সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

মস্তিষ্ক কি অতিরিক্ত বোঝাই?

কিছু গবেষক বলে যে, “একসঙ্গে অনেক কাজ করা মস্তিষ্কের ওপর প্রচণ্ড চাপ ফেলে,” কানাডার টরেন্টো স্টার খবরের কাগজ রিপোর্ট করে। গবেষণাগুলো ইঙ্গিত করে যে, বিভিন্ন কাজ একসঙ্গে করার ফলে কার্যকারিতা হ্রাস পায়, অনেক ভুল হয় আর এমনকি অসুস্থতার কারণ হয়। উদাহরণস্বরূপ, এটা হয়তো “স্মৃতিশক্তিকে দুর্বল করে দেয়, পিঠ ব্যথার কারণ হয়, একজনকে সহজেই সর্দিজ্বর ও বদহজমের দ্বারা আক্রান্ত করে আর এমনকি দাঁত ও মাঢ়িতে যন্ত্রণা সৃষ্টি করে।” ইউ.এস. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ্‌ এর দ্বারা পরিচালিত গবেষণাগুলো দেখায় যে, লোকেরা যখন নির্দিষ্ট ধরনের কাজ করে থাকে, তখন মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ সক্রিয় হয়ে পড়ে। কিন্তু, যখন তারা একসঙ্গে দুটো বা ততোধিক কাজ করতে চায়, যেমন গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা, তখন “মস্তিষ্ক প্রকৃতপক্ষে কাজ করা বন্ধ করতে শুরু করে,” ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নায়ুবিশেষজ্ঞ ডাক্তার জন স্ল্যাডকি বলেন। “সেই কাজটা মস্তিষ্ক যে শুধু করতে পারে না তা-ই নয়, বরং তা করতে এটা অস্বীকারও করে।” গবেষকদের মতানুসারে, লোকেদের তাড়াহুড়ো করা বন্ধ করতে হবে এবং এই বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে যে, তারা মস্তিষ্ককে যা যা করাতে চায়, তার সবই তাদের মস্তিষ্ক করতে পারে না।

সর্বাধিক অনূদিত বই

বিশ্বে বাইবেল এখনও সবচেয়ে বেশি ভাষায় অনুবাদ হয়ে চলেছে। আজকে বিদ্যমান প্রায় ৬,৫০০ ভাষার মধ্যে ২,৩৫৫টা ভাষায় পুরো বা আংশিক বাইবেল পাওয়া যায়। বর্তমানে আফ্রিকাতে ৬৬৫টা ভাষায়, এরপর এশিয়াতে ৫৮৫টা ভাষায়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপসমূহে ৪১৪টা ভাষায়, ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ৪০৪টা ভাষায়, ইউরোপে ২০৯টা ভাষায় এবং উত্তর আমেরিকায় ৭৫টা ভাষায় বাইবেল পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে, ইউনাইটেড বাইবেল সোসাইটিগুলো প্রায় ৬০০টা ভাষায় বাইবেল-অনুবাদ প্রকল্পে সহযোগিতা করছে।

টেলিভিশন শিশুদের জন্য ক্ষতিকর?

“একেবারে ছোট যে-বাচ্চারা টেলিভিশন দেখে, তাদের স্কুলে যাওয়ার বয়সে পৌঁছানোর মধ্যেই মনোযোগে ঘাটতি হওয়ার সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়,” মেক্সিকো সিটির দ্যা হেরাল্ড রিপোর্ট করে। সেই প্রতিবেদনটা পেডিয়াট্রিকস্‌ নামে এক চিকিৎসা বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত একটা গবেষণার বিষয় উল্লেখ করে, যেটাতে ১,৩৪৫ জন বাচ্চার দুটো দল রয়েছে—একটা দলে এক বছর বয়সী শিশু এবং অন্য দলে তিন বছর বয়সী শিশু। গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন এক ঘন্টা করে বাচ্চাদের টেলিভিশন দেখা তাদের সাত বছর বয়সে মনোযোগে ঘাটতি হওয়ার সমস্যার ঝুঁকিকে শতকরা ১০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। গবেষণাকারীরা মনে করে যে, ‘অবাস্তবসম্মত দ্রুত গতির অনুষ্ঠানগুলো যা টেলিভিশনের বেশির ভাগ অনুষ্ঠানেরই বৈশিষ্ট্য, এগুলো হয়তো’ শিশুদের ‘মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশকে ব্যাহত করতে পারে।’ “সত্য বিষয়টা হচ্ছে, বাচ্চাদের টেলিভিশন না দেখার অনেক কারণ রয়েছে,” গবেষণার উদ্ভাবক ডাক্তার দিমিত্রি ক্রিসতাকিস বলেছিলেন। “অন্যান্য গবেষণাগুলো দেখিয়েছে যে, [টেলিভিশন দেখার] সঙ্গে অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া ও আক্রমণাত্মক হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে।”

হাসি হল উত্তম ওষুধ

“কেন হাসি আমাদের ভাল বোধ করায় তার আরেকটা কারণ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিশেষজ্ঞরা আবিষ্কার করেছে,” ইউসি বার্কলি ওয়েলনেস লেটার রিপোর্ট করে। “যে-লোকেরা কৌতুকপূর্ণ কার্টুনগুলো পড়ে থাকে, তাদের মস্তিষ্কের গতিবিধিকে তারা পর্যবেক্ষণ করেছে আর জেনেছে যে, কৌতুক ও হাসি মস্তিষ্কের ‘সাড়াদানকারী কোষগুলোকে’ উদ্বুদ্ধ করে,” সেই একই জায়গাগুলো উদ্দীপক ওষুধগুলোর দ্বারাও প্রভাবিত হয়। “হাসি মানসিক চাপ কমায়, মনকে প্রশমিত করে এবং উদ্দীপনা বাড়ায়,” ওয়েলনেস লেটার বলে। এ ছাড়া, হাসি আমাদের হরমোন উৎপাদন ও হৃৎপিণ্ডের গতি বৃদ্ধি করে আর এটা রক্তসংবহনকে ভাল করে ও মাংসপেশীকে মজবুত রাখে। “বাস্তবিকই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসি হল এক ধরনের ব্যায়াম,” ওয়েলনেস লেটার বলে। “হাসি যদিও অনেক ক্যালরি খরচ করে না, তবে আপনি প্রাণখুলে হাসতে পারেন কিন্তু পাতলা হওয়ার জন্য নয়।”