সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রচ্ছদ বিষয় | পরিবারে শান্তি বজায় রাখুন

যেভাবে পরিবারে শান্তিস্থাপন করা যায়

যেভাবে পরিবারে শান্তিস্থাপন করা যায়

আপনার কি মনে হয়, পরিবারের মধ্যে শান্তিস্থাপন করার ক্ষেত্রে বাইবেল কোনো সাহায্য করতে পারে? এই প্রবন্ধে কয়েক জন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তারা যে-বিষয়গুলোকে সাহায্যকারী বলে মনে করেছেন আর বাইবেল যা বলে, সেগুলোর মধ্যে তুলনা করে দেখুন। কোন বিষয়গুলো আপনাকে ঝগড়া এড়াতে, শান্তিস্থাপন করতে এবং পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে, তা বিবেচনা করুন।

শান্তিস্থাপন করার জন্য বাইবেলের কিছু নীতি

একে অন্যের প্রতি সম্মান গড়ে তুলুন।

“প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর; এবং প্রত্যেক জন আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ।”ফিলিপীয় ২:৩, ৪.

“আমরা বুঝতে পেরেছি, ভালো বিষয়টা হল, বিবাহসাথিকে নিজের এবং অন্যদের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা।”—১৯ বছর ধরে বিবাহিত একজন মহিলা।

একে অন্যের কথা মন দিয়ে শুনুন।

“তুমি তাহাদিগকে স্মরণ করাইয়া দেও, যেন তাহারা . . . নির্ব্বিরোধ ও ক্ষান্তশীল হয়, সকল মনুষ্যের কাছে সম্পূর্ণ মৃদুতা দেখায়।”তীত ৩:১, ২.

“আমরা যদি ঝগড়া করার মনোভাব নিয়ে উত্তর না দিই, তা হলে অনেকটা উদ্‌বিগ্নতা এড়ানো যেতে পারে। আগে থেকে বিচার না করে শোনা এবং আপনি একমত হোন বা না-ই হোন, আপনার সাথির মতামতকে সম্মান দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”—২০ বছর ধরে বিবাহিত একজন মহিলা।

ধৈর্য এবং কোমলতা গড়ে তুলুন।

“দীর্ঘসহিষ্ণুতা দ্বারা শাসনকর্ত্তা প্ররোচিত হন, এবং কোমল জিহ্বা অস্থি ভগ্ন করে।”হিতোপদেশ ২৫:১৫.

“পরিবারের মধ্যে অশান্তি হবেই কিন্তু সেইসময় আমরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাই, সেটার উপর এর পরিণতি নির্ভর করে। আমাদের অবশ্যই ধৈর্য দেখাতে হবে। আমরা যখন তা দেখাই, তখন আমরা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারি।”—২৭ বছর ধরে বিবাহিত একজন মহিলা।

কখনোই কটূক্তি কিংবা শারীরিকভাবে নির্যাতন করবেন না।

“তোমরাও এ সকল ত্যাগ কর,—ক্রোধ, রাগ, হিংসা, নিন্দা ও তোমাদের মুখনির্গত কুৎসিত আলাপ।”কলসীয় ৩:৮.

“আমার স্বামী খুবই আত্মসংযমী। তিনি সবসময় শান্ত থাকেন আর কখনো আমার উপর চিৎকার-চ্যাঁচামেচি করেন না কিংবা আমাকে অপমান করেন না।”—২০ বছর ধরে বিবাহিত একজন মহিলা।

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষমা করুন এবং সমস্যা মিটমাট করুন।

“পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর।”কলসীয় ৩:১৩.

“যখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখন মাথা ঠান্ডা রাখা সবসময় সহজ নয় আর সেইসময় আপনি তাড়াহুড়ো করে এমন কিছু বলে বা করে ফেলতে পারেন, যা আপনার সাথিকে আঘাত দিতে পারে। এইরকম সময়ে সবচেয়ে ভালো কাজ হল, ক্ষমা করে দেওয়া। ক্ষমা করা ছাড়া একটা বিয়ে সফল হতে পারে না।”—৩৪ বছর ধরে বিবাহিত একজন মহিলা।

নিঃস্বার্থভাবে দেওয়ার এবং ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

“দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; . . . কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদেরও নিমিত্তে পরিমাণ করা যাইবে।”লূক ৬:৩৮.

“আমার স্বামী আমার পছন্দ-অপছন্দ সম্বন্ধে জানেন আর তিনি প্রায়ই আমাকে খুশি করার জন্য কিছু-না-কিছু করেন। সেইসময় আমিও চিন্তা করি, ‘তাকে আমি কীভাবে খুশি করতে পারি?’ এভাবে আমরা দু-জনে আগেও খুব আনন্দ করতাম আর এখনও করি।”—৪৪ বছর ধরে বিবাহিত একজন মহিলা।

পরিবারের মধ্যে শান্তিস্থাপন করার বিষয়ে হাল ছেড়ে দেবেন না

সজাগ হোন! পত্রিকা যে-সমস্ত সদস্যের সাক্ষাৎকার নিয়েছে, তারা হলেন বিশ্বব্যাপী সেই লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র কয়েক জন, যারা বাইবেলের সাহায্যে এমন গুণগুলো গড়ে তুলেছেন, যেগুলো তাদেরকে পরিবারের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করেছে। a এমনকী তাদের পরিবারের কেউ কেউ সহযোগিতা না করা সত্ত্বেও তারা দেখেছেন, শান্তিস্থাপনকারী হিসেবে তাদের ভূমিকা পালন করা উত্তম ফল নিয়ে আসতে পারে, কারণ বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে: “যারা শান্তির জন্য কাজ করে তারা সুখী।”—হিতোপদেশ ১২:২০, ইজি-টু-রিড ভারশন। ◼ (g15-E 12)

a কীভাবে পারিবারিক জীবন সুখী করা যায়, সেই সম্বন্ধে আরও তথ্য জানার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ১৪ অধ্যায় দেখুন। এই বইটা www.pr418.com ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাচ্ছে।