সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

একটা কুমির দেখে কি আপনি হাসতে পারেন?

একটা কুমির দেখে কি আপনি হাসতে পারেন?

একটা কুমির দেখে কি আপনি হাসতে পারেন?

ভারতের সচেতন থাক! লেখক কর্তৃক

একটা কুমির দেখে কি আপনি হাসার কথা ভাবতে পারেন? পিটার প্যান নামে বাচ্চাদের একটা সংগীতপূর্ণ গল্পের এক চরিত্র ক্যাপ্টেন হুক “একটা কুমির দেখে কখনও হাসবে না” উপদেশটা দেওয়ার কারণ দেখান। তিনি বলেন, আসলে কুমিরটা “ভাবছে যে, সে তোমাকে কীভাবে গিলে ফেলবে”!

যদিও এটা সত্য যে, বিশ্বব্যাপী অনেক ধরনের কুমিরের মধ্যে কিছু কুমির রয়েছে, যেগুলো মানুষকে আক্রমণ করে, “কিন্তু অত্যন্ত বিরল ক্ষেত্রেই তা ঘটে থাকে . . . সেই কারণে কুমিরগুলোকে সাধারণত নরখাদক হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।” (এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা) কিছু লোকের কাছে কুমির কুৎসিত, ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হলেও, অন্যদের কাছে এগুলো আকর্ষণীয়। আসুন আমরা ভারতের স্থানীয় তিনটে প্রজাতির কুমিরের দিকে মনোযোগ দিই—সামুদ্রিক কুমির, মকর এবং ঘড়িয়াল।

প্রকাণ্ড “সামুদ্রিক কুমির”

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সরীসৃপ, সামুদ্রিক বা নদীর মোহনায় পাওয়া কুমিরগুলো ৭ মিটার বা তারও বেশি লম্বা হতে পারে এবং এদের ওজন হয় ১,০০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত। শুধুমাত্র লবণাক্ত জলে বাস করায় এদেরকে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত নদীর মোহনায়, সমুদ্রে এবং সমুদ্রতীরে গরান গাছে ভরা জলমগ্ন স্থানগুলোতে পাওয়া যায়। মাংসাশী হওয়ায় এরা ইঁদুর, ব্যাঙ, মাছ, সাপ, কাঁকড়া, কচ্ছপ এবং হরিণ খেয়ে থাকে—তবে অল্প পরিমাণে; বড় পুরুষ কুমিরগুলো দিনে গড়ে মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম খাবার খেয়ে থাকে। রোদ পোহানোর বা জলে ভেসে থাকার এক আয়েশি জীবনযাপন এবং এক কার্যকারী পরিপাকতন্ত্র তাদের শক্তির চাহিদাকে সীমিত রাখে। এক প্রকাণ্ড “সামুদ্রিক কুমির” কখনো কখনো অসতর্ক লোকেদের আক্রমণ করতে পারে। সামুদ্রিক কুমিরগুলো তাদের লেজ এপাশ ওপাশ নাড়িয়ে সাঁতার কাটে, নাক ও চোখ বাদে শরীরকে জলে নিমজ্জিত করে এবং তাদের ছোট ছোট পা দিয়ে হাঁটে। শিকারকে ধরার জন্য তারা লাফ দিতে পারে এবং মাঝেমধ্যে শিকারের পিছনে দ্রুত দৌড়ানোর জন্য তারা পরিচিত। অন্যান্য প্রজাতির কুমিরের মতো, এদের ঘ্রাণ, দৃষ্টি এবং শ্রবণশক্তি ভাল। সামুদ্রিক পুরুষ কুমির যৌনমিলনের মরসুমে নিজের জন্য জায়গা আলাদা করে সেটাকে রক্ষা করার ব্যাপারে খুব হিংস্র হয়ে থাকে আর স্ত্রী কুমির তার ডিমগুলোকে পাহারা দেওয়ার সময় একইরকম হিংস্রতা দেখায়।

যত্নশীল মায়েরা

স্ত্রী কুমির জলাশয়ের ধারে সাধারণত পচে যাওয়া লতাপাতা ও মাটির ঢিবিতে বাসা তৈরি করে। সে শক্ত আবরণযুক্ত প্রায় ১০০টা পর্যন্ত ডিম পেড়ে থাকে, সেগুলোকে ঢেকে রাখে ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষার জন্য পাহারা দিয়ে থাকে। এরপর সে তার বাসার ওপর জল ছিটাতে থাকে যাতে যেসমস্ত লতাপাতা বাসাকে ঢেকে রাখে সেগুলো যেন তাড়াতাড়ি পচে, ফলে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা উৎপাদিত হয়।

