সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আমাকে যদি “হুক্‌ আপ” করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, তা হলে কী করব?

আমাকে যদি “হুক্‌ আপ” করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, তা হলে কী করব?

যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . .

আমাকে যদি “হুক্‌ আপ” করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, তা হলে কী করব?

“কিশোর-কিশোরীরা হুক্‌ আপ করে থাকে শুধুমাত্র এটা দেখার জন্য যে, তারা যৌনসম্পর্ক করার পদক্ষেপ নেওয়া অবধি কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে এবং এটাও দেখার জন্য যে, কত জনের সঙ্গে তারা যৌনসম্পর্ক করতে পারে।”—পেনি। *

“ছেলেরা এই বিষয়ে কোনোরকম লজ্জা ছাড়াই কথা বলে থাকে। তারা বেশ গর্ব করে বলে যে, তাদের একজন বান্ধবী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আরও অনেক মেয়ের সঙ্গে তারা যৌনসম্পর্ক করে থাকে।”—এডোয়ার্ড।

“যারা আমাকে হুক্‌ আপ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, তারা বেশ খোলাখুলিভাবেই তা জানিয়েছিল। না বলেও তাদেরকে থামানো যায় না!”—ইডা।

কি ছু কিছু দেশে এটাকে বলা হয় হুকাপস্‌ অর্থাৎ ক্ষণকালীন যৌনসম্পর্ক। অন্যান্য দেশে এটা ভিন্ন শব্দের দ্বারা পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ জাপানে বলা হয়, টেক-আউটস্‌, আকিকো নামের এক যুবতী বলে। “এ ছাড়া সেফ্রে বলে আরেকটি শব্দ রয়েছে, যেটির অর্থ ‘সেক্স ফ্রেন্ড (যৌনসঙ্গী),’” সে বলে। “এই বন্ধুত্ব করার পিছনে একমাত্র কারণ হচ্ছে যৌনসম্পর্ক করা।”

যে-নামেই ডাকা হোক না কেন, অর্থ একই—ক্ষণকালের জন্য যৌনসম্পর্ক (ক্যাজুয়াল সেক্স) করা, যেখানে কোনো আবেগগত টান থাকে না। * কিছু কিছু তরুণ-তরুণী এমনকি তাদের চেনাজানা সেই সমস্ত ব্যক্তির বিষয়ে দম্ভ করে থাকে, যাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের রোমান্টিক সম্পর্কের কোনো “জটিলতা” ছাড়াই তারা যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে। “হুকাপের অর্থ তাৎক্ষণিক কামনা চরিতার্থ করা,” একজন যুবতী বলে। “যা নেওয়ার, তা নিয়ে তুমি কেটে পড়ো।”

একজন খ্রিস্টান হিসেবে তোমার ‘ব্যভিচার হইতে পলায়ন করা’ উচিত। * (১ করিন্থীয় ৬:১৮) এই বিষয়টা জানা থাকায় তুমি সম্ভবত সেই পরিস্থিতিগুলো এড়িয়ে চলতে প্রাণপণ চেষ্টা করবে, যেগুলো তোমাকে সমস্যায় ফেলতে পারে। কিন্তু, মাঝে মাঝে প্রলোভনই তোমার কাছে এসে উপস্থিত হয়। “স্কুলে অনেক ছেলে আমাকে তাদের সঙ্গে হুক্‌ আপ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে,” সিনডি বলে। কর্মক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে। “আমার অফিসের ম্যানেজার আমাকে হুক্‌ আপ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন,” মার্গারেট বলে। “তিনি এতটাই নাছোড়বান্দা ছিলেন যে, শেষ পর্যন্ত আমাকে চাকরিটাই ছেড়ে দিতে হয়েছিল!”

