সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বিশ্বশান্তি কীভাবে আসবে?

বিশ্বশান্তি কীভাবে আসবে?

বিশ্বশান্তি কীভাবে আসবে?

 খুব শীঘ্রিই কি সারা পৃথিবীতে শান্তি আসতে চলছে? কিছু বছর আগে যারা এ কথা ভাবত আজ তাদের এতে সন্দেহ আছে। আজ তারা এটাকে শুধু স্বপ্ন বলেই মনে করে। সাউথ আফ্রিকার ডেলি মেল আ্যন্ড গার্ডিয়ান খবরের কাগজে আমাদের ভবিষ্যৎ সমস্যাগুলোর উপর আলোচনার একটা রিপোর্ট ছাপানো হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল যে “১০ বছর আগে বিশ্বশান্তির ব্যাপারে যা অনুমান করা হয়েছিল বা বলা হয়েছিল আজ তা শুধু স্বপ্নই থেকে গেছে আর তা কোনদিনই সত্যি হবে না।”

রিপোর্টের লেখকেরা বলেছিলেন যে মাত্র দশ বছর আগেও লোকেরা এক সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখত। তারা ভেবেছিল ঠাণ্ডা লড়াই শেষ হয়ে গেছে, জাতিগুলো আর যুদ্ধ করবে না। এক নতুন যুগ বুঝি শুরু হতে চলেছে। অনেকেই আশা করেছিল যে দারিদ্র, রোগ-জ্বালা ও দূষণ আর থাকবে না। কিন্তু তাদের সেই আশা পূর্ণ হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, “এই আশাকে আজ যেন রূপকথা বলে মনে হয়। আজ পৃথিবীর এমন সব এলাকাগুলোতে লড়াই শুরু হয়েছে যার নাম আমরা আগে কখনও শুনিনি। সারা পৃথিবী জুড়ে দারিদ্র বেড়েই চলেছে। দুটো নতুন পারমানবিক শক্তির উদ্ভব হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নাম খারাপ হয়ে গেছে কারণ মানুষের সামাজিক ও মানসিক চাহিদাগুলোকে রাষ্ট্রসংঘ মেটাতে পারেনি। স্বপ্নরাজ্য পাতালপুরীতে বদলে গেছে।”

কিন্তু অন্যদিকে বাইবেলের ছাত্ররা জানেন যে মানুষ পৃথিবীতে শান্তি আনার জন্য যত চেষ্টাই করুক না কেন তারা কখনই সফল হবে না। কেন? কারণ বাইবেল জানায়, “সমস্ত জগৎ সেই পাপাত্মার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে।” (১ যোহন ৫:১৯) শয়তানের জগতে কেউ-ই এই পৃথিবীকে এক সুন্দর বাগান বা সুখ-শান্তির নীড় বানিয়ে দিতে পারবে না, যেমন ঈশ্বর সৃষ্টি করেছিলেন।

কিন্তু তবুও আমরা এক সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারি যা সত্যি হতে চলেছে। যিহোবা ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যে তিনি বিশ্বশান্তি নিয়ে আসবেন। এই পুরনো অবস্থাকে জোড়াতালি দিয়ে তিনি তা আনবেন না কিন্তু তিনি ‘এক নূতন পৃথিবী’ নিয়ে আসবেন “যেখানে সবকিছু ঈশ্বরের ইচ্ছামত হবে।” (২ পিতর ৩:১৩, প্রেমের বাণী) হ্যাঁ, ঈশ্বরের রাজ্য আমাদের এই পৃথিবীকে সুখ ও শান্তির এক জগৎ বানিয়ে দেবে যেখানে থেকে ও কাজ করে বাধ্য মানুষেরা সব সময়ে আনন্দ পাবে। আর ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যে তিনি তাদের “সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না।” এই প্রতিজ্ঞা মানুষের নয় যারা শুধু মিথ্যে অনুমান করে। বরং, আমাদের সৃষ্টিকর্তা এই প্রতিজ্ঞা করেছেন যিনি মিথ্যে বলেন না।—প্রকাশিত বাক্য ২১:৪; তীত ১:২.