সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যন্তর মন্তর—দূরবিনবিহীন এক মানমন্দির

যন্তর মন্তর—দূরবিনবিহীন এক মানমন্দির

যন্তর মন্তর—দূরবিনবিহীন এক মানমন্দির

ভারতের সচেতন থাক! লেখক কর্তৃক

ভারতের নিউ দিল্লিতে অবস্থিত যন্তর মন্তর দেখতে আসা পর্যটকরা, বিস্মিত হয়ে এই কাঠামোটার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থেকে হয়তো ভাবতে পারে, ‘এটা কি আসলেই এক মানমন্দির?’ যারা জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন যন্ত্রপাতি সজ্জিত ভবনগুলো দেখে অভ্যস্ত, তাদের কাছে এক বিশাল পার্কের মধ্যে পাথরের তৈরি এই অদ্ভুত কাঠামোকে একটা মানমন্দির বলে মনে করা বেশ কঠিনই হবে। তবে, যন্তর মন্তর দেখতে এমনই ছিল, যখন সেটা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয়টা হচ্ছে, দূরবিন ও অন্যান্য যে-যন্ত্রগুলো ইউরোপে প্রবর্তিত হতে শুরু করেছিল, এমনকি সেগুলোর সাহায্য ছাড়াই এই মানমন্দিরটা গ্রহ-নক্ষত্র সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও বেশ সঠিক তথ্য জুগিয়েছিল।

রাজপুত শাসক মহারাজা সওয়াই জয় সিং দ্বিতীয়র দ্বারা নির্মিত পাঁচটা মানমন্দিরের মধ্যে তিনটেরই প্রচলিত নাম হিসেবে যন্তর মন্তর নামটা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। “যন্তর” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ “ইয়ন্ত্র” থেকে যেটির অর্থ “যন্ত্র,” একইভাবে “মন্তর” এসেছে সংস্কৃত “মন্ত্র” থেকে যেটির অর্থ “সূত্র।” জোর দেওয়ার জন্য ছন্দ মেলানো শব্দ যোগ করার স্থানীয় রীতি প্রচলিত থাকায় যন্তর মন্তর নামটার উদ্ভব হয়েছে।

১৯১০ সালে নিউ দিল্লির যন্তর মন্তরে স্থাপিত একটা যন্ত্রে লাগানো স্মারক, এই মানমন্দিরটা ১৭১০ সালে নির্মিত হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু, পরবর্তী গবেষণা ইঙ্গিত করে যে, এটার কাজ ১৭২৪ সালে সম্পূর্ণ হয়েছিল। আমরা দেখতে পাব যে, জয় সিংয়ের আত্মজীবনী বিষয়ক তথ্য এই উপসংহারে আসার পিছনে প্রমাণ জোগায়। কিন্তু, প্রথমে আসুন আমরা এই মানমন্দিরের বিভিন্ন যন্ত্রের প্রতি এক ঝলক দৃষ্টি দিই, যেগুলোকে বিশ্বে এই ধরনের যন্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো বলে মনে করা হয়।

যন্ত্র হিসেবে পাথরের তৈরি কাঠামোগুলো

এই মানমন্দিরে পাথরের তৈরি চারটে যন্ত্র রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাম্রাট ইয়ন্ত্র বা সর্বোচ্চ যন্ত্র, যেটা হচ্ছে “মূলত ২৪ ঘন্টায় বিভক্ত সূর্যঘড়ি।” এটা ছিল জয় সিংয়ের সবচেয়ে মহত্ত্বপূর্ণ সৃষ্টি। এটাতে পাথরের তৈরি এক বিশাল ত্রিভুজ রয়েছে, যেটার উচ্চতা ২১.৩ মিটার, ভিত ৩৪.৬ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ৩.২ মিটার। ত্রিভুজের ৩৯ মিটার লম্বা অতিভুজ পৃথিবীর অক্ষের সমান্তরালের এবং উত্তর মেরুর দিকে মুখ করে আছে। ত্রিভুজের দুদিকেই ঘন্টা, মিনিট ও সেকেন্ড নির্দেশ করার চিহ্নসহ কৌণিক উচ্চতা মাপনি রয়েছে। যদিও শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সাধারণ সূর্যঘড়ির অস্তিত্ব ছিল কিন্তু জয় সিং সময় পরিমাপ করার এই মৌলিক যন্ত্রটাকে বিষুবাংশ এবং গ্রহ-নক্ষত্রের সম্পর্কযুক্ত স্থানাঙ্ক পরিমাপ করার এক নিখুঁত যন্ত্রে পরিণত করেছিলেন।

