“খ্রিস্টকে অনুসরণ করুন!”
“খ্রিস্টকে অনুসরণ করুন!”
যিহোবার সাক্ষিদের জেলা সম্মেলন
তিনদিনের এই ধারাবাহিক জেলা সম্মেলনগুলো ভারতে আগস্ট মাসের শেষের দিকে শুরু হবে আর তা ২০০৮ সালে পৃথিবীব্যাপী শত শত শহরে চলবে। বেশির ভাগ জায়গায় প্রথম দিন সকাল ৯:২০ মিনিটে যন্ত্রসংগীত দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। সম্মেলনের প্রতিটা দিন যিশুর ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবে।
প্রথম দিনের কার্যক্রমের মূলভাব হল, ‘বিশ্বাসের আদিকর্ত্তা ও সিদ্ধিকর্ত্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখুন।’ (ইব্রীয় ১২:২) প্রথম বক্তৃতাটি হল, “কেন ‘খ্রীষ্টকে’ অনুসরণ করবেন?” তিন অংশের সিম্পোজিয়ামটি হল, “যিশুকে মহান মোশি, দায়ূদ, শলোমন হিসেবে স্বীকার করা।” সকালের অধিবেশন এই মুখ্য বক্তৃতাটি দিয়ে শেষ হবে, “যিহোবার উদ্দেশ্যের মধ্যে যিশুর অদ্বিতীয় ভূমিকা।”
প্রথম দিন দুপুরের প্রথম বক্তৃতাটি হল, “‘আমরা মশীহের দেখা পাইয়াছি’!” এরপর “‘ইঁহার মধ্যে গুপ্ত’ ধন খুঁজে পাওয়া” নামক বক্তৃতাটি দেওয়া হবে। “আপনাদের মধ্যে খ্রিস্টের মনোভাব বজায় রাখুন” নামক এক ঘন্টা দীর্ঘ, পাঁচ অংশের সিম্পোজিয়ামটির মধ্যে এই বক্তৃতাগুলো রয়েছে, যেগুলোর শিরোনাম হল, “তিনি ‘তাহাদিগকে সদয় ভাবে গ্রহণ করিয়াছিলেন,’” “তিনি ‘মৃত্যু পর্য্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন,’” এবং “তিনি ‘তাহাদিগকে শেষ পর্য্যন্ত প্রেম করিলেন।’” এই অধিবেশন “তারা ‘যে কোন স্থানে মেষশাবক গমন করেন, সেই স্থানে তাঁহার অনুগামী হয়’” নামক বক্তৃতাটি দিয়ে শেষ হবে।
দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রমের মূলভাব হল, “আমার মেষেরা আমার রব শুনে, . . . এবং তাহারা আমার পশ্চাদ্গমন করে।” (যোহন ১০:২৭) আমাদের পরিচর্যাকে উন্নত করার জন্য “পরিচর্যায় যিশুর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করুন” নামক এক ঘন্টার এই সিম্পোজিয়ামটি বিভিন্ন ব্যবহারিক পরামর্শ তুলে ধরবে। “তিনি ‘ধার্ম্মিকতাকে প্রেম, ও দুষ্টতাকে ঘৃণা করিয়াছেন’—আপনিও কি করেন?” এবং “যিশু যেমন করেছিলেন, তেমনই ‘দিয়াবলের প্রতিরোধ করুন,’” নামক বক্তৃতাগুলোর পর, সকালের অধিবেশন বাপ্তিস্ম সম্বন্ধীয় এক বক্তৃতা দিয়ে শেষ হবে, যেটার পর যারা যোগ্য, তারা বাপ্তিস্ম নেবে।
দ্বিতীয় দিনের দুপুরের কার্যক্রম “অনুসরণ করবেন না . . .” নামক সিম্পোজিয়ামটি দিয়ে শুরু হবে। এই সিম্পোজিয়ামের ছয়টি অংশ হল ‘বহু লোকের পশ্চাৎ’ ‘আপনাদের হৃদয় ও চক্ষুর,’ “অবস্তুর” ‘ভাক্ত গুরুদের,’ ‘মিথ্যা গল্পগুলোর’ এবং “শয়তানের।”’ পরবর্তী বক্তৃতাগুলো হল, “‘যিহোবার কাছে শিক্ষা পাইবার’ শ্রেষ্ঠত্ব” এবং “তাদেরকে পালের মধ্যে ফিরে আসতে সাহায্য করুন।” সম্মেলনের এক মুখ্য বিষয়, “আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও” নামক বক্তৃতাটি দিয়ে দিন শেষ হবে।
তৃতীয় দিনের মূলভাব হল, “আমার পশ্চাৎ আইস।” (যোহন ২১:১৯) “খ্রিস্টকে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে ‘ক্ষমা ভিক্ষা’ চাইবেন না” নামক বক্তৃতার পর, “পর্বতেদত্ত উপদেশ থেকে বহুমূল্য রত্নগুলো” শিরোনামের ছয় অংশের সিম্পোজিয়ামটি যিশুর এই ধরনের কথাগুলোর ওপর আলোকপাত করবে, যেমন: “সুখী যাহারা আত্মাতে দীনহীন,” “প্রথমে তোমার ভ্রাতার সহিত সম্মিলিত হও,” এবং “দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে।” সকালের কার্যক্রম জনসাধারণের উদ্দেশে এই বক্তৃতাটি দিয়ে শেষ হবে, যেটির শিরোনাম হল, “কারা খ্রিস্টের প্রকৃত অনুসারী?” দুপুরের উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এক ঐতিহাসিক নাটক, যা ঈশ্বরের ভাববাদী ইলীশায়ের লোভী পরিচারক গেহসি সম্বন্ধীয় বাইবেলের বিবরণের ওপর ভিত্তি করে। “আমাদের অজেয় নেতা খ্রিস্টকে অনুসরণ করে চলুন!” নামক বক্তৃতাটি দিয়ে সম্মেলন শেষ হবে।
যোগদান করার জন্য এখনই পরিকল্পনা করুন। আপনার বাড়ির সবচেয়ে কাছাকাছি স্থানটি খুঁজে পাওয়ার জন্য, যিহোবার সাক্ষিদের স্থানীয় কিংডম হলে যোগাযোগ করুন অথবা এই পত্রিকার প্রকাশকদের কাছে লিখুন। আমাদের সহযোগী পত্রিকা, ১লা মার্চ সংখ্যার প্রহরীদুর্গ পত্রিকায় ভারতের সমস্ত সম্মেলন স্থানের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। (g ৬/০৭)