লক্ষ লক্ষ লোক যাবে আপনিও কি যাবেন?
লক্ষ লক্ষ লোক যাবে আপনিও কি যাবেন?
◼ কোথায় যাবে? যিহোবার সাক্ষিদের “মুক্তি সন্নিকট!” জেলা সম্মেলনে! আসন্ন মাসগুলোতে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে তিন দিনের এই শত শত সম্মেলন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা মে মাসের শেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত ২,৯৮১টা জেলা সম্মেলনে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ লোক যোগ দিয়েছে!
বেশির ভাগ জায়গায় সকাল ৯:৩০ মিনিটে যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হয়। প্রথম দিন এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে যেমন, “যিহোবার মুক্তি বিষয়ক প্রতিজ্ঞাগুলোর প্রতি মনোযোগী হোন” এবং “যিহোবা যেভাবে আর্তনাদকারী দরিদ্র এবং দুঃখী ব্যক্তিকে মুক্ত করেন।” “যিহোবা আমাদের ‘অনন্তকালীয় মুক্তির’ ব্যবস্থা করেন” নামক মুখ্য বক্তৃতার মাধ্যমে সকালের অধিবেশন শেষ হবে।
প্রথম দিন দুপুরের অধিবেশনে এই বক্তৃতাগুলো তুলে ধরা হবে যেমন, “যিহোবা বয়স্ক ব্যক্তিদের কোমলভাবে যত্ন নেন,” “কষ্টকর দুর্দশা থেকে মুক্তি” এবং “‘সেবাকারী’ হিসেবে দূতদের ভূমিকা।” “যিহোবা—‘নিস্তারকর্ত্তা’” নামক চার অংশের সিম্পোজিয়ামটা অধিবেশনের শেষ বক্তৃতার আগে হবে, যেটার শিরোনাম হল, “কোনো বিরোধী অস্ত্র অথবা জিহ্বা সফল হবে না।”
দ্বিতীয় দিন সকালের অধিবেশনে “‘ক্ষান্ত না হইয়া’ পরিচর্যা করে চলুন” শিরোনামের তিন অংশের একটা সিম্পোজিয়াম ও সেইসঙ্গে ‘ব্যাধের ফাঁদ হইতে রক্ষা’ এবং “‘ঈশ্বরের গভীর বিষয় সকল’ অনুসন্ধান করা” নামক বক্তৃতা তুলে ধরা হবে। সকালের কার্যক্রম একটা বক্তৃতার মাধ্যমে শেষ হবে, যে-বক্তৃতার পরে যারা যোগ্য তাদেরকে জলে বাপ্তিস্ম দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় দিন দুপুরে এই বক্তৃতাগুলো দেওয়া হবে যেমন, “স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে শাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন,” “কোন ধরনের আত্মা আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে?” “বিবাহে ‘ত্রিগুণ সূত্র’ বজায় রাখুন” এবং “অল্পবয়সিরা, ‘তোমরা আপন সৃষ্টিকর্ত্তাকে স্মরণ কর’।” “আপনি কি যিহোবার দিনের কথা মনে রেখে জীবনযাপন করছেন?” নামক শেষ বক্তৃতাটা আমাদের দিনের জন্য ব্যবহারিক পরামর্শ জোগাবে।
তৃতীয় দিন সকালের কার্যক্রমে মথি ১৩ অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ স্বর্গরাজ্যের বিষয়ে যিশুর বিভিন্ন নীতিগল্পের ওপর ভিত্তি করে চার অংশের একটা সিম্পোজিয়াম তুলে ধরা হবে।
এ ছাড়া, সকালের কার্যক্রমে এমন একটা বক্তৃতা তুলে ধরা হবে, যা সম্মেলনের এক উল্লেখযোগ্য বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে আর তা হল, বাইবেলের প্রথম রাজাবলি বইয়ের ১৩ অধ্যায়ের ওপর ভিত্তি করে এক ঐতিহাসিক নাটক। সম্মেলনের শেষ অধিবেশন, তৃতীয় দিন বিকেলে “ঈশ্বরের রাজ্যের মাধ্যমে মুক্তি সন্নিকট” নামক জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতা তুলে ধরা হবে।
যোগ দেওয়ার জন্য এখনই পরিকল্পনা করুন। সবচেয়ে কাছের স্থানটা খুঁজে পাওয়ার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের স্থানীয় কিংডম হলে যোগাযোগ করুন অথবা এই পত্রিকার প্রকাশকদের কাছে লিখুন। আমাদের সহযোগী পত্রিকা অর্থাৎ প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ১লা মার্চ সংখ্যায় ভারতের সমস্ত সম্মেলনস্থলের তালিকা রয়েছে। (g ৬/০৬)