এই মানমন্দিরের অন্য তিনটে কাঠামো হল রাম, জয়প্রকাশ এবং মিশ্রা ইয়ন্ত্র। এগুলো সূর্য ও বিভিন্ন নক্ষত্রের বিষুবাংশ, কৌণিক দূরত্ব এবং দিগংশ পরিমাপ করার জন্য খুব সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা হয়েছে। মিশ্রা নামক যন্ত্রটা এমনকি এও ইঙ্গিত করত যে, সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন শহরে কখন দুপুর হয়েছে।

মিশ্রা ইয়ন্ত্র ছাড়া, ওপরে উল্লেখিত সব যন্ত্র জয় সিং উদ্ভাবন করেছিলেন। ভারতে সেই সময়ে বিদ্যমান যেকোনো যন্ত্রের মধ্যে এগুলো ছিল অনেক বেশি জটিল ও ব্যবহারিক এবং এগুলো সঠিক পঞ্জিকা ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত তালিকার প্রসার ঘটিয়েছিল। এগুলোর নকশা ছিল সুরুচিপূর্ণ ও মনোরম আর দূরবিন ও অন্যান্য জিনিস উদ্ভাবিত না হওয়া পর্যন্ত এগুলো খুবই বহুমূল্য তথ্য প্রদান করেছিল কিন্তু পরে অন্যান্য যন্ত্রপাতি আসায় এগুলো সেকেলে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, অত্যন্ত মেধাবী ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ ব্যক্তি কেন তার জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণায় ইউরোপে প্রাপ্তিসাধ্য কয়েকটা যন্ত্র ব্যবহার করেননি, যার মধ্যে একটা দৃষ্টিসহায়ক (অপটিক্যাল) দূরবিনও ছিল? মহারাজার পটভূমি এবং সেই সময়ের ইতিহাসে এর উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়।

“গাণিতিক বিজ্ঞান অধ্যয়নে নিয়োজিত”

জয় সিং ১৬৮৮ সালে ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রাজপুতদের কাচাভেহা বংশের রাজধানী আমবেরের মহারাজ ছিলেন, যেটা দিল্লিতে অবস্থিত মুঘল শাসনের অধীনে ছিল। যুবক রাজকুমার হিন্দি, সংস্কৃত, পারসিক ও আরবি ভাষায় শিক্ষা লাভ করেছিলেন। এ ছাড়া, তিনি গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা এবং জুডো ও ক্যারাটের ওপর শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু, একটা বিষয় রাজকুমারের খুব প্রিয় ছিল। তার সময়কার একটা পুঁথি এই কথাগুলো উল্লেখ করে: “সওয়াই জয় সিং যখন থেকে তার যুক্তি করার ক্ষমতা ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন এবং যতই সেই বিষয়ে পরিপক্কতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি গাণিতিক বিজ্ঞানের (জ্যোতির্বিদ্যার) প্রতি নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করেছিলেন।”

১৭০০ সালে, তার বাবার মৃত্যুর পরে ১১ বছর বয়সে জয় সিং আমবেরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। শীঘ্রই, যুবক রাজাকে মুঘল সম্রাট দক্ষিণ ভারতে তার রাজদরবারে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যেখানে জগন্নাথের সঙ্গে জয় সিংয়ের পরিচয় হয়েছিল, যিনি গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যায় দক্ষ ছিলেন। জগন্নাথ পরে রাজার প্রধান সহকারী হয়েছিলেন। ১৭১৯ সালে মুহম্মদ শাহের শাসন শুরু না হওয়া পর্যন্ত যুবক মহারাজের রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিরতার মধ্যে ছিল। এরপর জয় সিংকে নতুন মুঘল শাসকের সঙ্গে একটা সভা করতে রাজধানী দিল্লিতে আসতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ১৭২০ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত এই সভাতেই জয় সিং এক মানমন্দির নির্মাণ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন যেটা সম্ভবত, ১৭২৪ সালে বাস্তবায়িত হয়েছিল।

