“ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করুন” জেলা সম্মেলনে স্বাগতম
“ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করুন” জেলা সম্মেলনে স্বাগতম
◼ সারা পৃথিবীতে শত শত জায়গায় লক্ষ লক্ষ লোক জেলা সম্মেলনগুলোতে যোগ দেবে। সম্ভবত এই তিন দিনের সমাবেশগুলোর একটা—সাধারণত শুক্রবার থেকে রবিবারে অনুষ্ঠিত—আপনার কাছাকাছি কোনো শহরে হবে।
অধিকাংশ স্থানে কার্যক্রম প্রতিদিন যন্ত্রসংগীতের দ্বারা সকাল ৯:৩০ মিনিটে শুরু হবে। প্রথম দিনের মূলভাব হল, “এই পথ, . . . এই পথেই চল।” “যিহোবাকে তাঁর পথ সম্বন্ধে আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য একত্রিত হওয়া” শিরোনামের স্বাগত বক্তৃতার পরের বক্তৃতায় সেই ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে, যারা অনুগতভাবে ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করছে। “প্রমাণার্থে আপনাদেরই পরীক্ষা কর” এবং “ঈশ্বরের বাক্যকে প্রতিদিন আপনার পদক্ষেপগুলোতে নির্দেশনা দিতে দিন” বক্তৃতাগুলোর পর মুখ্য বক্তৃতা “অশান্ত সময়ে ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করুন” দিয়ে সকালের অধিবেশন শেষ হবে।
প্রথম দিনের দুপুরের অধিবেশনে “হোশেয়র ভবিষ্যদ্বাণী ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করতে আমাদের সাহায্য করে” শিরোনামের তিন অংশের সিম্পোজিয়াম হবে। এটার পর যে-বক্তৃতাগুলো হবে সেগুলো হচ্ছে, “‘ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন’ তা বিয়োগ করবেন না” এবং “আমাদের পবিত্র সমাবেশগুলোর প্রতি সম্মান দেখানো।” সেদিনের শেষ বক্তৃতা “সমস্ত জাতির লোকেদের জন্য সুসমাচার” সমস্ত ভাষার লোকেদের কাছে সুসমাচার পৌঁছে দিতে উৎসাহ দেবে।
দ্বিতীয় দিনের মূলভাব হল, “তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ।” “পরিচারক হিসেবে উন্নতিশীলভাবে গমনাগমন করা” শিরোনামে সকালের সিম্পোজিয়াম একটা অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা যারা অন্য ভাষায় কথা বলে তাদের কাছে পৌঁছানোর বিষয়ে আরও কিছু পরামর্শ দেয়। সকালের কার্যক্রম এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দিয়ে শেষ হবে, যেটার শিরোনাম “যিহোবার সঙ্গে একপরামর্শ হয়ে গমনাগমন করা,” যেটার পর যোগ্য ব্যক্তিদের বাপ্তিস্ম নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
দ্বিতীয় দিন দুপুরের বক্তৃতাগুলোর মধ্যে রয়েছে, “‘কোন বিষয়ে ব্যাঘাত জন্মানো’ এড়িয়ে চলুন” এবং “যে-গঠনমূলক কাজগুলো সতেজ করে।” পরবর্তী উপস্থাপনগুলো হচ্ছে, “যিহোবা আমাদের পালক,” “সময় কিনিয়া লও” এবং “ক্রমবর্ধিষ্ণু আলোর পথে গমনাগমন করা” আর প্রত্যেকটা বক্তৃতায় উৎসাহজনক সাক্ষাৎকার থাকবে। অধিবেশন শেষ হবে আগ্রহউদ্রেগকারী বক্তৃতা দিয়ে, যেটার শিরোনাম “‘জেগে থাকুন’—বিচার সময় উপস্থিত।”
তৃতীয় দিনের কার্যক্রমের মূলভাব হল, “সত্যে চলিতে থাকুন” আর এই বিষয়টা “অল্পবয়স্করা—ধার্মিকতার পথে গমনাগমন করো” শিরোনামের বক্তৃতায় জোর দেওয়া হবে। এরপর ঐতিহাসিক একটা নাটক হবে, যেটা প্রেরিত পৌলের পরিচর্যাকে তুলে ধরবে। নাটকের পর একটা বক্তৃতা হবে, যেটা নাটকের মূল শিক্ষাগুলোর ওপর জোর দেবে। দুপুরের কার্যক্রম জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতাটি তুলে ধরবে, যেটার শিরোনাম “ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করা এখন ও চিরকালের জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসে।”
আপনার বাড়ির সবচেয়ে কাছাকাছি একটা সম্মেলনের স্থান জানার জন্য আপনি হয়তো যিহোবার সাক্ষিদের স্থানীয় কিংডম হলে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা এই পত্রিকার প্রকাশকদের লিখতে পারেন। (g০৪ ৬/৮)