বাইবেলের নৈতিক মান কি সবচেয়ে ভাল?
বাইবেলের নৈতিক মান কি সবচেয়ে ভাল?
“আজকে সমাজে এমনই এক নৈতিক মান বা নীতির কাঠামো দরকার যা লোকেদের শুধু রক্ষাই করবে না কিন্তু তাদের পথও দেখাবে,” জার্মানির একজন অভিজ্ঞ লেখক ও দূরদর্শন ভাষ্যকার বলেছিলেন। আর কথাগুলো খুবই সত্যি। সমাজে স্থিরতা ও উন্নতি আনার জন্য কিছু অটল মান থাকা দরকার যাতে লোকেরা ঠিক ও ভুলের প্রভেদ, ভাল ও মন্দের ফারাক বুঝতে পারে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল: সমাজ ও এর লোকেদের জন্য কোন্ মান সবচেয়ে ভাল হবে?
বাইবেলে যে নৈতিক মান বা নীতির কথা বলা আছে তা যদি মেনে চলা যায়, তাহলে সমাজে স্থিরতা আসে। যে লোকেরা তা মেনে চলে তারা সুখী হয়। আর এই লোকেদের নিয়েই এক উন্নত সমাজ গড়ে ওঠে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? আসুন আমরা এখন পরীক্ষা করে দেখি যে জীবনের দুটো বিশেষ দিকের জন্য বাইবেল আমাদের কী শেখায়: স্বামীস্ত্রীর একে অন্যের প্রতি বিশ্বস্ত হওয়া ও রোজকার জীবনে সৎ হওয়া।
আপনার সাথীকে ছেড়ে দেবেন না
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আদমকে সৃষ্টি করার পর হবাকে তার সাথী করে তৈরি করেছিলেন। তাদেরকে একই বাঁধনে বেঁধে তিনি তাদের প্রথম বিবাহ দিয়েছিলেন যা ছিল তাদের সারা জীবনের বন্ধন। ঈশ্বর বলেছিলেন: “মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে।” এর প্রায় ৪০০০ বছর পরে যীশু খ্রীষ্ট তাঁর শিষ্যদের এই একই মানের বা নীতির কথা বলেছিলেন। তারপর তিনি বলেছিলেন যে বিয়ের বাইরে যৌন সম্পর্ক আদিপুস্তক ১:২৭, ২৮; ২:২৪; মথি ৫:২৭-৩০; ১৯:৫.
নিষিদ্ধ।—বাইবেল বলে সুখী বিবাহের জন্য সবচেয়ে দরকারি দুটো জিনিস হল স্বামীস্ত্রী দুজনের দুজনকে ভালবাসা ও একে অন্যকে সম্মান করা। স্বামী যিনি পরিবারের মস্তক স্ত্রীর ভাল চিন্তা করে তাকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসবেন। তিনি তার সঙ্গে “জ্ঞানপূর্ব্বক বাস” করবেন ও “কটুব্যবহার” করবেন না। স্ত্রীর উচিত স্বামীকে “সমাদর” করা। স্বামীস্ত্রী দুজনেই যদি এই নীতি মানেন, তাহলে অনেক সমস্যা, অনেক মুশকিলকে এড়ানো যায় ও মিটিয়ে নেওয়া যায়। স্বামীস্ত্রী দুজনেরই একে অন্যকে কখনওই ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা উচিত নয়।—১ পিতর ৩:১-৭; কলসীয় ৩:১৮, ১৯; ইফিষীয় ৫:২২-৩৩.
স্বামীস্ত্রী একে অন্যকে ছেড়ে দেবে না ও তারা একে অন্যের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে বাইবেলের এই নীতি মানলে কি বিবাহিত জীবনে সুখী হওয়া যায়? জার্মানিতে করা একটা সমীক্ষার ফলাফল দেখুন। লোকেদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে বিবাহিত জীবনে সুখী হতে গেলে কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে দরকারি বলে আপনাদের মনে হয়? যে উত্তর পাওয়া গিয়েছিল তার তালিকার একেবারে প্রথমেই ছিল একে অন্যের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা। আপনারও কি মনে হয় না যে যখন স্বামীস্ত্রীর একে অন্যের প্রতি ভরসা থাকে, তারা জানে যে তার সাথী তার প্রতি বিশ্বস্ত তখন তারাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী লোক?
সমস্যা দেখা দিলে কী?
কিন্তু যদি স্বামীস্ত্রীর মধ্যে কোন বিষয়ে বনিবনা না হয়? যদি একে অন্যের জন্য ভালবাসা কমে যায়? এই অবস্থায় কি বিবাহবিচ্ছেদ করে চিরদিনের মতো ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়াই ভাল হবে না? নাকি এই অবস্থাতেও বাইবেলের নীতি মেনে সাথীকে না ছেড়ে দেওয়াই ঠিক?
