে অন্যতম বিষয়।”

পরিবারের সদস্যরা যখন ডায়াবিটিস সম্বন্ধে শেখে, এমনকি পালা করে বিভিন্ন সদস্য রোগীর সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যায়, তখন তা উপকারজনক হয়। জ্ঞান তাদেরকে সহযোগিতা করতে, গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গগুলো শনাক্ত করতে এবং কীভাবে সাড়া দিতে হবে তা জানতে সাহায্য করবে। টেড, যার স্ত্রীর চার বছর বয়স থেকে টাইপ ১ ডায়াবিটিস হয়েছে, তিনি বলেন: “বারবারার চিনির পরিমাণ কখন একেবারে কমে যায়, তা আমি বলতে পারি। সে কথা বলার মাঝখানে হঠাৎ চুপ হয়ে যায়। সে প্রচণ্ড ঘামতে থাকে এবং অযথা রেগে যায়। আর কোনো কিছুর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানো কমে যায়।”

একইভাবে, কেনের স্ত্রী ক্যাথরিন যখন খেয়াল করেন যে কেন ফ্যাকাশে ও ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছেন এবং তিনি যখন তার আচরণে পরিবর্তন দেখেন, তখন তিনি তাকে একটা সাধারণ অঙ্ক কষতে দেন। কেনের বিভ্রান্তি ক্যাথরিনকে বলে দেয় যে, এই সময় কেনের নয় কিন্তু তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ও এই অবস্থা প্রতিকারের জন্য তাড়াতাড়ি কাজ করতে হবে। কেন ও বারবারা ডায়াবিটিস সম্বন্ধে জ্ঞান রয়েছে এমন বিবাহ সাথিদের পেয়ে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, যাদের তারা ভালবাসে ও যাদের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে। *

পরিবারের প্রেমময় সদস্যদের সহযোগিতা করতে, দয়ালু ও ধৈর্যশীল হতে প্রাণপণ চেষ্টা করা উচিত—যে-গুণগুলো অসুস্থ ব্যক্তিকে জীবনের কঠিন সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে আর এমনকি তাদের রোগের গতিপথে উন্নতি হওয়ার জন্য প্রভাবিত করতে সাহায্য করতে পারে। ক্যারেনের স্বামী তাকে বার বার আশ্বাস দেন যে, তিনি তাকে ভালবাসেন আর এটার এক বিরাট ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। ক্যারেন বলেন: “নাইজেল আমাকে বলেছিল, ‘বেঁচে থাকার জন্য লোকেদের খাবার ও জল খেতে হয়, ঠিক তেমনই তোমারও খাবার ও জল দরকার—আর সেইসঙ্গে সামান্য পরিমাণ ইনসুলিন।’ এই উষ্ণ অথচ বাস্তবসম্মত কথাগুলোই আমার দরকার ছিল।”

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের এটাও বোঝা দরকার যে, রক্তশর্করার পরিমাণ ওঠানামা করার সঙ্গে ডায়াবিটিস একজনের মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে। একজন মহিলা বলেন, “আমি যখন চিনির পরিমাণ ওঠানামার কারণে বিষণ্ণ বোধ করি, তখন আমি একেবারে চুপ হয়ে যাই, খেয়ালি হয়ে যাই, সহজেই রেগে যাই এবং হতাশ বোধ করি। এরপর আমি এতটা ছেলেমি করেছি ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কিন্তু আমি যখন বুঝি যে, অন্যেরা আমার এই অনুভূতির—যেগুলো আমি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি—কারণ জানে, তখন কিছুটা স্বস্তি বোধ করি।”

ডায়াবিটিস সফলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, বিশেষ করে রোগী যদি বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সহযোগিতা পান। বাইবেলের নীতিগুলোও সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? (g০৩ ৫/০৮)

[পাদটীকাগুলো]

^ জটিলতাগুলোর অন্তর্ভুক্ত হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি সমস্যা, প্রান্তীয় ধমনী রোগ এবং স্নায়ু অকেজো হয়ে পড়া। পায়ে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হওয়ায় ঘা হতে পারে, যা তীব্র হলে আক্রান্ত পা কেটে ফেলার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া, ডায়াবিটিসের কারণে প্রায়ই বয়স্করা অন্ধ হয়ে যায়।

^ সচেতন থাক! কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসাপদ্ধতিকে সুপারিশ করে না। যারা সন্দেহ করে যে তাদের ডায়াবিটিস আছে, তাদের এমন একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত যার এই রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

