সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

দেশ ও অধিবাসী

ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ

ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ

প্রায় সতেরো হাজার দ্বীপ নিয়ে ইন্দোনেশিয়া গঠিত। এখানকার লোকেরা খুবই বন্ধুত্বপরায়ণ, ধৈর্যশীল, নম্র ও অতিথিপরায়ণ হিসেবে পরিচিত।

ইন্দোনেশিয়ার প্রধান খাবার হল ভাত ও তরকারি, যেগুলো প্রায়ই মশলাদার হয়ে থাকে আর ফল। কিছু কিছু জায়গায়, পরিবারগুলো একসঙ্গে মাদুরে বসে হাত দিয়ে ভাত খায়। ইন্দোনেশিয়ার অনেক অধিবাসী মনে করে যে, এভাবে খেতে সুস্বাদু লাগে।

দুরিয়ান ফলের ভিতরটা নরম ও রসালো আর এটার উগ্র গন্ধ সত্ত্বেও অনেকে এটা খেতে পছন্দ করে

ইন্দোনেশিয়ার অধিবাসীরা শিল্পকলা, নাচ ও সংগীত পছন্দ করে। আ্যংক্লাং হল ইন্দোনেশিয়ার এক বিশেষ ধরনের বাদ্যযন্ত্র; যাতে অনেকগুলো বাঁশের পাইপ একসঙ্গে একটা ফ্রেমে আলগাভাবে বাঁধা থাকে। পাইপগুলোকে এমনভাবে সুরে বাঁধা হয়, যাতে আঘাত করা হলে একটা বিশেষ ধরনের সুর সৃষ্টি হয়। একটা সুর বাজানোর জন্য অনেকজন বাদককে একসঙ্গে তাদের আ্যংক্লাংগুলো ঠিক সময় নাড়াতে হয়।

ওরাং-ওটাং হল গাছে বসবাসকারী প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো প্রাণী, যাদেরকে সুমাত্রা ও বোর্ণিওর ঘনবর্ষণ বনাঞ্চলে প্রায়ই দেখা যায়। একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ওরাং-ওটাংয়ের ওজন প্রায় ৯০.৭ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে আর তাদের হাত দুটো ৮ ফুট পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে

পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর দিকে ইসলাম ধর্ম ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতিতে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। ষোড়শ শতাব্দীতে মশলার খোঁজে ইউরোপীয়রা আসে আর তারা সঙ্গে করে খ্রিস্টধর্মও নিয়ে আসে।

যিহোবার সাক্ষিরা, যারা তাদের বিশ্বব্যাপী বাইবেল শিক্ষাদানের কাজের জন্য সুপরিচিত, তারা ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় কাজ করছে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় তাদের সংখ্যা ২২,০০০-রও বেশি আর তারা বধিরদের কাছে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা করছে। সম্প্রতি যিশুর মৃত্যু স্মরণ করার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা আয়োজিত সাংকেতিক ভাষার এক বিশেষ সভাতে ৫০০-রও বেশি লোক যোগ দিয়েছিল। (g১৩-E ০৪)

সচেতন থাক! পত্রিকা ইন্দোনেশীয় (যেটাকে বহসা ইন্দোনেশিয়াও বলা হয়) ভাষাসহ ৯৮টা ভাষায় প্রকাশিত হয়