ঈশ্বরের শক্তিতে যারা বাইবেল লিখেছিলেন তারা জানতেন যে অসিদ্ধ হওয়ায় সব বিবাহিত স্বামীস্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া অশান্তি হবে, সমস্যা আসবে। (১ করিন্থীয় ৭:২৮) কিন্তু তবুও যারা বাইবেলের নৈতিক মান মেনে চলেন তারা একে অন্যকে ক্ষমা করে দিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু একজনের সাথী যদি ব্যভিচারী হয় বা ভীষণ নিষ্ঠুর হয়, তাহলে অন্যজন আলাদা হয়ে যাওয়ার বা বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভাবতে পারেন। (মথি ৫:৩২; ১৯:৯) কিন্তু সামান্য কোন ছুতোয়, বিনা কারণে বা অন্য কারও সঙ্গে বিয়ে করার ইচ্ছায় বিবাহবিচ্ছেদ করা দেখায় যে একজন তার নিজের স্বার্থে এতটাই অন্ধ যে অন্যজনের সুখদুঃখ তার কাছে কিছুই নয়। কিন্তু এরকম করে কেউই জীবনে সুখী হয় না। আসুন আমরা এখন একটা উদাহরণ দেখি।
হটাৎ-ই পিটারের মনে হয় যে তাদের স্বামীস্ত্রীর সম্পর্কে এখন আর সেই টান নেই যা একসময় ছিল। * তাই সে তার স্ত্রীকে ছেড়ে মনিকার সঙ্গে বাস করতে থাকে। মনিকাও তার স্বামীকে ছেড়ে এসেছিল। এরপর কী ঘটেছিল? মাত্র অল্প কিছু মাসের মধ্যেই পিটারের মনে হতে লাগে যে মনিকার সঙ্গে আর “থাকা যায় না, আমি যেমন মনে করেছিলাম মনিকা সেরকম নয়।” কিন্তু কেন পিটারের তা মনে হয়েছিল? অসিদ্ধ মানুষের দোষত্রুটি তাদের এই নতুন সংসারেও হানা দিয়েছিল যেমন তা দিয়েছিল তাদের প্রথম সংসারে। এছাড়া পিটার স্বার্থপরের মতো তাড়াহুড়ো করে এটা ঠিক করায় সে টাকাপয়সার টানাটানিতেও পড়েছিল। এটা তাদের অবস্থাকে আরও খারাপ করে দিয়েছিল। এছাড়া মনিকার ছেলেমেয়েরা তাদের ঘরে এমন উথালপাথাল দেখে মনের দিক থেকে একেবারে ভেঙে পড়েছিল।
এই উদাহরণ দেখে বোঝা যায় যে বিবাহ নামের তরী যখন ঝড়ঝঞ্ঝার মুখে পড়ে তখন তরী ছেড়ে চলে আসা কোন সমাধান নয়। কিন্তু অন্যদিকে ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্যেও যদি ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলের মান বা নীতি মেনে চলা যায়, তাহলে বিবাহ তরীকে ভরাডুবি থেকে বাঁচানো যায়। টমাস ও ডোরিসের জীবনে এমনই ঘটেছিল।
বিয়ের ৩০ বছরের মাথায় টমাস খুব মদ খেতে শুরু করে দেয়। ডোরিস এতই হতাশ হয়ে যায় যে তারা বিবাহবিচ্ছেদ করার কথা ভাবতে থাকে। ডোরিস একজন যিহোবার সাক্ষি বোনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে। সাক্ষি বোন ডোরিসকে বাইবেল বিবাহ সম্বন্ধে কী বলে তা দেখান। তিনি বলেন যে তাড়াহুড়ো করে আলাদা হয়ে যাওয়ার কোন দরকার নেই। বরং প্রথমে ডোরিস যেন তার স্বামীর সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলে ও তারা যেন সমস্যার সমাধান খোঁজে। ডোরিস তাই-ই করেছিল। কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের মনে হয় যে বিবাহবিচ্ছেদ করার আর দরকার নেই। এরপর থেকে টমাস ও ডোরিস তাদের সমস্যাগুলো একসঙ্গে সমাধান করার চেষ্টা করত। বাইবেলের
নীতি মেনে চলায় তাদের বিয়ে মজবুত হয়েছিল আর তাদের সমস্যার সমাধান হয়েছিল।সব ব্যাপারে সৎ হওয়া
স্বামীস্ত্রীর একে অন্যের প্রতি বিশ্বস্ত হওয়ার জন্য মনের জোর ও নীতিবোধ থাকা দরকার। আজকের এই অসৎ জগতে সৎ হওয়ার জন্যও এই গুণ দুটো দরকার। বাইবেল সৎ হওয়ার বিষয়ে অনেক কিছু বলে। প্রেরিত পৌল প্রথম শতাব্দীতে যিহূদিয়ার ভাইবোনদের লিখেছিলেন: “সব বিষয়ে আমরা সৎ ভাবে চলতে চাই।” (ইব্রীয় ১৩:১৮, প্রেমের বাণী) এর মানে কী?
