সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

“বিগত ৫০০ বছরে, মানবকর্মের কারণে ৮৪৪টা প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটেছে (অথবা বনজঙ্গলে বিলুপ্তি ঘটেছে)।”—আইইউসিএন, বিশ্ব সংরক্ষণ পরিষদ, সুইজারল্যান্ড।

◼ সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ব্রিটেনের প্রায় ৬ শতাংশ লোক—পুরুষ ও নারী—হচ্ছে সমকামী। ২০০৫ সালে গৃহীত আইন “সমলিঙ্গের সঙ্গীদের ‘বিয়ে’ করার অনুমতি দেয়” আর এটা তাদেরকে বিপরীত লিঙ্গের বিবাহিত দম্পতিদের মতো একই অধিকার প্রদান করে।—দ্যা ডেইলি টেলিগ্রাফ, ইংল্যান্ড। (g ১১/০৬)

◼ “সমস্ত দম্পতির মধ্যে প্রায় অর্ধেক দম্পতি স্বীকার করে যে, তারা ‘টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিশ্বাসঘাতকতা’ করে—তারা যতটা ব্যয় করেছে, সেই ব্যাপারে সঙ্গীর কাছে মিথ্যা কথা বলে থাকে।”—দ্যা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, যুক্তরাষ্ট্র।

◼ প্রশান্ত মহসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের ভানুয়াটুর টেগুয়া দ্বীপের লাটেয়ু সম্ভবত প্রথম গ্রাম, যা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে—অথবা আরও স্পষ্টভাবে বললে স্থানান্তরিত হয়েছে। সেখানকার বাড়িঘর বার বার “প্রবল ঝড়ের এবং উত্তাল ঢেউয়ের কারণে ডুবে গিয়েছে।”—ভানুয়াটু নিউজ, ভানুয়াটু। (g ১২/০৬)

বারো বছর যাবৎ জেলে—কেন?

বিগত ১২ বছর ধরে পূর্ব আফ্রিকার এরিট্রিয়ার সাওয়াতে তিনজন যিহোবার সাক্ষি জেলে বন্দি রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি আর তাদের কখনো বিচারও হয়নি। তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় না, এমনকি পরিবারের সদস্যদেরও নয়। কারণটা কী? কারণটা হল তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে প্রত্যাখ্যান করেছে। এরিট্রিয়ার আইন ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিবেক অনুযায়ী সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে প্রত্যাখ্যান করার কোনো অনুমতি দেয় না। যুবকদের যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন কোনো সৈন্য শিবিরে তাদেরকে বন্দি করে রাখা হয়, যেখানে প্রায়ই তাদেরকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন সহ্য করতে হয়। (g ১০/০৬)

কর্মক্ষেত্রে রূঢ়তা

“কর্মক্ষেত্রে রূঢ়তা একটা সংগঠনের সময়, প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতা কেড়ে নিতে পারে,” দ্যা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলে। প্রায় ৩,০০০ লোকের ওপর করা একটা সমীক্ষা দেখায় যে, ৯০ শতাংশরেও বেশি লোক “কর্মক্ষেত্রে রূঢ়তার মুখোমুখি হচ্ছে।” তাদের মধ্যে অর্ধেক লোক বলেছে যে, তারা “সেই ঘটনার কথা চিন্তা করে কাজের সময় নষ্ট করেছে,” “২৫ শতাংশ লোক কাজে তাদের প্রচেষ্টা কমিয়ে দিয়েছে” এবং প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জন কাজ ছেড়ে দিয়েছে। ইউনিভারসিটি অভ্‌ সাউদারন ক্যালিফোর্নিয়ার ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ক্রিস্টিন পোরেথের মতানুযায়ী, “কাজের প্রচেষ্টা কমিয়ে দেওয়া, অনুপস্থিত থাকার বদ অভ্যাস ও এমনকি চুরি করা, এই সমস্তকিছু এমন একটা সংগঠনের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে রূঢ়তার সমস্যা রয়েছে” সেই জার্নাল বলে। (g ১১/০৬)

বাস্তুসংস্থান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় উত্তাপন

“জলপাইয়ের শক্ত বীচি দিয়ে জ্বালানো কেন্দ্রীয় উত্তাপন এখন সহজলভ্য হয়ে উঠেছে,” স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইস রিপোর্ট করে। এই শক্তির উৎস মাদ্রিদে কমপক্ষে ৩০০টা বাড়ির জন্য তাপ ও গরম জল জুগিয়ে থাকে। জ্বালানি হিসেবে জলপাইয়ের শক্ত বীচি খুবই সস্তা, যেটার দাম তেল থেকে ৬০ শতাংশ কম ও কয়লা থেকে ২০ শতাংশ কম। এগুলো পরিবেশকে দূষিত করে না, কারণ এগুলোকে দহনের সময় যে-পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়, তা প্রাকৃতিক পচনের সময় যে-পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়, সেটার সমান। আরেকটা সুবিধা হল, এগুলো সহজেই পাওয়া যায়। জলপাই থেকে তেল সংগ্রহ করে নেওয়ার পর জলপাইয়ের শক্ত বীচি অবশিষ্ট থাকে আর স্পেন বিশ্বের এক নম্বর জলপাই তেলের উৎপাদক হিসেবে সুপরিচিত। (g ১০/০৬)

শতায়ু ব্যক্তিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে

এখন ১০০ বছর বেঁচে থাকা অসাধারণ কিছু নয়, নিউ সায়েন্টিস্ট পত্রিকা বলে। বিশ্বব্যাপী, প্রায় ২,০০,০০০ লোক রয়েছে, যাদের বয়স একশো বা তার ওপরে। অধিকন্তু, এই পত্রিকা অনুসারে তাদের মধ্যে ৬৬ জনের বয়স হচ্ছে ১১০ বছর আর এভাবে তারা মহাশতায়ু ব্যক্তি হয়ে উঠেছে। নিউ সায়েন্টিস্ট পত্রিকা স্বীকার করে যে, এই দীর্ঘ বয়সের প্রমাণ দেওয়া কখনো কখনো কঠিন কিন্তু “নির্ভরযোগ্য নথি না থাকার অর্থ এও বোঝাতে পারে যে, বর্তমানে জীবিত মহাশতায়ু ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা ৪৫০ পর্যন্ত যেতে পারে।” (g ১২/০৬)