^ তলপেটের অতিরিক্ত মেদ নিতম্বে থাকা মেদের চেয়ে বেশি বিপদজনক বলে মনে হয়।

^ ধূমপায়ীরা আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কারণ তাদের ধূমপানের অভ্যাস হৃৎপিন্ড ও সংবহনতন্ত্রের ক্ষতি সাধন করে এবং তা রক্ত নালিকাগুলোকে সরু করে দেয়। একটা তথ্যগ্রন্থ উল্লেখ করে যে, ডায়াবিটিসের কারণে যাদের অঙ্গচ্ছেদ করা হয় তাদের শতকরা ৯৫ ভাগই ধূমপায়ী।

^ এদের মধ্যে কয়েক জন ওষুধ খেয়ে উপকার পেয়েছিলেন। এর অন্তর্ভুক্ত সেই ওষুধগুলো, যেগুলো অগ্নাশয়কে বেশি করে ইনসুলিন নির্গত করতে উদ্দীপিত করে, অন্য ওষুধগুলো রক্তশর্করার বৃদ্ধিকে ধীরগতি করে এবং অন্যগুলো ইনসুলিন প্রতিবন্ধকতাকে কমায়। (টাইপ ১ ডায়াবিটিসের জন্য সাধারণত মুখে খাওয়ার ওষুধ দেওয়া হয় না।) বর্তমানে, ইনসুলিন মুখে খাওয়া যায় না কারণ পরিপাকক্রিয়া এই প্রোটিনকে রক্তপ্রবাহে পৌঁছানোর আগেই ভেঙে ফেলে। ইনসুলিন চিকিৎসাপ্রণালী বা মুখে খাওয়ার ওষুধ কোনোটাই, ব্যায়াম ও সুষম খাবারের প্রয়োজনকে দূর করতে পারে না।

^ চিকিৎসাবিষয়ক কর্তৃপক্ষরা যাদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাদের সবসময় একটা পরিচয়পত্র বহন করার ও ট্যাগ লাগানো এমন কোনো ব্রেসলেট বা চেইন পরতে সুপারিশ করে থাকে, যেখানে তাদের যে ডায়াবিটিস রয়েছে তা বলা থাকে। জরুরি মুহূর্তে এই জিনিসগুলো জীবন বাঁচাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যাওয়াকে অন্য কোনো অসুস্থতা বা মদ খাওয়ার ফলে ঘটা সমস্যা বলে ভুল বোঝা হতে পারে।

[৬ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

অল্পবয়স্কদের এক রোগ?

ডায়াবিটিস “অল্পবয়স্কদের রোগে পরিণত হচ্ছে,” নিউইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই স্কুল অফ মেডিসিন এর একজন প্রধান অন্তঃক্ষরণক্রিয়া বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় প্রধান ডা. আর্থার রুবেনস্টেইন বলেন। ডায়াবিটিস শুরু হওয়ার গড় বয়স লোপ পাচ্ছে। “দশ বছর আগে, আমরা মেডিক্যাল ছাত্রদের শেখাতাম যে তোমরা এই রোগ ৪০ বছর বয়সের নিচের লোকেদের মধ্যে দেখতে পাবে না,” ডায়াবিটিস বিশেষজ্ঞ ডা. রবিন এস. গোল্যান্ড টাইপ ২ ডায়াবিটিস সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেন। “এখন আমরা ১০ বছরের নিচের বাচ্চাদের মধ্যে এটা দেখতে পাচ্ছি।”

কেন অল্পবয়স্কদের মধ্যে ডায়াবিটিস বৃদ্ধি পাচ্ছে? কখনও কখনও বংশগত কারণ জড়িত। তবে ওজন এবং পরিবেশেরও এক ভূমিকা রয়েছে। গত দুই দশকে অস্বাভাবিকরকম মোটা বাচ্চাদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এর কারণ কী? “গত ২০ বছরে খাওয়ার অভ্যাস এবং শারীরিক কার্যক্রমে যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে,” যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ড. উইলিয়াম ডিটস্‌ বলেন। “এগুলোর অন্তর্ভুক্ত ঘরের বাইরের খাবারের ওপর বেশি নির্ভরশীল হওয়া; সকালের জলখাবার না খাওয়া; নেশা হয় না এরূপ কোমল পানীয় এবং ফাস্ট ফুড বেশি খাওয়া; স্কুলগুলোতে [শারীরিক কসরতের শিক্ষা] কমিয়ে দেওয়া এবং স্কুলে ক্লাসের ফাঁকে অবসর দেওয়া।”

ডায়াবিটিস পুরোপুরি সারে না। তাই, একজন কিশোর রোগীর উপদেশ মেনে চলা বুদ্ধিমানের কাজ হবে, যে সাধারণভাবে বলে: “উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন অপুষ্টিকর খাবার থেকে দূরে থাক ও সুস্থ থাক।”