অন্যদিকে, তুমি যদি কিছুটা প্রলুব্ধ হয়ে থাকো, তা হলে অবাক হোয়ো না। “অন্তঃকরণ সর্ব্বাপেক্ষা বঞ্চক, তাহার রোগ অপ্রতিকার্য্য,” বাইবেল বলে। (যিরমিয় ১৭:৯) লুরডেস নামে এক মেয়ে দেখেছিল যে, এটা সত্য। “যে-ছেলে আমাকে তার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, তাকে আমি পছন্দ করতাম,” সে স্বীকার করে। জেনেরও একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। “আমি তাকে খুব ভালবাসতাম,” সে আস্থা সহকারে বলে। “তার প্রস্তাবে না বলা আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটা ছিল।” এডোয়ার্ড, যার কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, সে-ও স্বীকার করে যে, নিষ্কলঙ্ক থাকা সহজ নয়। “অনেক মেয়েই আমাকে যৌনসম্পর্ক করার প্রস্তাব দিয়েছে আর একজন খ্রিস্টান হিসেবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন এক লড়াই,” সে বলে। “না বলা খুবই কঠিন!”

তোমারও যদি লুরডেস, জেন ও এডোয়ার্ডের মতো একইরকম অনুভূতি হয়ে থাকে কিন্তু তুমি যদি যিহোবা ঈশ্বরের চোখে যা সঠিক তা-ই করে থাকো, তা হলে যা সঠিক তা করার জন্য তুমি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তুমি হয়তো এটা জেনে সান্ত্বনা পাবে যে, প্রেরিত পৌলও ভুল প্রবণতাগুলোর সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই করেছিলেন।—রোমীয় ৭:২১-২৪.

কিন্তু, তোমাকে যদি ক্যাজুয়াল সেক্সের আমন্ত্রণ জানানো হয়, তা হলে বাইবেলের কোন নীতিগুলো তোমার মনে রাখা উচিত?

ক্যাজুয়াল সেক্স যেকারণে অন্যায় তা জানো

বাইবেল বিয়ের বাইরে যৌনসম্পর্ক করাকে নিন্দা করে। বস্তুতপক্ষে, ব্যভিচার এতটাই গুরুতর পাপ যে, যারা ব্যভিচার করেই চলে তারা “ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।” (১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০) ক্যাজুয়াল সেক্সে রত হওয়ার প্রলোভনকে প্রতিরোধ করার জন্য তোমাকে অবশ্যই যিহোবা এই কাজকে যেভাবে দেখেন, সেভাবে দেখতে হবে। নৈতিক শুদ্ধতা বজায় রাখা তোমাকেই বেছে নিতে হবে।

“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যিহোবার পথই হচ্ছে জীবনের সর্বোত্তম পথ।”—ক্যারেন, কানাডা।

“একজন যখন শুধুমাত্র কয়েক মুহূর্তের আনন্দের জন্য যিহোবার নৈতিক আইনগুলোকে অবজ্ঞা করে, তখন সে অনেক কিছুই হারায়।”—ভিভিয়েন, মেক্সিকো।

“মনে রেখো যে, তুমি কারো ছেলে বা মেয়ে, অনেকের বন্ধু এবং একটা মণ্ডলীর সদস্য। তুমি যদি এই প্রলোভনে পা দাও, তা হলে এই সমস্ত লোককে দুঃখ দেবে!”—পিটার, ব্রিটেন।

প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “প্রভুর প্রীতিজনক কি, তাহার পরীক্ষা কর।” (ইফিষীয় ৫:১০) ব্যভিচার সম্বন্ধে যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গি জানার মাধ্যমে তুমি ‘দুষ্টতাকে ঘৃণা করিতে’ পারবে যদিও অসিদ্ধ মাংসের কাছে তা আকর্ষণীয় বলে মনে হতে পারে।—গীতসংহিতা ৯৭:১০.

