সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি যা বিশ্বাস করেন, তাতে কি কিছু যায় আসে?

আপনি যা বিশ্বাস করেন, তাতে কি কিছু যায় আসে?

আপনি যা বিশ্বাস করেন, তাতে কি কিছু যায় আসে?

আপনি কি মনে করেন যে, জীবনের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে? বিবর্তন যদি সঠিক হয়, তা হলে সায়েন্টিফিক আমেরিকান সংবাদপত্রে উদ্ধৃত এই বিবৃতিটি যুক্তিযুক্ত হবে: “বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের আধুনিক বিচারবুদ্ধি এটাই ইঙ্গিত করে . . . যে, জীবনের চূড়ান্ত অর্থ অস্তিত্বহীন।”

এই কথাগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ বিবেচনা করুন। জীবনের চূড়ান্ত অর্থ যদি অস্তিত্বহীন হয়ে থাকে, তা হলে কিছু ভাল কাজ করা এবং সম্ভবত বংশগতির বৈশিষ্ট্যগুলো পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত করা ছাড়া আপনার জীবনের আর কোনো উদ্দেশ্য থাকবে না। মৃত্যুতে আপনার অস্তিত্ব চিরকালের জন্য শেষ হয়ে যাবে। চিন্তা, যুক্তি ও জীবনের অর্থ সম্পর্কে ধ্যান করার ক্ষমতাসম্পন্ন মস্তিষ্ক কেবল প্রকৃতির এক দুর্ঘটনা হবে।

এটাই শেষ নয়। বিবর্তনে বিশ্বাসী অনেক লোক দাবি করে যে, হয় ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই নতুবা তিনি মানুষের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন না। দুটো ক্ষেত্রেই আমাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক, শিক্ষাগত এবং ধর্মীয় নেতাদের হাতে নির্ভর করবে। তাদের অতীতের নথি থেকে বিচার করে বলা যায় যে, মানবসমাজকে ধ্বংস করে দেয় এমন বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষ এবং দুর্নীতি চলতেই থাকবে। বস্তুত বিবর্তন যদি সত্যি হয়, তা হলে এই অদৃষ্টবাদীদের এই আদর্শবাণী অনুযায়ী জীবনযাপন করার প্রচুর কারণ থাকবে, যেটা হচ্ছে: “আইস, আমরা ভোজন পান করি, কেননা কল্য মরিব।”—১ করিন্থীয় ১৫:৩২.

এবিষয়ে নিশ্চিত থাকুন। যিহোবার সাক্ষিরা আগে বলা বিবৃতিগুলোকে মেনে নেয় না। সাক্ষিরা এমন কোনো বিবৃতিগুলোকে মেনে নেয় না, যেগুলোর ভিত্তি হল—বিবর্তন। এর পরিবর্তে, সাক্ষিরা বাইবেলকে সত্য বলে বিশ্বাস করে। (যোহন ১৭:১৭) তাই, আমরা কীভাবে এখানে এসেছি এবিষয়ে এটি যা বলে তারা তা বিশ্বাস করে: “তোমারই [ঈশ্বরেরই] কাছে জীবনের উনুই আছে।” (গীতসংহিতা ৩৬:৯) এই কথাগুলোর এক তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ রয়েছে।

জীবনের অর্থ রয়েছে। আমাদের সৃষ্টিকর্তা সেইসব ব্যক্তির জন্য এক প্রেমময় ব্যবস্থা করেছেন, যারা তাঁর ইচ্ছানুসারে জীবনযাপন করা বেছে নেবে। (উপদেশক ১২:১৩) এই উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত—এবং এমনকি মৃত্যুবিহীন—এক জগতে বেঁচে থাকার প্রতিজ্ঞা। (যিশাইয় ২:৪; ২৫:৬-৮) লক্ষ লক্ষ যিহোবার সাক্ষি পরীক্ষা করে দেখেছে যে, ঈশ্বর সম্বন্ধে শেখা ও তাঁর ইচ্ছানুসারে চলা জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলে, যা আর কোনোকিছুই করতে পারে না!—যোহন ১৭:৩.

আপনি যা বিশ্বাস করেন তাতে অবশ্যই কিছু যায় আসে, কারণ তা কেবল আপনার বর্তমান আনন্দকেই নয় কিন্তু ভবিষ্যৎ জীবনকেও প্রভাবিত করবে। বেছে নেওয়ার কাজ আপনার। আপনি কি এমন এক মতবাদে বিশ্বাস করবেন, যা প্রকৃতি জগতে বিদ্যমান নকশার ক্রমবর্ধিষ্ণু প্রমাণগুলো সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে? নাকি আপনি বাইবেল যেমন বলে তা গ্রহণ করবেন, যেটা হল পৃথিবী এবং এতে বিদ্যমান জীবন হচ্ছে চমৎকার নকশাবিদের—যিনি ‘সকলের সৃষ্টি করিয়াছেন’ সেই যিহোবা ঈশ্বরের—কাজের ফল?—প্রকাশিত বাক্য ৪:১১. (g ৯/০৬)