সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ভানুয়াতুতে এসে স্বস্তি লাভ করুন

ভানুয়াতুতে এসে স্বস্তি লাভ করুন

ভানুয়াতুতে এসে স্বস্তি লাভ করুন

নিউ ক্যালিডোনিয়ার সচেতন থাক! লেখক কর্তৃক

আপনি কি হাঁপিয়ে উঠেছেন? আপনার কি একটু স্বস্তির প্রয়োজন? তা হলে মনে মনে চিন্তা করুন যে, আপনি এক রৌদ্রোজ্জ্বল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দ্বীপে এসে আরাম করছেন। কল্পনা করুন যে, আপনি সবুজাভ-নীল রঙের জলে সাঁতার কাটছেন, সতেজ গাছপালায় ছেয়ে থাকা বৃষ্টিবহুল অরণ্যের মধ্যে দিয়ে ধীরেসুস্থে হেঁটে চলেছেন অথবা নজর-কাড়া স্থানীয় উপজাতির লোকেদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। এইরকম এক পরমদেশ কি এখনও পৃথিবীতে রয়েছে? নিশ্চয়ই আছে! আর সেটা হচ্ছে দূরবর্তী ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জে।

অ স্ট্রেলিয়া ও ফিজির প্রায় মাঝখানে অবস্থিত ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সারিবদ্ধভাবে প্রায় ৮০টা ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যার আকার ইংরেজি Y অক্ষরের মতো। ভূতত্ত্ববিদদের কথা অনুসারে, এখানে ভূত্বকে অবস্থিত প্রকাণ্ড টেক্‌টনিক্‌স্‌ প্লেটগুলোর পরস্পর সংঘর্ষ ঘটেছে, যার ফলে উঁচু উঁচু পর্বত গড়ে উঠেছে, যেগুলো মূলত জলের নীচে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতগুলোর শৃঙ্গ মহাসাগরের পৃষ্ঠ থেকে ওপরে উঠে ভানুয়াতুকে এবড়োখেবড়ো পাথুরে দ্বীপপুঞ্জে পরিণত করেছে। আজকে ভূতাত্ত্বিক ভাঙন ও ঘর্ষণ প্রক্রিয়া, ভূমিতে অসংখ্য কাঁপনের সৃষ্টি করে আর এর ফলে নয়টা জীবন্ত আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করেছে। দুঃসাহসী পর্যটকরা এমনকি একেবারে কাছে থেকেই গলিত লাভা দেখতে পারে।

এই দ্বীপপুঞ্জের বৃষ্টিবহুল বনভূমিতে প্রচুর গাছপালা রয়েছে। এটা হচ্ছে বড় বড় বটগাছের এক অঞ্চল, যেগুলোর মুকুটের মতো পাতা বিশাল জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ১৫০টারও বেশি প্রজাতির অর্কিড ও ২৫০ ধরনের ফার্ন, গাছের নীচে জন্মে ভূমির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। স্বচ্ছ জলের কোলঘেঁষে চমৎকার সমুদ্রসৈকত এবং এবড়োখেবড়ো দুরারোহ পাহাড় রয়েছে আর সেই জলে রংবেরঙের মাছ ও প্রবাল রয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা এপি দ্বীপের শান্ত অথচ চটপটে ডুগংদের সঙ্গে সাঁতার কাটার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে এসে থাকে। *

নরখাদক ও কার্গো কাল্ট

ইউরোপীয় আবিষ্কারকরা সর্বপ্রথম ১৬০৬ সালে ভানুয়াতুতে এসেছিল। * সেই দ্বীপপুঞ্জে বিভিন্ন হিংস্র উপজাতি বাস করত এবং নরমাংস ভোজন ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। সেই সময় সেখানে প্রচুর পরিমাণে চন্দনকাঠের বন ছিল, যেটা হচ্ছে এক সুবাসিত কাঠ, যেটাকে এশিয়াতে খুবই মূল্যবান বলে মনে করা হতো। প্রচুর লাভ হবে বুঝতে পেরে, ইউরোপীয় বণিকরা ধারাবাহিকভাবে গাছ কাটতে শুরু করেছিল। এরপর তারা ব্ল্যাকবার্ডিংয়ের দিকে নজর দিয়েছিল।