পড়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে: আদিপুস্তক ৩৯:৭-৯. যৌন প্রলোভনের বিরুদ্ধে যোষেফের সাহসী পদক্ষেপ এবং কী তাকে তা প্রতিরোধ করতে সমর্থ করেছিল, তা লক্ষ করো।

তোমার বিশ্বাস সম্বন্ধে গর্বিত হও

তরুণ-তরুণীরা যা বিশ্বাস করে, তা গর্বের সঙ্গে সমর্থন করা ও তার পক্ষসমর্থন করা, অস্বাভাবিক কিছু নয়। একজন খ্রিস্টান হিসেবে, তোমার উদাহরণযোগ্য আচরণের মাধ্যমে ঈশ্বরের নামের পক্ষসমর্থন করার বিশেষ সুযোগ তোমার রয়েছে। বিবাহপূর্ব যৌনসম্পর্কের বিষয়ে তোমার দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রকাশ করতে লজ্জিত হোয়ো না।

“একেবারে শুরু থেকেই এই বিষয়টা স্পষ্ট করো যে, তোমার কিছু নৈতিক নীতি রয়েছে।”—আ্যলেন, জার্মানি।

“তোমার বিশ্বাস সম্বন্ধে লজ্জিত হোয়ো না।”—এস্থের, নাইজেরিয়া।

“বন্ধুবান্ধবরা হুক্‌ আপের বিষয়ে তোমার দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করবে না, যদি তুমি এইরকম কিছু বলো, ‘আমার বাবামা আমাকে ডেটিং করতে অনুমতি দেবে না।’ তোমার বন্ধুবান্ধবকে এটা জানাতে হবে যে, তুমি তাদের সঙ্গে ডেটিং করতে আগ্রহী নও।”—জ্যানেট, দক্ষিণ আফ্রিকা।

“হাইস্কুলে আমার সহপাঠী ছেলেরা জানত যে আমি কে আর তারা এও জানত যে তারা যে-প্রচেষ্টাই করুক না কেন, তা ব্যর্থ হবে।”—ভিকি, যুক্তরাষ্ট্র।

তোমার বিশ্বাসের পক্ষ নেওয়া, এটা প্রমাণ করে যে, তুমি একজন পরিপক্ব খ্রিস্টান হয়ে উঠছ।—১ করিন্থীয় ১৪:২০.

পড়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে: হিতোপদেশ ২৭:১১. দেখো যে, তোমার কাজগুলো কীভাবে প্রকৃতপক্ষে সর্বসময়ের সবচেয়ে বড় কারণের—যিহোবার নামের পবিত্রীকরণের—পক্ষসমর্থন করতে পারে!

দৃঢ় হও!

না বলা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, কেউ কেউ হয়তো তোমার প্রত্যাখ্যানকে ‘তুমি আগ্রহী নও’ বলে ভান করছ মনে করতে পারে।

“যে তোমাকে হুক্‌ আপ করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়, সে তোমার না বলাকে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কাটিয়ে ওঠা যায় এমন এক বাধা হিসেবে দেখতে পারে এবং এর ফলে সে তোমার পিছু নিতে প্ররোচিত হয়।”—লরেন, কানাডা।

“তোমার সমস্তকিছুই—তুমি যেভাবে পোশাক-আশাক পরো, যেভাবে কথা বলো, যার সঙ্গে কথা বলো এবং লোকেদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করো—তোমার প্রত্যাখ্যান সম্বন্ধে প্রকাশ করবে।”—জয়, নাইজেরিয়া।

“তোমার না বলা দৃঢ় ও জোরালো হতে হবে।”—ড্যানিয়েল, অস্ট্রেলিয়া।

“দৃঢ় হও! একজন যুবক যখন আমাকে অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ এক আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, তখন আমি বলেছিলাম, ‘কাঁধ থেকে হাত সরাও!’ আর আমি তার দিকে কড়াভাবে তাকিয়ে সেখান থেকে চলে এসেছিলাম।”—ইলেন, ব্রিটেন।

