সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অবশেষে—সকলের জন্য উত্তম আবাসন!

অবশেষে—সকলের জন্য উত্তম আবাসন!

অবশেষে—সকলের জন্য উত্তম আবাসন!

কেনিয়ার নাইরোবির ঠিক বাইরেই ১৪০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত রাষ্ট্রসংঘের গিগিরি কমপাউন্ড, যেটার অন্তর্ভুক্ত ইউএন-হ্যাবিটেট এর প্রধান কার্যালয়। এই এলাকাটা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী আবাসন সংকট নিরসনের এক আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের প্রতীক। কমপাউন্ডের মধ্যে গিগিরি নেচার ট্রেইল এর পাশ দিয়ে হাঁটলে এই বিষয়ে লক্ষণীয় প্রমাণ দেখা যায় যে, সুসংগঠিত প্রচেষ্টা এবং উপযুক্ত অর্থ তহবিলের মাধ্যমে কী সম্পাদন করা যেতে পারে। আগের পরিবেশের এক পতিত জমিকে, কর্মী ও পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি কর্মকাণ্ডমুখর ও অপার বিনোদনমূলক এলাকায় রূপান্তরিত হয়েছে।

কিন্তু, মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই তুলনামূলকভাবে নতুন, তবে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রসারিত এক বস্তি এলাকা অবস্থিত। এটা এক দুঃখদায়ক অনুস্মারক যে, বর্তমান আবাসন সংকট কতখানি প্রকট রূপ ধারণ করেছে। শহরের বস্তি এলাকার বাড়িগুলো যা মাটি, ডালপালা ও টিন দিয়ে তৈরি সেগুলো প্রায় চার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে প্রসারিত। বাড়িগুলোর মধ্যে দিয়ে যে-পথ রয়েছে, তাতে নোংরা জলের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। এখানকার অধিবাসীরা জলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি অর্থ দিয়ে থাকে। এখানে বসবাসরত প্রায় ৪০,০০০ অধিবাসীর মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তির বয়স ২০ থেকে ৩০ এর কোঠার মধ্যে। তারা অলস কিংবা অকর্মা নয়। তারা কাছাকাছি নাইরোবিতে চাকরির খোঁজে এখানে এসেছে।

এর একেবারে বিপরীতে, বিশ্বের নেতারা এখানে অবস্থিত গিগিরি কমপাউন্ডের এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, উপযুক্ত, আকর্ষণীয় পরিবেশে একত্রিত হয়েছে, যাতে কাছেই বসবাসকারী দরিদ্রকবলিত নারী-পুরুষ ও শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের কথা অনুসারে, হতাশাজনক সত্যটা হল, বস্তিতে বসবাসকারীদের জীবনে লক্ষণীয় উন্নতি সাধনের জন্য “বিশ্বের সম্পদ, বাস্তবজ্ঞান এবং ক্ষমতা সবই রয়েছে।” তা হলে কী করা প্রয়োজন? মি. আনান উপসংহারে বলেন, ‘আমি আশা করি যে, . . . জড়িত সকল কর্মকর্তা প্রত্যেকে উদাসীনতা এবং রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির ঘাটতিকে কাটিয়ে উঠতে [পারবে], যা কিনা উন্নতির পথে এক অন্তরায় হয়ে এসেছে।’

কিন্তু, সেই আশা কতখানি বাস্তব? সমস্ত আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদদের তাদের স্বার্থগুলোকে একপাশে সরিয়ে দিয়ে সকলের জন্য উপকারজনক এক সমাধানের জন্য কাজ করতে কীসের প্রয়োজন হবে? এমন একজন আছেন, যাঁর বর্তমান সংকটকে পুরোপুরি নিরসন করার জন্য সম্পদ, বাস্তবজ্ঞান এবং ক্ষমতা রয়েছে। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাঁর সমবেদনা ও ইচ্ছাশক্তি রয়েছে। বস্তুতপক্ষে, তাঁর সরকার ইতিমধ্যেই এক বিস্তারিত কার্যক্রম বর্ণনা করেছে, যা বিশ্বব্যাপী আবাসন সমস্যাকে স্থায়ীভাবে সমাধান করবে।