ব্ল্যাকবার্ডিংয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল দ্বীপের স্থানীয় অধিবাসীদেরকে সামোয়া, ফিজি এবং অস্ট্রেলিয়ায় চিনি ও তুলা চাষের কাজে নিয়োজিত করা। কাগজেকলমে শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় তিন বছরের জন্য কাজ করার চুক্তিতে সই করত। কিন্তু, বাস্তবে বেশির ভাগ কর্মীকেই অপহরণ করে আনা হতো। ব্যাবসা যখন পুরোপুরি জমজমাট হয়ে উঠেছিল, তখন ১৮০০ সালের শেষের দিকে, ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ জনসংখ্যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি লোক বিদেশে কাজ করত। অধিকাংশই আর কখনো ফিরে আসেনি। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১০,০০০ জন অধিবাসী, অধিকাংশই রোগব্যাধির কারণে মারা গিয়েছিল।

ইউরোপের রোগব্যাধি ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জকেও বিধ্বস্ত করেছিল। দ্বীপের অধিবাসীরা হাম, কলেরা, গুটিবসন্ত বা অন্যান্য রোগব্যাধিকে সামান্যই প্রতিরোধ করতে পারত বা বলতে গেলে একেবারেই পারত না। “সাধারণ সর্দিকাশিও পুরো জনসংখ্যাকে নির্মূল করে দেওয়ার মতো শক্তিশালী বলে প্রমাণিত হয়েছিল,” একটি বই বলে।

খ্রিস্টীয়জগতের মিশনারিরা ১৮৩৯ সালে ভানুয়াতুতে এসেছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে খাবারের জন্য নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল—কিন্তু খবর পাওয়া যায় যে, তারা নিজেরাই প্রধান খাদ্যে পরিণত হয়েছিল! তাদের পরে আরও অনেক মিশনারি এসেছিল কিন্তু তাদেরও একই পরিণতি হয়েছিল। তবে, পরে দ্বীপপুঞ্জ জুড়ে প্রটেস্টান্ট ও ক্যাথলিক গির্জাগুলো স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আজকে, ভানুয়াতুর অধিবাসীদের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি অধিবাসী নিজেদের গির্জার সদস্য বলে দাবি করে থাকে। তা সত্ত্বেও, গ্রন্থকার পল রাফায়েলি বলেন, “অনেক অধিবাসী এখনও গ্রামের মায়াবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা দেখায়, যারা ঐন্দ্রজালিক আচার-অনুষ্ঠানে আত্মার কাছ থেকে আসা পাথরগুলোকে নতুন প্রেমিক-প্রেমিকাকে আকৃষ্ট করতে, শুকরকে মোটাসোটা করতে বা কোনো শত্রুকে মেরে ফেলতে ব্যবহার করে থাকে।”

ভানুয়াতু হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে এমন একটা জায়গা, যেখানে কার্গো কাল্ট সম্প্রদায়ের লোকেরা যুগ যুগ ধরে রয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রায় ৫,০০,০০০ মার্কিন সৈন্য প্রশান্ত মহাসাগরের যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে যাওয়ার পথে ভানুয়াতুর ওপর দিয়ে গিয়েছিল। সৈন্যরা তাদের সঙ্গে করে যে-প্রচুর সম্পদ বা “কার্গো (জাহাজে বাহিত মাল)” নিয়ে এসেছিল, তা দেখে দ্বীপের অধিবাসীরা বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল। যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, আমেরিকানরা তল্পিতল্পা গুটিয়ে দ্বীপ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। লক্ষ লক্ষ ডলারের অবশিষ্ট সরঞ্জামাদি ও মালপত্র সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কার্গো কাল্টস্‌ নামে ধর্মীয় দলগুলো, উপকূলে ডক ও বিমান অবতরণস্থল নির্মাণ করেছিল এবং পর্যটকদের সেখানে ফিরে যেতে আকৃষ্ট করার জন্য সৈনিকদের নকল সাজসরঞ্জাম নিয়ে কুচকাওয়াজ করত। এমনকি আজও তান্না দ্বীপের শত শত গ্রামবাসী জন ফ্রাম নামে “একজন অশরীরী আমেরিকান মশীহের” কাছে প্রার্থনা করে, যার বিষয়ে তারা দাবি করে যে, একদিন তিনি ফিরে আসবেন এবং তাদের জন্য জাহাজে করে প্রচুর মালপত্র আনবেন।

বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি

এই দ্বীপের ভাষা ও রীতিনীতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৈচিত্র্য বিদ্যমান। একটি নির্দেশিকা বলে: “পৃথিবীর যেকোনো দেশের জনসংখ্যার মাথাপিছু ভাষার তুলনায় ভানুয়াতুতে সবচেয়ে বেশি ভাষা রয়েছে।” এই দ্বীপপুঞ্জে অন্ততপক্ষে ১০৫টা ভাষা ও অগণিত উপভাষা রয়েছে। জাতীয় ভাষা হচ্ছে বিসলামা এবং এর সঙ্গে ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষা সরকারিভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কিন্তু, দ্বীপপুঞ্জ জুড়ে একটা বিষয় একই রয়ে গিয়েছে: আচার-অনুষ্ঠান জীবনের প্রতিটা দিককে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি পেন্টিকস্ট দ্বীপের উর্বরতা সংক্রান্ত এক প্রাচীন আচার-অনুষ্ঠান, বিশ্বব্যাপী বাঙ্গি জাম্পিং করার এক হুজুগ সৃষ্টি করেছিল। প্রতি বছর, বার্ষিক মিষ্টি আলু সংগ্রহের সময় পুরুষ ও বালকরা ২০ থেকে ৩০ মিটার উঁচু কাঠের দুর্গ থেকে ঝাঁপ দিয়ে থাকে। শুধু তাদের গোড়ালির গাঁটে বাঁধা লম্বা লতাগুলো, তাদেরকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে। তাদের মাথা দিয়ে ভূমিকে স্পর্শ করার দ্বারা স্থলের এই ডুবুরিরা পরের বছরের শস্যের জন্য মাটিকে “উর্বর” করার আশা করে থাকে।

শুধুমাত্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, মেলকুলা দ্বীপের কিছু গ্রামকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বিগ নাম্বাস ও স্মল নাম্বাস নামে পরিচিত উপজাতির লোকেরা এখানে বাস করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এক সময়কার হিংস্র নরখাদকরা ১৯৭৪ সালে তাদের শেষ শিকারকে খেয়েছিল। অনুরূপভাবে, ছেলে শিশুদের মাথাকে শক্ত করে বেঁধে তাদের মাথার খুলিকে দীর্ঘায়িত করে “আকর্ষণীয়” করার রীতিও বেশ কয়েক বছর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজকে, নাম্বাস উপজাতির লোকেরা অত্যন্ত বন্ধুত্বপরায়ণ এবং পর্যটকদের কাছে তারা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্বন্ধে জানিয়ে আনন্দ পায়।

পরমদেশে লোকেরা

অধিকাংশ পর্যটক অল্পদিনের ছুটিতে ভানুয়াতুতে এসে স্বস্তি লাভ করে থাকে। কিন্তু, যিহোবার সাক্ষিরা লোকেদেরকে আধ্যাত্মিকভাবে সাহায্য করার জন্য প্রায় ৭০ বছর আগে সেখানে এসেছিল। “পৃথিবীর” এই ‘প্রান্তে’ সাক্ষিদের কঠোর প্রচেষ্টা উত্তম ফল নিয়ে এসেছে। (প্রেরিত ১:৮) (“কাভা আসক্ত থেকে খ্রিস্টান” শিরোনামের বাক্স দেখুন।) ২০০৬ সালে, সেই দেশে সাক্ষিদের পাঁচটা মণ্ডলী আসন্ন এক পার্থিব পরমদেশের বিষয়ে বাইবেলের বার্তা জানাতে ৮০,০০০রেরও বেশি ঘন্টা ব্যয় করেছে। (যিশাইয় ৬৫:১৭-২৫) আনন্দের বিষয় হচ্ছে, সেই ভবিষ্যৎ পরমদেশ আধুনিক জীবনের চাপ ও দুশ্চিন্তাগুলো থেকে স্থায়ী স্বস্তি নিয়ে আসবে!—প্রকাশিত বাক্য ২১:৪. (g ৯/০৭)

