সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যানজট আপনি কী করতে পারেন?

যানজট আপনি কী করতে পারেন?

যানজট আপনি কী করতে পারেন?

ফিলিপিনসের সচেতন থাক! লেখক কর্তৃক

সতর্কবাণী: বড় বড় শহরগুলোতে এক মহামারী আঘাত আনছে। এটা কোনো সংক্রামক ব্যাধি কিংবা এক সর্বগ্রাসী ধ্বংসাত্মক পতঙ্গের ঝাঁক নয়। তারপরেও, এটা লক্ষ লক্ষ লোকের মঙ্গলের পক্ষে হুমকিস্বরূপ হয়ে থাকে। এটা কী? এটা হচ্ছে, মোটরচালিত যানবাহনের আধিক্যের মহামারী!

গবেষকদের মতানুসারে, প্রতিদিন বার বার অত্যধিক পরিমাণে যানবাহনের মুখোমুখি হওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হতে পারে। সম্প্রতি, একটা গবেষণা ইঙ্গিত করে যে, একজন ব্যক্তি কমপক্ষে এক ঘন্টা যানজটে আটকে পড়ার পর, তার হার্ট আ্যটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দ্যা নউজিল্যান্ড হেরাল্ড রিপোর্ট করে যে, “সম্ভবত, গাড়ির ইঞ্জিন থেকে নির্গত তেল, শব্দ ও চাপ হচ্ছে, আকস্মিক ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়ার মূল কারণ।”

বাতাসে বিষ

অধিকাংশ মোটরগাড়ি নাইট্রোজেন অক্সাইড ও কিছু গাড়ি ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থ নিঃসরণ করে। অনেক গাড়ি, বিশেষ করে যে-গাড়িগুলো ডিজেল ইঞ্জিনে চলে সেগুলো মিনিটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা নিঃসরণ করে। জনস্বাস্থ্যের জন্য এগুলো গুরুতর বিপদ ডেকে আনে। অনুমান করা হয়েছে যে, বায়ুদূষণের ফলে প্রতি বছর ত্রিশ লক্ষ লোক মারা যায় আর এর বেশির ভাগই মোটরগাড়ি থেকে আসা দূষণের দরুন ঘটে। একটা রিপোর্ট বলে যে, ইউরোপের ছেলেমেয়েদের শতকরা ১০ ভাগ শ্বাস সংক্রান্ত সংক্রমণের কারণ হচ্ছে অতি সূক্ষ্ম কণিকাসমূহের দূষণ, যা সেই শহরগুলোতে অধিক হারে ঘটে থাকে, যেখানে অত্যধিক পরিমাণে যানবাহন রয়েছে।

এ ছাড়া, পৃথিবীর পরিবেশের বিপদের কথাও বিবেচনা করুন। গাড়ি থেকে নিঃসৃত নাইট্রোজেন অক্সাইড ও সালফার ডাইঅক্সাইড, আ্যসিড বৃষ্টির কারণ হয়ে থাকে, যা জলাশয়গুলোকে দূষিত করে, জলজ উদ্ভিদ বা প্রাণীর ক্ষতি করে এবং নানারকমের শাকসবজি নষ্ট করে। যে-বিষয়টা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে সেটা হল, গাড়িগুলো প্রচুর পরিমাণে কারবন ডাইঅক্সাইড নির্গত করে। এই গ্যাসই মূলত পৃথিবীব্যাপী তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধির জন্য দায়ী, যেটা পৃথিবী গ্রহের জন্য অন্যান্য বিপদও ডেকে আনে বলে মনে করা হয়।

অধিক দুর্ঘটনা

যানবাহনের সংখ্যা যত বাড়ছে, মানুষের জীবনে বিপদও ততই বেড়ে চলেছে। প্রতি বছর দশ লক্ষেরও বেশি লোক যান সংক্রান্ত দুর্ঘটনাগুলোতে মারা যায় আর এই সংখ্যা কেবল বেড়েই চলেছে। কিছু কিছু এলাকায় এই বিপদ বিশেষভাবে অত্যধিক। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপিয়ান কমিশন এর গবেষণাকারীরা দেখেছে যে, “গ্রিসে প্রতি দশ লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে ৬৯০ জন লোক সড়কপথে নিহত হয় আর অন্যদিকে সুইডেনে ১২০ জন নিহত হয়।”

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে-অপ্রীতিকর বিষয়টা অনেক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তা হল রাস্তায় প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হওয়া। চালকদের একে অন্যের ওপর রাগ প্রকাশ করার রিপোর্ট দিন দিন সাধারণ বিষয় হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্র্যাফিক সেফটি আ্যডমিনিসট্রেশন দ্বারা পরিচালিত এক সমীক্ষা অনুসারে, চালকরা মনে করে যে, চালকদের ক্ষিপ্ততা বৃদ্ধির একটা কারণ ছিল, “যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি।”

