সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের প্রতি

আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের প্রতি

আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের প্রতি

এই সংখ্যা থেকে সচেতন থাক! পত্রিকার বিন্যাসে কিছু পরিবর্তন দেখা যাবে। যদিও নির্দিষ্ট কিছু বিষয় পরিবর্তন করা হবে কিন্তু অধিকাংশই আগের মতো একই থাকবে।

সচেতন থাক! পত্রিকার উদ্দেশ্য দশকের পর দশক ধরে যেমন ছিল, এখনও পর্যন্ত তেমনই রয়েছে। ৪ পৃষ্ঠায় যেমন ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, “এটি প্রকাশিত হয়, যাতে সমগ্র পরিবার জ্ঞানালোকপ্রাপ্ত হয়।” বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনা পরীক্ষা করে, বিভিন্ন সংস্কৃতির লোকেদের সম্বন্ধে জানিয়ে, সৃষ্টির বিস্ময়গুলো বর্ণনা করে, স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা করে অথবা বিজ্ঞানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয় এমন ব্যক্তিদের জন্য বিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করে সচেতন থাক! আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের ক্রমাগত তথ্য প্রদান করবে, তাদেরকে আমাদের চারপাশের জগৎ সম্বন্ধে সতর্ক করবে।

১৯৪৬ সালের ২২শে আগস্ট সচেতন থাক! (ইংরেজি) পত্রিকা অঙ্গীকার করেছিল: “সত্যের প্রতি নীতিনিষ্ঠ থাকাই হবে এই পত্রিকার সর্বোচ্চ লক্ষ্য।” সেই অঙ্গীকার অনুযায়ী, সচেতন থাক! সবসময়ই বাস্তব তথ্য প্রকাশ করার প্রচেষ্টা করেছে। সেই কারণে, প্রবন্ধগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গবেষণা করা হয় এবং সেগুলোর সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সতর্কভাবে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু, এই পত্রিকা এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ এক উপায়ে ‘সত্যের প্রতি নীতিনিষ্ঠা’ প্রদর্শন করেছে।

সচেতন থাক! সবসময়ই বাইবেলের প্রতি পাঠক-পাঠিকাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। কিন্তু, এই সংখ্যা থেকে সচেতন থাক! অতীতের চেয়ে আরও বেশি বাইবেলভিত্তিক প্রবন্ধ তুলে ধরবে। (যোহন ১৭:১৭) এ ছাড়া সচেতন থাক! সেই প্রবন্ধগুলোও তুলে ধরবে, যেগুলো দেখায় যে, বাইবেলের ব্যবহারিক পরামর্শ কীভাবে বর্তমানে অর্থপূর্ণ ও সফল জীবনযাপন করার ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . .” এবং “বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি” নামক ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলোতে বাইবেলভিত্তিক অনেক নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেগুলো এই পত্রিকার নিয়মিত বিষয় হিসেবে থাকবে। এ ছাড়া সচেতন থাক! ক্রমাগত এক শান্তিপূর্ণ নতুন জগতের বিষয়ে বাইবেলের প্রতিজ্ঞার প্রতি পাঠক-পাঠিকাদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে, যে-জগৎ শীঘ্রই বর্তমান নীতিহীন বিধিব্যবস্থাকে সরিয়ে দেবে।—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.

আর কী পরিবর্তন করা হবে? এই সংখ্যা থেকে সচেতন থাক! ৮২টা ভাষার মধ্যে অধিকাংশ ভাষায় মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হবে (আগে এটি অনেক ভাষায় পাক্ষিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ করা হতো)। * “বিশ্ব নিরীক্ষা,” যা সেই ১৯৪৬ সাল থেকে এক নিয়মিত বিষয়, তা এখনও প্রতি সংখ্যায়ই থাকবে তবে দুই পৃষ্ঠা থেকে কমিয়ে এক পৃষ্ঠায় করা হবে। ৩১ পৃষ্ঠায় আমরা নিয়মিতভাবে এক নতুন আগ্রহজনক বিষয় উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, যার শিরোনাম, “আপনি কীভাবে উত্তর দেবেন?” এতে কোন কোন বিষয় থাকবে আর আপনি কীভাবে সেটা ব্যবহার করতে পারেন?

এই সংখ্যার ৩১ পৃষ্ঠা দেখার জন্য একটু সময় করে নিন। এই পৃষ্ঠার কিছু বিভাগ অল্পবয়স্ক পাঠক-পাঠিকাদের আকৃষ্ট করবে; অন্যগুলো বাইবেলের জ্ঞানে বেশ অগ্রগতি করছে এমন বাইবেল ছাত্রদের স্মরণশক্তিকে পরীক্ষা করবে। “ইতিহাসে কখন?” শিরোনামের বিভাগটা আপনাকে একটা সময় তালিকা তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা দেখাবে যে, বাইবেলের চরিত্রগুলো কোন সময়ে বাস করত এবং কখন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। যদিও “এই সংখ্যা থেকে” বিভাগের উত্তরগুলো পুরো পত্রিকায়ই পাওয়া যাবে কিন্তু অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর একই সংখ্যার নির্দিষ্ট পৃষ্ঠায় দেখা যাবে, যেখানে সেগুলো উলটোভাবে ছাপানো হবে। সেই উত্তরগুলো পড়ার আগে একটু গবেষণা করুন না কেন এবং এরপর আপনি যা শিখেছেন, সেগুলো অন্যদেরকেও জানান না কেন? “আপনি কীভাবে উত্তর দেবেন?” শিরোনামের বিষয়টা এমনকি পরিবার অথবা দলগতভাবে বাইবেল আলোচনার জন্য এক বিষয়বস্তু হিসেবেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

প্রায় ৬০ বছর আগে সচেতন থাক! পত্রিকা এই অঙ্গীকার করেছিল: “এই পত্রিকার আলোচিত বিষয়গুলো স্থানীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয় বরং সারা পৃথিবী থেকে তথ্য উপস্থাপন করতে চেষ্টা করবে। এটা সমস্ত জাতির সৎহৃদয়ের লোকেদের আকৃষ্ট করবে . . . এই পত্রিকার বিষয়বস্তু . . . বিরাট সংখ্যক লোকের কাছে, যুবক ও বৃদ্ধ উভয়ের কাছেই তথ্যমূলক, শিক্ষামূলক ও আগ্রহজনক হবে।” সারা পৃথিবীর পাঠক-পাঠিকারা একমত যে, সচেতন থাক! সেই অঙ্গীকার রক্ষা করেছে। আমরা আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, এটা ক্রমাগত তা-ই করে যাবে। (g ১/০৬)

প্রকাশকগণ

[পাদটীকা]

^ কিছু কিছু ভাষায় সচেতন থাক! ত্রৈমাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয় আর এই প্রবন্ধে আলোচিত বৈশিষ্ট্যগুলো এই ধরনের সমস্ত সংস্করণে প্রকাশিত না-ও হতে পারে।

[৩ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

১৯১৯ সালে “স্বর্ণযুগ (দ্যা গোল্ডেন এজ)” বলা হতো, সেই নাম পরিবর্তিত হয়ে ১৯৩৭ সালে হয় “সান্ত্বনা (কনসলেশন)” আর ১৯৪৬ সালে হয় “সচেতন থাক!”

[৪ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

“সচেতন থাক!” দীর্ঘদিন ধরে এর পাঠক-পাঠিকাদের বাইবেলের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করিয়েছে

[সৌজন্যে]

বন্দুক: U.S. National Archives photo; ক্ষুধার্ত শিশু: WHO photo by W. Cutting