সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

◼ “গভীর সমুদ্র হচ্ছে গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে বড় আবাস। আর সবচেয়ে রুক্ষ জায়গাগুলোর মধ্যে একটা . . . তা সত্ত্বেও, আমরা যেদিকেই তাকাই সেদিকেই জীবন খুঁজে পাই আর মাঝেমধ্যে প্রচুর পরিমাণে।”—নিউ সায়েনটিস্ট, ব্রিটেন।

◼ সম্প্রতি এক প্রামাণ্য মামলায়, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার হ্যারিসবার্গে এক সম্মিলিত রাষ্ট্রীয় আদালতের বিচারক রায় দিয়েছিলেন যে, “সরকারি স্কুলের বিজ্ঞান ক্লাসে বিবর্তনবাদের বিকল্প হিসেবে [বুদ্ধিদীপ্ত নকশার বিষয়ে] শিক্ষা দেওয়া সংবিধানবহির্ভূত।”—নিউ ইয়র্ক টাইমস্‌, যুক্তরাষ্ট্র।

◼ ২০০৫ সালের এক সংবাদ রিপোর্ট অনুসারে, “আমেরিকার শতকরা ৫১ জন অধিবাসী বিবর্তনবাদকে প্রত্যাখ্যান করে।”—নিউ ইয়র্ক টাইমস্‌, যুক্তরাষ্ট্র।

◼ ২০০৬ সালের জুন মাসে ১৫০ কিলো ওজনের বিশাল গালাপাগোস কচ্ছপ হ্যারিয়েট, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের একটা চিড়িয়াখানায় মারা যায়। ১৭৫ বছর বয়সে কচ্ছপ হ্যারিয়েট ছিল “জানা মতে, বিশ্বের প্রাচীনতম জীবিত প্রাণী।”—অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন।

◼ সুইস গবেষকরা দেখেছে যে, কীভাবে কয়েক ধরনের ভুট্টা পাশ্চাত্যের ভুট্টার শিকড়ের কীটের (রুটওয়র্ম) থেকে নিজেদের রক্ষা করে। এরা মাটিতে সৌরভ নিঃসৃত করে। এই সৌরভ অতি ক্ষুদ্রকায় সুতো কৃমিকে আকৃষ্ট করে, যেগুলো শিকড়ে বসবাসকারী কীটের শূককীটকে মেরে ফেলে।—ডাই ওয়েল্ট, জার্মানি। (g ৯/০৬)

জায়েন্ট স্কুইডের ছবি তোলা হয়

জাপানের দক্ষিণে বনিন দ্বীপপুঞ্জের কাছে বিজ্ঞানীরা প্রথমবার মুক্ত অবস্থায় একটা জীবিত জায়েন্ট স্কুইডের ছবি তুলেছিল। তারা ছিপের মুখে ছোট জাতের স্কুইড ও কুচো চিংড়ির শাঁস লাগিয়ে কয়েকটা টোপ বেঁধে রেখেছিল এবং সেগুলোর ওপরে ক্যামেরা ঝুলিয়েছিল। প্রায় ৯০০ মিটার গভীরে যে-বিশাল স্কুইডটা দেখা গিয়েছিল, সেটা লম্বায় প্রায় ৮ মিটার বলে অনুমান করা হয়েছিল।

“ডাইনোসররা ঘাস খেত”

“ডাইনোসররা ঘাস খেত,” এই বিষয়টা আবিষ্কার করা “বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত আশ্চর্যজনক,” একটা এসোশিয়েটেড প্রেস রিপোর্ট বলে। এই আবিষ্কারটা করা হয়েছিল, যখন ভারতে জীবাশ্মে পরিণত এক সরোপডের (তৃণভোজী ডাইনোসরের) মল পাওয়া গিয়েছিল ও সেটা নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। এতে অবাক হওয়ার মতো কী ছিল? এটা মনে করা হতো যে, “ডাইনোসররা বিলুপ্ত না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ঘাস গজায়নি,” সেই রিপোর্ট ব্যাখ্যা করে। এইরকমও মনে করা হতো যে, সরোপডদের “কোনো বিশেষ ধরনের দাঁত ছিল না, যা ঘাসের খসখসে পাতাকে গুঁড়ো করার জন্য প্রয়োজন ছিল।” আবিষ্কার দলের প্রধান প্রত্নোদ্ভিদবিদ ক্যারোলিন স্ট্রোমবার্গ বলেন: “অধিকাংশ লোক কল্পনাই করতে পারেনি যে, [সরোপডরা] ঘাস খেতে পারে।”

মৌমাছিরা কীভাবে ওড়ে?

মজা করে বলা হয়, প্রকৌশলীরা প্রমাণ করেছে যে মৌমাছিরা উড়তে পারে না। এটা মনে করা হয় যে, এইরকম “ভারী” একটা পতঙ্গ তার এত ছোট পাখা ঝাপটানোর ফলে ওড়ার মতো যথেষ্ট শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না। মৌমাছিদের ওড়ার রহস্যটা আবিষ্কার করার জন্য প্রকৌশলীরা “বাতাসে ভেসে থাকা মৌমাছিদের প্রতি সেকেন্ডে ৬০০০টা আলাদা আলাদা ছবি তুলে একটা সিনেমা বানিয়েছিল,” নিউ সায়েনটিস্ট পত্রিকা বলে। মৌমাছিদের ওড়ার এই পদ্ধতিকে “অসাধারণ” বলে বর্ণনা করা হয়েছে। “পাখাটা ৯০ ডিগ্রি বেঁকে পিছনের দিকে ঘুরে যায়, তারপর ঘুরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে আর এভাবে মৌমাছি প্রতি সেকেন্ডে ২৩০ বার ঝাপটাতে থাকে। . . . ঠিক একটা প্রপেলারের (চালক-পাখার) মতো, যেটার পাখাটাও ঘুরতে থাকে,” গবেষণা দলের একজন সদস্য ব্যাখ্যা করেন। তাদের আবিষ্কারগুলো প্রকৌশলীদের প্রপেলারগুলোর নকশা পুনরায় তৈরি করতে এবং এমন বিমান নির্মাণ করতে সাহায্য করে, যেগুলো সহজেই যেখানে-সেখানে ঘোরানো যায়।

গায়ক ইঁদুররা

“ইঁদুররা গান গাইতে পারে আর . . . ভাবী সঙ্গীর জন্য গাওয়া তাদের গানগুলো প্রায়ই পাখিদের গানগুলোর মতোই জটিল,” নিউ সায়েনটিস্ট পত্রিকা রিপোর্ট করে। ইঁদুরের গানগুলো অতিশাব্দিক কম্পাঙ্কে গাওয়া অর্থাৎ খুবই তীক্ষ্ণ সুরে, যা মানুষের শ্রবণসাধ্য নয়—সম্ভবত সেই কারণেই এই বিষয়টা আগে লক্ষ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের মিশৌরীর সেন্ট লুইসের গবেষকরা লক্ষ করেছে যে, পুরুষ ইঁদুরগুলোর গানের স্বর “ধ্বনিসমষ্টি এবং ছোট ছোট নোটে বিন্যস্ত আর তা একটা ‘গানের’ সংজ্ঞার সঙ্গে মেলে।” এই বিষয়টা ইঁদুরদের এক বিশিষ্ট দলে সংগঠিত করে। অন্য যে-স্তন্যপায়ী প্রাণীরা গান গাওয়ার জন্য পরিচিত তারা হল তিমি, ডলফিন, কিছু বাদুড় আর অবশ্যই মানুষ। (g ৯/০৬)