এক নতুন আবাসন কার্যক্রম

আমাদের সৃষ্টিকর্তা যিহোবা ঈশ্বর বাইবেলে তাঁর উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন: “আমি নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি করি।” (যিশাইয় ৬৫:১৭) সেটা এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। নতুন সরকার সংক্রান্ত ‘আকাশমণ্ডল’ সেই বিষয়গুলো সম্পাদন করবে, যেগুলো বর্তমান সরকারগুলো করতে পারছে না। ঈশ্বরের রাজ্য বা সরকার নতুন পার্থিব মানব সমাজ গঠনকারী সকল লোকের জন্য স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও আত্মসম্মানের নিশ্চয়তা দেবে। এর আগে, যিশাইয়কে বলা হয়েছিল যে, এই নতুন পার্থিব সমাজের সম্ভাব্য সদস্যদের “শেষকালে” একত্রিত করা হবে। (যিশাইয় ২:১-৪) এর অর্থ হচ্ছে, এই পরিবর্তনগুলো একেবারেই নিকটে।—মথি ২৪:৩-১৪; ২ তীমথিয় ৩:১-৫.

লক্ষণীয় বিষয়টা হচ্ছে, যিশাইয় ৬৫ অধ্যায়ের অন্য পদগুলোতে লিপিবদ্ধ কথাগুলোতে ঈশ্বর সেই সময়ে প্রত্যেকের জন্য এক স্থায়ী বাড়ি জোগানোর বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন। “লোকেরা গৃহ নির্ম্মাণ করিয়া তাহার মধ্যে বসতি করিবে,” তিনি বলেন। “তাহারা গৃহ নির্ম্মাণ করিলে অন্যে বাস করিবে না।” (যিশাইয় ৬৫:২১, ২২) শেষ পর্যন্ত এক চমৎকার পরমদেশে আপনার মাথার ওপর এক উপযুক্ত ছাদ থাকার এবং এক পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও নিরাপদ অবস্থায় বাস করার কথা কল্পনা করুন! এই অবস্থার জন্য কেই বা আকাঙ্ক্ষা করে না? কিন্তু ঈশ্বর যা প্রতিজ্ঞা করেছেন সেই বিষয়ে আপনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন?

এক প্রতিজ্ঞা যেটার ওপর আপনি নির্ভর করতে পারেন

ঈশ্বর যখন প্রথমে আদম ও হবাকে সৃষ্টি করেছিলেন, তখন তিনি তাদেরকে এক পতিত জমিতে ছেড়ে দেননি। এর পরিবর্তে, তিনি তাদেরকে বিশুদ্ধ বাতাস এবং পর্যাপ্ত জল ও খাবার দিয়ে এক সুন্দর পার্ক এদন উদ্যানে স্থায়ীভাবে থাকতে দিয়েছিলেন। (আদিপুস্তক ২:৮-১৫) আদমকে “পৃথিবী পরিপূর্ণ” করতে বলা হয়েছিল, এটাকে জনবহুল করতে নয়। (আদিপুস্তক ১:২৮) শুরু থেকেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ছিল, প্রত্যেকে যাতে শৃঙ্খলা, একতা ও উত্তম উত্তম বিষয়ের প্রাচুর্য উপভোগ করতে পারে।

পরে, নোহের দিনে মানব সমাজ দৌরাত্ম্য ও অনৈতিকতায় ভরে গিয়েছিল, তাই ‘পৃথিবী ঈশ্বরের সাক্ষাতে ভ্রষ্ট ছিল।’ (আদিপুস্তক ৬:১১, ১২) ঈশ্বর কি এই অবস্থাকে উপেক্ষা করেছিলেন? না। তিনি তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাঁর নিজের নাম আর সেইসঙ্গে ধার্মিক নোহ ও তার বংশধর উভয়ের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী জলপ্লাবনের দ্বারা পৃথিবীকে পরিষ্কার করেছিলেন। তাই, নোহ যখন জাহাজ থেকে বের হয়ে এই নতুন গৃহে এসেছিলেন, তখন তাকে আরেকবার ছড়িয়ে পড়তে এবং ‘বহুবংশ হইতে, পৃথিবী পরিপূর্ণ করিতে’ বলা হয়েছিল।—আদিপুস্তক ৯:১.