এক অর্থনৈতিক কশাঘাত

এ ছাড়া, অত্যধিক পরিমাণ যানবাহনের কারণে অর্থও ব্যয় হয়। একটা গবেষণা দেখিয়েছে যে, শুধু কালিফোর্ণিয়ার লস আ্যঞ্জেলেসেই, যানবাহনের আধিক্যের বিলম্বের দরুন প্রতি বছর চারশো কোটিরও বেশি লিটার জ্বালানি অপচয় হয়। এ ছাড়া, পরোক্ষভাবেও লোকসান হয়ে থাকে, যেমন ব্যাবসার সুযোগগুলো হারানো, দূষণের কারণে স্বাস্থ্যসেবায় বাড়তি খরচ এবং যান দুর্ঘটনা বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিপূরণের মাত্রা বৃদ্ধি।

যানবাহনের আধিক্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মোট ব্যয়ের পরিমাণ যোগ করলে, এই ক্ষতি জাতীয় অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়। একটা গবেষণা দেখিয়েছে যে, যানজটের ফলে আমেরিকাবাসীদের প্রতি বছর যে-সময় ও জ্বালানি অপচয় হয় তার মূল্য প্রায় ৬৮০ কোটি ডলার। সুদূর প্রাচ্যে, ফিলিপিন স্টার খবরের কাগজের একটা রিপোর্ট বলেছিল: “একটা ট্যাক্সির মিটার যেভাবে উঠতে থাকে, তেমনই যানজটের দরুন প্রতি বছর দেশের কোটি কোটি পেসো লোকসান হচ্ছে।” ইউরোপে এর আনুমানিক ব্যয় প্রায় ২,০৭০ কোটি মার্কিন ডলার।

যানবাহন সংক্রান্ত পূর্বাভাস কী?

যানবাহন সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা সত্ত্বেও, বিষয়গুলো আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। টেক্সাস ট্রান্সপোর্টেশন ইন্সটিটিউট দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫টা শহুরে এলাকার ওপর এক জাতীয় সমীক্ষা দেখিয়েছে যে, যানবাহনে সংঘটিত বিলম্বের কারণে যে-সময় ব্যয় হয় তার পরিমাণ ১৯৮২ সালে বছরে যেখানে ১৬ ঘন্টা ছিল, সেখানে তা বেড়ে ২০০০ সালে ৬২ ঘন্টায় পৌঁছেছে। দিনের বেলায় যাত্রীরা যে-যানজটের সম্মুখীন হয়, সেই সময় সাড়ে ৪ ঘন্টা থেকে বেড়ে ৭ ঘন্টায় পৌঁছেছে। রিপোর্ট জানায় যে, “গবেষণার ইতিহাস জুড়ে যানবাহনের আধিক্যে যানজটের মাত্রা প্রতিটা এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যানজটে আটকে পড়ার সময় বেড়ে চলেছে আর আগের চেয়ে আরও বেশি রাস্তা প্রভাবিত হচ্ছে এবং ভ্রমণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় যানজটও বেশি হচ্ছে।”

অন্যান্য দেশ থেকেও একই রিপোর্ট আসে। ইউরোপিয়ান কমিশনের পরিচালনাধীনে কার্যরত গবেষকরা উপসংহার করেছিল যে: “আমাদের পরিবহণের পথে আমরা যদি আমুল পরিবর্তন না আনি, তা হলে পরবর্তী দশকে যানজট সমস্ত শহরকে নিশ্চল করার দিকে পরিচালিত করবে।”

এশিয়ার দেশগুলোতে অধিক পরিমাণে এই সমস্যা রয়েছে। টোকিও যানজটের জন্য কুখ্যাত আর জাপান জুড়ে অন্যান্য শহরে দিন দিন অধিক সংখ্যক যানবাহন দেখা যাচ্ছে। ফিলিপনসের ম্যানিলা বুলেটিন থেকে আসা রিপোর্টগুলো খুবই সাধারণ ব্যাপার: “গায়ে গায়ে লাগানো গাড়ির কারণে রাস্তাগুলো পূর্ণ হয়ে যায়, ফলে বাসে, ট্রেনে ইত্যাদিতে নিয়মিত কর্মস্থলে যায় এমন হাজার হাজার যাত্রীর ক্ষেত্রে কাজে যাওয়ার সময়ে গাড়ি ধরার জন্য অপেক্ষার করার সময় দিন দিন কেবল বেড়েই চলেছে।”

বাস্তব বিষয়টা হচ্ছে, এখনই যানজট সমস্যার পুরোপুরি কোনো সমাধান নেই বলেই মনে হয়। যানজটে আটকে পড়া—কাজে যাওয়ার সময়ে যানবাহনের আধিক্যের সঙ্গে মোকাবিলা করা (ইংরেজি) নামক বইয়ের লেখক আ্যনথনি ডাউঞ্জ এই উপসংহারে এসেছিলেন: “ভবিষ্যতে যানবাহনের আধিক্য সমাধানে যেকোনো গণ কর্মপন্থাকেই উপযোগী করা হোক না কেন, পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জায়গাতেই এটা সম্ভবত আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই আমার সর্বশেষ পরামর্শ হচ্ছে: “এর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যান।”

আপনি কী করতে পারেন?

