সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“খাওয়াদাওয়ার সময়গুলো আমাদেরকে একে অপরের আরও ঘনিষ্ঠ করে”

“খাওয়াদাওয়ার সময়গুলো আমাদেরকে একে অপরের আরও ঘনিষ্ঠ করে”

“খাওয়াদাওয়ার সময়গুলো আমাদেরকে একে অপরের আরও ঘনিষ্ঠ করে”

আপনার পরিবার কি দিনে অন্তত একবার একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে? দুঃখের বিষয় যে, আজকের ব্যস্ত জগতে অনেক পরিবারের সদস্যরা যার যখন খুশি তখন খাওয়াদাওয়া করে থাকে। তবে, দৈহিক চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি পুরো পরিবার একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করা এমনকি আরও গুরুত্বপূর্ণ চাহিদাগুলোকে পূরণ করতে পারে—উষ্ণ ভাববিনিময় ও পারিবারিক বন্ধন।

আ্যলগিরডেস, তার স্ত্রী রিমা ও তাদের তিন মেয়েকে নিয়ে উত্তর ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ায় থাকেন। “যদিও আমি কাজে যাই ও মেয়েরা স্কুলে যায়,” আ্যলগিরডেস বলেন, “কিন্তু আমরা এমনভাবে আমাদের তালিকা তৈরি করি যাতে আমরা রাতের খাবারটা একসঙ্গে খেতে পারি। খাওয়াদাওয়ার সময়গুলোতে আমরা প্রত্যেকে দিনে যা যা ঘটেছে সেগুলো স্বচ্ছন্দে বলি এবং আমাদের সমস্যা, চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা, পছন্দ-অপছন্দগুলো সম্বন্ধে একে অপরকে জানাই। এ ছাড়া, আমরা এই সময়টাকে আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার সময় হিসেবেও ব্যবহার করি। কোনো সন্দেহ নেই যে, খাওয়াদাওয়ার সময়গুলো আমাদেরকে একে অপরের আরও ঘনিষ্ঠ করে।”

রিমা এই কথা বলেন: “মেয়েদের নিয়ে একসঙ্গে খাবার তৈরি করা আমাদেরকে অন্তরঙ্গভাবে ভাববিনিময় করার সুযোগ করে দেয়। মেয়েরা রান্নাঘরে একসঙ্গে কাজ করে আনন্দ পায় আর সেইসঙ্গে তারা কিছু কার্যকারী দক্ষতাও শিখতে পারছে। এভাবে, আমরা আনন্দ নিয়ে কাজ করতে পারছি।”

আ্যলগিরডেস, রিমা ও তাদের মেয়েরা অনেক উপকার লাভ করছে কারণ তারা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়ার জন্য সময় করে নেয়। আপনি যদি ইতিমধ্যে তা করে না থাকেন, তা হলে প্রতিদিন অন্তত একবার পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করার ব্যবস্থা করুন না কেন, এমনকি আপনি যদি একক অভিভাবকও হন, তা হলেও করুন। আপনি যত ত্যাগস্বীকারই করুন না কেন, হাজার গুণ বেশি পুরস্কার লাভ করবেন। (g ১১/০৬)