কেন ক্ষমা করবেন?
কেন ক্ষমা করবেন?
“কানাডার দ্যা টরেন্টো স্টার খবরের কাগজ বলে, “ক্ষমা করলে কী কী উপকার হয় তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন আর তাদের গবেষণা থেকে দেখা যায় যে কাউকে ক্ষমা করলে তা একজনের আবেগ-অনুভূতি ও শরীরের ওপর ভাল ছাপ ফেলে।” আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও স্ট্যানফোর্ড ক্ষমা প্রকল্পের প্রধান গবেষক, কার্ল থোরেসেন বলেন যে “ক্ষমা করার মানে কী এবং ক্ষমা করলে কী হয়, তা অনেকেই জানে না।”
মন থেকে ক্ষমা করা সত্য ধর্মের একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য। দ্যা টরেন্টো স্টার খবরের কাগজ বলে, ক্ষমা করা বলতে বোঝায় যে “আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে তা বুঝেও মন থেকে সমস্ত রাগ বা বিরক্তি ঝেড়ে ফেলা এবং যে দোষ করেছে তার সঙ্গে ভালবাসা ও দয়া দেখিয়ে কথা বলা।” তবে কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া, অজুহাত দেখানো, ভুলে যাওয়া বা অন্যায় উপেক্ষা করা মানে ক্ষমা করা নয়; কিংবা ক্ষমা করা বলতে বোঝায় না যে আপনি নিজেকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেবেন। ওই খবরের কাগজ আরও বলে যে প্রকৃত ক্ষমা করার মানে হল “রাগ ও বিরক্তিকে ঝেড়ে ফেলা।”
গবেষকরা বলেন যে ক্ষমা করলে শরীরের কী কী উপকার হয় তা নিয়ে আরও গবেষণা করা দরকার। তবে মানসিক দিক দিয়ে যে উপকারগুলো হয় সেই বিষয়ে তারা জানিয়েছেন। তারা বলেন যে ক্ষমা করলে “মানসিক চাপ কমে যায়, উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা আসে না।”
ক্ষমা করার মূল কারণ ইফিষীয় ৪:৩২ পদে লেখা আছে। এটা বলে: “তোমরা পরস্পর মধুরস্বভাব ও করুণাচিত্ত হও, পরস্পর ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) ক্ষমা ও সেইসঙ্গে আরও অন্যান্য ব্যাপারেও আমাদের ঈশ্বরের মতো কাজ করা দরকার।—ইফিষীয় ৫:১.
অন্যদেরকে ক্ষমা না করলে বা দয়া না দেখালে তা ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে পারে। যিহোবা চান যেন আমরা একে অন্যকে ক্ষমা করি। আর অন্যকে ক্ষমা করার পরই কেবল আমরা প্রার্থনা করতে পারি যেন যিহোবা আমাদের ক্ষমা করেন।—মথি ৬:১৪; মার্ক ১১:২৫; ১ যোহন ৪:১১.