একজন সৎ ব্যক্তি মিথ্যে বলেন না ও ধোঁকা দেন না। অন্যদের সঙ্গে তার ব্যবহারে কোন ছল থাকে না। তিনি খোলাখুলি কথা বলেন ও অন্যদেরকে সম্মান করেন। তিনি কখনও ছলচাতুরী করেন না বা অন্যদের ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন না। একজন সৎ ব্যক্তি লোকেদের ঠকানোর চেষ্টা করেন না। সৎ লোকেদের সঙ্গে ভরসা ও বিশ্বাস নিয়ে ওঠাবসা করা যায়। সৎ লোকেরা নিরপেক্ষ হন আর তারা খুব ভাল ও কাছের বন্ধু হতে পারেন।
সৎ লোকেরা কি সুখী? নিশ্চয়ই, কারণ সুখী হওয়ার জন্য তাদের অনেক কারণ আছে। আজকে পৃথিবী জুড়ে শুধু অন্যায় ও জালজোচ্চুরিই হতে থাকে। কিন্তু তবুও বা হয়তো এই কারণেই প্রায়ই সৎ লোকেদের লোকেরা সম্মান করে। যুবকযুবতীদের মধ্যে সমীক্ষা করে দেখা গেছে যে তাদের একশ জনের মধ্যে ৭০ জনই সততাকে এক বড় গুণ বলে মনে করে। আমাদের বয়স যাই হোক না কেন আমরা সবাই খুবই চাই যে আমাদের বন্ধুবান্ধবরা সৎ হোক।
ক্রিস্টিনকে ১২ বছর বয়স থেকেই চুরি করতে শেখানো হয়েছিল। বড় হতে হতে সে তুখড় পকেটমার হয়ে উঠেছিল। ক্রিস্টিন বলে, “একটা সময় ছিল যখন আমি দিনে প্রায় লাখ টাকা পর্যন্ত ঘরে নিয়ে আসতাম।” কিন্তু ক্রিস্টিন বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছিল আর জেলে গিয়েছিল। আর তার সবসময়ই ধরা পড়ে যাওয়া ও জেলে যাওয়ার ভয় ছিল। যখন যিহোবার সাক্ষিরা বাইবেল থেকে তাকে দেখান যে সৎ হওয়ার ব্যাপারে বাইবেল আমাদের কী বলে, বাইবেলের এই নীতি ক্রিস্টিনের ভাল লাগে। বাইবেলের ইফিষীয় পুস্তকের ৪:২৮ পদে দেওয়া আজ্ঞা সে মেনে চলতে শিখেছিল। যেখানে বলা হয়েছে “চোর আর চুরি না করুক।”
ক্রিস্টিন চুরি করা ছেড়ে দিয়েছিল আর বাপ্তিস্ম নিয়ে একজন যিহোবার সাক্ষি হয়েছিল। যেহেতু যিহোবার সাক্ষিরা সততা ও বাইবেলের অন্য নীতিগুলোকে মেনে চলার ব্যাপারে খুবই জোর দেন তাই ক্রিস্টিন তার জীবনের সব ব্যাপারে সৎ থাকার চেষ্টা করত। লাউসিটজার রুন্ডশাউ খরবেব কাগজ বলে: “যিহোবার সাক্ষিদের ধর্মে সততা, সংযম ও প্রতিবেশীর প্রতি প্রেমের মতো নীতিগুলোর উপর খুব জোর দেওয়া হয়।” নিজের জীবনকে বদলে ফেলতে পেরে ক্রিস্টিনের কেমন লাগে? “চুরি করা ছেড়ে দিতে পারায় আমি এখন খুব খুশি। সমাজে এখন আমার একটা জায়গা আছে।”
পুরো সমাজের জন্য ভাল
যে লোকেরা তাদের সাথীদের প্রতি বিশ্বস্ত ও যারা সৎ তারা যে শুধু নিজেরাই সুখী তাই-ই নয়, সমাজের জন্যও তারা ভাল। মালিকেরা এমন কর্মচারীদের পছন্দ করেন যারা চুরি করে না। আমরা সবাই চাই যে আমাদের পাড়াপড়শিরা সৎ হোক যাতে আমরা তাদের উপর বিশ্বাস করতে পারি। আমরা চাই না যে ব্যাবসাদারেরা আমাদের ঠকাক। আমরা কি সেই রাজনীতিবিদ, পুলিশ ও বিচারকদের সম্মান করি না যারা ঘুসখোর নন? পুরো সমাজের ভাল হয় যখন সমাজে যারা বাস করে সেই লোকেরা সৎ হয়। কিন্তু যে লোকেরা নীতির কারণে সৎ হবেন তারা শুধু সেই সময়ের জন্যই সৎ হবেন না যখন সৎ হওয়া তাদের জন্য সুবিধাজনক।