“তোমাকে স্পষ্টবাদী হতেই হবে এবং বলতে হবে যে, তুমি আগ্রহী নও এবং কখনোই হবে না। এটা মৃদুভাব দেখানোর সময় নয়!”—জিন, স্কটল্যান্ড।

“একটা ছেলে আমাকে বহু আমন্ত্রণ জানিয়ে ও আজেবাজে মন্তব্য করে উত্যক্ত করে চলেছিল। এরপর সময় এসেছিল, যখন আমাকে অনেক দৃঢ় হতে হয়েছিল। একমাত্র তখনই উত্যক্ত করা বন্ধ হয়েছিল।”—কুয়ানিটা, মেক্সিকো।

“এই বিষয়টা তোমাকে স্পষ্ট করতে হবে যে, তুমি কখনোই তাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করবে না। যারা তোমার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করতে চাইছে, তাদের কাছ থেকে কখনো উপহার নিও না। তারা এটাকে তোমার বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে পারে, এটা ধরে নিয়ে যে প্রতিদানে তোমার কাছ থেকে কিছু পাবে।”—লরা, ব্রিটেন।

যিহোবা তোমাকে সাহায্য করবেন, যদি তুমি নিজেকে দৃঢ় রাখো। গীতরচক দায়ূদ তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে যিহোবার সম্বন্ধে বলতে পেরেছিলেন: “হে সদাপ্রভু, তুমি বিশ্বস্তদের সংগে বিশ্বস্ত ব্যবহার কর।”—গীতসংহিতা ১৮:২৫, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন।

পড়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে: ২ বংশাবলি ১৬:৯. লক্ষ করো যে, যিহোবা সেই ব্যক্তিদের সাহায্য করতে আকুল আকাঙ্ক্ষী, যাদের হৃদয় তাঁর প্রতি একাগ্র।

দূরদর্শিতা কাজে লাগাও

বাইবেল বলে: “সতর্ক লোক বিপদ দেখিয়া আপনাকে লুকায়।” (হিতোপদেশ ২২:৩) তুমি কীভাবে এই পরামর্শ কাজে লাগাতে পারো? দূরদর্শিতা কাজে লাগিয়ে!

“যারা এই ধরনের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলে, তাদের কাছ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকো।”—নাওমি, জাপান।

“সেই সংসর্গ ও পরিস্থিতিগুলো এড়িয়ে চলো, যেগুলো বিপদজনক হতে পারে। উদাহরণস্বরপ, আমি এমন কয়েকজনকে চিনি, যারা মদ খাওয়া অবস্থায় প্রলোভনে পা দিয়েছিল।”—ইশা, ব্রাজিল।

“তোমার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন তোমার ঠিকানা বা ফোন নম্বর দিও না।”—ডায়না, ব্রিটেন।

“তোমার সহপাঠীদের যখন-তখন আলিঙ্গন কোরো না।”—এস্থের, নাইজেরিয়া।

“তোমার পোশাক-আশাকের দিকে খেয়াল রেখো। তোমার পোশাক যেন যৌন উত্তেজক না হয়।”—হাইডি, জার্মানি।

“তোমার বাবামার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখা এবং এই পরিস্থিতি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা এক শক্তিশালী সুরক্ষা।”—আকিকো, জাপান।

তোমার কথাবার্তা, আচরণ, বন্ধুবান্ধব এবং প্রায়ই যেখানে গিয়ে থাকো, তা বিশ্লেষণ করো। এরপর নিজেকে জিজ্ঞেস করো, ‘আমি কি নিজেকে এমন এক অবস্থানে রাখছি—বা অজান্তেই এমন কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছি—যা খুব সম্ভবত অন্যদেরকে যৌনসম্পর্ক করার আমন্ত্রণ জানাতে উৎসাহ দেবে?’

