সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

বিশ্ব নিরীক্ষা

◼ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্ণিয়ার দুটো ন্যাশনাল পার্কের গুহাগুলো পরীক্ষানিরীক্ষা করার ফলে ২৭টা নতুন প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কার করা গিয়েছে। “এটা কেবল এই বিষয়টাই নিশ্চিত করে যে, আমাদের চারপাশের জগৎ সম্বন্ধে আমরা কত কম জানি,” ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস এর একজন গুহা বিশেষজ্ঞ জোয়েল ডেসপ্যান বলেন।—স্মিথ্‌সোনিয়ান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

◼ বিশ্বের জনসংখ্যার ২০ শতাংশেরই পেয় জলের অভাব রয়েছে। চল্লিশ শতাংশের মৌলিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব রয়েছে।—মিলেনিও, মেক্সিকো। (g ১/০৭)

◼ “সারাদিন টেলিভিশন ছেড়ে রাখার কারণে অধিকাংশ পরিবার আর একসঙ্গে খাবার খায় না এবং বাচ্চাদের [ঠেলে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির] শুধুমাত্র সামনের দিকে মুখ করে রাখা নকশা” বাচ্চা ও বাবামার মধ্যে ভাববিনিময়ের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে, স্কুলে যেতে শুরু করেছে এমন বাচ্চারা যখন নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করতে পারে না, তখন তারা “প্রায়ই মেজাজ দেখিয়ে থাকে।”—দি ইনডিপেনডেন্ট, ব্রিটেন। (g ২/০৭)

অফিসে জীবাণু

আ্যরিজোনা ইউনিভারসিটির অণুজীবতত্ত্ববিদরা যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা শহরের অফিসে ব্যাকটিরিয়ার পরিমাণ পরিমাপ করেছিল। তারা দেখেছিল যে, “সবচেয়ে বেশি জীবাণু কবলিত পাঁচটা জায়গা হল (ক্রমান্বয়ে) টেলিফোন, ডেস্কের ওপর, কৃত্রিম ঝর্ণার হাতল, মাইক্রোওয়েভ ওভেনের দরজার হাতল এবং কীবোর্ড,” গ্লোব আ্যন্ড মেইল সংবাদপত্র বলে। সেই রিপোর্ট অনুসারে, “গড়ে একটা ডেস্কের ওপরে, রান্নাঘরের একটা টেবিলের চেয়ে ১০০ গুণ ও টয়লেটের কমোডের চেয়ে ৪০০ গুণ বেশি ব্যাকটিরিয়া থাকে।” (g ১/০৭)

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগব্যাধির প্রতি আগ্রহের অভাব

চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণায় অধিকাংশ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগব্যাধিই উপেক্ষিত হয়ে থাকে। কেন? “দুঃখজনক বিষয়টা হল . . . ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান [নতুন নতুন চিকিৎসাপদ্ধতির] অনুসন্ধান করছে না,” স্কটল্যান্ডের ডান্ডি ইউনিভারসিটির আণবিক জীববিদ মাইকেল ফারগুসন বলেন। আর তা করার জন্য ওষুধ কোম্পানিগুলোর কোনো আর্থিক উদ্যোগ নেই কারণ তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না। এই কোম্পানিগুলো দামি ও লাভজনক ওষুধ যেমন, আ্যলজিমার্স ডিজিজ (এক ধরনের মানসিক রোগ), মাত্রাতিরিক্ত ওজন ও যৌন অক্ষমতার ওষুধ উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেয়। এই সময়ের মধ্যে নিউ সায়েনটিস্ট পত্রিকা বলে যে, “প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী” আনুমানিক “১০ লক্ষ লোক ম্যালেরিয়ায় ভুগে মারা যায় কারণ নিরাপদ ও কার্যকারী চিকিৎসাপদ্ধতিগুলো এখনও পর্যন্ত প্রাপ্তিসাধ্য নয়।” (g ২/০৭)

ডায়াবিটিস—বিশ্বব্যাপী এক মহামারী

দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস্‌ বলে, আন্তর্জাতিক ডায়াবিটিস সংঘ থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত ইঙ্গিত করে যে, বিগত ২০ বছরে বিশ্বব্যাপী পরীক্ষা করে ডায়াবিটিস ধরা পড়েছে এমন লোকের সংখ্যা ৩ কোটি থেকে বেড়ে ২৩ কোটি হয়েছে। যে-দশটা দেশে এই রোগে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেগুলোর মধ্যে সাতটাই উন্নয়নশীল দেশ। “ডায়াবিটিস হল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় শারীরিক বিপর্যয়গুলোর মধ্যে একটা, যা পৃথিবীতে আগে কখনো দেখা যায়নি,” সংঘের সভাপতি মার্টিন সিলিংক বলেছিলেন। “বিশ্বের দরিদ্রতম কয়েকটা দেশে এই রোগ হওয়ার পর খুব দ্রুত লোকেদের মৃত্যু ঘটে থাকে,” সেই রিপোর্ট বলে।

বিশ্বের উচ্চতম রেলপথ

২০০৬ সালের জুলাই মাসে বিশ্বের উচ্চতম রেলপথ উদ্‌বোধন করা হয়েছে, যেটা বেইজিং ও তিব্বতের রাজধানী লাসাকে সংযুক্ত করেছে আর এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,০০০ কিলোমিটার। “রেলপথটা,” দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস বলে, “হচ্ছে প্রকৌশলবিদ্যার এক বিস্ময়, যেটা অস্থিতিশীল ভূগর্ভস্থ চিরহিমায়িত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করেছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৮০০ মিটার উঁচুতে উঠে গিয়েছে।” প্রকৌশলীরা যে-প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো কাটিয়ে উঠেছে, সেগুলোর মধ্যে একটা হল অস্থিতিশীল অবস্থা হ্রাস করতে সারাবছর সেই রেললাইনের ভিত্তিকে হিমায়িত রাখা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার কারণে রেলগাড়ির কামরাগুলোতে বায়ু সঞ্চালন করা আবশ্যক, যেগুলোতে প্রত্যেক যাত্রীর ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন সরবরাহের সুব্যবস্থাও রয়েছে। (g ৩/০৭)