সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বাইবেল যেভাবে ডায়াবিটিস রোগীদের সাহায্য করতে পারে

বাইবেল যেভাবে ডায়াবিটিস রোগীদের সাহায্য করতে পারে

বাইবেল যেভাবে ডায়াবিটিস রোগীদের সাহায্য করতে পারে

ডায়াবিটিসে আক্রান্ত লোকেদের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য ইন্দ্রিয়দমন ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, এই গুণগুলো গড়ে তোলার জন্য রোগীদের সবসময় সহযোগিতা দরকার। তাই, যার ডায়াবিটিস রয়েছে তাকে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবরা অনুপযুক্ত খাবার খেতে প্রলোভিত করবে না, এই কথা বলে যে, ‘শুধু একবার খেলে কিছু হবে না।’ “আমার স্ত্রীর কাছ থেকে আমি উত্তম সহযোগিতা পাই,” হ্যারি বলেন, যার হৃদরোগ ও টাইপ ২ ডায়াবিটিস রয়েছে। “সে বাড়িতে এমন কোনো খাবার রাখে না, যা আমার খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু কেউ কেউ এই বিষয়টা বোঝে না আর তারা জানে না যে, যা খাওয়া উচিত নয় তা আশেপাশে দেখলে, সেটা না খেয়ে থাকাটা মাঝে মাঝে কত কঠিন হয়।”

ডায়াবিটিস রয়েছে এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে যদি আপনি সবসময় থাকেন, তা হলে বাইবেলে পাওয়া নিচের সুন্দর নীতি দুটো সবসময় মনে রাখবেন: “কেহই স্বার্থ চেষ্টা না করুক, বরং প্রত্যেক জন পরের মঙ্গল চেষ্টা করুক,” এবং “প্রেম . . . স্বার্থ চেষ্টা করে না।”—১ করিন্থীয় ১০:২৪; ১৩:৪, ৫.

যারা তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত—তা তাদের ডায়াবিটিস থাকুক আর না-ই থাকুক—তাদের খাবারের অভ্যাস সংযত রেখে ব্যায়াম করা দরকার। এই ক্ষেত্রে বাইবেল সাহায্য করে কারণ এটা আমাদের প্রত্যেকের ইন্দ্রিয়দমন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। আপনি কি আপনার জীবনে এই গুণটি গড়ে তোলার জন্য দৃঢ়সংকল্প নিয়েছেন? (গালাতীয় ৫:২২, ২৩) বাইবেলের উদাহরণগুলো থেকে অতিরিক্ত সাহায্য পাওয়া যেতে পারে, যেমন প্রেরিত পৌলের উদাহরণ। “তার মাংসে একটা স্থায়ী কন্টক ছিল,” একজন ডায়াবিটিস রোগী বলেন, “কিন্তু তারপরও তিনি বিশ্বস্তভাবে ও পূর্ণরূপে ঈশ্বরের সেবা করেছিলেন। তাই আমিও তা করতে পারি!”

হ্যাঁ, পৌল সেই বিষয়টাকে মেনে নিয়েছিলেন, যা তিনি বদলাতে পারতেন না এবং একজন মিশনারি হিসেবে অনেক সফলতা উপভোগ করেছিলেন। (২ করিন্থীয় ১২:৭-৯) ১৮ বছর বয়সী ডাস্টিন জন্ম থেকে অন্ধ আর ১২ বছর বয়স থেকে তার ডায়াবিটিস রয়েছে। সে লেখে: “আমি জানি যে এই জগতে কারোরই নিখুঁত কোনো কিছু নেই। আমি ঈশ্বরের নতুন জগতের অপেক্ষায় আছি যখন আমার ডায়াবিটিস থাকবে না। আমার জন্য এটা এক ক্ষণস্থায়ী বিষয়। এটা হয়তো ঠাণ্ডা বা সর্দিজ্বরের চেয়ে বেশি দিন থাকে কিন্তু এক সময় এটা শেষ হবে।”

সেই কথাটা বলার সময়, ডাস্টিনের মনে ঈশ্বরের রাজ্যের অধীনে এক পরমদেশ পৃথিবীতে নিখুঁত স্বাস্থ্য সম্বন্ধে বাইবেল ভিত্তিক আশা ছিল। (প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) ঈশ্বরের বাক্য প্রতিজ্ঞা করে যে, এইরকম ঐশিক শাসনের অধীনে “নগরবাসী কেহ বলিবে না, আমি পীড়িত।” (যিশাইয় ৩৩:২৪; মথি ৬:৯, ১০) আপনি কি বাইবেল ভিত্তিক এই প্রতিজ্ঞা সম্বন্ধে আরও বেশি জানতে চান? স্থানীয়ভাবে যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা ৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া উপযুক্ত ঠিকানায় এই পত্রিকার প্রকাশকদের কাছে লিখুন। (g০৩ ৫/০৮)

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

ইন্দ্রিয়দমন ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি খুবই গুরুত্বপূর্ণ