[৮, ৯ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

গ্লুকোজের ভূমিকা

গ্লুকোজ শরীরের কোটি কোটি কোষের শক্তির উৎস। কিন্তু কোষের ভিতরে প্রবেশ করার জন্য এর দরকার একটা “প্রবেশ পথ”—ইনসুলিন, অগ্নাশয় থেকে নির্গত এক রাসায়নিক পদার্থ। টাইপ ১ ডায়াবিটিসে ইনসুলিন থাকে না। টাইপ ২ ডায়াবিটিসে শরীর ইনসুলিন উৎপন্ন করে কিন্তু সাধারণত তা যথেষ্ট নয়। * এ ছাড়া, কোষগুলো ইনসুলিনকে প্রবেশ করতে দিতে চায় না—এটা এমন এক অবস্থা যেটাকে ইনসুলিন প্রতিবন্ধকতা বলা হয়। দুই ধরনের ডায়বেটিসের প্রভাব একই: ক্ষুধার্ত কোষ এবং রক্তে বিপদজনক পরিমাণ শর্করা।

টাইপ ১ ডায়াবিটিসে, একজন ব্যক্তির রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা অগ্নাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী বিটা কোষগুলোকে আক্রমণ করে। তাই, টাইপ ১ ডায়াবিটিস হল স্বরোগপ্রতিরোধ রোগ আর কখনও কখনও এটাকে রোগপ্রতিরোধ-সম্পর্কিত ডায়াবিটিস বলে। যে-উপাদানগুলো রোগপ্রতিরোধ বিক্রিয়ার সূত্রপাত করতে পারে, সেগুলোর অন্তর্ভুক্ত ভাইরাস, বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ এবং নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ। এর মধ্যে বংশানুগতির গঠনও থাকতে পারে কারণ টাইপ ১ ডায়াবিটিস প্রায়ই কিছু পরিবারগুলোতে দেখা যায় আর এটা ককেশীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

টাইপ ২ ডায়াবিটিসে বংশগত কারণ এমনকি আরও বেশি প্রবল, তবে এটা ন-ককেশীয়দের মধ্যে বেশি মাত্রায় রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী এবং আমেরিকার আদিবাসীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত আর বিশ্বে আমেরিকার আদিবাসীদের টাইপ ২ ডায়াবিটিসের হার সবচেয়ে বেশি। গবেষকরা বংশানুগতি ও মোটা হওয়ার মধ্যে সম্পর্ক আর সেইসঙ্গে অতিরিক্ত মেদ যেভাবে বংশগত কারণে ডায়াবিটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন লোকেদের মধ্যে ইনসুলিনের প্রতিবন্ধকতা বাড়ায় বলে মনে হয়, সেই বিষয়ে গবেষণা করছে। * টাইপ ১ এর বিপরীতে, টাইপ ২ ডায়াবিটিস প্রধানত তাদের হয় যাদের বয়স ৪০ এর ওপরে।

[পাদটীকাগুলো]

^ ডায়াবিটিস হয়েছে এমন প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ লোকেরই টাইপ ২ ডায়বেটিস রয়েছে। আগে, এটাকে “নন-ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট” বা “আ্যডাল্ট অনসেট” ডায়াবিটিস হিসেবে উল্লেখ করা হতো। কিন্তু, এই অভিব্যক্তিগুলো সঠিক নয় কারণ টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত শতকরা ৪০ ভাগ লোকের ইনসুলিন দরকার হয়। এ ছাড়া, আশঙ্কাজনক সংখ্যক অল্পবয়স্কদের টাইপ ২ ডায়াবিটিস ধরা পড়েছে, যাদের কিছু জন এমনকি কিশোর বয়সে পা দেয়নি।

^ সাধারণত একজনকে অতিরিক্ত মোটা মনে করা হয় যদি তার ওজন শরীরের আদর্শ ওজনের চেয়ে শতকরা ২০ ভাগ বেশি হয়।

[চিত্র]

গ্লুকোজ অণু

[সৌজন্যে]

Courtesy: Pacific Northwest National Laboratory

[৯ পৃষ্ঠার বাক্স]

অগ্নাশয়ের ভূমিকা

প্রায় একটা কলার আকারের সমান অগ্নাশয় পাকস্থলীর ঠিক পিছনে থাকে। দি আনঅফিসিয়াল গাইড টু লিভিং উইথ ডায়াবিটিস বই অনুসারে, “সুস্থ অগ্নাশয় নিয়মিত এবং সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করে, সারাদিন জুড়ে গ্লুকোজের পরিমাণ ওঠানামা করার সঙ্গে সঙ্গে একেবারে সঠিক পরিমাণ ইনসুলিন নির্গত করে রক্তশর্করার পরিমাণ সুষম, স্থির রাখে।” অগ্নাশয়ের মধ্যে বিটা কোষগুলো হল হরমোন ইনসুলিনের উৎস।