এরপর, ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের তাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহামের কাছে করা প্রতিজ্ঞা অনুসারে উত্তরাধিকার দিয়েছিলেন। সেই প্রতিজ্ঞাত দেশকে ‘উত্তম ও প্রশস্ত, দুগ্ধমধুপ্রবাহী এক দেশ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। (যাত্রাপুস্তক ৩:৮) তাদের অবাধ্যতার কারণে ইস্রায়েলীয়রা কোনো স্থায়ী গৃহ ছাড়া প্রান্তরে ৪০ বছর ধরে ঘুরে বেড়িয়েছিল। তা সত্ত্বেও, ঈশ্বর তাঁর কথার সত্যতাস্বরূপ, শেষ পর্যন্ত তাদেরকে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য এক দেশ জুগিয়েছিলেন। অনুপ্রাণিত বিবরণ জানায়: “সদাপ্রভু . . . তাহাদিগকে বিশ্রাম দিলেন . . . সদাপ্রভু ইস্রায়েলকুলের কাছে যে সকল মঙ্গলবাক্য বলিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে একটী বাক্যও নিষ্ফল হইল না; সকলই সফল হইল।”—যিহোশূয়ের পুস্তক ২১:৪৩-৪৫.

অবশেষে গৃহ!

অতএব এটা স্পষ্ট যে, যিশাইয় ৬৫ অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ যিহোবার কথাগুলো কোনো নিষ্ফল প্রতিজ্ঞা নয়। সমস্তকিছুর সৃষ্টিকর্তা হিসেবে, তাঁর নিশ্চয়ই এই পৃথিবীকে পরিষ্কার করার ও এখানে তাঁর আদি উদ্দেশ্য সম্পন্ন করার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, সমস্তকিছু করার ক্ষমতা রয়েছে। (যিশাইয় ৪০:২৬, ২৮; ৫৫:১০, ১১) অধিকন্তু, বাইবেল আমাদের আশ্বাস দেয় যে, তিনি তা করতেও চান। (গীতসংহিতা ৭২:১২, ১৩) তিনি অতীতে ধার্মিক মানুষদের পর্যাপ্ত আবাসন জোগানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এবং শীঘ্রই তিনি আবারও তা করবেন।

বস্তুতপক্ষে তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্ট যখন পৃথিবীতে এসেছিলেন, তখন যিশু নির্দিষ্টভাবে তাঁর অনুসারীদের প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন যেন ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা সিদ্ধ হয়, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হয়।’ (মথি ৬:১০) তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, পৃথিবী এক পরমদেশ হবে। (লূক ২৩:৪৩) ভেবে দেখুন যে, এর অর্থ কী হবে। আর কোনো বস্তি বা অননুমোদিত বসতি নেই, লোকেরা রাস্তায় ঘুমাবে না কিংবা কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। সেটা কী এক সুন্দর সময়ই না হবে! ঈশ্বরের রাজ্যের শাসনাধীনে প্রত্যেকে অবশেষে এক স্থায়ী গৃহ পাবে!

[১০ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

প্রাচীন ইস্রায়েলে আবাসন ব্যবস্থা

প্রাপ্ত প্রমাণ দেখায় যে, ইস্রায়েলীয়রা তাদের সামনে থাকা কনানীয়দের মতো পাথরের তৈরি ঘর পছন্দ করত, কারণ এইরকম দালানগুলো অন্য ধরনের বাড়ির চেয়ে বেশি দৃঢ় ছিল এবং অবৈধ প্রবেশকারীদের হাত থেকে সুরক্ষা জোগাত। (যিশাইয় ৯:১০; আমোষ ৫:১১) কিন্তু, নিম্নভূমিতে রোদে শুকানো বা ভাঁটিতে শুকানো মাটির ইটগুলো বাড়ির দেয়ালের গাঁথনিতে ব্যবহৃত হতো। অধিকাংশ ছাদগুলো ছিল সমতল, মাঝে মাঝে ছাদের ওপরে একটা কক্ষ থাকত। প্রায়ই, প্রাঙ্গণে একটা চুল্লি থাকত ও মাঝে মাঝে একটা কুয়ো বা জলাধারও থাকত।—২ শমূয়েল ১৭:১৮.

