নৈতিক মান দিনের পর দিন নিচে নেমে যাচ্ছে
নৈতিক মান দিনের পর দিন নিচে নেমে যাচ্ছে
“এমন ঘটনার কথা আগে ভাবাই যেত না,” জার্মানির ভূতপূর্ব চ্যান্সেলর হেলমূট স্মিড বলেছিলেন। তিনি জার্মানির সরকারি অফিসারদের সাংঘাতিক অসততা ও বেইমানির জন্য দুঃখ করে কথাগুলো বলেছিলেন, যা নিয়ে কিছুদিন আগেই খবরের কাগজে খুব মাতামাতি হয়েছিল। স্মিড বলেছিলেন, “লোভের জন্য লোকেদের নৈতিক মান দিনের পর দিন নিচে নেমে যাচ্ছে।”
আজকে অনেকেই তার সঙ্গে একমত। ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল যে নৈতিক মানের কথা বলে যেগুলোকে আগে লোকেরা সম্মান করত, তাদের ঠিক ও ভুল পথ দেখাবে বলে বিশ্বাস করত, আজকে লোকেরা সেগুলো সেকেলে বলে মনে করে। এমনকি যে সমস্ত দেশের লোকেরা নিজেদের খ্রীষ্টান বলে দাবি করে তাদের কাছেও আজকে বাইবেলের কোন দাম নেই।
বাইবেলের নৈতিক মান কি আমাদের দিনের জন্যও?
বাইবেলের নৈতিক মান শেখায় যে আমাদের সৎ ও বিশ্বস্ত হওয়া দরকার। কিন্তু আজকে পৃথিবীর সব জায়গায় লোকেদের শুধু ঠকাতে, অন্যায় করতে ও ধোঁকা দিতেই দেখা যায়। লন্ডনের টাইমস পত্রিকা বলে যে কিছু গোয়েন্দারা “ড্রাগ চালানকারীদের হাতে ড্রাগ পৌঁছে দেওয়ার ও কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট করার জন্য এক একবারে ৭০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়।” অস্ট্রিয়ায় বীমাতে ধোঁকাবাজি করা কোন বড় কথা নয়। জার্মানিতে গবেষকরা যখন
“জার্মান বিজ্ঞানে চরম ধোঁকাবাজির ঘটনার” কথা ফাঁস করে দিয়েছিলেন তখন দেশের সমস্ত বৈজ্ঞানিকেরা একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। জার্মানির “প্রজনন বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে একজন নামকরা বৈজ্ঞানিককে” মিথ্যা বলার ও খুব বড় আকারে তথ্য এদিকওদিক করার দোষ দেওয়া হয়েছিল।
বাইবেলের নৈতিক মান স্বামীস্ত্রীকে একে অন্যের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে শেখায় কারণ তাদের এই সম্পর্ক চিরদিনের। কিন্তু দিনের পর দিন আরও বেশি করে বিয়েগুলো ভেঙে যাচ্ছে। ক্যাথলিক খবরের কাগজ ক্রাইষ্ট ইন গেগেনওয়ার্ট (আজকের খ্রীষ্টানেরা) বলে যে “এমনকি ‘রক্ষণশীল’ সুইজারল্যান্ডেও আরও বেশি করে বিয়েগুলো ভেঙে যাচ্ছে।” নিদারল্যান্ডে বিয়েগুলোর ৩৩ শতাংশ ভেঙে যায়। গত কয়েক বছরে জার্মানির সমাজে আসা পরিবর্তনে চিন্তিত হয়ে একজন মহিলা বলেন “বিয়ে করাকে আজকাল লোকেরা পুরনো দিনের প্রথা বলে মনে করে, আজকে যা একেবারেই অচল। লোকেরা এখন সারা জীবন একসঙ্গে কাটানোর জন্য বিয়ে করে না।”
কিন্তু আজকেও লক্ষ লক্ষ লোকেরা মনে করেন, বাইবেল যে নৈতিক মানের কথা বলে তা আমাদের দিনের জন্য, আমাদের এই আধুনিক জগতে আমাদের পথ দেখানোর জন্য। সুইস-জার্মানের এক স্বামীস্ত্রী নিজেরা দেখেছিলেন যে বাইবেলের মান ও নীতি মেনে চলতে শেখা তাদের জীবনে সুখ এনে দিয়েছে। তারা বলেন যে “জীবনের যে কোন দিকেই হোক না কেন পথ দেখানোর জন্য একটাই রাস্তা পথ আছে আর তা হল বাইবেল।”
আপনি কী মনে করেন? বাইবেল কি সত্যিই আমাদের পথ দেখাতে পারে? বাইবেল যে নৈতিক মানের কথা বলে তা কি সত্যিই আজকের দিনে মেনে চলা যায়?