সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পারিবারিক নিয়মনীতি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন এবং অবিলম্বে সেগুলো কার্যকর করুন

পারিবারিক নিয়মনীতি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন এবং অবিলম্বে সেগুলো কার্যকর করুন

পদক্ষেপ ৪

পারিবারিক নিয়মনীতি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন এবং অবিলম্বে সেগুলো কার্যকর করুন

কেন এই পদক্ষেপ নেবেন? “প্রকৃত বিষয়টা হল,” জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমাজবিজ্ঞানী রোন্যাল্ড সাইমন বলেন, “সন্তানরা স্পষ্ট নিয়মনীতি ও নিশ্চিত পরিণতি সম্বন্ধে জানলে উত্তম ফল লাভ করা যায়। এইরকম ব্যবস্থা না থাকলে, সন্তানরা আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও অসুখী হয়ে ওঠে—আর তারা তাদের আশেপাশের সবাইকেও অতিষ্ঠ করে তোলে।” ঈশ্বরের বাক্য সহজভাবে বলে: “যে নিজের সন্তানদের সত্যিকারের ভালোবাসে সে সন্তানদের ভুল ত্রুটিগুলো শুধরে দেয়।”—হিতোপদেশ ১৩:২৪, বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা: আপনার সন্তানদের আচারআচরণের বিষয়ে যুক্তিযুক্ত সীমাগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়ার ও সেগুলো কার্যকর করার জন্য সময়, প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। আর সন্তানদের এই ধরনের যেকোনো সীমা যাচাই করার স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বলে মনে হয়। মাইক ও সোনিয়া, যারা দুই মেয়েকে মানুষ করছে, তারা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে উপযুক্তভাবেই সংক্ষেপে বর্ণনা করে। “সন্তানরা ছোট আকারের মানুষ, যাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও আকাঙ্ক্ষা এবং সেইসঙ্গে পাপ করার সহজাত প্রবণতা রয়েছে,” তারা বলে। এই বাবামা তাদের মেয়েদের অত্যন্ত ভালবাসে। কিন্তু তারা স্বীকার করে, “মাঝেমধ্যে, সন্তানরা একগুঁয়ে ও স্বার্থপর হতে পারে।”

সমাধান: ইস্রায়েল জাতির সঙ্গে যিহোবা যেভাবে আচরণ করেছিলেন, তা অনুকরণ করুন। একটা যে-উপায়ে তিনি তাঁর লোকেদের জন্য ভালবাসা প্রকাশ করেছিলেন, সেটা ছিল তারা যে-আইনগুলো মেনে চলুক বলে তিনি চেয়েছিলেন, সেগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন। (যাত্রাপুস্তক ২০:২-১৭) সেই আইনগুলো অমান্য করার পরিণতি সম্বন্ধেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন।—যাত্রাপুস্তক ২২:১-৯.

তাই, পরিবারের এমন আইনকানুন বা নিয়মনীতির এক লিখিত তালিকা তৈরি করুন না কেন, যেগুলো আপনার সন্তানদের মেনে চলতে হবে বলে আপনি মনে করেন। কিছু বাবামা, এই ধরনের একটা তালিকাকে মাত্র কয়েকটা, হতে পারে পাঁচ-ছয়টা নিয়মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করেন। সঠিকভাবে বাছাই করা পারিবারিক নিয়মনীতির এক সংক্ষিপ্ত তালিকা কার্যকর করা কম কঠিন হয়ে থাকে এবং সম্ভবত সেগুলোকে সহজেই মনে রাখা যায়। সেই নিয়মনীতির পাশে পাশে সেগুলো ভঙ্গ করার পরিণতিগুলোও লিখে রাখুন। শাস্তিগুলো যে যুক্তিযুক্ত ও আপনি যে সেগুলো কার্যকর করতে চান, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। নিয়মিতভাবে সেগুলো পুনরালোচনা করুন, যাতে সকলে—যার মধ্যে মা এবং বাবাও রয়েছে—সঠিকভাবে জানতে পারে যে, তাদের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

যদি নিয়মনীতি ভঙ্গ করা হয়, তা হলে অবিলম্বে পরিণতিগুলো কার্যকর করুন তবে তা এক শান্ত, দৃঢ় ও সামঞ্জস্যপূর্ণ উপায়ে করুন। মনে রাখবেন: আপনি যদি ক্রুদ্ধ হয়ে যান, তা হলে কোনো শাসন প্রয়োগ করার আগে আপনি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। (হিতোপদেশ ২৯:২২) কিন্তু, কার্যকর করতে বিলম্ব করবেন না। বিষয়গুলো নিয়ে আপোশ করবেন না। আপনি যদি তা করেন, তা হলে আপনার সন্তান মনে করবে যে, নিয়মনীতিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা বাইবেলের এই কথার অনুরূপ: “দুষ্কর্ম্মের দণ্ডাজ্ঞা ত্বরায় সিদ্ধ হয় না, এই কারণ মনুষ্যসন্তানদের অন্তঃকরণ দুষ্কর্ম্ম করিতে সম্পূর্ণরূপে রত হয়।”—উপদেশক ৮:১১.

আর কীভাবেই বা আপনি আপনার কর্তৃত্ব এমন উপায়ে প্রদর্শন করতে পারেন, যা আপনার সন্তানদের জন্য উপকার নিয়ে আসে? (g ৮/০৭)

[৬ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

“তোমাদের কথা হাঁ, হাঁ, না, না, হউক।” —মথি ৫:৩৭