এরপর আগ্রহজনক কিছু ঘটে থাকে। যে-তাপমাত্রায় প্রত্যেকটা ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় সেটা নির্ধারণ করে যে, নবজাত কুমিরটা পুরুষ না স্ত্রী। বিষয়টা একটু কল্পনা করুন! তাপমাত্রা যখন ২৮ ডিগ্রি থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, তখন প্রায় ১০০ দিনের মধ্যে স্ত্রী কুমিরের জন্ম হয়; কিন্তু ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬৪ দিনের মধ্যে পুরুষ কুমিরের জন্ম হয়। ৩২.৫ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ডিম ফুটে বের হওয়া বাচ্চাগুলো স্ত্রী বা পুরুষ উভয়ই হতে পারে। বাসার এক পাশটা জলের ধারে এবং অন্য পাশটা উত্তপ্ত সূর্যের দিকে মুখ করা থাকলে, উষ্ণ পাশ দিয়ে পুরুষ কুমির ও ঠাণ্ডার দিকে স্ত্রী কুমির জন্মাতে পারে।

মা যখন বাচ্চাদের কিচিরমিচির শব্দ শোনে, তখন সে বাসার আবরণটা সরিয়ে ফেলে, ডিম ফুটে বের হওয়ার জন্য বাচ্চাগুলো যদি বিশেষভাবে সজ্জিত দাঁত দিয়ে ডিমের খোলাটা ইতিমধ্যে না ভেঙে থাকে, তা হলে মা কুমির তা ভেঙে দেয়। মা কুমির তার বড় চোয়ালের মধ্যে খুব আলতোভাবে বাচ্চাদের তোলে এবং তার জিভের নিচে থলির মতো একটা জায়গায় রেখে জলের ধারে নিয়ে যায়। এরা জন্মের পর থেকেই নিজের মতো কাজ করতে পারে এবং শীঘ্রই পোকামাকড়, ব্যাঙ ও ছোট মাছের সন্ধান করতে শুরু করে। কিন্তু, কিছু সুরক্ষা-সচেতন মা কয়েক মাস বাচ্চাদের সান্নিধ্যে থাকে, জলমগ্ন স্থানগুলোতে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার জন্য জায়গা তৈরি করে, যেখানে বাবারাও বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ায় এবং রক্ষা করায় অংশ নিতে পারে।

মকর এবং লম্বা নাকবিশিষ্ট ঘড়িয়াল

মকর বা জলাভূমির কুমির এবং ঘড়িয়াল শুধুমাত্র ভারতীয় উপমহাদেশে পাওয়া যায়। প্রায় ৪ মিটার লম্বা মকর সারা ভারত জুড়ে মিঠে জলে, হ্রদে এবং নদীগুলোতে পাওয়া যায়, যেগুলো সামুদ্রিক কুমিরগুলোর চেয়ে বেশ ছোট। এটা এর শক্তিশালী চোয়াল দিয়ে ছোট ছোট প্রাণীদের ধরে থাকে, এদের জলে ডুবায় এবং খাওয়ার জন্য মাংসকে ছিঁড়ে বের করতে সেগুলোকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে।

মকর কুমিরগুলো কীভাবে সঙ্গীর সঙ্গে মিলন করে থাকে? সঙ্গী খোঁজার সময় পুরুষ কুমির তার চোয়াল দিয়ে জলের মধ্যে আঘাত করে এবং গর্জন করে থাকে। পরে বাসা পাহারা দেওয়ার কাজে সে তার স্ত্রীকে সঙ্গ দেয়, বাচ্চাগুলোকে ডিম ফুটে বের হতে সাহায্য করে এবং কিছু সময়ের জন্য তাদের সঙ্গে থাকে।

