বিশ্ব নিরীক্ষা
বিশ্ব নিরীক্ষা
◼ ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় ইভানের ফলে মেক্সিকো উপসাগরে ১৫ মিটারেরও উঁচু, কমপক্ষে ২৪টা ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সবচেয়ে উঁচু ঢেউ পরিমাপ করা হয়েছিল ২৭.৭ মিটার দীর্ঘ।—সায়েন্স পত্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র
◼ গাড়ি চালানোর সময় সেল ফোনে কথা বলার ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আর সেই ক্ষেত্রে হাসপাতালেও যেতে হয়েছে। চালকরা সেল ফোন হাতে ধরে থাকুক বা না-ই থাকুক, তবুও এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।—বিএমজি, ব্রিটেন। (g ৪/০৬)
◼ পরবর্তী দশক জুড়ে এশিয়ার ১২৭ কোটি শিশুর মধ্যে অর্ধেক শিশু বিশুদ্ধ জল, খাদ্য, স্বাস্থ্য-সেবা, শিক্ষা এবং বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদাগুলো থেকে বঞ্চিত হবে।—প্ল্যান এশিয়া রিজিওনাল অফিস, থাইল্যান্ড। (g ৫/০৬)
সবচেয়ে বিরক্তিকর কর্ম অভ্যাস
“ফোনে জোরে জোরে কথা বলা, স্পিকারফোনের [ব্যবহার] এবং কাজের চাপ সম্বন্ধে অবিরত অভিযোগ, আমাদের সহকর্মীদের সবচেয়ে বিরক্তিকর কর্ম অভ্যাসের তালিকার শীর্ষে আসে,” ওয়াশিংটন পোস্ট খবরের কাগজ রিপোর্ট করে। অন্যান্য যে-অভ্যাসগুলো সহকর্মীদের রাগিয়ে তোলে সেগুলো হচ্ছে, “সহকর্মীদের মধ্যে রেষারেষি, দেরিতে কাজে আসা, নিজে নিজেই বকবক করতে থাকা, পার্টিশনের এপাশ থেকে ওপাশে অন্য আরেকজন সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলা, শরীরের দুর্গন্ধ এবং শব্দ করে খাওয়া।” এই ধরনের অভ্যাস কর্মীদের উৎপাদনশীলতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু, যারা গবেষকদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিল, তাদের অধিকাংশই স্বীকার করেছিল যে, তারা কখনোই সেই ব্যক্তিদের মুখোমুখি হয়নি, যারা তাদের বিরক্ত করে থাকে। “আর এর উপযুক্ত কারণও রয়েছে,” সেই খবরের কাগজ বলে। “আসলে তারা নিজেরাই একই দোষে দোষী।”
অধিক সংখ্যক লোক শহরগুলোতে বাস করছে
“বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক, দুবছরের মধ্যে শহরে বাস করতে শুরু করবে,” সিবিসি নিউজ বলে। রাষ্ট্রসংঘের একটা রিপোর্ট অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে শহরবাসীদের শতকরা হার সবচেয়ে বেশি, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বিভিন্ন শহরে বাস করে। মাত্র ৫৫ বছর আগে, নিউ ইয়র্ক ও টোকিও ছিল মাত্র দুটো শহর, যেখানে বসবাসকারী অধিবাসীর সংখ্যা এক কোটি বা এর কিছু বেশি ছিল। আজকে, এই ধরনের শহরের সংখ্যা বেড়ে ২০টা হয়েছে, যেখানে এক কোটিরও বেশি লোক বাস করে আর এই শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে জাকার্তা, মেক্সিকো সিটি, মুম্বই এবং সাও পাওলো। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব কফি আনান বলেন: “এই ধরনের দ্রুত বৃদ্ধির কারণে অধিকাংশ দেশে সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক ও সামাজিক রদবদলের প্রয়োজন হবে।” (g ৬/০৬)
পাদরিদের বিরুদ্ধে দৌরাত্ম্য কি বৃদ্ধি পাচ্ছে?
“[ব্রিটেনে] একজন যাজক হওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বিপদজনক পেশাগুলোর মধ্যে একটা,” ২০০৫ সালে লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ খবরের কাগজ রিপোর্ট করেছিল। ২০০১ সালে করা একটা সরকারি সমীক্ষা দেখিয়েছিল যে, সাক্ষাৎকার নেওয়া পাদরিদের মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পাদরি এর আগের দুই বছরে দুর্ব্যবহার বা শারীরিক আক্রমণের শিকার হয়েছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে কমপক্ষে সাত জন পাদরিকে হত্যা করা হয়েছে। মারসিসাইড নামে এক শহুরে অঞ্চলে “প্রতিদিন ১,৪০০টা উপাসনালয়ের মধ্যে একটিতে গড়ে একটা করে শারীরিক আক্রমণ, লুঠপাট বা অগ্নিসংযোগের মতো দুষ্কর্ম সংঘটিত হয়েছে।” (g ১/০৬)
দুধরনের জ্বালানি দ্বারা চালিত গাড়ি
বর্তমানে, ব্রাজিলের শোরুমগুলোতে বিক্রি হওয়া নতুন গাড়িগুলোর এক-তৃতীয়াংশ দুধরনের জ্বালানি দ্বারা চলে, ভেজা পত্রিকা রিপোর্ট করে। এই গাড়িগুলো পেট্রোল, আখ থেকে নিষ্কাশিত আ্যলকোহল অথবা কম-বেশি এই দুটো তরলের মিশ্রণে চলে। ২০০৩ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে আ্যলকোহল জ্বালানির বিক্রি ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশের কিছু উপকারের জন্য যে এই জ্বালানির বিক্রি বেশি হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। এর কারণ শুধু এটাই যে, অধিকাংশ মোটর-চালকের জন্য এই আ্যলকোহল জ্বালানি সস্তা পড়ে। দুধরনের জ্বালানি দ্বারা চালিত গাড়িগুলো “ক্রেতাকে জ্বালানি সংকট ও মূল্যের ওঠানামা থেকে” বাঁচায়, ব্রাজিলিয়ান সেন্টার অভ্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার এর পরিচালক রাফেল শাইডমান ব্যাখ্যা করেন। “আ্যলকোহলের দাম যদি বাড়ে, তা হলে আপনি পেট্রোল ব্যবহার করতে পারেন বা পেট্রোলের দাম বাড়লে আ্যলকোহল ব্যবহার করতে পারেন।” (g ৬/০৬)