এর পরিপ্রেক্ষিতে, এই বিরক্তিকর সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আপনি কী করতে পারেন? আপনি যদি সেইসব লক্ষ লক্ষ লোকের মধ্যে থাকেন যারা প্রায়ই যানজটে আটকে পড়ে, তা হলে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনি আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে রক্ষা করার জন্য করতে পারেন।

◼ প্রস্তুত থাকুন। যানজটে আটকে পড়ার আগেই অনেকে ইতিমধ্যে প্রচণ্ড চাপ বোধ করে। তারা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। তারা তাড়াহুড়ো করে স্নান করে, জামাকাপড় পরে এবং খাবার খায়। কাজে দেরি হয়ে যাবে এই চিন্তাই তাদেরকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। যানবাহনের আধিক্য তাদের চাপের মাত্রাকে কেবল বাড়িয়েই দেয়। আপনি যদি জানেন যে যানজটে আটকে পড়বেন, তা হলে আপনার যাত্রার জন্য অতিরিক্ত সময় রাখুন। একটু আগে ঘর থেকে বেরনোর দ্বারা, আপনি হয়তো কাজের সময়ের যানজটে আটকে পড়া এড়াতে পারেন। যাতায়াতের চাপ—কারণ, ফলাফল এবং মোকাবিলা করার পদ্ধতি (ইংরেজি) বই অনুসারে, “কম চাপপূর্ণ যাত্রা এক দিন বা রাতের আগেই শুরু হয়।” বইটি আরও বলে: “সকালের তাড়াহুড়ো এড়ানোর জন্য যাকে বাইরে যেতে হবে তার অথবা পরিবারের ছেলেমেয়েদের জামাকাপড়, ব্রিফকেস, দুপুরের খাবার রাতে প্রস্তুত করে রাখুন।” অবশ্যই, রাতে ভাল করে ঘুমানো অত্যাবশ্যক। সকালে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে হব।

এ ছাড়া, সকাল সকাল ওঠার অন্যান্য উপকারও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যানবাহনে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা আপনার মাংসপেশীগুলোতে চাপ সৃষ্টি করতে এবং সেগুলোর নমনীয়তাকে হ্রাস করতে পারে। আপনার পরিস্থিতি যদি সুযোগ দেয়, তা হলে সকালে ব্যায়াম করুন না কেন? নিয়মিত ব্যায়াম আপনার শরীরকে সব দিক দিয়ে সুস্থ রাখতে পারে এবং তা আপনাকে যানজটে আটকে পড়ার শারীরিক চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা আপনাকে সকালবেলা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাবারদাবার খেয়ে কিংবা খালি পেটে যানজটে আটকে পড়া আপনাকে আরও বেশি চাপে ফেলতে পারে।

আপনার গাড়ি ভাল অবস্থায় রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার দ্বারা আপনি হয়তো অতিরিক্ত চাপ এড়াতে পারেন। যানজটের মধ্যে আপনার গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো বিরক্তিকর বিষয় খুব কমই রয়েছে। খারাপ আবহাওয়ায় এটা বিশেষভাবে সত্য। তাই, আপনার গাড়ির ব্রেক, টায়ার, এয়ার কান্ডিশনার, হিটার, উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার, ডিফ্রোস্টার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করুন। অধিক পরিমাণ গাড়ি রয়েছে এমন রাস্তায় এমনকি একটা ছোট দুর্ঘটনাও অত্যন্ত চাপপূর্ণ বলে প্রমাণিত হতে পারে। আর সেইসঙ্গে সবসময় এই বিষয়টা নিশ্চিত করুন যে, আপনার গাড়ির ট্যাঙ্কে যথেষ্ট জ্বালানি রয়েছে।

◼ অবগত থাকুন। গাড়ি চালানো শুরু করার আগে, বিশেষ কিছু পরিস্থিতি সম্বন্ধে অবগত থাকা আপনাকে সাহায্য করতে পারে, যেমন খারাপ আবহাওয়া, রাস্তা নির্মাণ, অস্থায়ী রাস্তা বন্ধ, দুর্ঘটনা এবং সেই দিনের অন্যান্য যানবাহন সংক্রান্ত অবস্থা। আপনি হয়তো রেডিওতে খবর শুনে অথবা খবরের কাগজ পড়ে এই তথ্য জানতে পারেন। এ ছাড়া, এলাকার একটা মানচিত্র সঙ্গে রাখুন। বিকল্প রাস্তাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার দ্বারা আপনি হয়তো সমস্যাপূর্ণ স্থানগুলোকে এড়িয়ে ঘুরে অন্য পথ দিয়ে যেতে পারবেন।