পড়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে: আদিপুস্তক ৩৪:১, ২. দীণা নামের এক মেয়ে কীভাবে ভুল জায়গায় যাওয়ার ফলে দুঃখজনক পরিণতি ভোগ করেছিল, তা দেখো।

মনে রেখো, “ক্যাজুয়াল” সেক্স যিহোবা ঈশ্বরের কাছে হালকাভাবে দেখার মতো কোনো বিষয়; তোমার কাছেও তা হওয়া উচিত নয়। বাইবেল বলে: “বেশ্যাগামী কি অশুদ্ধাচারী . . . কেহই খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পায় না।” (ইফিষীয় ৫:৫) যা সঠিক, তা করার জন্য পদক্ষেপ নিয়ে তুমি এক শুদ্ধ বিবেক ও আত্মসম্মান বজায় রাখতে পারবে। কারলি নামে এক মেয়ে এই বিষয়টাকে এভাবে বলে, “কেন তুমি অন্য আরেকজনের তাৎক্ষণিক কামনাকে চরিতার্থ করার জন্য নিজেকে ‘ব্যবহার’ করতে দেবে? যে-বিষয়টা বজায় রাখার জন্য তুমি এতদিন কঠোর পরিশ্রম করেছ, তা সযত্নে ধরে রাখো!” (g ৩/০৭)

www.watchtower.org/ype ওয়েব সাইটে “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য. . . ” নামক ধারাবাহিকগুলো থেকে আরও প্রবন্ধ পাওয়া যেতে পারে।

চিন্তা করার মতো বিষয়

◼ যদিও অবৈধ যৌনসম্পর্ক অসিদ্ধ মাংসের কাছে আকর্ষণীয় মনে হতে পারে কিন্তু তা কেন অন্যায়?

◼ তোমাকে যদি কেউ ক্যাজুয়াল সেক্স করতে আমন্ত্রণ জানায়, তা হলে তুমি কী করবে?

[পাদটীকাগুলো]

^ এই প্রবন্ধে নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

^ এই শব্দগুলো আদর করা বা কামলালসাপূর্ণ চুমু খাওয়ার মতো অন্তরঙ্গ আচরণকেও বোঝাতে পারে।

^ ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত হল, বিবাহিত নয় এমন দুজন ব্যক্তির মধ্যে হওয়া যৌনমিলন, মৌখিক ও পায়ু যৌনতা, সমকামিতা, অন্য ব্যক্তির যৌনাঙ্গে হস্তমৈথুন করা এবং আরও অন্যান্য ধরনের আচরণ যেগুলোর মধ্যে স্পষ্টভাবেই যৌনাঙ্গের অপব্যবহার জড়িত।

[২৭ পৃষ্ঠার বাক্স]

◼ বাইবেল বলে, যে-ব্যক্তি ব্যভিচার করে চলে, সে “নিজ দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে।” (১ করিন্থীয় ৬:১৮) সেটা কীভাবে সত্য? তুমি কয়েকটা উপায় সম্বন্ধে চিন্তা করতে পারো কি না, তা একটু দেখো আর তারপর সেগুলোকে নীচে তালিকাবদ্ধ করো।

․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․

․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․

․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․

․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․․

সাহায্যকারী পরামর্শ: ওপরের প্রশ্নটির উত্তর দিতে তোমাকে সাহায্য করার জন্য ২০০৬ সালের ১৫ই জুন প্রহরীদুর্গ পত্রিকার পৃষ্ঠা ২৮, অনুচ্ছেদ ১৪ এবং ২০০২ সালের ১৫ই জুন প্রহরীদুর্গ পত্রিকার পৃষ্ঠা ২১, অনুচ্ছেদ ১৭ দেখো। দুটোই যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।

[২৯ পৃষ্ঠার বাক্স]

বাবামাদের উদ্দেশে এক নোট

“স্কুলে এক সহপাঠী আমাকে তার সঙ্গে ‘ক্ষণকালীন যৌনসম্পর্ক’ করতে বলেছিল। সে আসলে কী চাচ্ছিল, তা পুরোপুরিভাবে বুঝে উঠতে আমার বেশ সময় লেগেছিল। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর।”—লিয়া।