একটা মানমন্দির নির্মাণ করার জন্য কী মহারাজাকে অনুপ্রাণিত করেছিল? জয় সিং উপলব্ধি করেছিলেন যে, ভারতে পাওয়া পঞ্জিকা ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত তালিকাগুলো ভুলে ভরা ছিল এবং জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে খুব অল্প উন্নতি হচ্ছিল। তাই, তিনি নতুন নতুন তালিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যেগুলোর সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে দৃশ্যমান গ্রহ-নক্ষত্রের মিল থাকবে। এ ছাড়া, তিনি জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণের যন্ত্রপাতি নির্মাণে আগ্রহী ছিলেন, যেগুলো জ্যোতির্বিদ্যা অধ্যয়নে নিয়োজিত প্রত্যেকের কাছে প্রাপ্তিসাধ্য হতে পারে। এভাবে জয় সিং ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পোর্তুগাল ও জার্মানি থেকে প্রচুর বই সংগ্রহ করেছিলেন। তার রাজদরবারে তিনি হিন্দু, ইসলামিক ও ইউরোপীয় জ্যোতির্বিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ থেকে পণ্ডিতদের সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। তিনি এমনকি জ্যোতির্বিদ্যার ওপর তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সর্বপ্রথম তথ্য সন্ধানকারী দলকে প্রাচ্য থেকে ইউরোপে পাঠিয়েছিলেন এবং তিনি তাদেরকে বিভিন্ন বই ও যন্ত্র নিয়ে আসার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

পূর্ব ও পশ্চিম যোগাযোগ করতে অসমর্থ হয়েছিল

কেন জয় সিং পাথরের তৈরি কাঠামোগুলো বানিয়েছিলেন, যদিও সেই সময়ে ইউরোপে দূরবিন, মাইক্রোমিটার এবং ভার্নিয়ের ব্যবহৃত হচ্ছিল? আর কেন তিনি কোপারনিকাস ও গ্যালিলিওর সূর্যকেন্দ্রিক ধারণাটি সম্বন্ধে করা আবিষ্কারগুলোর সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না বলে মনে হয়েছিল?

পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে যোগাযোগের অভাব অবশ্য কিছুটা দায়ী ছিল। কিন্তু, সেটাই একমাত্র বাধা ছিল না। এ ছাড়া, সেই সময়কার ধর্মীয় পরিবেশও এর জন্য দায়ী ছিল। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা ইউরোপে যাত্রা করতে অস্বীকার করেছিল কারণ তাদের কাছে সমুদ্র পার হওয়ার অর্থ ছিল তাদের জাতভ্রষ্ট হওয়া। ইউরোপের যে-সহযোগীরা জয় সিংকে তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করেছিল, তারা প্রধানত জেসুইট সম্প্রদায়ের পণ্ডিত ছিল। ভি. এন. শার্মা, যিনি জয় সিংয়ের জীবনী লিখেছিলেন, তার কথা অনুযায়ী সাধারণ ক্যাথলিক সদস্যদের সঙ্গে জেসুইট সম্প্রদায়ের লোকেদের ধর্মীয় বিচারসভার ভয় দেখিয়ে গ্যালিলিও এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীর দ্বারা পোষিত এই ধারণাটি গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছিল যে, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে। গির্জার জন্য এই ধারণাটি ছিল ধর্মবিরুদ্ধ ও নাস্তিকতা। তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ইউরোপে জয় সিংয়ের দ্বারা প্রেরিত প্রতিনিধিরা তাদের কেনাকাটার তালিকায় কোপারনিকাস ও গ্যালিলিওর উদ্ভাবিত বস্তুগুলো অথবা সূর্যকেন্দ্রিক ধারণাগুলোকে সমর্থন করার জন্য ব্যবহৃত নতুন নতুন যন্ত্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেনি।

