এটা কি সুপরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট?
ঘোড়ার পা
একটা ঘোড়া (ইকাস ক্যাবালাস) ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) গতিতে দৌড়াতে পারে। যদিও এর জন্য প্রচুর পরিশ্রমের প্রয়োজন, তবুও তুলনামূলকভাবে অনেক কম শক্তি ব্যয় হয়। এটা কীভাবে সম্ভব? রহস্যটা লুকিয়ে আছে ঘোড়ার পায়ে।
একটা ঘোড়া যখন দৌড়ায়, তখন কী হয়, তা বিবেচনা করে দেখুন। ঘোড়ার পা যখন মাটিতে পড়ে, তখন স্থিতিস্থাপক পেশিতন্তুগুলো শক্তিকে শোষণ করে নেয় এবং ঠিক একটা স্প্রিংয়ের মতো সেই শক্তিকে আবার ফিরিয়ে দেয়, যার ফলে ঘোড়া এগিয়ে যায়।
এ ছাড়া, ঘোড়া যখন দৌড়ায়, তখন এর পা উচ্চ গতিতে কম্পিত হয়, যার ফলে পেশিতন্তুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু, এর পায়ের পেশিগুলো ড্যাম্পার হিসেবে কাজ করে, যেগুলো তন্তুগুলোকে আঘাত পাওয়া থেকে প্রতিরোধ করে। গবেষকরা এটাকে “অতি উন্নত পেশিতন্তু গঠন” হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, যেটা ঘোড়াকে ক্ষিপ্রতা এবং শক্তি প্রদান করে।
ইঞ্জিনিয়াররা চারটে পা রয়েছে এমন রোবটের জন্য ঘোড়ার পায়ের এই নকশা অনুকরণ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, বায়োমিমেটিক রোবোটিক্স ল্যাবরেটরি অভ্ দ্য ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অভ্ টেকনোলজি অনুসারে, বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে এমন উপকরণ এবং পদার্থবিদ্যার জ্ঞানের সাহায্যে এই জটিল নকশার অনুকরণ করা যাবে না।
আপনি কী মনে করেন? ঘোড়ার পায়ের এই গঠন কি ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে? না কি এটাকে সুপরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? ▪ (g১৪-E ১০)