বিরল প্রজাতির ঘড়িয়াল যা আসলে কুমির নয়, বিভিন্ন দিক দিয়ে অদ্বিতীয়। এর বেশ লম্বা, সরু চোয়াল দেখেই একে সহজে চেনা যায়, যা এর প্রধান খাদ্য মাছ ধরার জন্য আদর্শ। যদিও ঘড়িয়াল সামুদ্রিক কুমিরের সমান লম্বা কিন্তু মানুষকে আক্রমণ করার বিষয়ে পরিচিত নয়। এর মসৃণ, পাতলা শরীর, এটাকে উত্তর ভারতের গভীর, দ্রুতগতিতে প্রবাহিত নদীগুলোর মধ্যে দিয়ে দ্রুতগতিতে ভেসে চলতে সাহায্য করে। পুরুষ ঘড়িয়ালের বংশবৃদ্ধির সময়কালে এর প্রলম্বিত চোয়াল ও নাকের ডগায় কন্দাকার এক গাঁট তৈরি হয়। স্ত্রী ঘড়িয়ালদের আকৃষ্ট করার জন্য যে-স্বাভাবিক ফোঁস ফোঁস শব্দ এটা সৃষ্টি করে, তা এই গাঁটের জন্য আরও জোরে শোনা যায়।

বাস্তুসংস্থানে এদের ভূমিকা

আমাদের পরিবেশের জন্য কুমিরগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এরা আবর্জনা সংগ্রহকারী, মরা মাছ ও জীবজন্তুর বর্জিতাংশ ও আবর্জনা খেয়ে, নদী ও হ্রদ এবং সেইসঙ্গে কাছাকাছি তীরবর্তী এলাকাকে পরিষ্কার করে। এই প্রক্রিয়া জলের ব্যবস্থাকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শিকার করার জন্য, এরা দুর্বল, আহত ও রুগ্ন প্রাণীগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে। এরা ধ্বংসাত্মক ক্যাটফিশকে (মাগুর জাতীয় মাছ) খেয়ে থাকে, যে-মাছগুলো পোনা ও তেলাপিয়া মাছ খায়, যেগুলো মানুষের খাদ্যের জন্য প্রধান বাণিজ্যিক মাছ।

বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম—কুম্ভীরাশ্রু নয়

আপনি কি এই কথা বলতে শুনেছেন যে, কেউ কুম্ভীরাশ্রু ফেলছে? এর অর্থ হচ্ছে চোখের জল ও দুঃখিত হওয়া প্রকৃত বা আন্তরিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, একটা কুমির এর দেহ থেকে অতিরিক্ত লবণ ঝরিয়ে ফেলার জন্য চোখের জল ফেলে। কিন্তু, ১৯৭০ এর দশকের প্রথম দিকে, কুমিরের জন্য সম্ভবত আন্তরিকভাবেই জল ফেলা হয়েছিল। ভারতে মাত্র কয়েক হাজার কুমির ছিল, যা তাদের আগের সংখ্যার চেয়ে শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। কেন? মানুষ যেহেতু কুমিরদের আবাসের অধিকাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছিল তাই এদের মেরে ফেলা হয়েছিল, কারণ এগুলোকে বাচ্চা ও দুর্বল গৃহপালিত পশুপাখির জন্য হুমকিস্বরূপ বলে বিবেচনা করা হয়েছিল। অনেক লোকেরা দেখেছিল যে, কুমিরের মাংস ও ডিম খুবই সুস্বাদু। কুমিরের কস্তুরি লালাগ্রন্থিকে সুগন্ধি প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হতো। এ ছাড়া, বাঁধ নির্মাণ ও জল দূষণ কুমিরের সংখ্যাকে হ্রাস করেছিল। কিন্তু যা তাদেরকে একেবারে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল তা হচ্ছে, চামড়ার জন্য এদের চাহিদা। কুমিরের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতা, ছোট ব্যাগ, লাগেজ, বেল্ট এবং অন্যান্য সামগ্রী দেখতে সুন্দর, টেকসই ও খুবই আকর্ষণীয়। যদিও এই ধরনের বিপদ এখনও রয়ে গিয়েছে কিন্তু সংরক্ষণের পদক্ষেপগুলো খুবই সফল প্রমাণিত হয়েছে!—নীচে দেওয়া বাক্সটা দেখুন।

হাসির কথা মনে আছে তো!

এখন কুমির পরিবারের কিছু সদস্যের সম্বন্ধে আরও ভালভাবে জানার পর, এদের সম্বন্ধে আপনি কেমন বোধ করেন? আমরা আশা করি যে, এদের সম্বন্ধে যেকোনো নেতিবাচক ধারণা এখন আগ্রহজনক বিষয় হয়ে উঠেছে। সারা পৃথিবীতে, অনেক পশুপ্রেমী সেই সময়ের জন্য সানন্দে অপেক্ষা করে আছে, যখন এমনকি বিশাল সামুদ্রিক কুমিরকেও তাদের আর ভয় পেতে হবে না। সরীসৃপের সৃষ্টিকর্তা যখন পৃথিবীকে পুনরায় নতুন করবেন, তখন আমরা কুমিরকে দেখে হাসতে পারব।—যিশাইয় ১১:৮, ৯.