মোশির ব্যবস্থায় আবাসন কর্মপন্থায় বেশ কিছু পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। অবশ্যই, নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য সমতল ছাদের চারধারে আলিসিয়া বা নিচু প্রাচীর নির্মাণ করতে হতো। দশম আজ্ঞা ইস্রায়েলীয়দের তাদের সহমানবের ঘরের প্রতি লোভ করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছিল। কাউকে যদি ঘর বিক্রি করে দিতে হতো, তা হলে অন্ততপক্ষে একটা সময় পর্যন্ত সেটা পুনরায় ক্রয় করার অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকত।—যাত্রাপুস্তক ২০:১৭; লেবীয় পুস্তক ২৫:২৯-৩৩; দ্বিতীয় বিবরণ ২২:৮.

এ ছাড়া, ইস্রায়েলে ঘর আধ্যাত্মিক নির্দেশনার এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বাবাদের নির্দিষ্টভাবে আদেশ দেওয়া হয়েছিল তারা যাতে তাদের সন্তানদেরকে ঘরে বসার সময় ঈশ্বরের চাহিদাগুলো সম্বন্ধে শিক্ষা দেয় আর তাদের বাড়িকে প্রতিমাপূজার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সামগ্রীগুলো থেকে মুক্ত রাখতে হতো।—দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬, ৭; ৭:২৬.

[চিত্র]

প্রাচীন ইস্রায়েলে, কুটির উৎসবের মতো আধ্যাত্মিক কাজকর্মের জন্য গৃহগুলো ব্যবহৃত হতো

[১২ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

একেবারে প্রাচীনকালের ঘরগুলো

প্রথম মানুষ আদম কোনো ঘরে থাকত কি না, সেই বিষয়ে বাইবেল কিছুই বলে না। কিন্তু, আদিপুস্তক ৪:১৭ পদ বলে যে, কয়িন “এক নগর পত্তন করিয়া আপন পুত্ত্রের নামানুসারে তাহার নাম হনোক রাখিল।” এই নগরটা সম্ভবত বর্তমান মান অনুযায়ী এক সুরক্ষিত গ্রামের চেয়ে বেশি কিছু ছিল না। যেধরনের আবাসন ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়েছিল, তা বিবরণে বলা হয়নি। সম্ভবত পুরো গ্রামই কয়িনের নিজের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা গড়ে উঠেছিল।

প্রাচীনকালে তাঁবু ছিল এক প্রচলিত আশ্রয়। কয়িনের বংশধরদের মধ্যে আরেকজন হলেন যাবল যাকে “তাম্বুবাসী পশুপালকদের আদিপুরুষ” বলে ডাকা হয়। (আদিপুস্তক ৪:২০) তাঁবুগুলো স্থাপন ও বহন করা স্পষ্টতই আরও সহজ ছিল।

পরে এক সময়ে, অনেক সভ্যতা আরও বেশি জাঁকজমকপূর্ণ বাড়িঘর পূর্ণ নগর গড়ে তুলেছিল। উদাহরণস্বরূপ, ঊর শহর যেখানে কুলপতি অব্রাম (অব্রাহাম) এক সময়ে বাস করতেন, সেখানকার ধ্বংসাবশেষগুলো ইঙ্গিত করে যে, কিছু কিছু অধিবাসী এমন পাকা ও চুনকাম করা দালানে আরামে থাকত, যেগুলোতে ১৩ বা ১৪টা করে কক্ষ ছিল। এই ধরনের ঘরগুলো নিশ্চয়ই সেই সময়কার লোকেদের মধ্যে ঈর্ষা জাগাত।

[৮, ৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঈশ্বর ধার্মিকদের জন্য নিরাপদ আবাসনের প্রতিজ্ঞা করেন