◼ স্বচ্ছন্দ হোন। আপনার গাড়িতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ও সেইসঙ্গে আপনার আসনের অবস্থান ঠিকঠাক করে নিন, যাতে আপনি যথাসম্ভব স্বচ্ছন্দ বোধ করতে পারেন। আপনার গাড়িতে যদি রেডিও বা ক্যাসেট কিংবা সিডি-প্লেয়ার থাকে, তা হলে আপনি আপনার প্রিয় সংগীত শুনতে পারেন। কিছু কিছু যন্ত্রসংগীত শান্ত করতে পারে আর এর ফলে হয়তো চাপ হ্রাস পেতে পারে। এই পদ্ধতিগুলো হয়তো অত্যধিক পরিমাণ যানবাহনের বিরক্তিকর শব্দের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। *

◼ সময়টাকে কাজে লাগান। যানজটে আটকে থাকার সময়ে আপনি সবচেয়ে কার্যকারী যে-একটা বিষয় করতে পারেন, তা হল ইতিবাচকভাবে চিন্তা করা। যানজটের খারাপ দিকের কথা চিন্তা না করে বরং দিনের কাজকর্মের বিষয়ে চিন্তা করুন। আপনি যদি একা থাকেন, তা হলে যানজটে আটকে পড়ে আপনি যে-সময় ব্যয় করেন, তা হয়তো আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চিন্তা করতে এবং এমনকি নির্বিঘ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক অনুপম সুযোগ দিতে পারে।

আপনি যদি একজন যাত্রী হন, তা হলে সামনে গাড়ির লম্বা লাইনের দিকে তাকানো হয়তো আপনার চাপকে কেবল বৃদ্ধিই করবে। তাই, আপনার যানবাহনে অপেক্ষার সময়কে কার্যকারীভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করুন। আপনি হয়তো সঙ্গে করে আপনার প্রিয় বই অথবা খবরের কাগজ নিতে পারেন। আপনি হয়তো আগের দিনের কিছু চিঠিপত্র পড়তে পারেন। কেউ কেউ এই সময়ে চিঠি লিখতে অথবা সহজে বহনীয় কম্পিউটারে কিছু কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করতে পারে।

◼ বাস্তবধর্মী হোন। আপনি যদি এমন একটা এলাকায় বাস করেন যেখানে যানজট একটা সমস্যা, তা হলে আগে থেকে প্রস্তুত থাকুন এবং সেই অনুসারে পরিকল্পনা করুন। অধিকাংশ শহরে অধিক পরিমাণে যানবাহন ক্রমাগত একটা সমস্যাই থেকে যাবে। যানজটে আটকে পড়া—কাজে যাওয়ার সময়ে যানবাহনের আধিক্যের সঙ্গে মোকাবিলা করা বইটি বলে: “ইতিমধ্যে সমস্ত মহানগর এলাকাতে কাজে যাওয়ার সময়ে যে-যানজট রয়েছে, আগামী ভবিষ্যতে সেগুলোর কোনো উন্নতি যে হবে না তা প্রায় নিশ্চিত।” তাই, যানজটকে আপনার জীবনের একটা সাধারণ অংশ হিসেবে মেনে নিতে শিখুন আর পরিস্থিতিকে যথাসম্ভব কার্যকারী করার জন্য আপনার যথাসাধ্য করুন! (g০৫ ১১/২২)

[পাদটীকা]

^ সচেতন থাক! পত্রিকার অনেক পাঠক এই পত্রিকার ও সেইসঙ্গে এর সহযোগী পত্রিকা প্রহরীদুর্গ এর অডিও রেকর্ড শোনা উপভোগ করে। কিছু ভাষায় এগুলো অডিওক্যাসেট, কমপ্যাক্ট ডিস্ক এবং এমপিথ্রি ফরমেটে পাওয়া যাচ্ছে।

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

আগে থেকে পরিকল্পনা করে যানজট এড়িয়ে চলুন

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

গাড়ি চালানোর আগে, একটা উপযুক্ত ক্যাসেট অথবা সিডি বেছে নিন

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

একজন যাত্রী হিসেবে, সময়টাকে কাজে লাগানোর একটা উপায় খুঁজুন

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

যে-বিষয়গুলোকে আপনি পালটাতে পারবেন না, সেগুলো নিয়ে হতাশ হবেন না