[২৫ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

দ্যা মাদ্রাজ ক্রকোডাইল ব্যাঙ্ক

এশিয়ার কিছু কিছু অংশে, বনাঞ্চলে অল্প সংখ্যক কুমির রয়ে গেছে, এই বিষয়টা একটা সমীক্ষা থেকে জানার পর ১৯৭২ সালে মাদ্রাজ স্নেক পার্ক-এ কুমির সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছিল। মাদ্রাজ ক্রকোডাইল ব্যাঙ্ক হচ্ছে ভারতে ৩০টারও বেশি সরীসৃপ কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো ও বড়। ১৯৭৬ সালে প্রাণীবিজ্ঞানী রামিউলাস হুইটেকার এটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। করমণ্ডল উপকূলে সাড়ে আট একর জমিতে অবস্থিত এই ব্যাঙ্কে ১৫০টা প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা সুন্দর সুন্দর পাখি ও পোকামাকড়কে আকৃষ্ট করে।

কুমির ও ঘড়িয়ালগুলোকে খাঁচায় রেখে বংশবৃদ্ধি করানো হয় ও এরপর জলমগ্ন জায়গা এবং নদীগুলোতে ছেড়ে দেওয়া হয় অথবা অন্যান্য বংশবৃদ্ধি ও গবেষণা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই ব্যাঙ্কে একটা নার্সারি রয়েছে, যেখানে একবারে ২,৫০০টা পর্যন্ত বাচ্চা কুমিরকে পুকুরগুলোতে রাখা হয় ও প্রতিদিন স্থানীয় জেলেদের দ্বারা জোগানো ফালি ফালি করে কাটা মাছ খাওয়ানো হয়। পুকুরগুলোর ওপর বিছিয়ে রাখা জাল, শিকারি পাখিদেরকে মাছ বা দুর্বল শিশু সরীসৃপগুলোকে চুরি করা থেকে বিরত রাখে। বাচ্চাগুলো বড় হলে এদেরকে আরও বড় পুকুরগুলোতে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে তাদের খাদ্য হচ্ছে গোটা মাছ, যা তাদের তিন বছর এবং ১.২৫ মিটার থেকে ১.৫ মিটার লম্বা না হওয়া পর্যন্ত খাওয়ানো হয়ে থাকে। এরপর এদেরকে মাংস কাটা ও বিক্রির এক বিরাট কোম্পানি থেকে সরবরাহ করা গরুর মাংসের বর্জিতাংশ খাওয়ানো হয়ে থাকে। শুরুতে এই ব্যাঙ্কে শুধুমাত্র ভারতের স্থানীয় ৩ ধরনের কুমিরের বংশ উৎপাদন করা হতো কিন্তু বর্তমানে, এখানে আরও ৭টা প্রজাতি উৎপাদন করা হয় এবং পরিকল্পনা রয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী পরিচিত সমস্ত প্রজাতিকে উৎপাদন করা হবে। চামড়া ও মাংসের জন্য বাণিজ্যিকভাবে সরীসৃপগুলোকে খামার করা বিতর্কের বিষয় হয়ে এসেছে। হুইটেকার সচেতন থাক!-কে বলেছিলেন যে, সরীসৃপগুলোর মাংস সুস্বাদু ও কম কোলেস্টেরল যুক্ত। সফলভাবে সংরক্ষণ এই প্রকাণ্ড প্রাণীগুলোকে লুপ্ত হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করেছে। মাদ্রাজ ক্রকোডাইল ব্যাঙ্ক যা এক জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ কেন্দ্র, সেটা কুমির সম্বন্ধে ভুল ধারণা দূর করার ও সর্বসাধারণের সামনে এদের ভাবমূর্তিকে উন্নত করারও লক্ষ্য রাখে।

[সৌজন্যে]

Romulus Whitaker, Madras Crocodile Bank

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

এক প্রকাণ্ড “সামুদ্রিক কুমির”

[২৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

এক স্ত্রী সামুদ্রিক কুমির তার চোয়ালের মধ্যে তার বাচ্চাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে

[সৌজন্যে]

© Adam Britton, http://crocodilian.com

[২৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

মকর

[সৌজন্যে]

© E. Hanumantha Rao/Photo Researchers, Inc.

[২৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

লম্বা নাকের ঘড়িয়াল