সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান”

“চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান”

“চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান”

মেক্সিকোর সচেতন থাক! লেখক কর্তৃক

যিহোবার সাক্ষিরা সারা পৃথিবীতে রক্ত-ছাড়া চিকিৎসা করানোর জন্য সুপরিচিত। কিছু লোক বাইবেলভিত্তিক এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে। তা সত্ত্বেও, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্‌ অনকোলজির প্রধান সার্জন ডা. আনখেল হেরেরা মেক্সিকো সিটির ব্যাপক বিতরিত খবরের কাগজ রিফর্মা-য় এই কথাগুলো বলেছিলেন: “সাক্ষিরা অজ্ঞ লোক নয়। কিংবা তারা গোঁড়াও নয়। . . . চিকিৎসা পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে রক্তক্ষরণ কমানোর প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে বিবেচনা করতে বাধ্য করার দ্বারা [তারা] চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।”

পনেরো বছর আগে, ডা. হেরেরা রক্ত-ছাড়া অপারেশন করার জন্য আ্যনিস্থিসিওলজিস্ট ও সার্জনদের নিয়ে একটা দল গঠন করেছিলেন। সেই দলের একজন আ্যনিস্থিসিওলজিস্ট, ডা. ইসিদ্রো মার্তিনেস মন্তব্য করেছিলেন: “আ্যনিস্থিসিয়া দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা, রক্ত সংরক্ষণের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়ায় কোনোরকম বাধা সৃষ্টি করে না। তাই, আমরা বাস্তবিকই যিহোবার সাক্ষিদের সাহায্য করতে পারি, তাদের ধর্মীয় পদক্ষেপের প্রতি সম্মান দেখাতে পারি।”

রক্তগ্রহণের প্রায় ৩০টারও বেশি বিকল্প রয়েছে, ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসের রিফর্মা খবরের কাগজ রিপোর্ট করেছিল। এগুলোর অন্তর্ভুক্ত হল, রক্তবাহী ধমনীগুলো পুড়িয়ে দেওয়া, বিশেষ ধরনের গজ (পাতলা কাপড়) দিয়ে অঙ্গগুলো আচ্ছাদিত করা, যা রক্তক্ষরণ কমানোর রাসায়নিক উপাদান নির্গত করে ও সেইসঙ্গে রক্তের পরিমাণ বাড়ানোর উপাদানগুলো ব্যবহার করা। *

মেক্সিকো সিটির লা রাসা জেনারেল হাসপাতালের প্রধান হার্ট সার্জন ডা. মইসেস কালডেরোন রক্ত না দিয়ে নিয়মিতভাবে অপারেশন করে থাকেন। রিফর্মা খবরের কাগজে তিনি উল্লেখ করেছিলেন: “রক্তগ্রহণ পদ্ধতি কোনো ঝুঁকিহীন প্রক্রিয়া নয়। এই পদ্ধতিতে ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া অথবা অন্যান্য জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া, আ্যলার্জি সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে, যেগুলো মূত্রগ্রন্থি ও ফুসফুসের কাজে বাধা সৃষ্টি করে।” এইসব ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, ডা. কালডেরোন বলেছিলেন: “আমরা সমস্ত রোগীকে যিহোবার সাক্ষি মনে করে অপারেশন করে থাকি। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করি যাতে রক্তক্ষরণ কম হয়, ক্ষরিত রক্ত পূরণ করি এবং সেই ওষুধগুলো ব্যবহার করি, যেগুলো রোগীর রক্তক্ষরণ কম হওয়ায় সাহায্য করে।”

সেই খবরের কাগজ প্রেরিত ১৫:২৮, ২৯ পদ উদ্ধৃতি করেছিল, যে-পদটিকে যিহোবার সাক্ষিরা তাদের পদক্ষেপের ভিত্তি বলে থাকে। এই শাস্ত্রপদে প্রেরিতরা নিম্নলিখিত অনুশাসনের বিষয় উল্লেখ করেছিল: “পবিত্র আত্মার এবং আমাদের ইহা বিহিত বোধ হইল, যেন এই কয়েকটী প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া তোমাদের উপরে আর কোন ভার না দিই, ফলে প্রতিমার প্রসাদ এবং রক্ত ও গলা টিপিয়া মারা প্রাণীর মাংস ও ব্যভিচার হইতে পৃথক্‌ থাকা তোমাদের উচিত।”

মেক্সিকোতে যিহোবার সাক্ষিদের শাখা অফিসের হসপিটাল ইনফরমেশন ডেস্ক রিপোর্ট করে যে, এই দেশে ৯৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ ৭৫টি হসপিটাল লিয়েইজন কমিটি রয়েছে, যারা রক্তের বিকল্প পদ্ধতিগুলোর বিষয়ে তথ্য প্রদানের জন্য ডাক্তারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। মেক্সিকোতে প্রায় ২,০০০ জন ডাক্তার যিহোবার সাক্ষিদের রক্ত-ছাড়া চিকিৎসা করাতে সম্মত আছে। যিহোবার সাক্ষিরা এই ডাক্তারদের সহযোগিতাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করে, যারা এর ফলে ন-সাক্ষি রোগীদেরও সাহায্য করার জন্য আরও ভালভাবে সজ্জিত হয়। (g ৯/০৭)

[পাদটীকা]

^ সচেতন থাক! রক্ত-ছাড়া চিকিৎসার নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ করছে না বরং স্বীকার করে যে, এটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্র]

ডা. আনখেল হেরেরা

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্র]

ডা. ইসিদ্রো মার্তিনেস

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্র]

ডা. মইসেস কালডেরোন