যে-অনুসন্ধানের শেষ নেই

জয় সিং এমন এক যুগে বাস করতেন, যেখানে ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামি ছেয়ে ছিল। যদিও তার মেধাবী ও সুদক্ষ কাজ গ্রহ-নক্ষত্র সম্বন্ধে জ্ঞানকে বৃদ্ধি করেছিল কিন্তু এই ক্ষেত্রটাতে ভারতে যুগ যুগ ধরে সামান্যই উন্নতি হয়েছে। তবে, যন্তর মন্তর মানমন্দিরটা এমন একজন ব্যক্তির প্রচেষ্টার সাক্ষ্য দেয়, যার জ্ঞানপিপাসা ছিল।

গ্রহ-নক্ষত্রের গতির প্রতি জয় সিংয়ের আগ্রহ জাগার বহু শতাব্দী আগে থেকেই অন্যান্য চিন্তাশীল ব্যক্তিরা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে নিখিলবিশ্বের বিস্ময়কে বোঝার চেষ্টা করেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, মানবজাতি ঈশ্বরের হস্তকৃত কর্ম সম্বন্ধে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য অনুসন্ধান করতে আকাশে ‘ঊদ্ধর্বদিকে চক্ষু তুলিয়া’ চলবে।—যিশাইয় ৪০:২৬; গীতসংহিতা ১৯:১.

[১৮ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রাম/চিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

সাম্রাট ইয়ন্ত্র ছিল এক নিখুঁত সূর্যঘড়ি। বড় ত্রিভুজের ছায়া, বাঁকানো চতুর্ভাগগুলোতে পড়ত (হাইলাইট করা সাদা বৃত্তটা দেখুন), যেগুলোতে সময় নির্ধারণ করার চিহ্ন রয়েছে

[১৮ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রাম/চিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

জয়প্রকাশ ইয়ন্ত্র ফাঁপা গোলকগুলো দ্বারা গঠিত যেগুলোর ভিতরের দিকে চিহ্ন রয়েছে। এগুলোর এক ধার থেকে আরেক ধার পর্যন্ত তারগুলো আড়াআড়িভাবে রয়েছে

রাম ইয়ন্ত্রের ভিতরে দাঁড়িয়ে একজন পর্যবেক্ষক একটা তারার সঠিক অবস্থান, বিভিন্ন চিহ্ন অথবা কোনো জানালার ধার বরাবর মিলিয়ে দেখতে পারে

[১৮ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রাম/চিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

মিশ্রা ইয়ন্ত্র ইঙ্গিত করেছিল যে, বিভিন্ন শহরে কখন দুপুর হচ্ছে

[১৯ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রাম/চিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

চোখ সোজা রেখে তারা ও গ্রহগুলোকে দেখা ছিল জ্যোতির্বিদ্যার পুরোনো পদ্ধতি, যেটাকে জয় সিং আরও নিখুঁত করেছিলেন

একটা তারার অবস্থান শনাক্ত করতে আপনাকে সেটার কৌণিক দূরত্ব (আকাশে সেটা কত উঁচুতে রয়েছে) এবং দিগংশ (সঠিক উত্তর দিক থেকে এটা কতটা পূর্ব দিকে রয়েছে) জানতে হবে

সাম্রাট ইয়ন্ত্রে দুজন ব্যক্তির সাহায্যে একটা তারা শনাক্ত করা এবং এটার অবস্থান জানা যায়

[সৌজন্যে]

নিচে: Reproduced from the book SAWAI JAI SINGH AND HIS ASTRONOMY, published by Motilal Banarsidass Publishers (P) Ltd., Jawahar Nagar Delhi, India

[১৯ পৃষ্ঠার মানচিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

ভারত

নিউ দিল্লি

মথুরা

জয়পুর

বারাণসী

উজ্জয়িনী

নিউ দিল্লিতে অবস্থিত একটাসহ জয় সিং ভারতে পাঁচটা মানমন্দির নির্মাণ করেছিলেন

[১৮ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

ছবি: Courtesy Roop Kishore Goyal