যৌন বিষয়ের সঙ্গে ছেলেমেয়েরা অনেক কম বয়সে পরিচিত হয়। বহু বছর আগে বাইবেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, ‘বিষম সময়ের’ দ্বারা ‘শেষ কাল’ চিহ্নিত হবে, যেখানে লোকেরা “অজিতেন্দ্রিয়” এবং “ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয় হইবে।” (২ তীমথিয় ৩:১, ৪) এই প্রবন্ধে কিশোর-কিশোরীদের জন্য তুলে ধরা “হুক্‌ আপ করার” প্রবণতা হচ্ছে অনেক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটা, যা দেখায় যে এই ভবিষ্যদ্বাণী সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

বর্তমানের জগৎ আর আপনারা যে-জগতে বড় হয়ে উঠেছিলেন, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকটা দিক দিয়ে সমস্যাগুলো একই। তাই আপনাদের সন্তানদের আশেপাশে যে-খারাপ প্রভাবগুলো রয়েছে, সেগুলো দেখে জর্জরিত হবেন না বা ভয় পাবেন না। এর পরিবর্তে, প্রেরিত পৌল প্রায় ২,০০০ বছর আগে খ্রিস্টানদের যা করার জন্য জোরালোভাবে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাদেরকে তা করতে সাহায্য করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হোন: “ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার।” (ইফিষীয় ৬:১১) সত্য বিষয়টা হচ্ছে, অনেক খ্রিস্টান তরুণ-তরুণী তাদের আশেপাশে নেতিবাচক প্রভাবগুলো সত্ত্বেও, যা সঠিক তা করার জন্য প্রশংসনীয় লড়াই করছে। আপনাদের সন্তানদেরও একই বিষয় করার জন্য আপনি কীভাবে তাদের সাহায্য করতে পারেন?

আপনাদের ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার জন্য এই তথ্যটাকে ব্যবহার করা হচ্ছে একটা উপায়। “পড়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে” বিভাগে কয়েকটা চিন্তা উদ্রেককারী শাস্ত্রপদ রয়েছে। কয়েকটা সেই ব্যক্তিদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে, যারা হয় যা সঠিক সেটার পক্ষে এক পদক্ষেপ নিয়েছিল ও আশীর্বাদ উপভোগ করেছিল নতুবা ঈশ্বরের আইনগুলোকে অবজ্ঞা করেছিল এবং এর পরিণতি ভোগ করেছিল। “পড়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে” বিভাগের অন্যান্য শাস্ত্রপদে সেই নীতিগুলো রয়েছে, যেগুলো আপনাদের সন্তানদেরকে ঈশ্বরের আইনগুলো অনুযায়ী জীবনযাপন করার ফলে তাদের জন্য—এবং আপনাদের জন্য—যে-বিশেষ সুযোগগুলো রয়েছে, তা শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। এখনই এই বিষয়টা তাদের সঙ্গে পুনরালোচনা করার পরিকল্পনা করুন না কেন?

ঈশ্বরের মান অনুযায়ী চলা সবসময় আমাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। (যিশাইয় ৪৮:১৭, ১৮) সেগুলোকে অবজ্ঞা করা অপরিহার্যভাবে দুঃখকষ্টের দিকে পরিচালিত করে। সচেতন থাক! পত্রিকার প্রকাশকরা কামনা করে যে, আপনাদের সন্তানদের হৃদয়ে ঈশ্বরের আইন ও নীতিগুলোকে গেঁথে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলার সময়ে আপনাদের ওপর যেন যিহোবার আশীর্বাদ বর্তে।—দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬, ৭.

[২৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

এই বিষয়টা তোমাকে স্পষ্ট করতে হবে যে, তুমি কখনোই তাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করবে না