[পাদটীকাগুলো]

^ ডুগং হচ্ছে তৃণভোজী সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী, যেগুলোর দৈর্ঘ্য ৩.৪ মিটার ও ওজন ৪০০ কিলোগ্রামের বেশি হতে পারে।

^ ১৯৮০ সালে জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের আগে পর্যন্ত ভানুয়াতুকে নিউ হেব্রিডিস বলা হতো।

[১৭ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

সুখশান্তিপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জ

২০০৬ সালে, ভানুয়াতু পৃথিবীর মধ্যে হ্যাপি প্ল্যানেট ইনডেক্স এর শীর্ষে ছিল। নিউ ইকোনমিকস্‌ ফাউন্ডেশন নামে এক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রণীত এই ইনডেক্স জাতীয় সুখশান্তি, দীর্ঘায়ু ও পরিবেশের ওপর এর প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে ১৭৮টা দেশকে তালিকাবদ্ধ করেছে। “[ভানুয়াতু] শীর্ষে এসেছিল কারণ এখানকার লোকেরা সুখী, গড়ে প্রায় ৭০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে এবং এই গ্রহের খুব একটা ক্ষতি করে না,” ভানুয়াতু ডেইলি পোস্ট খবরের কাগজ বলে।

[চিত্র]

ঐতিহ্যবাহী পোশাক

[সৌজন্যে]

© Kirklandphotos.com

[১৭ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

কাভা আসক্ত থেকে খ্রিস্টান

উইলি নামে পেন্টিকস্ট দ্বীপের একজন স্থানীয় ব্যক্তি তার কৈশোর থেকেই প্রচুর পরিমাণে কাভা পানীয় পান করতেন। এই কড়া নেশাকর পানীয় গোলমরিচ গাছের শিকড় গুঁড়ো করে চোলাই করা হয়ে থাকে। প্রতি রাতে, তিনি কাভা বার থেকে মাতাল হয়ে টলতে টলতে বাড়ি ফিরতেন। এই কারণে, তিনি ঋণের বোঝা দ্বারা জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন। প্রায়ই তিনি হিংস্র হয়ে উঠতেন এবং তার স্ত্রী আইডাকে মারধর করতেন। এরপর তার একজন সহকর্মী, যিনি একজন যিহোবার সাক্ষি, তিনি উইলিকে বাইবেল অধ্যয়ন করার জন্য উৎসাহিত করেন। উইলি তাতে রাজি হন। আইডা প্রথমে অধ্যয়ন করার ব্যাপারে আপত্তি জানান। কিন্তু, যেহেতু তার স্বামীর আচরণ ভাল হয়েছিল, তাই তিনি তার মন পরিবর্তন করেন ও তিনিও অধ্যয়ন করতে শুরু করেন। একসঙ্গে তারা উত্তম আধ্যাত্মিক উন্নতি করেন। পরে, উইলি তার বিভিন্ন বদভ্যাস কাটিয়ে ওঠেন। তিনি ও আইডা ১৯৯৯ সালে বাপ্তিস্ম নিয়ে যিহোবার সাক্ষি হন।

[১৫ পৃষ্ঠার মানচিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

নিউজিল্যান্ড

অস্ট্রেলিয়া

প্রশান্ত মহাসাগর

ফিজি

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

স্থল ডুবুরিরা তাদের উর্বরতা সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এই চরম বিপদজনক অভ্যাসে রত হয়

[সৌজন্যে]

© Kirklandphotos.com

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

© Kirklandphotos.com

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

© Kirklandphotos.com

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

© Kirklandphotos.com