আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে
আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে
মায়েরা “শিক্ষিকা হিসেবে মায়েদের ভূমিকা” (এপ্রিল - জুন ২০০৫) শিরোনামের চমৎকারভাবে লিখিত এই ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এটি সত্যিই আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে এবং পড়া শেষ হওয়া মাত্র আমি আমার মাকে ফোন করতে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমার মা একা আমার দাদা ও আমাকে মানুষ করেছেন। তিনি নিজেও যথেষ্ট পড়াশোনা করেছিলেন, যাতে আমাদের ভরণপোষণ জোগাতে পারেন। তিনি খেয়াল রাখতেন যেন আমরা নিয়মিতভাবে খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে এবং পরিচর্যায় যাই। তার কাজ উত্তম ফল নিয়ে এসেছে। তার চমৎকার উদাহরণের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
এম. এস., যুক্তরাষ্ট্র
আমাকে আধ্যাত্মিক ও নৈতিকভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমার মায়ের আত্মত্যাগমূলক প্রচেষ্টার কথা আমার মনে পড়ে গিয়েছিল। যদিও তিনি আমার বাবার কাছ থেকে কোনো মানসিক ও আর্থিক সমর্থন পাননি কিন্তু তিনি আমাকে যিহোবাকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন। এ ছাড়া, তিনি আমাকে পূর্ণসময়ের সুসমাচারের প্রচারক হওয়ার জন্যও উৎসাহিত করেছিলেন। আমি আমার মায়ের প্রচেষ্টাকে হালকাভাবে নিয়েছিলাম কিন্তু এই ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো যেমন জানিয়েছে, তিনি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। আমি অনেক দূর থেকে ফোন করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি!
চি. এইচ. কে., কোরিয়া প্রজাতন্ত্র
আমার বাবা আমাদের খ্রিস্টীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী নন। আমার মা-ই আমাকে “প্রভুর [“যিহোবার,” NW] শাসনে ও চেতনা প্রদানে” মানুষ করে তুলেছেন। (ইফিষীয় ৬:৪) মাঝে মাঝে আমি যে-মনোভাব দেখাতাম তা বিবেচনা করলে, এটা তার জন্য সহজ ছিল না। আমার বয়স এখন ২৪ বছর এবং আমি কৃতজ্ঞ যে, তিনি হাল ছেড়ে দেননি বরং আমার হৃদয়ে বাইবেলের সত্যকে গেঁথে দেওয়ার ব্যাপারে অটল ছিলেন।
ডি. এম., ইতালি (g০৫ ১২/৮)
টম্যাটো আমার বয়স ১২ বছর আর “টম্যাটো বিবিধ ব্যবহারোপযোগী এক ‘সবজি’” (এপ্রিল - জুন ২০০৫) প্রবন্ধটি আমার ভাল লেগেছে। নানা রকমের সুস্বাদু সবজি সৃষ্টি করার জন্য আমি যিহোবার কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। এমনকি ডোরা ডোরা দাগসহ টম্যাটোও রয়েছে, এটা পড়ে আমি অবাক হয়েছিলাম! এই ধরনের রোমাঞ্চকর প্রবন্ধগুলোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
এম. এফ., লাটভিয়া
কুমির “একটা কুমির দেখে কি আপনি হাসতে পারেন?” (এপ্রিল - জুন ২০০৫) প্রবন্ধটি আমার ওপর খুবই ছাপ ফেলেছে। আমি সবসময়ই কুমিরকে একটা বিস্ময়কর প্রাণী বলে বিবেচনা করেছি। আমি বিভিন্ন আগ্রহজনক তথ্য পড়ে আনন্দিত হয়েছি, যা লোকেদেরকে আমার মতোই কুমিরকে পছন্দ করতে প্রণোদিত করতে পারে। আমি যিহোবার নতুন জগতের অপেক্ষায় রয়েছি, যেখানে আমরা কুমির সম্বন্ধে আরও ভাল করে জানতে পারব!
এল. আই., যুক্তরাষ্ট্র
আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে আমি হাড়ের একটা রোগ নিয়ে জন্মে ছিলাম। “মাইলিনের জন্য এক নতুন মুখমণ্ডল” (জুলাই - সেপ্টেম্বর ২০০৪) প্রবন্ধটি সম্বন্ধে “আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে” (এপ্রিল - জুন ২০০৫) প্রবন্ধে প্রকাশিত মর্মস্পর্শী, অনুপ্রেরণাদায়ক চিঠিগুলো পড়ে আমার চোখে জল এসে গিয়েছে। প্রত্যেকটা চিঠিতেই নির্দিষ্ট কিছু বিষয় ছিল, যেগুলো আমার কাছে বিশেষভাবে অর্থপূর্ণ ছিল ও ব্যক্তিগতভাবে উপকার লাভ করতে পেরেছি।
এম. জে., ব্রিটেন (g০৫ ১২/২২)
সন্তান সম্প্রতি আমি “সন্তানের শৈশবের বছরগুলোতে—বাবামার কী করা উচিত?” (জানুয়ারি - মার্চ ২০০৫) এই ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো পড়েছি। এই প্রবন্ধগুলো আমার ওপর এতটাই ছাপ ফেলেছে যে, আমি আপনাদেরকে লেখার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমার একটা মেয়ে রয়েছে, যে শীঘ্রই পাঁচ বছরে পড়বে। আমি ভাবতাম যে, তার সময়ের প্রতিটা মুহূর্তেই কোনো না কোনো বিষয় দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু, এই পত্রিকাটি জানিয়েছে যে, কিছু শিক্ষক মনে করে স্বাধীনভাবে খেলাধুলা করা অত্যাবশ্যক, কারণ তা সৃজনশীলতাকে জাগিয়ে তোলে এবং সন্তানের সামাজিক, মানসিক এবং আবেগগত দক্ষতাগুলোকে বৃদ্ধি করে। আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ! দয়া করে এইরকম বিষয়ের ওপর নিয়মিত প্রবন্ধ প্রকাশ করুন!
আই. কে., রাশিয়া
এই ধারাবাহিকগুলো পড়ার সময় আমি চোখের জল আটকে রাখতে পারিনি। আমার ২৯ বছর আগেরকার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল, যখন খুবই অল্পবয়সে আমি মা হয়েছিলাম, যে মা তখন যিহোবাকে সেবা করত না। আমি অনেক ভুল করেছি। কিন্তু, আমার দুঃখের অশ্রু আনন্দের অশ্রুতে পরিণত হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে আমার মেয়ের প্রথম বাচ্চা হয়েছে। আমি যিহোবার কাছে খুবই কৃতজ্ঞ যে, আমার নাতির এমন বাবামা রয়েছে, যারা যিহোবাকে ভালবাসে এবং যারা এই ধরনের প্রবন্ধগুলো থেকে উপকার লাভ করবে।
ই. এইচ., যুক্তরাষ্ট্র (g০৫ ৮/৮)