সচেতন থাক! পড়ে সতর্কিত
সচেতন থাক! পড়ে সতর্কিত
নিয়মিত পাঠক-পাঠিকারা সচেতন থাক! পত্রিকার বিভিন্ন প্রবন্ধের মূল্য উপলব্ধি করে থাকে। কিন্তু জার্মানির এক দম্পতি, যারা গত ডিসেম্বর মাসে থাইল্যান্ডের কেও ল্যাকে ছুটি কাটাচ্ছিল, তাদের ক্ষেত্রে ২০০১ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারির সংখ্যাতে প্রকাশিত “ধ্বংসাত্মক টেউ—ভুল ও সঠিক তথ্যগুলো” (ইংরেজি) নামক প্রবন্ধটির মূল্য উল্লেখযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
জার্মানির খবরের কাগজ ফ্রাঙ্কেনপস্ট (জেলবে টাগব্লাট) এই দম্পতির অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে এই বিবৃতি দিয়েছিল: “‘আমরা সাঁতার কাটছিলাম,’ রসভিটা গেজেল মনে করে বলেন। সমুদ্রে সাঁতার কাটার পর কাপড় পালটানোর জন্য গেজেল দম্পতি তাদের হোটেলে যায়। রাইনার গেজেল, এর পরে যে-রোমহর্ষক দৃশ্য তারা দেখেছিল সেটার বর্ণনা করেন: ‘দশ মিনিট পর সমুদ্র সৈকতে ফিরে গিয়ে আমরা দেখেছিলাম যে, সমুদ্র উধাও হয়ে গিয়েছে।’ সমুদ্রতীর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার [চার মাইল] দূরে অবস্থিত শৈলশ্রেণী পর্যন্ত শুধু সমুদ্রতলই দেখা যাচ্ছিল। ‘যারাই সেই অবধি জলে সাঁতার কাটছিল তারা সবাই সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিল।’ “গেজেল দম্পতি তাদের প্রাণের রক্ষার জন্য সচেতন থাক! পত্রিকার সেই প্রবন্ধটির প্রতি ঋণী।” প্রবন্ধটি ব্যাখ্যা করেছিল যে, সুনামি হওয়ার আগে প্রায়ই অস্বাভাবিক বহির্গামী জোয়ার আসে।
“গেজেল দম্পতি দূরে প্রকাণ্ড টেউগুলো দেখামাত্র, পিছনে ঘুরে দৌড়াতে শুরু করেছিল। রাইনার গেজেল মনে করে বলেন যে, টেউগুলো ১২ থেকে ১৫ মিটার [৪০ থেকে ৫০ ফুট] উঁচু জলের প্রাচীরের মতো দেখাচ্ছিল। তার স্মৃতিতে থাকা দৃশ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দৃশ্যটি ছিল, সেই সময়ে সমুদ্র সৈকতে অন্যান্য পর্যটক বিস্ময়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে ছিল। ‘তারা সেখান থেকে এক পা-ও নড়েনি। আমি চিৎকার করে তাদের পালাতে বলেছিলাম কিন্তু কেউই সাড়া দেয়নি।’ তাদের কেউ বেঁচে আছে কি না, সেই বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।”
গেজেল দম্পতি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে খবরের কাগজের প্রবন্ধটি এও মন্তব্য করেছিল: “যিহোবার সাক্ষি হিসেবে, ছুটি কাটানোর সময়ে তারা নিকটতম মণ্ডলীর সঙ্গে মেলামেশা করেছিল, যেটি কেও ল্যাক থেকে ১৪০ কিলোমিটার [৮৫ মাইল] দূরে অবস্থিত ছিল। তাদের সহবিশ্বাসীরা যখন এই মর্মান্তিক বিপর্যয় সম্বন্ধে শোনে, তখন পুরো মণ্ডলী তাদের খোঁজে কেও ল্যাকের দিকে রওনা দেয়।”
এখন নিরাপদে জার্মানিতে ফিরে গিয়ে, এই দম্পতি সচেতন থাক! পত্রিকায় পাওয়া বহুমূল্য তথ্যের জন্য কতই না কৃতজ্ঞতা বোধ করে! আর তারা থাই অধিবাসীদের প্রতি কতই না কৃতজ্ঞ, যারা তাদেরকে সাহায্য করেছিল, বিশেষ করে তাদের আধ্যাত্মিক ভাইবোনদের কাছে, যারা তাদের প্রতি অকৃত্রিম খ্রিস্টীয় প্রেম প্রদর্শন করেছিল!