বিটা কোষগুলো যখন যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন করতে পারে না, তখন রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধি পায়, ফলে হাইপারগ্লায়সেমিয়া ঘটায়। এর বিপরীত অবস্থাকে—রক্ত শর্করার পরিমাণ হ্রাস—হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। অগ্নাশয়ের সঙ্গে একত্রিত হয়ে, যকৃৎ অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্লায়কোজেন আকারে মজুত রাখার দ্বারা রক্তশর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অগ্নাশয়ের নির্দেশে যকৃৎ দেহের ব্যবহারের জন্য গ্লায়কোজেনকে আবার গ্লুকোজে পরিণত করে।

[৯ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

চিনির ভূমিকা

একটা বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা হল যে, বেশি চিনি খেলে ডায়াবিটিস হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রামাণিক তথ্য দেখায় যে মোটা হয়ে যাওয়া—তা চিনি খেয়ে হোক বা না হোক—বংশগত কারণে ডায়াবিটিস হওয়ার সম্ভাবনাপূর্ণ লোকেদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়। তবুও, অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয় কারণ এতে খুব কম পুষ্টি রয়েছে এবং মোটা হয়ে যাওয়ার দিকে পরিচালিত করতে পারে।

আরেকটা ভুল ধারণা হল যে, ডায়াবিটিস রোগীদের চিনির প্রতি এক অস্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে, মিষ্টির প্রতি তাদের অন্যান্য বেশির ভাগ লোকের মতো একইরকম আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। যখন নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তখন ডায়াবিটিস খিদে বাড়িয়ে দিতে পারে—কিন্তু চিনির প্রয়োজনীয়তা নয়। ডায়াবিটিস রোগীরা মিষ্টি খেতে পারে কিন্তু চিনির পরিমাণকে তাদের পুরো খাদ্যতালিকার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো দেখিয়েছে যে, ফ্রুকটোজ সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ ফল ও সবজি থেকে নিঃসরিত চিনি ইনসুলিন প্রতিবন্ধক ঘটাতে পারে আর এমনকি পশুদের মধ্যে ডায়াবিটিস ঘটাতে পারে, তা তাদের ওজন যাই হোক না কেন।

[৮, ৯ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রামস্‌/চিত্রগুলো]

ডায়াবিটিসের সহজ ব্যাখ্যা

অগ্নাশয়

↓ ↓ ↓

স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি টাইপ১ ডায়াবিটিস টাইপ২ ডায়াবিটিস

খাওয়ার পর, অগ্নাশয় অগ্নাশয়ে ইনসুলিনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে অগ্নাশয়

রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ দ্বারা উৎপন্ন বিটা সীমিত পরিমাণে ইনসুলিন

বৃদ্ধিতে সাড়া দেয়, উপযুক্ত কোষগুলো রোগপ্রতিরোধ উৎপন্ন করে

পরিমাণ ইনসুলিন নির্গত করে ব্যবস্থার দ্বারা আক্রান্ত

হয়। ফলে, ইনসুলিন

উৎপন্ন হয় না

↓ ↓ ↓

ইনসুলিন অণুগুলো পেশী ইনসুলিনের সাহায্য ছাড়া, যদি গ্রাহকগুলো ইনসুলিনের

এবং অন্যান্য কোষের গ্লুকোজ অণুগুলো পেশী প্রতি কম সাড়া দেয়, তা

গ্রাহক কোষগুলোর সঙ্গে কোষগুলোতে প্রবেশ করতে হলে প্রবেশপথগুলো, যেগুলোর

সংযুক্ত হয়। ফলে এটা পারে না রক্ত থেকে গ্লুকোজ শোষণ

প্রবেশপথ খুলে দেয়, যা করার জন্য দরকার সেগুলো

গ্লুকোজ অণুগুলোকে প্রবেশ সক্রিয় হয় না

করতে দেয়

↓ ↓ ↓

পেশী কোষগুলো দ্বারা গ্লুকোজ রক্তপ্রবাহে গ্লুকোজ বাড়তে থাকে, অতীব

শোষিত ও দগ্ধ হয়। এভাবে রক্তপ্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলোকে ব্যাহত করে

গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক অবস্থায় এবং ধমনীর প্রাচীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে

ফিরে আসে

[ডায়াগ্রাম]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

কোষ

গ্রাহক

প্রবেশপথ

ইনসুলিন

নিউক্লিয়াস

গ্লুকোজ

[ডায়াগ্রাম]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

রক্ত-সংবহনার্থ ধমনী

লোহিত রক্তকণিকা

গ্লুকোজ

[সৌজন্যে]

মানুষ: The Complete Encyclopedia of Illustration/J. G. Heck

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবার অত্যাবশ্যক

[১০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

ডায়াবিটিস রোগীরা স্বাভাবিক কাজকর্ম উপভোগ করতে পারে