স্বামীস্ত্রী একে অন্যের প্রতি বিশ্বস্ত হলে পরিবারের বন্ধন মজবুত হয়। একজন ইউরোপীয় রাজনীতিবিদ বলেছিলেন: “আজকেও [ঐতিহ্যবাহী] পরিবারই এমন এক আশ্রয় যেখানে মানুষ সুখী হতে পারে ও জীবনের মানে খুঁজে পায়।” আজ বেশির ভাগ লোকেরাই তাই মনে করেন। শান্তি ও সুখের জায়গা পরিবারেই বড়, ছোট সকলে নিজেদেরকে নিরাপদ মনে করে। তাই স্বামীস্ত্রী যারা একে অন্যের প্রতি বিশ্বস্ত তারা এইভাবে এমন এক সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করেন যেখানে স্থিরতা আছে।
একটু ভেবে দেখুন যে কত ভালই না হবে যদি স্বামীস্ত্রী একে অন্যকে ছেড়ে দেওয়ার কথা না ভাবে, যদি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালত না থাকে বা বাচ্চার দেখাশোনার ভার কে পাবে এই নিয়ে কোন মামলাই না হয়। যদি কোন পকেটমার, চোর, অসৎ লোক, ঘুসখোর অফিসার ও ধোঁকাবাজ বৈজ্ঞানিকরা না থাকে? কিন্তু এগুলো কি শুধুই স্বপ্ন? তাদের জন্য নয় যারা বাইবেল পড়ে ও জানে যে বাইবেল আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কী বলে। ঈশ্বরের বাক্য বলে যে খুব শীঘ্রি যিহোবার মশীহ রাজ্য সারা গীতসংহিতা ৩৭:২৯.
পৃথিবীর উপর শাসন শুরু করবে। সেই সময়ে রাজ্যের সমস্ত প্রজারা বাইবেলের মান বা নীতি মেনে বেঁচে থাকতে শিখবে। সেই সময়ে “ধার্ম্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।”—বাইবেলের মান সবচেয়ে উন্নত
লক্ষ লক্ষ লোকেরা যারা একটু মন দিয়ে বাইবেল পড়েন, তারা বোঝেন যে বাইবেল যে মান ও নীতির কথা বলে তা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে ও মানুষের বিচারবুদ্ধি থেকে তা অনেক উন্নত। তারা মনে করেন যে আমাদের এই আধুনিক জগতেও বাইবেল আমাদের জীবনে একটা বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে। তারা জানেন যে ঈশ্বরের বাক্যে দেওয়া নীতি মেনে চলা ছাড়া ভাল তাদের জীবনে আর কিছু হতে পারে না।
তাই এই লোকেরা বাইবেলের এই পরামর্শকে মেনে চলেন যেখানে বলা আছে: “তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না; তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।” (হিতোপদেশ ৩:৫, ৬) আর এটা মেনে চলে তারা আরও ভাল জীবন কাটান ও সেই সঙ্গে তাদের আশেপাশের লোকেদের জন্যও ভাল করেন। তারা তাদের সামনে সেই উজ্জ্বল ‘ভবিষ্যৎ জীবনের’ দিকে তাকান যখন সব লোকেরা বাইবেলের নীতি মেনে চলবে।—১ তীমথিয় ৪:৮.
[পাদটীকা]
^ এই প্রবন্ধে নামগুলো পালটে দেওয়া হয়েছে।
[৫ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্যেও যদি ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলের মান বা নীতি মেনে চলা যায়, তাহলে বিবাহ তরীকে ভরাডুবি থেকে বাঁচানো যায়
[৬ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
আজকে পৃথিবী জুড়ে শুধু অন্যায় ও জালজোচ্চুরিই হতে থাকে। কিন্তু তবুও বা হয়তো এই কারণেই প্রায়ই সৎ লোকেদের লোকেরা সম্মান করে